<p style="text-align: justify;">নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁর ফয়সাল আহমেদ (১৭) হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত। একই মামলায় বাকি তিন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক মো. আমিনুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।</p> <p style="text-align: justify;">মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সোনারগাঁ পৌরসভার বাঘমুছা ঋষিপাড়ার তপন চন্দ্র দাসের ছেলে অপূর্ব চন্দ্র দাস (২১)। একই সঙ্গে মামলায় অভিযোগপত্রে থাকা আরো তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।</p> <p style="text-align: justify;">খালাস পাওয়া ব্যক্তিরা হলেন একই এলাকার মৃত নিতাইয়ের ছেলে তপু চন্দ্র দাস অপু (২৭), নিতাই চন্দ্র দাসের ছেলে তপন চন্দ্র দাস, মৃত রাইস্যা চন্দ্র দাসের ছেলে নিতাই চন্দ্র দাস।</p> <p style="text-align: justify;">উল্লেখ্য, কিশোর ফয়সাল গত ২৬ জানুয়ারি ২০২২ সালে রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোনারগাঁ থেকে নিখোঁজ হয়। ২৮ জানুয়ারি ফয়সালের মামা মো. মানিক বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি সাধারণ ডায়রি (জিডি) করেন। আট দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে সোনারগাঁর বাঘমুছা ঋষিপাড়া এলাকার একটি পুকুর থেকে ফয়সালের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। </p> <p style="text-align: justify;">বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান জানান, সোনারগাঁ উপজেলা থেকে নিখোঁজের আট দিন পর ফয়সাল আহম্মেদ নামের এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মামলায় আদালত আজ এক আসামির মৃত্যুদণ্ড ও বাকিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি অপূর্ব আদালতে উপস্থিত ছিলেন।</p> <p style="text-align: justify;">মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৬ জানুয়ারি রাতে অপূর্ব চন্দ্র দাস ফোনে ফয়সালকে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ফয়সাল দেখা করতে গেলে অপূর্ব তাকে বাড়ির পাশের উঁচু ভিটায় নিয়ে যান। সেখানে কথা বলার এক ফাঁকে অপূর্ব তার হাতে থাকা দড়ি দিয়ে ফয়সালের গলা পেঁচিয়ে ধরেন। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করে পুকুরে কচুরিপানার নিচে ফয়সালের লাশ ডুবিয়ে রাখা হয়।</p>