<p style="text-align: justify;">ভারত মহাসাগরে সোমালি জলদস্যুদের হাতে এমভি আব্দুল্লাহ জাহাজের জিম্মি বাংলাদেশি ২৩ নাবিক মুক্তি পেয়েছেন। তাঁদের মধ্যে নোয়াখালী জেলার দুই নাবিক রয়েছেন। মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তি ফিরে এসেছে নাবিকদের পরিবারে। </p> <p style="text-align: justify;">মুক্তি পাওয়া ২৩ নাবিকের মধ্যে নোয়াখালীর দুই নাবিক হলেন জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপলোর রামপুর ইউনিয়নের আনোয়ারুল হক রাজু ও চাটখিল উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সিংবাহুড়া গ্রামের মোহাম্মদ ছালেহ আহমেদ। তাঁদের পরিবার এখন অপেক্ষা করছে, নাবিক রাজু ও ছালেহ আহমেদ কখন পরিবারে ফিরে যাবেন। </p> <p style="text-align: justify;">গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগরে বাংলাদেশি বাণিজ্যক জাহাজ এমভি আবদুল্লাহসহ ২৩ নাবিককে অপহরণ করে সোমালিয়ার জলদস্যুরা। </p> <p style="text-align: justify;">কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার নাবিক রাজু বাড়িতে এসে ঈদ করার কথা ছিল। বাড়িতে নতুন ঘরের কাজও চলছে ঈদের পরে রাজুর বিয়েকে উপলক্ষ করে। দুই ভাই এক বোনের মধ্যে রাজু সবার ছোট। গত বছর নভেম্বর মাসের শেষ দিকে রাজু সিঙ্গাপুর থেকে জাহাজে ওঠে। এরপর প্রথম রমজান থেকে ছেলের জিম্মি দশায় বদলে গেছে পরিবারের সকল চিত্র। ঈদের দুই দিন পর রাজুর মুক্তিতে পরিবারে এখন আনন্দ বিরাজ করছে। দীর্ঘ এক মাস পরে অক্ষত অবস্থায় মুক্তি পাওয়া পরিবারের সদস্যরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। পাশাপাশি তাঁরা প্রতীক্ষার প্রহর গুনছেন রাজুসহ সকল নাবিক দ্রুত সময়ের মধ্যে দেশে আসবেন।</p> <p style="text-align: justify;">নাবিক রাজুর বাবা মাস্টার আজিজুল হক বলেন, ‘দীর্ঘ ৩১ দিন পর ছেলের মুক্তির খবরে আমরা পুনরায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরলাম। সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়ায় তাদের ধন্যবাদ।’</p> <p style="text-align: justify;">অপরদিকে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে চাটখিল উপজেলার নাবিক মোহাম্মদ ছালেহ আহমদের পরিবার। তিনিই পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। ছালেহ আহমদ গত বছর ঈদ করেছেন কর্মস্থলে। স্ত্রী ও তিন কন্যার আশা ছিল এবার তাঁদের সঙ্গে ঈদ করবেন। কিন্তু স্বামী জলদস্যুদের হাতে জিম্মি হওয়ার খবরে এলোমেলো হয়ে যায় স্বাভাবিক জীবন। তিন মেয়েকে নিয়ে অনেকটা বাকরুদ্ধ ছালেহ আহমেদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার স্বামীর মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন। ঈদের দুই দিন পরে নাবিক ছালেহের মুক্তির খবরে স্বস্তি এসেছে। এখন মেয়েদের নিয়ে স্বামীর ফিরে আসার প্রহর গুনছেন তানিয়া।</p> <p style="text-align: justify;">ছালেহ আহমদের স্ত্রী তানিয়া আক্তার বলেন, ‘সরকারের কার্যকর ভূমিকায় জলদস্যুদের জিম্মি দশা থেকে বাংলাদেশি ২৩ নাবিকের মুক্তিতে আমাদের সকলের পরিবারের মাঝে স্বস্তি এসেছে। শঙ্কা কেটে গিয়ে আনন্দ বিরাজ করছে সবার মাঝে।’</p>