ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শুক্রবার ২৫ এপ্রিল ২০২৫
১২ বৈশাখ ১৪৩২, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৬

কুয়েটের ঘটনায় বুয়েটে বিক্ষোভ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
কুয়েটের ঘটনায় বুয়েটে বিক্ষোভ
ছবি: কালের কণ্ঠ

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) ক্যাম্পাসে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় বুয়েট ক্যাম্পাস এলাকায় এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদ সমাবেশে লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, আজকে মধ্যাহ্নে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছি।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, গতকাল কুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে ছাত্রদল নিজেদের ফর্ম বিক্রির কার্যক্রম চালায়। এর প্রতিবাদে সাধারণ শিক্ষার্থীরা নিজেদের অবস্থান ব্যক্ত করতে চাইলে সেখানে ন্যাক্কারজনকভাবে হামলা চালায় বহিরাগত ছাত্রদল। 

লিখিত বক্তব্যে তারা আরো বলেন, আমরা বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা পরিষ্কার কণ্ঠে ঘোষণা করতে চাই, বাংলাদেশকে আরেকটি নৈরাজ্যপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত হতে আমরা দেব না। হাজারো শহীদের রক্তস্নাত এই ফ্যাসিস্টমুক্ত স্বাধীন দেশে ফ্যাসিস্টদের পুরনো পদচারণা আমরা মেনে নেব না।

কুয়েটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা একান্তই কুয়েটের শিক্ষার্থীদের, কোনো বহিরাগতদের না। ইতিপূর্বে বুয়েটে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে যেমন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিল, ছাত্রদলের বর্তমান সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধেও বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীদের অবস্থান অনঢ় এবং সুদৃঢ়।

লিখিত বক্তব্যে প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, অতি দ্রুত হামলাকারী সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। কোনো হামলাকারী ছাড় পেলে তা হবে জুলাই আন্দোলনের শহীদদের সঙ্গে অবমাননা।

এর পাশাপাশি কুয়েটসহ দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেই লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র রাজনীতির বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছিল, তাদের সেই অবস্থানকে সম্মান করুন।

কুয়েট প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, কোনোভাবেই সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে গিয়ে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি পুনর্বাসনের চেষ্টা করবেন না, অন্যথায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা এর বিরুদ্ধে কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পদত্যাগ করেছেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
পদত্যাগ করেছেন কুয়েটের ভিসি-প্রোভিসি
ফাইল ছবি

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস কে শরীফুল আলম পদত্যাগ করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা দুজনের পদত্যাগের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এখন তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হওয়ার প্রক্রিয়া চলমান।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সরকার সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার পরও যখন বিষয়টি সুরাহা হচ্ছিল না, তখন দুজনক পদত্যাগের জন্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়।

এরপর তারা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

নিয়ম অনুযায়ী তাদের পদত্যাগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হবে। তিনি অনুমোদন করলে পদত্যাগ কার্যকর হবে।

এর আগে বুধবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলামকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

একই সঙ্গে সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মদ মাছুদের পদত্যাগ দাবিতে বেশ কয়েক দিন ধরেই আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা। গত সোমবার থেকে ৩২ জন শিক্ষার্থী আমরণ অনশন কর্মসূচি শুরু করেন।

মূলত গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদল ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে সংঘর্ষ ও বহু শিক্ষার্থী হতাহতের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ২৫ ফেব্রুয়ারি জরুরি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ, সেই সঙ্গে সব শিক্ষার্থীকে হলত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়। ১৩ এপ্রিল থেকে হল খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা।

পরদিন ১৪ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। তার পর থেকেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।

মন্তব্য

আমাকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা যাবে : কুয়েট প্রো-ভিসি

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
আমাকে অব্যাহতি দেওয়ায় ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা যাবে : কুয়েট প্রো-ভিসি
সংগৃহীত ছবি

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের(কুয়েট) ভিসি বিরোধী আন্দোলনের মুখে ভিসি, প্রো-ভিসি উভয়কেই অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর পর প্রো-ভিসি প্রফেসর ড. শেখ শরীফুল আলম এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এমন সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা যাবে। প্রো-ভিসি থাকলেও তিনি অনেক দায়িত্ব থেকে বঞ্চিত ছিলেন বলেও উল্লেখ
করেন।

জানতে চাইলে প্রো-ভিসি বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখার ফলেই সরকারের পক্ষ থেকে গত ৪ ডিসেম্বর আমাকে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

উপ-উপাচার্য পদে যোগদানের পর বিভিন্ন দাপ্তরিক সভা ও সিন্ডিকেটে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ ও শিক্ষার্থীদের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছি। যোগদানের পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাকে কোনো প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজে সহযোগিতা করেননি। উপরন্তু, বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট কর্তৃক উপ-উপাচার্যের সীমিত আকারে প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজ করার যে নীতিমালা ছিল তা গত ১১ জানুয়ারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৭-তম (জরুরী)
সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে বাতিল করে দেওয়া হয়। 

ফলে গত চার মাসে প্রশাসনিক কার্যাদি এবং আর্থিক বিলে স্বাক্ষর করতে না দিয়ে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য পদটি একটি অলংকারিক পদে পরিণত করা হয়েছে।

এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে আমি শুধুমাত্র লাইব্রেরী কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করি।’

তিনি আরো বলেন, ‘কুয়েটে যোগদানের পর থেকে সর্বদা প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে কাজ করেছি। বাস্তবতা হলো আমি নিজে এখনও আমার অপরাধ সম্পর্কে জানি না এবং আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেয়া হয়নি যা খুবই দুঃখজনক ও অনভিপ্রেত।

উপরন্তু, গত ১৮ ফেব্রুয়ারী এ ক্যাম্পাসে সংঘটিত ন্যাক্কারজনক হামলার সময়ে দুপুর ১টা ৪০ মিনিট হতে বিকাল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত উভয়পক্ষকে (ছাত্র ও বহিরাগত) নিবৃত্ত করার চেষ্টা করি।

এতে আমি নিজেও আহত হই। এ ব্যাপারে সাধারণ ছাত্রদের বক্তব্য নেওয়া যেতে পারে ও ঘটনার ফুটেজ দেখা যেতে পারে।’ বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দেওয়া এবং কোনো অপরাধ/অপকর্ম না করে অব্যাহতি দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ভুল বার্তা যাবে বলে মনে করি।’

মন্তব্য

মণিপুরি

    সপ্তম শ্রেণির বাংলা বইয়ের ‘বহু জাতিসত্তার দেশ-বাংলাদেশ’ প্রবন্ধে তোমরা মণিপুরি সম্পর্কে পড়েছ। মেইতেই নামেও পরিচিত এই সম্প্রদায়—
সাদিয়া আফরিন হীরা
সাদিয়া আফরিন হীরা
শেয়ার
মণিপুরি
মহারাসলীলায় নৃত্যরত মণিপুরি তরুণীরা। ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ বহু জাতিসত্তার দেশ। এখানে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ তাদের নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে বসবাস করে। এই বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যতম হলো মণিপুরি জাতি। তাদের ভাষা, পোশাক, নাচ, ধর্ম সব কিছুই আলাদা।

আঠারো শতকের শেষ দিকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর রাজ্যে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বহু মণিপুরি বাংলাদেশসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম এবং বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেট, মৌলভীবাজার, শ্রীমঙ্গল, কুলাউড়া, হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও সুনামগঞ্জের ছাতক অঞ্চলে মণিপুরিদের উপস্থিতি দেখা যায়। অতীতে ঢাকার তেজগাঁও, ময়মনসিংহ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়ও তাদের দেখা মিলত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তা কমেছে।

মণিপুরিরা প্রধানত ‘মৈতৈ’ ভাষায় কথা বলে। মণিপুরি বর্ণমালার উদ্ভাবক মণিপুরি রাজা ‘পাখং’। তাঁর উদ্ভাবিত ১৮টি বর্ণের সঙ্গে পরে মহারাজ ‘খাগেম্বা’ সপ্তদশ শতাব্দীতে এতে আরো ১৪টি বর্ণ সংযোজন করেন। এই ৩২টি বর্ণমালার ভিত্তিতেই মণিপুরিরা তাদের সাহিত্য, ধর্মীয় গ্রন্থ ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ করেছে।

মণিপুরি জনগোষ্ঠীর বেশির ভাগই সনাতন ধর্মাবলম্বী। তবে ইসলাম ও খ্রিস্ট ধর্মের অনুসারীও আছে। মণিপুরি সংস্কৃতির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো মণিপুরি নৃত্য। এটি শুধু শৈল্পিক নৃত্য নয়, বরং এক ধরনের ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক সাধনার প্রতিফলন। বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এই নৃত্যে বিশেষ ধরনের পোশাক ‘পোত্লই’ পরিধান করা হয়, যা নাচের আভিজাত্য ও সৌন্দর্য বহন করে।

মণিপুরিদের বিয়ের রীতিনীতিও চমকপ্রদ। বিয়ের দিন বরকে সম্পূর্ণ নীরব থাকতে হয়। গয়না, মুকুটসহ প্রায় ২৫ কেজি ওজনের হয় কনের পোশাক। মণিপুরি বিয়েতে কোনো খাবারের আয়োজন থাকে না।

মণিপুরিদের উৎসবগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড় রাসপূর্ণিমা, যা মাসব্যাপী উদযাপিত হয়। এই সময় বিভিন্ন ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক আয়োজন হয়। এর মধ্যে রাসলীলা, বৈষ্ণব কবি জয়দেবের ‘গীতগোবিন্দ’ অনুসারে নৃত্য অন্যতম।

কৃষিই তাদের প্রধান জীবিকা। তারা ধান চাষের পাশাপাশি আম, লেবু, আনারস, কমলা ও পেয়ারা চাষ করে। অনেকে মাছ ধরাকে পেশা বা শখ হিসেবে গ্রহণ করেছে। মণিপুরি নারীরা স্থানীয় বাজারে খাদ্যপণ্য ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক বিক্রির মাধ্যমে নিজেদের অর্থনৈতিক অবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলছে।

মন্তব্য

অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
অনশন প্রত্যাহার করলেন কুয়েট শিক্ষার্থীরা

অনশন প্রত্যাহার করলেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (২৩ এপ্রিল) দিবাগত রাত ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. তানজীম উদ্দিন খান শিক্ষার্থীদের জুস খাইয়ে অনশন ভঙ্গ করান। পরে শিক্ষার্থীরা অনশনস্থল থেকে নিজ নিজ হলে ফিরে যান।

এর আগে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ জানান, কুয়েটে সাম্প্রতিক ঘটনাবলির পরিপ্রেক্ষিতে উদ্ভূত সংকট নিরসন এবং শিক্ষা কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং উপ-উপাচার্যকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে।

অনতিবিলম্বে একটি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে এ দুটি পদে নতুন নিয়োগ প্রদান করা হবে।

মো. মামুন অর রশিদ জানান, অন্তর্বর্তীকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মিত কার্যক্রম চালু রাখার স্বার্থে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মধ্য থেকে একজনকে সাময়িকভাবে উপাচার্যের দায়িত্ব অর্পণ করা হবে। 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে বলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আদেশে উল্লেখ করা হয়।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হন।

পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন।

গত ১৪ এপ্রিল সিন্ডিকেট সভায় ৩৭ শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। 

এসব ঘটনায় কুয়েট উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদকে অপসারণের এক দফা দাবিতে ২২ এপ্রিল বিকেল থেকে আমরণ অনশনে বসেছিলেন ২৯ শিক্ষার্থী। বুধবার শিক্ষা উপদেষ্টা গিয়ে শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও ভিসির পদত্যাগের আলটিমেটাম দেন। তবে কুয়েট ভিসি বলেছিলেন, সরকার তাকে না সরালে নিজে থেকে পদ ছাড়বেন না।

শেষ পর্যন্ত সরকার-ই তাকে ভিসির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ