নরসিংদীর মনোহরদী পৌরসভার এক কাউন্সিলরের পরকীয়ার ঘটনায় দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। আজ শনিবার সকালে পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ডের চন্দনবাড়ী চরপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে।
এ ঘটনায় ওই ওয়ার্ডের লোকজন কাউন্সিলর আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে জুতা ও ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, কাউন্সিলর আকরাম হোসেন গত বৃহস্পতিবার রাতে একই এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে প্রবেশ করেন। অনৈতিক কাজের সময় স্থানীয়রা তাকে হাতেনাতে আটক করে। পরে তার স্ত্রী তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরই জেরে আজ শনিবার সকালে একই এলাকার মোহাইমিন রাতুল নামে এক স্কুলছাত্র বাড়ি ফেরার পথে কাউন্সিলর আকরাম, তার ভাই আমির হোসেন, খলিলুর রহমান ও ভাতিজা ইমন মিলে তাকে মারধর করে। এ সময় রাতুলকে ছাড়িয়ে নিতে আসলে ফুয়াদুল ইসলাম অপু, তৌহিদুল ইসলাম রনি, ছোলমান, উসমান, রুমা ও আমিনাকেও মারধর করে তারা। ঘটনা শুনে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাদেরকে উদ্ধার করে মনোহরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।
অপরদিকে, কাউন্সিলরের পরিবারের দাবি, আকরামের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ রটানোর বিষয়ে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা দলবল নিয়ে আকরামসহ তাদের ওপর হামলা করে। তারা মনোহরদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
আহত মোহাইমিন রাতুল বলেন, আকরাম কাউন্সিলরের পরকীয়ার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে সন্দেহজনকভাবে আকরাম ও তার ভাইয়েরা আমাদেরকে মারধর করে।
হালিমা নামে এক নারী বলেন, কাউন্সিলর আকরামের অপকর্মের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। এর আগেও সে কয়েকজন নারীর সঙ্গে এমন অনৈতিক ঘটনা ঘটিয়েছে।
আমরা তার বিচার চাই।
মনোহরদী পৌরসভার ২নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আকরাম হোসেন বলেন, পারিবারিক একটি ঝামেলা মিটানোর জন্য ওই প্রবাসীর বাবা আমাকে ফোন দিলে আমি সেখানে যাই। পরে স্থানীয় কয়েকজন যুবক মিথ্যা অপবাদ দিয়ে আমাকে ওই বাড়িতে অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন গিয়ে আমাকে নিয়ে আসেন।
মনোহরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনিচুর রহমান বলেন, ঘটনা সম্পর্কে কোন পক্ষই আমাকে জানায়নি। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।