\'কবরেও শান্তি নেই\', এক রাতে ৩ কঙ্কাল চুরি!

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
\'কবরেও শান্তি নেই\', এক রাতে ৩ কঙ্কাল চুরি!

'মানুষ মইরা গেলে কবরে শান্তিতে ঘুমায়, এহন আর সেই কবরেও শান্তি নেই। কবর থেকেই চুরি হয়ে যাচ্ছে লাশ।' কবর থেকে কঙ্কাল চুরি হওয়ায় এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। 

শেরপুরের নকলা উপজেলায় ৭নম্বর টালকি ইউনিয়নের রামের কান্দি সামাজিক কবরস্থান থেকে এক রাতে তিনটি লাশ চুরির ঘটনা ঘটেছে।

সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন। 

টালকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হযরত আলী বলেন, আমাদের এলাকায় এই সামাজিক কবরস্থানে গত রাতে তিনটি কবর থেকে আ. জলিল, মিরাজ আলী ও হানিফ মেম্বারের স্ত্রী জোৎসনা বেগমের কবরের কঙ্কাল চুরি হয়েছে। একটি সংঘবদ্ধ চক্র এগুলো করছে। গ্রামবাসীর পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এলাকার সাধারণ লোকজন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, 'মরার পরে যদি কবরেও শান্তি নাই। এই নিরাপত্তা কেডা দিব আমাগরে।'

নকলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মুশফিকুর রহমান বলেন, কবর থেকে কঙ্কাল চুরির ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ করেছে। দ্রুত তদন্ত করে চক্রকে গ্রেপ্তার করা হবে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

দেশে অদৃশ্য ষড়যন্ত্র এখনো চলমান : গয়েশ্বর

কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
কেরানীগঞ্জ (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
দেশে অদৃশ্য ষড়যন্ত্র এখনো চলমান : গয়েশ্বর
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের মধ্যে অদৃশ্য ষড়যন্ত্র এখনো চলমান। জনগণ অদৃশ্য শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এই শক্তিকে দৃশ্যমান করতে হবে। শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করে এক কাপড়ে দেশে ছেড়ে পালিয়েছেন।

এখন যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন তারা আগামী দিনে কাপড় পরেও পালানোর পথ পাবেন না।

সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্বাস্থ্য ও রোগ মুক্তি কামনায় তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। 

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের মূল দায়িত্ব হলো একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করা এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।

আমরা ন্যায় বিচারের জন্য লড়াই করছি।

আমরা শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে চাই। বিচারের আওতায় আনতে চাই। এটা চলমান প্রক্রিয়া থাকবে আইনের দৃষ্টিতে, বিচারের দৃষ্টিতে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা হাসিনাকে আনতে পারব না, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা নির্বাচন করব না, তা তো হয় না।
 
তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি খোরশেদ জমিদারের সভাপতিত্বে ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নিপুন রায় চৌধুরী।

এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা দক্ষিণ ছাত্রদলের সভাপতি পাভেল মোল্লা, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী বাবু, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা যুবদলের সভাপতি মাসুদ আলম স্বাধীন, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সদস্য সামিউল্লাহ ও রায়হান মিয়া, ছাত্রনেতা মোহাম্মদ খলিলসহ তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতারা।

মন্তব্য

জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে স্কুল শিক্ষার্থীর অবস্থান

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ প্রতিনিধি
শেয়ার
জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে স্কুল শিক্ষার্থীর অবস্থান

জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তার দাবিতে এক স্কুল শিক্ষার্থী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে। সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যা রাত ৮টায় শহরের মুক্তির মোড় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই কর্মসূচি পালন করে সে। 

অবস্থান নেওয়া ওই স্কুল শিক্ষার্থীর নাম ফাতেমা ছোঁয়া।  সে নওগাঁ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

এসময় জীবিত আছিয়াদের নিরাপত্তা দেবে কে? লেখা প্লেকার্ড হাতে তাকে একাই মুখে কালো কাপড় বেঁধে প্রায় ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার চারপাশে মোমবাতি জ্বালানো হয়।

অবস্থান কর্মসূচি পালন করা ওই শিক্ষার্থী জানায়, আমরা এখন ঘরের বাইরে বের হতে ভয় পাই।  আমাদের কোনো নিরাপত্তা নেই।

আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? আমরা যাতে স্কুল-কলেজে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারি সেই নিরাপত্তা চাই। যাতে আর কোনো জীবিত আছিয়াকে ধর্ষণ বা কাউকে নারী নির্যাতনের শিকার হতে না হয়। এজন্যই অবস্থান কর্মসূচিতে দাঁড়িয়েছে। 

মেয়েটির বাবা যাযাবর ব্যান্ডের সঙ্গীত শিল্পী ক্যাপ্টেন বলেন, আমাদের ছেলে-মেয়েরা নিরাপদ নয়।

প্রতিনিয়ত ভয় কাজ করে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে আমরা দেখেছি সারা দেশের বিভিন্ন জেলায় অজস্র শিশু ও নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আমরা আর কত প্রাণ হারাতে দেখব? আর কবেই বা আমার আপনার ছেলে-মেয়েরা ভয়মুক্ত সত্যিকারের স্বাধীন দেশ পাবে?

তিনি বলেন, স্বাধীন বাংলায় কোনো ধর্ষকের স্থান নাই। আমরা আছিয়ার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। জীবিত আর কোনো আছিয়াকে আমরা হারাতে চাই না।

দ্রুত ধর্ষকদের বিচারকার্য শেষ করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হোক এমনটায় আমার চাওয়া।

মন্তব্য

গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী শ্রমিকের মৃত্যু, রণক্ষেত্র মহাসড়ক

নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর
শেয়ার
গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী শ্রমিকের মৃত্যু, রণক্ষেত্র মহাসড়ক
ছবি: কালের কণ্ঠ

গাজীপুরে সোমবার (১৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারী শ্রমিকের মৃত্যুর জেরে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় সদর উপজেলার বাঘের বাজার এলাকা। সহকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে শ্রমিক ও স্থানীয়রা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শ্রমিকরা বেশ কিছু যানবাহন ভাঙচুর করে।

এ ঘটনায় ৩ পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়।

নিহত সাবিনা আক্তার (২৮) ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার খালসাইদ ফুনা গ্রামের মো. রাব্বির স্ত্রী এবং বাঘের বাজার এলাকার গোল্ডেন রিফিট কারখানার শ্রমিক ছিলেন। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইফতারের পর রাত্রের শিফটে কাজ করার জন্য সাবিনা বাসা থেকে বের হন। পথিমধ্যে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পার হওয়ার সময় দ্রুতগতির একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দিলে তিনি গুরুতর আহত হন।

স্থানীয়রা প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।

সাবিনার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে সহকর্মী শ্রমিক ও স্থানীয়রা বাঘের বাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক দুই ঘণ্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। এ সময় উত্তেজিত শ্রমিক ও জনতা কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। শ্রমিকরা তাদের লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। 

এরপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ধাওয়া দিলে শ্রমিকরাও প্লাল্টা ধাওয়া করে। এ সময় শ্রমিকরা ব্যাপক গাড়ি ভাঙচুর চালায়।

এতে অনেক যাত্রী আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সাউন্ড গ্রেনেড, রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশের সঙ্গে যোগ দিয়ে ধাওয়া করে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। এ সময় ১৫-২০ জন শ্রমিক আহত হয়। রাত পৌনে ১২টায় প্রতিবেদন লেখার সময় এলাকায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছিল।

জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম বলেন, ‘শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরানোর সময় সুযোগ নিয়ে বহিরাগতরা কারখানায় ভাঙচুরের চেষ্টা চালায়। পুলিশ বাধা দিলে তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় অভিযান চালিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয় এবং ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই যান চলাচল পুনরায় শুরু হয়।’

মন্তব্য

ঝিনাইদহে বিজিবির অভিযান, স্বর্ণের বারসহ আটক ১

মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
মহেশপুর (ঝিনাইদহ) সংবাদদাতা
শেয়ার
ঝিনাইদহে বিজিবির অভিযান, স্বর্ণের বারসহ আটক ১

ঝিনাইদহের মহেশপুর অধীনস্থ জীবননগর সীমান্ত থেকে ৬টি স্বর্ণের বারসহ রাজ রফি (৩২) নামের একজনকে আটক করেছে (বিজিবি)। সোমবার (১৭ মার্চ) বিকালে জীবননগর সীমান্ত থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত রাজ রফি জীবননগর উপজেলায় গয়েশপুর গ্রামের রেজাউল হক লিটনের ছেলে।

মহেশপুর ব্যাটালিয়নের (৫৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. রফিকুল আলম কালের কণ্ঠকে জানায়, বাংলাদেশ থেকে ভারতে সোনা পাচার হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সীমান্ত এলাকায় টহল জোরদার করে বিজিবি।

সে সময় তাকে আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে স্বীকার না করলেও পরবর্তীতে মলত্যাগ করানো হলে তার মলদার থেকে দুটি কস্টেপ প্যাচানো পোটলা বের হয়ে আসে।

উক্ত পোটলা দুটি খোলা হলে ৬ পিস স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারসমূহ জুয়েলারি সমিতির মাধ্যমে পরীক্ষা করত পুলিশ এবং আদালতের মাধ্যমে সরকারি কোষাগারে জমা করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ