<p style="text-align:justify">গত দেড়যুগ ধরে ঝিনাইদহের শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি পাস কোর্সের ৩৮ শিক্ষক-কর্মচারীর এমপিওভুক্তি হয়নি। এমপিওভুক্তি না হওয়ায় দেড়যুগ ধরে অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁরা। শুধু শহীদ জিয়াউর রহমান নামের কারণে দীর্ঘ সময় ধরে বঞ্চনার শিকার তাঁরা।</p> <p style="text-align:justify">যোগ্যতার সব শর্ত পূরণ হলেও বিগত আওয়ামী লীগ শাসনামলে কলেজটি এমপিও ভুক্তি করেনি বলে অভিযোগ উঠেছে। জরুরি ভিত্তিতে ডিগ্রি পাস কোর্সে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিও ভুক্তির দাবি জানিয়েছেন কলেজের শিক্ষক-কর্মচারী ও স্থানীয়রা।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="মোটরসাইকেলে ফিরছিল তিন কিশোর, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবার মৃত্যু" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/23/1734928103-054bdf5fdba805be1b2176f7aeca7147.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">মোটরসাইকেলে ফিরছিল তিন কিশোর, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সবার মৃত্যু</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/23/1460416" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">জানা যায়, ২০০০ সালের ১ জানুয়ারি কালীগঞ্জ-জীবননগর সড়ক সংলগ্ন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার ফতেপুরে ৪ একর জমির ওপর স্থাপন করা হয় শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ। শিক্ষায় অনগ্রসর ওই এলাকার মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো ছড়াতে ঝিনাইদহ-৩ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম মাস্টার কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। </p> <p style="text-align:justify">প্রতিষ্ঠার দুই বছর পর উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত ৪৪ শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিও ভুক্ত করা হয়। ২০০৫ সালের ১৩ জুলাই ডিগ্রি পর্যায়ে কলেজটিকে উন্নীত করা হয়। বিধি অনুযায়ী ডিগ্রি পাস কোর্সে কর্মরত শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয় এবং জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (পাস) শিক্ষা কার্যক্রমে অধিভুক্ত করা হয়। পাঠদানের জন্য রাখা হয় বিষয় ভিত্তিক শিক্ষক।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="এবার কনা-আকাশের কণ্ঠে ‘প্রেমের দোকানদার’" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/23/1734927550-bb85326966b2d42d4068242c37d225ff.png" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">এবার কনা-আকাশের কণ্ঠে ‘প্রেমের দোকানদার’</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/entertainment/2024/12/23/1460414" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">১৮ বছর আগে যেসব শিক্ষক-শিক্ষিকা শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সঙ্গে নিজেদের নাম যুক্ত করেছিলেন তাদের দুর্দশা এখন চরমে। এসব শিক্ষকেরা দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে ডিগ্রিধারী হয়েও আজ তাঁরা সমাজের কাছে অসম্মানিত। দীর্ঘ দেড়যুগ ধরে অর্থকষ্টে থাকা এসব শিক্ষকের দাবি তাঁদের সঙ্গে যে অন্যায় করা হয়েছে তাঁর যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হোক। চাকরির বয়স শেষের দিকে আসা এসব শিক্ষকরা জানান, তাদের হারানো সম্মান ফিরে পেতে ও আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিও ভুক্ত করে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের তারিখ হতে সব বকেয়া পরিশোধের ব্যবস্থা করতে হবে।</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে মাদক, জড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরাও" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/23/1734926191-d99119ca42e35bfa7fbc7fba9ab1d88a.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে মাদক, জড়িয়ে পড়ছে শিক্ষার্থীরাও</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/national/2024/12/23/1460412" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">কলেজের প্রভাষক মো. ছামাদুজ্জামান বলেন, ‘২০০৩ সালে আমাকে শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি (পাস) কোর্সে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। সেই থেকে ২১ বছর যাবত বেতন-ভাতা তো দূরের কথা কলেজ থেকে কোনো প্রকার সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়নি। গত দেড়যুগ ধরে আমরা বৈষম্যের চরম সীমা অতিক্রম করে আসছি। গত আওয়ামী লীগ শাসনামলে আমাদের অযোগ্যতা ছিলো আমরা শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক ছিলাম। আমরা বর্তমান সরকারের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। অবিবিলম্বে ডিগ্রি পর্যায়ে আমাদের এমপিও ভুক্ত করে নিয়োগ দানের তারিখ হতে সব বকেয়া পরিশোধের অনুরোধ করছি।’</p> <p style="text-align:justify">কলেজের অধ্যক্ষ মো. শওকত আলী বলেন, ‘উপজেলার সবচেয়ে অবহেলিত ও বঞ্চনার শিকার শহীদ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ। কলেজটির ডিগ্রি শিক্ষকদের প্রতি যে অন্যায় করা হয়েছে, তা অকল্পনীয়। আমি তাদের সকল বকেয়া পরিশোধের দাবিসহ একই সাথে ডিগ্রি পর্যায়ে এমপিও ভুক্তি ও জাতীয়করণের দাবি জানাচ্ছি।’</p> <p style="text-align:justify">স্থানীয় বিএনপি নেতা মেহেদী হাসান রনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার শুধুমাত্র শহীদ জিয়াউর রহমানের নামের কারণে এতগুলো শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা চালু করেনি। আমি বর্তমান সরকারের কাছে দাবি জানাবো দ্রুত এসব অসহায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা চালু করা হোক।’</p> <div class="d-flex justify-content-center"> <div class="col-12 col-md-10 position-relative"> <p style="text-align:justify"><strong>আরো পড়ুন</strong></p> <div class="card"> <div class="row"> <div class="col-4 col-md-3" style="text-align:justify"><img alt="ঘন কুয়াশা : দুই নৌরুটে ৭ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ফেরি চলাচল" height="66" src="https://asset.kalerkantho.com/public/news_images/2024/12/23/1734925192-b0c6da079cd310aeb2f7aaecda465769.jpg" width="100" /></div> <div class="col-8 col-md-9"> <p style="text-align:justify">ঘন কুয়াশা : দুই নৌরুটে ৭ ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ফেরি চলাচল</p> </div> </div> </div> <p style="text-align:justify"><a class="stretched-link" href="https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2024/12/23/1460411" target="_blank"> </a></p> </div> </div> <p style="text-align:justify">এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক আব্দুল আওয়াল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ওই কলেজের বিষয়টি আমি শুনেছি। ইতিমধ্যে ওই শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা চালু করার জন্য সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে।’</p>