<p style="text-align:justify">প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার নিবন্ধন করার বড় উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে সচেতন করা। যারা বাড়িতে যাবেন, তারা ভোটারদের একটি বার্তা দেবেন যে এবার আর আগের মতো ভোট হবে না। </p> <p style="text-align:justify">বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় শহরের বেঙ্গল কনভেনশন হলে ‘ভোটার নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় চ্যালেঞ্জ এবং চ্যালেঞ্জ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।</p> <p style="text-align:justify">সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, ‘এবার আপনার ভোট আপনি দিতে পারবেন। এ লক্ষ্যে মানুষের মধ্যে জাগরণ সৃষ্টি করতে হবে। নারী ভোটারসহ সব ভোটার যাতে ভোটকেন্দ্রে আসেন, সে লক্ষ্যে নানা প্রচার-প্রচারণা করা হবে।’</p> <p style="text-align:justify">তিনি বলেন, ‘আমরা একটি সুষ্ঠু-সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে চাই, এতে কোনো দ্বিধাদ্বন্দ্ব নেই। আমাদের লক্ষ্য কোনো দল বা গোষ্ঠীকে ভোটে জিতানোর জন্য অথবা কোনো ব্যক্তি ভোটে জিততে না পারে এমনটা নয়। আমরা সেই কাজের জন্য নামিনি। মানুষ যাকে ভোট দেবে সে জিতবে, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’ </p> <p style="text-align:justify">সিইসি আরো বলেন, ‘আগে ফেবার না করলে চাকরি নিয়ে টান পড়ত। অফিসাররা যখন কাজ করত, তখন কাউকে কাউকে ফেবার করার কথা বলা হতো। ফেবার না করলে সমস্যা হতো। কিন্তু এখন ফেবার করতে গেলে অসুবিধা হবে। আগের অবস্থার এখন পুরো উল্টো। এখন আর আগের মতো ভোট হবে না। এবার কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।’</p> <p style="text-align:justify">সিলেট অঞ্চলের আঞ্চলিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ নুরুল আলমের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ, মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মঈন উদ্দীন খান, উপপ্রধান (উপসচিব) ও প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ মোস্তফা হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদর্শন কুমার রায়। </p> <p style="text-align:justify">কর্মশালায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. এমদাদুল হক ও সিলেট বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাচন অফিসার স্বর্ণালী চক্রবর্তী।</p>