<p style="text-align:justify">চাঁদপুরের মেঘনা নদীর মাঝের চরে এম ভি আল বাখেরা জাহাজের সাতজন শ্রমিক হত্যার বিচারের দাবিতে নৌযান শ্রমিকদের ডাকা অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে। শীতলক্ষ্যার তীরে জাহাজ নোঙর করে কর্মবিরতি পালন অব্যাহত রেখেছেন শ্রমিকরা। </p> <p style="text-align:justify">শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের নিতাইগঞ্জে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাকর্মীরা। </p> <p style="text-align:justify">তাদের দাবি, জাহাজে সাতজন শ্রমিক হত্যার বিচার ও আসল ঘটনা উদ্ঘাটন এবং নিহত শ্রমিকদের জীবনের আয় সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ তাদের পরিবারের কাছে প্রদান করতে হবে। </p> <p style="text-align:justify">বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সবুজ শিকদার মাস্টার বলেন, আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য এবং এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত ছিল, সেটা খুঁজে বের করুন। আমি প্রশাসনের সঠিক তদন্ত দাবি করছি। </p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, আমাদের কর্মবিরতি অব্যাহত আছে। আমরা সারাদেশে হাজার হাজার পণ্যবাহী নৌযান ও কয়েক লাখ শ্রমিকদের নিরাপত্তার দাবি জানাচ্ছি। যারা ওই জাহাজে হতাহতের শিকার হয়েছেন সরকারের পক্ষ থেকে জনপ্রতি ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নৌপথের শ্রমিকদের কর্মস্থলে নিরাপত্তা দিতে হবে। শ্রমিকদের গেজেট অনুযায়ী বকেয়া বেতন ও পাওনা পরিশোধ করতে হবে। আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মবিরতিসহ পণ্যবাহী নৌযান ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। </p> <p style="text-align:justify">শ্রমিকরা জানান, নদীপথে দীর্ঘদিন ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি চলতে থাকলেও প্রশাসন কোনো ধরনের কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে না। সব ধরনের নৌ শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে। আমরা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।</p> <p style="text-align:justify">বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের উপ-পরিচালক (নৌ-নিট্রা বিভাগ) নাহিদ হোসেন জানান, যাত্রীবাহী লঞ্চে কোনো কর্মবিরতি বা ধর্মঘট নেই। পণ্যবাহী নৌযান চলাচল বন্ধ আছে। এটা বন্ধ থাকলে রাষ্ট্রীয়ভাবে সমস্যা। এতে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ বন্ধ আছে।<br />  </p>