এতিম শিশুকে নৃশংশভাবে পেটানোর ভিডিও ভাইরাল

আল্লাগো আর জীবনে ইতা করতাম না!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
আল্লাগো আর জীবনে ইতা করতাম না!

সুনামগঞ্জের ছাতকে এতিম শিশুকে বেধড়ক পেটানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। খুব নৃশংসভাবে ৮-৯ বছরের এক শিশুকে পেটাচ্ছেন মাদরাসাশিক্ষক। একপর্যায়ে সহ্য না করতে পেরে শিশুটি পা ধরে ফেলে শিক্ষকের। তার পরও রেহাই পায়নি।

প্রতিষ্ঠানের প্রধান মাওলানা মো. আব্দুল মুকিত শিশুটিকে প্রহার করেছেন দানবের মতো।

এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে সম্মানের সঙ্গে চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। ওই শিক্ষকও ইতোমধ্যে অন্য একটি মাদরাসায় চাকরি নিয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে এলাকার অনেকে জানিয়েছেন, তাকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছে পরিচালনা পরিষদ।

সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার হাজী ইউসুফ আলী এতিমখানা ও হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার মোহতামিম (অধ্যক্ষ) মো. আব্দুল মুকিত একই উপজেলার রহমতপুর গ্রামের বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে ওই প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পান তিনি। নিয়োগের পরই তিনি এভাবে প্রতিদিন কারণে অকারণে দানবের মতো এতিম শিশুদের প্রহার করতেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানলেও তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেননি।

ওই প্রতিষ্ঠানে এতিম শিশুদের এভাবেই শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ আছে।

মাসখানেক আগের দুই মিনিট ২ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পাজামা-পাঞ্জাবি পরা তিনজন কোমলমতি এতিম শিশু দাঁড়িয়ে আছে। তাদের সামনে দানবের মতো স্টিলের স্কেল নিয়ে দণ্ডায়মান মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুল মুকিত। ৮-৯ বছরের এতিম শিশু একই উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আবু তাহের, শফিউর রহমান ও নিলয় মিয়া কাঁচুমাচু করে দাঁড়িয়ে আছে। শফিউর ও নিলয়কে এর আগে বেদম প্রহার শেষে ৮-৯ বছরের আবু তাহেরকে দুই হাত বের করে স্টিলের স্কেল দিয়ে সমানে পিটাতে থাকেন মাওলানা মো. আব্দুল মুকিত।

একপর্যায়ে সহ্য করতে না পেরে শিশুটি ছুটে এসে শিক্ষকের পায়ে ধরে। ‘হুজুর আফনার পাও ধরি, হুজুর। আপনার পাও ধরি। ও মাগো। হুজুর আপনার পাও ধরি। আল্লাগো আর জীবনে ইতা করতাম না।’ বলে শিশুটি আঘাতে আঘাতে কাঁদে আর বাঁচার আকুতি জানায়। তার পরও প্রহার না থেমে বেড়ে চলে। হাতের সঙ্গে শরীরে আঘাত করতে থাকেন। শরীরের সব শক্তি নিয়ে তিনি শিশুটিকে পেটান। ‘আল্লাগো আল্লাগো’ বলে চেচাতে থাকে শিশুটি। একপর্যায়ে দ্বিতীয়বার আরেক শিক্ষকের কাছ থেকে বেত নিয়ে আবারও পেটাতে থাকেন শিশুটিকে। প্রহারের চোটে মাটিতে পড়ে গেলে মাটিতে ফেলেও তাকে প্রহার অব্যাহত রাখেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই ভিডিওটি কয়েক মাস আগের। এ নির্মম ঘটনার ভিডিওটি মাদরাসারই অন্য কোনো শিক্ষক গোপনে ভিডিও ধারণ করেন। কয়েক দিন পর এটি ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। একপর্যায়ে এতিমখানার যুক্তরাজ্যপ্রবাসী পরিচালকদের দৃষ্টিগোচর হলে তারা তাকে শাস্তির বদলে অব্যাহতিপত্র ধরিয়ে দেন। অব্যাহতিপত্রে ওই অধ্যক্ষ মাওলানা মো. আব্দুল মুকিত মৌখিকভাবে নির্যাতনের স্বীকারোক্তিও দিয়েছেন বলে উল্লেখ রয়েছে। এর আগেও তিনি এভাবে শিশুদের শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছেন বলে অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ করা হয়।

গত ৬ নভেম্বর মাওলানা মো. আব্দুল মুকিতের উদ্দেশে প্রেরিত ‘চাকরি হইতে অব্যাহতি প্রদান’ শীর্ষক ওই অব্যাহতিপত্রে এর আগেও এতিম শিশুদের পেটানোর কথা স্বীকার করে কর্তৃপক্ষ উল্লেখ করেন, পরিচালনা কমিটি বারবার আপনাকে সতর্ক করার পরও এতিম শিক্ষার্থীদের গালাগালি, শারীরিক ও মানসিক প্রহার পরিত্যাগ করেননি। আপনি একজন এতিম শিশুকে প্রহারের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ায় যুক্তরাজ্যপ্রবাসী দাতা, প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালকগণের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা আপনাকে তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছেন। ওই অব্যাহতিপত্র প্রদান করেন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো. কমর উদ্দিন।

এ বিষয়ে মো. কমর উদ্দিনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন ধরেননি।

হাজী ইউসুফ আলী এতিমখানা ও হাফিজিয়া দাখিল মাদরাসার বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. গোলাম রসুল বলেন, গত ৬ নভেম্বর মাওলানা মো. আব্দুল মুকিতকে অব্যাহতি দিয়ে আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন শিশুকে নির্যাতনের ভিডিওটি ফেসবুকে আসার পরই এই সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। তিনি বলেন, ওই শিক্ষকের কৃতকর্ম সম্পর্কে সব কিছুরই সংক্ষেপ তার অব্যাহতিপত্রে উল্লেখ আছে।

ছাতক থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান বলেন, আমরা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।

মন্তব্য

সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সহচর সাঈদ গ্রেপ্তার

সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
সাভার (ঢাকা) সংবাদদাতা
শেয়ার
সাবেক ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সহচর সাঈদ গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

সাভারে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামি শেখ সাঈদকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রবিবার (৯ মার্চ) সাভার বাজার রোডের একটি বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, সাঈদের বাড়ি ফরিদপুরে হলেও তিনি গোপালগঞ্জের পরিচয় দিয়ে সাভারে আধিপত‌্য বিস্তার করেন। এ সময় তিনি সাভার পৌর এলাকার গেন্ডা মহল্লায় ভাড়া থেকে উলাইল এলাকার এইচআর টেক্সটাইল মিলে চাকরি করতেন।

ডিবি পুলিশ জানায়, সাঈদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতা হত্যার ঘটনায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি সাবেক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মন্ত্রীর পরিচয়ে চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।

ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জালাল উদ্দীন বলেন, সাভার পৌর এলাকার বাজার রোডের ভাড়া বাড়ি থেকে সাঈদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাভার মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য

স্কুলমাঠে গাঁজা সেবনকালে আটক দুই পুলিশ সদস্য, অতঃপর...

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
স্কুলমাঠে গাঁজা সেবনকালে আটক দুই পুলিশ সদস্য, অতঃপর...
সংগৃহীত ছবি

নওগাঁ সরকারি (কৃষ্ণধন) কেডি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গাঁজা সেবনের অভিযোগে দুই পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেডি স্কুলের সীমানায় পরিত্যাক্ত ভবনের পাশ থেকে তাদের হেফাজতে নেয় পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে, স্কুলের সীমানায় এসে ওই তিনজন গাঁজা সেবন করছিলেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের চ্যালেঞ্জ করলে এক পর্যায়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর তাদের তল্লাসি করে একটি গাঁজা ভর্তি সিগারেট পাওয়া যায় বলে জানান শিক্ষার্থীরা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের হেফাজতে নিয়ে ডোপ টেস্টে পাঠিয়ে দেয়।  

অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সুজন ও আলী আলম। অপরজন হলেন একজন সরকারি কর্মকর্তার ড্রাইভার কার্ত্তিক সরকার।

 

আরো পড়ুন
পুলিশের গাড়ি নিয়ে ডাকাতি, পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫

পুলিশের গাড়ি নিয়ে ডাকাতি, পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তদন্তকারী অফিসার এস আই নুর নয়ন। তিনি সন্ধ্যা ৬টার দিকে মুঠোফোনে বলেন, তাদের ডোপটেস্টের রিপোর্ট এই মাত্র হাতে পেলাম। তিনজনেরই নেগেটিভ এসেছে। এখন বিষয়টি উর্দ্ধতন স্যাররা দেখবেন।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের হাতে গাঁজা সেবনকালে আটক পুলিশ সদস্যের কয়েকটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এতে দেখা যায়, পোশাক পড়া এক পুলিশ সদস্য বলছেন, রোজার দিন তারা এখানে এসে বিড়ি খাচ্ছিলেন। পোশাক ছাড়া আরেক পুলিশ সদস্য বলেন, একটা বিষয় নিয়ে এখানে এসে কথা বলছি। 

এ সময় শিক্ষার্থীদের বলতে শোনা যায়, আপনাদের কাজ অফিস রুমে। আপনাদের স্কুলে ঢোকার কোনো বৈধতা আছে কিনা জানতে চান তারা।

 
 
নওগাঁ সরকারি কেডি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকদের বলেন, ইতিপূর্বে পুলিশ প্রশাসনের কোনো সদস্য এই স্কুলে মাদক সেবন করেছেন কিনা এটা আমার জানা নেই। আমি জানতে পারি, ওই তিনজন নাকি গাঁজা সেবন করেছেন, তাদের মধ্যে পুলিশ সদস্য ছিল। তাই ছাত্ররা তাদের ধরে রেখেছে এবং পরবর্তীতে পুলিশ এসে তাদের নিয়ে গেছে।

নওগাঁ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি এম এ মান্নান সাংবাদিকদের বলেন, খবর পেয়ে কেডি স্কুল থেকে দুইজন পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে সেখানে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ উপস্থিত ছিলেন। আমরা তার সহায়ক হিসেবে কাজ করেছি।

নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নুরে আলম সিদ্দিকী সাংবাদিকদের বলেন, সিগারেট অথবা নেশা জাতীয় কিছু খাচ্ছিল, সেই জন্য ডোপ টেস্টে পাঠানো হয়েছে। ডোপ টেস্টের পর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

পুলিশের গাড়ি নিয়ে ডাকাতি, পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
পুলিশের গাড়ি নিয়ে ডাকাতি, পুলিশ সদস্যসহ গ্রেপ্তার ৫
সংগৃহীত ছবি

পুলিশের সরকারি গাড়ি নিয়ে ডাকাতির অভিযোগে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে বর্তমান ও সাবেক পুলিশ সদস্য ও নৌ-বাহিনীর সদস্য আছেন। 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পুলিশ সদরদপ্তরে কর্মরত কনস্টেবল মো. রুবেল, চাকরিচ্যুত কনস্টেবল কাজল ইসলাম, চাকরিচ্যুত নৌ-বাহিনীর সদস্য রিয়াজুল জান্নাত, সিয়াদাত রাজ ও রহমত আলী।

গত শনিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত র‌্যাব ও পুলিশের সমন্বয়ে বিশেষ অভিযানে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও রাজধানীর মিরপুর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন
‘বদনামের দায়’ নেবেন না, তাই পদ ছাড়লেন বিএনপি নেতা

‘বদনামের দায়’ নেবেন না, তাই পদ ছাড়লেন বিএনপি নেতা

 

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ‘পুলিশ সদরদপ্তরের একটি সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে এই চক্রটি রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় এক প্রবাসীর মালামাল লুট করে। পরে তারা রূপগঞ্জের পূর্বাচল এলাকায় জনতার হাতে আটক হন।’ 

তিনি জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ও র‌্যাব সেখানে গেলে ডাকাতির বিষয়টি সামনে আসে। তখন দুজনকে আটক করা হয়।

পরে র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আরো তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান ওসি।

আটককৃতদের কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, সাতটি ল্যাপটপ, ২৮টি মোবাইল ফোন, ৫৩ কার্টন সিগারেটসহ বিপুল পরিমাণ প্রসাধনী, গুড়া দুধ ও কাপড় জব্দ করা হয়। এছাড়া, একটি প্রাইভেটকার, হ্যান্ডকাফ, ওয়াটকিও জব্দ করা হয় বলে জানান ওসি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সালথায় আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩

সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সালথা-নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
সালথায় আসামি ছিনতাই, গ্রেপ্তার ৩
সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরে সালথায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে রবিবার (৯ মার্চ) আদালতে পাঠানো হয়। 

গ্রেপ্তাররা হলেন সোনাপুর ইউনিয়নের ফুকরা গ্রামের আওয়াল শিকদার (৬০), ফরিদ শিকদার (৩৩) ও সাকিব মাতুব্বার (২৩)। 

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শনিবার ফুকরা গ্রামে অভিযান চালিয়ে আসামি বাবুল শিকদারকে গ্রেপ্তার করে সালথা থানা পুলিশের একটি দল।

এ সময় আসামির স্বজনরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। বাবুল ফুকরা গ্রামের মৃত করিম শিকদারের ছেলে। তিনি দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, শনিবার বিকেলে বাবুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এ সময় পুলিশের ওপর হামলা করে তাকে ছিনিয়ে নেয় তার পরিবারের সদস্যরা। হামলায় একজন এসআই, একজন এএসআইসহ পুলিশের চার সদস্য আহত হন।

তিনি আরো বলেন, আসামি ছিনতাই ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বাবুলকে ফের গ্রেপ্তার করার অভিযান অব্যাহত।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ