<p>বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের কৈয়াগাড়ি-বরইতলি যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে সাড়ে ৩ বছর আগে প্রায় ১২কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের প্রকল্পটি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত কৈয়াগাড়ি-বরইতলি ঘাট এলাকায় ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের ৪ স্থানে প্রায় ৩০০ মিটার অংশ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অব্যাহত ভাঙনের ফলে যমুনা পারের মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।</p> <p>স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছর যমুনা নদীর ভয়াবহ ভাঙনে তীরবর্তী গ্রামের বাড়িঘর, আবাদি জমিসহ অবকাঠামো নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এই ভাঙন ঠেকাতে ২০১১ সালে যমুনা নদীর ডান তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ হাতে নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ওই প্রকল্পের আওতায় ২০১৫-১৬ অর্থবছরে কৈয়াগাড়ি-বরইতলি গ্রামের সামনে ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্য তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের কাজ করা হয়। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা।</p> <p>সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পাড় স্লোপ করে তার ওপর জিও চট বিছানো হয়েছে। সেই জিও চটের ওপর সিসি ব্লক প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে প্রকল্পের কাজ শেষ করা হয়েছে। এ অবস্থায় গত রবিবার ভোরে হঠাৎ করেই প্রকল্প এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়ে আজ মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ৩০০ মিটার অংশ বিলীন হয়ে গেছে। ভয়াবহ ভাঙন ধেয়ে আসছে যমুনা পারের দিকে। এতে চরের আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে। যমুনা পারের বসতবাড়ি থেকে ভাঙন স্থানের দূরত্ব প্রায় ৫০ মিটার। এ কারণে যমুনা পারের মানুষের মাঝে ভাঙন আতঙ্ক বিরাজ করছে।</p> <p>এ বিষয়ে উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম আপেল বলেন, বন্যার পর যমুনা নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমার সাথে স্রোতের গতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে পানিতে প্রবল বেগে ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়ে তীর সংরক্ষণ প্রকল্পে ভাঙন দেখা দিয়েছে। জরুরী ভাবে মেরামত না করা হলে পানির প্রবল স্রোতে প্রকল্পের পুরোটাই নদীতে বিলীন হবে। এতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।</p> <p>এ ব্যাপারে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-সহকারি প্রকৌশলী আসাদুল হক বলেন, যমুনা নদীর ভাঙন স্থান পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানে আগে থেকেই কিছু অংশ ভাঙ্গা ছিল। একই স্থানে নতুন করে আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। প্রকল্পের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে বালি ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন ঠেকানোর প্রস্তুতি চলছে। </p>