সৌদি আরবে নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে ভিডিওবার্তা পাঠানো সেই গৃহকর্মী হুসনা আক্তার (২৫) অবশেষে দেশে ফিরেছেন। বুধবার দিবাগত রাত ১১টা ২০ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের এসভি-৮০৪ ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। এরপর তাকে প্রবাসীকল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে হবিগঞ্জ নিয়ে যাওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তায়। সাথে ছিলেন হুসনার স্বামী শফি উল্লাহ।
আর বিদেশ যাবেন না সৌদিতে নির্যাতিতা গৃহকর্মী হুসনা
হবিগঞ্জ প্রতিনিধি

হবিগঞ্জ শহরের উমেদনগর এলাকায় হুসনার মামা শ্বশুরের বাড়িতে অবস্থান নিলেও সাংবাদিকদেরকে এড়াতে তার স্বামী বলেছিলেন তারা চিকিৎসার জন্য সিলেটে চলে গেছেন। পরে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি হবিগঞ্জ শহরে থাকার কথা জানান এবং এ ব্যাপারে সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হন।
কালের কণ্ঠকে হুসনা জানান, তিনি সৌদি আরবের নাজরান প্রদেশে এক সৌদির বাসায় কাজ করতেন।
তিনি আরও জানান, দালালদের খপ্পরে পড়া এবং এভাবে নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর তার আর বিদেশে যাওয়ার ইচ্ছা নেই। দেশেই কষ্ট করে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করবেন বলে জানান তিনি। তবে তিনি দালালের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চান।
তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালেই তার স্বামীকে নিয়ে সিলেটে চলে যাবেন। দেশে আসার বিষয়ে সাংবাদিক ও সরকারের সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান তিনি।
তিন সপ্তাহ আগে গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে সৌদি আরব গিয়েছিলেন হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলার হুসনা। রবিবার (২৪ নভেম্বর) দেশবাসীর উদ্দেশ্যে একটি ভিডিও বার্তা পাঠান নির্যাতনের শিকার হুসনা আক্তার। তার স্বামী তাদের এক আত্মীয়ের সাহায্যে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে তা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, হবিগঞ্জের আজমিরিগঞ্জ উপজেলার আনন্দপুর গ্রামের হুসনা আক্তার আর্থিক সচ্ছলতার জন্য গৃহকর্মীর কাজ নিয়ে ২১ দিন আগে একটি এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি আরব যান। সেখানে গৃহকর্তার নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রথমে স্বামী শফি উল্লাহকে ভিডিও বার্তা পাঠান। হুসনার স্বামী ওই এজেন্সিতে গিয়ে এসব কথা জানালে এজেন্সির সংশ্লিষ্টরা তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন এবং হুসনা সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। আর্থিকভাবে অসচ্ছল শফি উল্লাহ কোনো উপায় না পেয়ে স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য ওই ভিডিও তার এক ভাইয়ের মাধ্যমে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করান। পরে গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ হলে সরকার উদ্যোগ নিয়ে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত সময়ের মাঝে দেশে ফেরত আনে।

প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ, আ. লীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ২
লালমাই-সদর দক্ষিণ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি

কুমিল্লার লালমাইয়ে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণ ও সহায়তার অভিযোগে আওয়ামী লীগের এক নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
ধর্ষণে অভিযুক্ত গ্রেপ্তার জাহাঙ্গীর হোসেন উপজেলার পেরুল উত্তর ইউনিয়নের উৎসবপদুয়া গ্রামের মৃত আলী হোসেনের ছেলে। সে পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশার চালক।
প্রতিবন্ধীর মা খোরশেদা বেগম বলেন, আমার মেয়েটা প্রতিবন্ধী। গত বৃহস্পতিবার দুপুরের পর জাহাঙ্গীর ঘরের পেছনের জানালা দিয়ে ডাক দিলে মেয়ে বের হয়ে যায়।
তিনি আরো বলেন, শুক্রবার সকাল ৭টায় পাড়া দৌলতপুরের সর্দার এনামুল হোসেন বাচ্চু গ্রামের চা দোকানে (মারিয়াম স্টোর) বসে মাতবরদের নিয়ে জাহাঙ্গীরকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং কান ধরে উঠবস করান। সালিসে রায় কার্যকরের ৫০০ টাকা তাৎক্ষণিক উৎসবপদুয়ার জয়নাল সর্দারের কাছে জমা দেওয়া হয়।
লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহ আলম বলেন, প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে সিএনজি চালক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সালিস বৈঠক করে ধর্ষণের ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে গ্রাম সর্দার এনামুল হোসেন বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ বিএনপিতে নাই : শামা ওবায়েদ
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম রিংকু বলেছেন, যে যেই ধর্ম-বর্ণের মানুষ হই না কেন, আমরা সকলেই সমান। আমাদের সবচেয়ে বড় পরিচয় হচ্ছে, আমরা মানুষ। সংখ্যালঘু বলতে কোনো শব্দ আমাদের বিএনপিতে নেই।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) বিকেলে নিজ নির্বাচনী ফরিদপুরের সালথা উপজেলার গট্টি ইউনিয়নের হাজরাতলা সার্বজনীন মহাশ্মশানের বাৎসরিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১ দফা দিয়েছে। যে দফার আদলে আগামী দিনের বাংলাদেশ উন্নয়ন উন্নয়নের উন্নতি হবে পরিচালিত হবে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত হিন্দু সম্প্রদয়ের উদ্দেশ্য শামা ওবায়েদ বলেন, আপনাদের আত্মার আমার সম্পর্ক। এটা মাটির সম্পর্ক।
হাজরাতলা সার্বজনীন মহাশ্মশান কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা বিনয় মজুমদারের সভাপতিত্বে ও সম্পাদক শ্রী অরুণ মন্ডলের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক খন্দকার ফজলুল হক টুলু, উপজেলা বিএনপির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, শিক্ষক নেতা জাহিদ হোসেন, উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শাহিন মাতুব্বর, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার খায়রুল বাসার আজাদ, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আছাদ মাতুব্বর প্রমুখ।

কেরানীগঞ্জের হত্যা মামলার ৩ আসামি গ্রেপ্তার
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি

ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভাড়ালিয়া এলাকায় হাসান হত্যা মামলার ৩ আসামিকে বরিশাল জরলার ভোলা ও ঝালকাঠি হতে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১০।
গ্রেপ্তাররা হলেন- আসামি মো. আজাদ হোসেন (২৬), মো. সাঈদ হোসেন সানজিন (২৩) এবং মো. আপন (২৫)। গ্রেপ্তার আসামিদেরকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় র্যাব-১০ এর মিডিয়া সেলের মাধ্যমে সহকারী পরিচালক (মিডিয়া-র্যাব-১০) অধিনায়কের পক্ষে শামীম হাসান সরদার (সহকারী পুলিশ সুপার) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানান, গত ১৩ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভাড়ালিয়া এলাকায় নিহত মো. হাসানের (২৬) সঙ্গে পাওনা টাকার বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আসামি মো. আজাদ হোসেন, মো. সাঈদ হোসেন সানজিন ও মো. আপন ভিকটিমকে এলোপাতাড়ি ছুরি দিয়ে আঘাত করে।
উক্ত ঘটনায় নিহত হাসানের বাবা মো. হালিম (৫৩) বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার বিষয়টি জানতে পেরে উল্লেখিত ঘটনায় জড়িত আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার (২৫ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উক্ত আভিযানিক দল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় এবং র্যাব-৮ এর সহযোগীতায় ভোলা সদর পৌরসভার চরনোয়াবাদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে হাসান হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি মো. আজাদ হোসেন, মো. সাঈদ হোসেন সানজিন এবং দুপুর অনুমান সাড়ে ১২টার দিকে ঝালকাঠি সদর থানার উত্তর মানপাশা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে এজাহারনামীয় অপর আসামি মো. আপনকে গ্রেপ্তার করে।
শনিবার রাতে গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয় বলে র্যাব-১০ জানায়।

পুলিশের বিরুদ্ধে আসামি গ্রেপ্তার করেও ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি

সাভারের আশুলিয়ায় চেক ডিস-অনার মামলার গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ধরে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মীর সুলাইমানের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকা থেকে ওই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশুলিয়ার জামগড়া বটতলা এলাকার মো. হুমায়ুনের ছেলে ও স্থানীয় মনি স্টোরের মালিক মো. জুয়েলের বিরুদ্ধে আদালতে চেক ডিস-অনারের একটি সিআর মামলা (নম্বর ৭৭/২৫) করা হয়। ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত জুয়েলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে আশুলিয়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মীর সুলাইমান প্রাইভেট কারের চালক মনির ও একজন সোর্স নিয়ে আসামি জুয়েলকে তাঁর গোডাউন থেকে গ্রেপ্তার করেন। অভিযোগ উঠেছে, পরে তাঁকে প্রাইভেট কারে করে আশুলিয়ার পবনারটেক এলাকায় নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে পরিবারের কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করে ছেড়ে দেন।
আসামি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে এএসআই মীর সুলাইমান বলেন, ‘আমি একটু দরকারি কাজে বাড়িতে এসেছি, আগামীকাল এসে আপনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কথা বলব।’
আশুলিয়া থানার ওসি সোহরাব আল হোসাইন বলেন, ‘বিষয়টি আপনার কাছ থেকে জানতে পারলাম।