<p>বাড়ির চারপাশে থই থই করছে পাহাড়ি ঢলের পানি। পানির নিচে তলিয়ে গেছে মাঠ-ঘাটসহ গ্রামীণ রাস্তা। এসব পানিবন্দি মানুষের চলাচলের বাহন হয়ে দাঁড়িয়েছে ছোট ডিঙি নৌকা।</p> <p>বলছিলাম নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়নের নাওধারা, আটলা, নন্দেরছটি, বন্দউষান, ভাদুয়া, গাঁওকান্দিয়াসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের পানিবন্দি মানুষের কথা। গত এক সপ্তাহের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারিবর্ষণে নিম্নাঞ্চলের এই গ্রামগুলোতে দেখা দিয়েছে বন্যা। বাড়ির চারপাশে থই থই করছে পানি। গ্রামীণ রাস্তাগুলোতেও পানি প্রায় হাঁটু সমান। ফলে কষ্ট পোহাতে হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষের।</p> <p>বুধবার (৫ জুলাই) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, মানুষকে হাট-বাজারে আসতে হয় নৌকায় করে। নৌকায় করে চলাচলে ভয় বেশি শিশু, বৃদ্ধ নারী-পুরুষের। এদিকে পানিবন্দি গ্রামগুলোতে বিশুদ্ধ পানির সংকটও দেখা দিয়েছে।</p> <p>কথা হয় ভাদুয়া গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ মিয়ার সঙ্গে তিনি জানান, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র আনা-নেওয়ার জন্য বাজারে যেতে নৌকার ওপর ভরসা করতে হচ্ছে। গ্রামটা নিচু এলাকা হওয়ায় প্রতিবছর আশপাশের নদীগুলোতে পাহাড়ি ঢল হলে আমাদেরও বন্যার আতঙ্কে থাকতে হয়। এবারও পাহাড়ি ঢলের পানি ঢুকেছে গ্রামে।</p> <p>৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন জানান, পথ-ঘাট পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি মানুষের চলাচলে একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে নৌকা। যাদের নৌকা নেই তারা কলাগাছের ভেলা বানিয়ে চলাচল করছে। রাস্তার ওপরেও হাঁটুপানি। গ্রামবাসীকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।</p> <p>উপজেলার গাঁওকান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, পানি কমছেই না। মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের মাঝে দুপুরে শুকনো খাবার বিতরণ করা হবে।</p>