ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৫
১৪ বৈশাখ ১৪৩২, ২৭ শাওয়াল ১৪৪৬

ভিক্ষুক পেলেন পাকা ঘর, বললেন স্বপ্নের মতো লাগছে

মাহবুব আলম, (ছাতক), সুনামগঞ্জ
মাহবুব আলম, (ছাতক), সুনামগঞ্জ
শেয়ার
ভিক্ষুক পেলেন পাকা ঘর, বললেন স্বপ্নের মতো লাগছে
ছবি: কালের কণ্ঠ

আব্দুস শহিদ একজন পঙ্গু ভিক্ষুক, স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরের বারান্দায় কাটিয়েছেন জীবনের বেশির ভাগ সময়। গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগসহনীয় বাসস্থান কর্মসূচির আওতায় তিনি পেয়েছেন আধপাকা দুই কক্ষের ঘর। 

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার এমন ১৪টি গৃহহীন পরিবার পেয়েছে ১৪টি ঘর।

প্রতিটি পরিবার পেয়েছে দুটি করে শোবার ঘর, একটি রান্না ঘর, একটি শৌচাগার ও ঘরের সামনে একটি বারান্দা।

‘গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসস্থান নির্মাণ’ কর্মসূচির আওতায় পরিবারগুলোকে ঘর তৈরি করে দেয় সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

আব্দুস শহিদ ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়নের ভাতগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। উনার স্ত্রী অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করেন। টিআর/কাবিটা প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সুনামগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য মুহিবুর রহমান মানিকের সরাসরি তত্ত্বাবধানে নতুন পাকা ঘর পেয়ে তার চোখেমুখে আনন্দের ঝিলিক।

এক টুকরো করে জায়গা থাকলেও ছিল না বসবাসের উপযোগী বাসস্থান। ঘর পেয়ে আব্দুস শহিদের পরিবার আনন্দিত। তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বপ্নের মতো লাগছে। অনেক কষ্টের জীবনে একটি পাকা বাড়ি পেয়ে আমরা পরিবারের প্রত্যেক সদস্য খুশি।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ খাতে এ উপজেলায় বরাদ্দ হয় ৩৬ লাখ ১৯ হাজার ৪৩৪ টাকা। প্রতিটি ঘরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় ২ লাখ ৫৮ হাজার ৫৩১ টাকা। বাড়িগুলোতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ থেকে ৭টি সাবমার্সিবল পাম্প স্থাপন করা হয়েছে।

ভাতগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার আওলাদ হোসেন জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে গৃহহীনদের জন্য দুর্যোগ সহনীয় বাসস্থান তৈরির এই উদ্যোগ ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছে। ঘর পেয়ে পরিবারগুলো খুব আনন্দিত।

প্রতিটি পরিবার এখন নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

তালের রস খেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ছয়জন হাসপাতালে

কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
তালের রস খেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ছয়জন হাসপাতালে
সংগৃহীত ছবি

তালের রস খেয়ে অসুস্থ হয়ে যশোরের কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ ৬ জন ভর্তি হয়েছেন। তাদের সবার বাড়ি মনিরামপুর উপজেলার মনোহরপুর গ্রামে। তালের রস খাওয়ার পর পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর আসলে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়। 

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীরা হলেন— মনোহরপুর গ্রামের জালাল সরদারের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার (১৬), বাবুল বিশ্বাসের স্ত্রী নূরুন নাহার (৩৮) ও ছেলে বদিরুজ্জামান মুন্না (১৮), ইব্রাহিম আলমের মেয়ে তাহাসিনা জান্নাত তোয়া (৪), মারুফ হোসেনের ছেলে জান্নাতুল ফেরদৌস (৬) এবং মাসুদ সরদারের ছেলে মাহফুজ হোসেন (৪)।

সরেজমিন রোববার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে অসুস্থ ব্যক্তিদের স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মনিরামপুরের মনোহরপুর বাজার থেকে তালের রস কিনে খায় তারা। পরের দিন শুক্রবার সকাল থেকে তাদের পেটে ব্যথা, বমি, পাতলা পায়খানা ও জ্বর আসে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ না হওয়ায় শনিবার তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এদের ভেতর এসএসসি পরীক্ষার্থী জেসমিন নাহার ও মাহফুজ হোসেন সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন।

 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নূরুন নাহার বলেন, বাজার থেকে ছেলে তালের রস খাওয়ার পর বাড়িতে বোতলে করে নিয়ে এসেছিল। ওই তালের রস খেয়ে বমি, পাতলা পায়খানাসহ জ্বর শুরু হয়। অবস্থা খারাপের দিকে গেলে শনিবার হাসপাতালে এসে ভর্তি হই। এখন কিছুটা ভালোর দিকে গেছে।

 

এ ব্যাপারে কেশবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলমগীর বলেন, ওই রোগীরা এখন আশঙ্কামুক্ত। এদের ভেতর দুইজন সুস্থ হয়ে বাড়িতে চলে গেছে।
 

মন্তব্য

সাত খুনের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিওসহ)

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
সাত খুনের রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন (ভিডিওসহ)
ছবি : কালের কণ্ঠ

নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের আসামিদের ফাঁসির রায় দ্রুত কার্যকরের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন আইনজীবী ও নিহতদের স্বজনরা। রবিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।

এতে নিহতদের স্বজন, ছাত্র-জনতা ও আইনজীবীরা অংশ নেন।

বিস্তারিত ভিডিওতে...

 

মন্তব্য

নামের মাঝে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান শহীদ মুগ্ধর বাবা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
নামের মাঝে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান শহীদ মুগ্ধর বাবা
ছবি : কালের কণ্ঠ

নামের মাঝে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চান জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর বাবা মো. মোস্তাফিজুর রহমান। এ জন্য তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেছেন। একই সঙ্গে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হন সে বিষয়ে পুলিশসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ করেন।

রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সভা কক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মোস্তাফিজুর রহমান।

আরো পড়ুন
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হোক আমরা চাই না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাত সৃষ্টি হোক আমরা চাই না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

 

এ সময় তিনি বলেন, ‘সারা বাংলাদেশেই মুগ্ধর নামে বিভিন্ন স্থাপনার নাম করা হচ্ছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একটি সড়কের নামকরণ করার কথা বলা হয়েছিল। ওই সড়কটি শহীদ ওমরের নামে করার জন্য আমি প্রস্তাব করেছি। শহরের ফ্লাইভ ওভারটি মুগ্ধর নামে করার বিষয়ে সম্মতি দিয়েছি।

বিয়াল্লিশ্বর এলাকায় একটি মুগ্ধ চত্বর হবে। এভাবেই নামের মাধ্যমে ছেলেকে বাঁচিয়ে রাখতে চাই। এ জন্য সাংবাদিকরা সহযোগিতা করবেন। আপনাদের কোনো সহযোগিতা লাগলেও আমাকে বলবেন।

আরো পড়ুন
পুলিশের এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ

পুলিশের এসআই নিয়োগের ফলাফল প্রকাশ

 

উপস্থিত পুলিশ সুপার এহতেশামুল হককে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘দলীয় স্বার্থে কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি যেন হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে আপনারা খেয়াল রাখবেন। নিরপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়ে থাকলে সেগুলো আপনারা দেখবেন। আমি চাই প্রকৃত যারা দোষী তাদের বিচার হোক।’

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘মুগ্ধ পানি বিলানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। খুলনায় বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষার সময় মুগ্ধর নামে পানির কর্নার হয়েছিল।

এমন সব উদ্যোগ আমার ছেলেকে নামের মাধ্যমে বাঁচিয়ে রাখবে। কোনো সুযোগ হলে এমন সব উদ্যোগ যেন নেওয়া হয়।’ 

গত বছরের ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিতে প্রাণ হারান মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ। ঘটনার পরপরই একটি ভিডিওতে দেখা যায় পানি নিয়ে হাঁটছে মুগ্ধ। বলছেন, ‘পানি লাগবে কারো পানি।’ এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায় মুগ্ধ। সংসারে তিন ভাইয়ের মধ্যে মুগ্ধ ও স্নিগ্ধ যমজ। মুগ্ধর বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার কাজীপাড়ায়। তবে তাঁর জন্ম ১৯৯৮ সালের ৯ অক্টোবর ঢাকার উত্তরায়।

মন্তব্য

নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর

নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদী প্রতিনিধি
শেয়ার
নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি খোকন ও সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর
সংগৃহীত ছবি

নরসিংদী জেলা বিএনপির সভাপতি পদে খায়রুল কবির খোকন ও সাধারণ সম্পাদক পদে মনজুর এলাহী নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার রাতে প্রথমে রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হন। 

খায়রুল কবির খোকন কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিবের পাশাপাশি নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও মনজুর এলাহী সদস্যসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরা জানান, শনিবার বিকেলে গুলশানে চেয়ারপারসন কার্যালয়ে নরসিংদী জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক, উপজেলা ও পৌরসভার সুপার ফাইভ, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকগণের উপস্থিতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কাউন্সিলরদের অংশগ্রহণে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ভোটগ্রহণ শেষে ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছায়েদুল আলম বাবুল ফলাফলের ভিত্তিতে খায়রুল কবির খোকনকে সভাপতি এবং মনজুর এলাহীকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করেন। 

বিশেষ এই সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সভাটি সঞ্চালনা করেন ঢাকা বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজীর আহমেদ টিটু।

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সহসাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও দপ্তর সংযুক্ত সাত্তার পাটোয়ারী।

জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মনজুর এলাহী বলেন, ‘বিগত সময়কার আন্দোলন-সংগ্রামে ভূমিকা রাখায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তৃণমূলের নেতাকর্মীরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন। এ জন্য তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির ঘাঁটি নরসিংদী জেলার ৫টি সংসদীয় আসনে দলীয় প্রার্থীর বিজয় উপহার দেওয়াই আমার প্রধান লক্ষ্য।

জেলা বিএনপির নবনির্বাচিত সভাপতি খায়রুল কবির খোকন বলেন, ‘তৃণমূলের নেতারা আমাদের কর্মের মর্যাদা দিয়েছেন। তারা ভোটের মাধ্যমে আমাকে সভাপতি নির্বাচিত করায় তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ভবিষ্যতে সবাইকে নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে কাজ করে যাব।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ