পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি হাবিবুর রহমান বলেছেন, আমি সবাইকে অনুরোধ জানাবো আপনারা পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন। পুলিশ সব সময় জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে রয়েছে। আমরা কমিউনিটি পুলিশিং করি। এর মূলমন্ত্র হলো জনগণের সাথে মিলেমিশে কাজ করা।
মানিকগঞ্জে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি
পুলিশের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রাখুন
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

আজ শনিবার মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া ঘাটের পার্শ্ববর্তী দাশকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে জেলা পুলিশের আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পাঁচশতাধিক দুঃস্থ নারী পুরুষের মাঝে ঈদ উপলক্ষে শাড়ি ও লুঙ্গি বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
পরে তিনি দুপুরে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের নির্বিঘ্নে পারাপারে সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে পাটুরিয়া ঘাট পরিদর্শন করেন। এ সময় ডিআইজি ফেরি ও লঞ্চঘাট সরেজমিনে ঘুরে দেখেন এবং বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নেন। ঘাটের নিরাপত্তা আরো জোরদার করার লক্ষে পাটুরিয়া ঘাটের পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফেরি-লঞ্চঘাটের সিসিটিভি উদ্বোধন করেন।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে তিনি ব্রিফিংয়ে ঘাটের সার্বিক বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮টি জেলার লোকজন এ রুট দিয়ে যাতায়াত করে থাকেন। ঈদ উপলক্ষে এ রাস্তা ও ফেরিঘাটে বাড়তি চাপ থাকে। এবার যে ব্যবস্থাপনা, পুলিশ প্রশাসন, বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, হাইওয়ে পুলিশ, নৌপুলিশের প্রচেষ্টার কারণে যানজট নিরসন সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যে সকল অপরাধ সংঘঠিত হয়, যেমন অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি, চাঁদাবাজিসহ এ ধরনের কোনো রকম অভিযোগ এ পর্যন্ত আমাদের কাছে আসেনি।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত ডিআইজি আসাদুজ্জামান, সালেহ মোহাম্মদ তানভীর, মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এস এম ফেরদৌস, ঢাকা জেলা পুলিশ সপার শাহ্ মোহাম্মদ শাফিউর মিজান, মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মুকুল, শিবালয় ইউএনও এ এফ এম ফিরোজ মাহমুদ, উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউর রহমান খান জানু, সহকারী কমিশনার মো. জাকির হোসেন প্রমুখ।

পুলিশের বিরুদ্ধে আসামি গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়ায় চেক ডিস-অনার মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মীর সুলাইমানের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকার মো. হুমায়ুনের ছেলে ও স্থানীয় মনি স্টোরের মালিক মো. জুয়েলের বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিস-অনারের একটি সিআর মামলা (নম্বর ৭৭/২৫) করা হয়। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত জুয়েলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মীর সুলাইমান প্রাইভেট কারের চালক মনির ও একজন সোর্স নিয়ে আসামি জুয়েলকে তাঁর গোডাউন থেকে গ্রেপ্তার করেন। অভিযোগ উঠেছে, পরে তাঁকে প্রাইভেট কারে করে আশুলিয়ার পবনারটেক এলাকায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেন।
আসামি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মীর সুলাইমান বলেন, ‘আমি একটু দরকারি কাজে বাড়িতে এসেছি, আগামীকাল এসে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলব।’
আশুলিয়া থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম।

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে শহীদকন্যা লামিয়ার আত্মহত্যা
পটুয়াখালী প্রতিনিধি

ধর্ষণের শিকার জুলাই আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে শহীদ জসিম উদ্দিনের কন্যা লামিয়া (১৭) শনিবার রাতে আত্মহত্যা করেছেন। রাজধানীর শেখেরটেক এলাকার ৬ নম্বর রোডের একটি ভাড়া বাসা থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবরটি নিশ্চিত করেছেন শহীদ জসিম উদ্দিনের চাচাতো ভাই মো. কালাম হাওলাদার।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের পর লামিয়া মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং সামাজিক লজ্জা, চাপ এবং বিচার না পাওয়ার আশঙ্কায় চরম হতাশায় ভুগছিলেন। পরিবারের ধারণা, এসব কারণে লামিয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।
শোকাহত পরিবার জানায়, লামিয়া ঢাকায় পড়াশোনা করছিলেন। তবে, মাত্র এক মাস আগে ১৮ মার্চ পটুয়াখালী দুমকি উপজেলার পাংগাশিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়ি থেকে নানা বাড়ি যাওয়ার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন।
ঢাকা মহানগর পুলিশ জানিয়েছে, লামিয়ার মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি এর পেছনে অন্য কোনো রহস্য রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
পটুয়াখালী দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানিয়েছেন, এই ঘটনার বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে, এবং মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হবে।

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি, দক্ষিণের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা ও খুলনা অফিস

জাতীয় গ্রিডে ত্রুটি দেখা দেওয়ায় শনিবার (২৬ এপ্রিল) দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হয়েছে। শনিবার বিকেল ৫টা ৪৮ মিনিটে জাতীয় গ্রিডে সমস্যা দেখা দেয়। এর ফলে সন্ধ্যা নামতেই অন্ধকারে ছেয়ে যায় দেশের দক্ষিণ অঞ্চলের ২১ জেলা। প্রায় দুই ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিল এসব এলাকার মানুষ।
বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করেছেন দেশের ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি (ওজোপাডিকো) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হায়দার আলী। তিনি বলেন, ‘গোপালগঞ্জের আমিনবাজারে ন্যাশনাল গ্রিডে সমস্যা হওয়ায় ওই ব্ল্যাকআউট হয়। তবে ধীরে ধীরে পরিস্থিতির উন্নতি হয় ও বিভিন্ন জেলায় বিদ্যুৎ বিতরণ করা সম্ভব হয়।
জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে দায়িত্বে থাকা একমাত্র রাষ্ট্রীয় সংস্থা পাওয়ার গ্রিড কম্পানি অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) গতকাল রাত ৮টার দিকে পাঠানো বিবৃতিতে জানায়, শনিবার বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে আকস্মিক কারিগরি ত্রুটির ফলে পুরো বরিশাল বিভাগ এবং খুলনা বিভাগের কিছু অংশ গ্রিড থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে যায়। স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এসব এলাকাকে পুনরায় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত জেলাগুলোর মধ্যে ছিল খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর, নড়াইল, ঝিনাইদহ, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, বরিশাল, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, পটুয়াখালী, বরগুনা ও ভোলা।

রামগতিতে অবৈধ ৪ ইটভাটা ধ্বংস, সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা
রামগতি-কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে বিভিন্ন এলাকায় গড়ে উঠা অবৈধ ইটভাটার ৪টিতে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (২৬ এপ্রিল) চালানো অভিযানে এসব ইটভাটার মালিককে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না থাকায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এসময় কোনো কাগজপত্র না থাকায় চিমনিসহ ইটভাটাগুলোর ভাটা ও কাঁচা ইট এস্কেলেটর (ভেকু) মেশিন দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইটভাটার কার্যক্রম দৃশ্যমান না থাকায় ভবিষ্যতেও কার্যক্রম বন্ধ রাখবেন মর্মে মালিকদের কাছ থেকে অঙ্গীকার নামা নেওয়া হয়।
অভিযানে ধ্বংস করা ইটভাটাগুলো হচ্ছে- উপজেলার চররমিজ ইউনিয়নের আবু তাহেরের মেসার্স ফোর স্টার ব্রিকস, গিয়াস উদ্দিনের মেসার্স বিসমিল্লাহ ব্রিকস, মো. দিদারের মেসার্স শাহজালাল ব্রিকস ও মো. আকবরের মেসার্স শাহপরান ব্রিকস।
এসময় অবৈধ ইটভাটা পরিচালনার অপরাধে দোষী সাব্যস্ত করে ৪ ইটভাটার মালিককে সাড়ে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অবৈধভাবে গড়ে ওঠা এসব ইটভাটায় পৃথক পৃথক যৌথভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈয়দ আমজাদ হোসেন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ঝন্টু বিকাশ চাকমা, অভিযানে সহায়তা করেন সেনাবাহিনী, রামগতি ফায়ার সার্ভিস ও রামগতি থানা পুলিশের একটি দল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান, পরিবেশের ছাড়পত্র ও বেআইনিভাবে গড়ে উঠা ইটভাটাগুলোতে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ও অর্থ জরিমানা আদায় করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।