<p>তিন দফা দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে এমন কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শিক্ষার্থীরা এই বিবৃতিকে 'দায়সারা' উল্লেখ করে ফেসবুকে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।</p> <p>আজ সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেল পাঁচটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক মুহাম্মদ আনওয়ারুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই বিবৃতি দেওয়া হয়। এর পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিবৃতিটি দায়সারা হিসেবে উল্লেখ করে সমালোচনা শুরু করেন।</p> <p>বিবৃতিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সংক্রান্ত শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত তিনটি যৌক্তিক দাবিকে প্রশাসন ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে দেওয়ার লক্ষ্যে নতুন প্রশাসন প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। তবে এই ধরনের প্রকল্প যৌক্তিকভাবেই কিছুটা সময়সাপেক্ষ। বর্তমান সরকারও আমাদের প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি করেছে এবং অন্যান্য বিষয়ে আন্তরিকতা দেখিয়েছে। এ ক্ষেত্রে জনসমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে এমন কার্যক্রম থেকে শিক্ষার্থীদের বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে। এছাড়া, প্রকল্প সম্পর্কিত তথ্য-উপাত্ত নিয়মিত ব্যবধানে প্রকাশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন।</p> <p>এই বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহিন মিয়া ফেসবুকে লেখেন, "বিবৃতি দেওয়া বাদ দিয়ে কাজ করে দেখান। শিক্ষার্থীরা বিবৃতি শুনতে চায় না, কাজ দেখতে চায়।"</p> <p>জিলন ওমর ফারুক সমালোচনা করে লেখেন, "৮ বছর ধরে এভাবে মুলা ঝুলানো হচ্ছে, প্রশাসনের মুলা ঝুলানিতে এবার আর থামছি না আমরা। জনদুর্ভোগের কথা চিন্তা করলে ২৪-এর জুলাই বিপ্লব কখনোই সম্ভব হতো না।"</p> <p>আরিয়ান ইসলাম কামরান মন্তব্য করেন, "গত ৬ বছরেও নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, ফলাফল? আবাসন শূন্য! এসব কথা বলে লাভ নেই, দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ফয়সালা রাজপথেই হবে।"</p> <p>বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এই বিবৃতির প্রতিক্রিয়ায় আন্দোলনের মুখপাত্র, পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী তৌসিব মাহমুদ সোহান বলেন, "প্রশাসন দায়সারা ঘোষণা দিলো কি দিলো না, এতে আমাদের কিছু যায় আসে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এটা আমাদের যৌক্তিক দাবি।"</p>