<p style="text-align:justify">মধুরাস্বাদ, নারকেল পুলি, মালপোয়া, ঝালপুলি, রং বাহারি, ক্ষীরের বরফি, ত্রিবেণি, রোলপুলি, গুড়ের নাড় ও ঝাল বড়া নামে হরক রকমের পিঠার সঙ্গে পরিচিত হলো খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয়, সেখানে দেখা মিলল রসপাকান, ক্ষীর পাটিসাপ্টা, পুষ্পমঞ্জুরি, দুধচিতই, গোলাপ পিঠা, সুন্দরী লতিকা, বিধানের ব্যান, গণিতের কারসাজি, আইনের প্যাঁচ নামের পিঠাও।</p> <p style="text-align:justify">‘শরতের আকাশ গায় মুক্তির গান, পিঠার স্বাদে জাগে ঐতিহ্যের প্রাণ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদি চত্বরে পিঠার উৎসবে রঙিন হয় বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়। সকাল ১০টার দিকে উৎসবের উদ্বোধন করেন ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর ড. মো. নাজমুস সাদাত।</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের ফলে আমরা নতুন এক বাংলাদেশ পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে উদ্যম রয়েছে, তা সবসময় পজিটিভ রাখতে হবে। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে হবে। আমাদের সংস্কৃতিকে ধরে রাখতে হবে। কারণ সংস্কৃতি জাতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।</p> <p style="text-align:justify">আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক মো. ফারদিন আহমেদ দিপন বলেন, পিঠা উৎসব উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই ক্যাম্পাস সজ্জা, রাস্তায় আলপনা, স্টেজ পেইন্ট ও স্টল নির্মাণ করেছেন। ছাত্রীরা রাতভর তৈরি করেছেন নানা রকমের পিঠা। প্রতিটি ডিসিপ্লিন থেকে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের পিঠা নিয়ে শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।</p> <p style="text-align:justify">উৎসবের অংশ হিসেবে বিকালে ক্যাফেটেরিয়াতে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।</p>