বান্দার সৌভাগ্যের মূল ভিত্তি হলো, আল্লাহর ভালোবাসা। যার অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা আছে, তার আত্মা প্রশান্ত হয়। তার অন্তরে হিদায়াতের আলো প্রজ্বলিত হয়। তার দুনিয়া ও আখিরাত সাফল্যমণ্ডিত হয়।
বান্দার সৌভাগ্যের মূল ভিত্তি হলো, আল্লাহর ভালোবাসা। যার অন্তরে মহান আল্লাহর ভালোবাসা আছে, তার আত্মা প্রশান্ত হয়। তার অন্তরে হিদায়াতের আলো প্রজ্বলিত হয়। তার দুনিয়া ও আখিরাত সাফল্যমণ্ডিত হয়।
কারণ আল্লাহ যখন কোনো বান্দাকে ভালোবাসে তখন আসমানের অধিবাসীরাও তাকে ভালোবাসতে শুরু করে। হাদিস শরিফে ইরশাদ হয়েছে, আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ তাআলা যদি কোনো বান্দাকে ভালোবাসেন তখন জিবরাইল (আ.)-কে ডাক দেন এবং বলেন, নিশ্চয়ই আমি অমুক লোককে ভালোবাসি, তুমিও তাকে ভালোবাস।
এই হাদিসটি দেখলে পবিত্র কোরআনের সেই আয়াতটি মনে পড়ে যায়, যেখানে আল্লাহ বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই যারা ঈমান আনে এবং সত্ কাজ করে, পরম করুণাময় অবশ্যই তাদের জন্য (বান্দাদের হৃদয়ে) ভালোবাসা সৃষ্টি করবেন।’ (সুরা : মারইয়াম, আয়াত : ৯৬)
বর্তমান যুগে চারদিকে ফিতনা ছড়িয়ে পড়েছে, মানুষের মধ্যে গাফিলতি জেঁকে বসেছে, দুনিয়াবি আকর্ষণে মানুষের মনে আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। তাই আমাদের উচিত আল্লাহর দিকে ফিরে যাওয়া এবং তাঁর মহব্বত অর্জনের উপায় অনুসন্ধান করা।
নিম্নে আল্লাহর ভালোবাসা অর্জনের কিছু উপায় তুলে ধরা হলো—
কোরআন তিলাওয়াত : পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত এবং তা নিয়ে গবেষণা মানুষকে কল্যাণের দিকে ধাবিত করে। তাই আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে বেশি বেশি কোরআন তিলাওয়াত করা যেতে পারে।
ফরজ ইবাদতের পাশাপাশি নফল আমল করা : আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আল্লাহ বলেন, ...আমার বান্দা সর্বদা নফল ইবাদত দ্বারা আমার নৈকট্য লাভ করতে থাকবে। এমনকি অবশেষে আমি তাকে আমার এমন প্রিয় পাত্র বানিয়ে নিই যে আমিই তার কান হয়ে যাই, যা দিয়ে সে শোনে...। (বুখারি, হাদিস : ৬৫০২)
নিজের ইচ্ছার চেয়ে আল্লাহর ইচ্ছাকে অগ্রাধিকার দেওয়া : নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘তিনটি জিনিস যার মধ্যে পাওয়া যায়, সে ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে—(১) আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তার কাছে সর্বাধিক প্রিয় হওয়া, (২) কাউকে কেবল আল্লাহর জন্য ভালোবাসা, (৩) কুফরে ফিরে যাওয়া এতটাই অপছন্দ করা, যেমন—আগুনে নিক্ষিপ্ত হওয়া অপছন্দ করে।’ (বুখারি, হাদিস : ১৬)
আল্লাহর সুন্দর নাম ও গুণাবলি সম্পর্কে জানা : আল্লাহর গুণবাচক নাম সম্পর্কে জানা এবং সেগুলোর অর্থ ও গুরুত্ব অনুধাবনের চেষ্টা করা। কেননা মহান আল্লাহ বলেছেন, বান্দাদের মধ্যে কেবল জ্ঞানীরাই আল্লাহকে ভয় করে। (সুরা : ফাতির, আয়াত : ২৮)
আল্লাহর অসংখ্য নিয়ামতের কথা স্মরণ করা : কারণ আমাদের যা কিছু আছে, সব তাঁরই দেওয়া, ভালোবাসার উপযুক্ত একমাত্র তিনিই। ইরশাদ হয়েছে, ‘তোমাদের কাছে যে কোনো নিয়ামত আছে, তা আল্লাহর পক্ষ থেকে।’ (সুরা : নাহল, আয়াত : ৫৩)
আল্লাহওয়ালাদের সাহচর্য গ্রহণ করা : রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘মানুষ তার বন্ধুর ধ্যান-ধারণার অনুসরণ করে থাকে, তাই তোমাদের প্রত্যেককে দেখা উচিত কাকে সে বন্ধু বানাচ্ছে।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২৩৭৮)
সম্পর্কিত খবর
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ—
জোহরের সময় শুরু ১২টা ৯ মিনিট।
আসরের সময় শুরু - ৪টা ২৮ মিনিট।
মাগরিব- ৬টা ১৪ মিনিট।
এশার সময় শুরু - ৭টা ২৮ মিনিট।
আগামীকাল ফজর শুরু - ৪টা ৪৭ মিনিট।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত - ৬টা ২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়- ৬টা ১০ মিনিটে।
সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।
প্রশ্ন : নামাজের মধ্যে অজু ভেঙে গেলে লজ্জায় নামাজ ত্যাগ না করলে কোন ধরনের গুনাহ হয়? এ গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য ইসলামে কোনো পন্থা আছে কি?
-সালাউদ্দীন, কিশোরগঞ্জ
উত্তর : নামাজের মধ্যে অজু ভেঙে গেলে নামাজ ত্যাগ না করলে বড় ধরনের গুনাহ হয়। বহু ওলামায়ে কিরাম বিনা অজুতে নামাজ পড়লে ঈমান চলে যাওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। তাই এ ধরনের পরিস্থিতিতে পতিত হলে নামাজ ছেড়ে দেবে। গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য বেশি মুসল্লিকে কষ্ট না দিয়ে বের হওয়া সম্ভব হলে বের হয়ে অজু করবে।
আবার নামাজে শামিল হবে। আর নামাজ শেষ হয়ে গেলে একাকী নামাজ পড়ে নেবে। বের হওয়া সম্ভব না হলে নামাজ ছেড়ে দিয়ে নিজ জায়গায় বসে থাকবে। (হিদায়া : ১/২৪৯, আপকে মাসায়েল আওর উনকা হল : ২/৩২৬)
সমাধান : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বাংলাদেশ বসুন্ধরা, ঢাকা
ইতিকাফকারীর জন্য বিশেষ কিছু নির্দেশনা ইসলামে দেওয়া আছে। আছে কিছু করণীয় ও বর্জনীয় এবং বৈধ ও অবৈধ বিষয়। নিম্নে সেসব বিষয়ে আলোচনা করা হলো—
ইতিকাফকারীর জন্য যেসব কাজ করা জায়েজ :
ইতিকাফকারীর জন্য মসজিদে পানাহার ও ঘুমানোর অনুমতি আছে। তবে মসজিদের পবিত্রতা রক্ষণাবেক্ষণ করতে হবে।
আর জরুরি কাজের জন্য মসজিদের বাইরে যাওয়াও বৈধ। নিজ পরিবারের লোকদের বিদায় জানানোর জন্য বের হওয়া জায়েজ আছে।
এ ছাড়া গোসল করা, চুল আঁচড়ানো, তেল ও সুগন্ধি ব্যবহার, ভালো পোশাক পরা—এসবের অনুমতি আছে। আয়েশা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, তিনি মাসিক অবস্থায় নবী (সা.)-এর মাথার কেশ বিন্যাস করে দিতেন, যখন রাসুল (সা.) মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় থাকতেন, আয়েশা (রা.) তাঁর কক্ষে থাকা অবস্থায় রাসুল (সা.) মাথার নাগাল পেতেন। (বুখারি, হাদিস : ২০৪৬)
ইতিকাফকারীর পরিবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবে, কথা বলতে পারবে।
যে কাজ দ্বারা ইতিকাফ ভঙ্গ হয় :
ইতিকাফের স্থান থেকে ইসলামসম্মত প্রয়োজন বা স্বাভাবিক প্রয়োজন ছাড়া বের হয়ে গেলে তবে ইসলামসম্মত প্রয়োজন হলে মসজিদের বাইরে বের হওয়া যায়।
স্ত্রী সহবাস করলে, চাই বীর্যপাত হোক বা না হোক। ইচ্ছাকৃত হোক বা ভুলক্রমে হোক।
তবে চুম্বন ইত্যাদির কারণে বীর্যপাত না হলে ইতিকাফ বাতিল হবে না। তবে ইতিকাফ অবস্থায় এসব করা হারাম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা তোমাদের স্ত্রীদের যৌন মিলন করো না যখন তোমরা মসজিদে ইতিকাফে থাকো।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ১৮৭)
এ ছাড়া পাগল হয়ে গেলে, নারীদের হায়েজ-নেফাস হলে এবং কেউ ধর্মত্যাগী (মুরতাদ) হলে ইতিকাফ ভেঙে যায়।
মসজিদ থেকে বের হওয়ার বিধান :
১. ইতিকাফকারী যদি বিনা প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হয় তাহলে তার ইতিকাফ ভেঙে যাবে।
২. আর ইতিকাফের স্থান থেকে যদি মানবীয় প্রয়োজন মিটানোর জন্য বের হয় তাহলে ইতিকাফ ভঙ্গ হবে না।
৩. মসজিদে থেকে পবিত্রতা অর্জন সম্ভব না হলে মসজিদ থেকে বের হওয়ার অনুমতি আছে।
৪. বাহক না থাকার কারণে ইতিকাফকারীকে যদি পানাহারের প্রয়োাজনে বাইরে যেতে হয় অথবা মসজিদে খাবার গ্রহণ করতে লজ্জা বোধ হয়, তাহলে এরূপ প্রয়োাজনে বাইরে যাওয়ার অনুমতি আছে।
৫. যে মসজিদে ইতিকাফে বসেছে সেখানে জুমার নামাজের ব্যবস্থা না থাকলে জুমার নামাজ আদায়ের প্রয়োজনে মসজিদ থেকে বের হওয়া ওয়াজিব এবং আগেভাগেই রওনা হওয়া তার জন্য মুস্তাহাব।
৬. ইসলামসমর্থিত ওজরের কারণে ইতিকাফকারী মসজিদ থেকে বের হতে পারে।
৭. কোনো নেকির কাজ করার জন্য ইতিকাফকারীর মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়। যেমন রোগী দেখতে যাওয়া, জানাজায় উপস্থিত হওয়া ইত্যাদি। আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘ইতিকাফকারীর জন্য সুন্নত হলো, রোগী দেখতে না যাওয়া, জানাজায় অংশ গ্রহণ না করা, স্ত্রী স্পর্শ না করা এবং সহবাস না করা এবং খুব বেশি প্রয়োজন না হলে মসজিদ থেকে বের না হওয়া।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ২৪৭৩)
৮. ইতিকাফ-বিরুদ্ধ কোনো কাজের জন্য ইতিকাফকারীর মসজিদ থেকে বের হওয়া বৈধ নয়। যেমন ক্রয়-বিক্রয়, স্বামী-স্ত্রীর মিলন ইত্যাদি।
ইতিকাফকারীর জন্য যা যা মাকরুহ :
ইতিকাফ অবস্থায় চুপ থাকলে সওয়াব হয়, এই মনে করে চুপ থাকা মাকরুহে তাহরিমি। বিনা প্রয়োজনে পার্থিব কোনো কাজে লিপ্ত হওয়া মাকরুহে তাহরিমি। যেমন কেনাবেচা করা ইত্যাদি। তবে একান্ত প্রয়োজনবশত, যেমন: ঘরে খাবার নেই এবং সে ছাড়া অন্য কোনো বিশ্বস্ত মানুষও নেই—এরূপ অবস্থায় মসজিদে মালপত্র উপস্থিত না করে কেনাবেচার চুক্তি করতে পারে।
ইবাদতের প্রকৃত স্বাদ তখনই লাভ করা যায়, যখন তার উপযুক্ত কারণগুলো পাওয়া যায়। একজন মুসলমানের কর্তব্য হলো, এই কারণগুলো অর্জনের চেষ্টা করা, যাতে সে সুখময় জীবন উপভোগ করতে পারে।
নামাজ : নামাজের মাধ্যমে মুমিনের হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) বিলাল (রা.)-কে বলতেন, ‘হে বেলাল, আজান দাও, আমরা নামাজের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করব।
এর দ্বারা বোঝা যায়, মহান আল্লাহ নামাজে প্রশান্তি রেখেছেন। যে ব্যক্তি তা পরিপূর্ণ হক আদায় করে পালন করতে পারবে, সে ইবাদতের স্বাদ পাবে।
ইবনুল কাইয়্যিম (রহ.) বলেন, ‘নামাজ সেই ব্যক্তির পাপ মোচন করে, যে তার হক আদায় করে পূর্ণ খুশুখুজু নিয়ে পড়ে এবং আল্লাহর সামনে দাঁড়ায় হৃদয় ও দেহের উপস্থিতিসহ। যখন সে নামাজ শেষ করে, তখন নিজেকে হালকা অনুভব করে, যেন তার সব বোঝা নামাজের মাধ্যমে দূর হয়ে গেছে।
নবীজির সাহাবিরা নামাজে পরম শান্তি অনুভব করতেন। যেমন—আব্দুল্লাহ ইবনু যুবাইর (রা.) নামাজে এতটাই খুশুখুজু রাখতেন যে মনে হতো তিনি একটি কাঠের গুঁড়ি।
কোরআন পাঠ : আল্লাহর কালাম তথা পবিত্র কোরআন পাঠে অপূর্ব সৌন্দর্য, আনন্দ ও প্রশান্তি রয়েছে। যখন আল্লাহর কালাম জিহ্বায় উচ্চারিত হয়, কানে বাজে, তখন অন্তর নরম হয়ে যায়, দেহ প্রশান্ত হয় এবং হৃদয় পরিতৃপ্ত হয়। কারণ প্রেমিকদের কাছে তাদের প্রিয়তমের বাণীই সর্বাধিক মধুর। এই স্বাদ অনুভব করতে অন্তরকে অধিক কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে পবিত্র করতে হয়।
যার অন্তর যত পবিত্র হবে, তার প্রেম তত গভীর হবে। তার তিলাওয়াতের আগ্রহ ও প্রশান্তি তত বৃদ্ধি পাবে, ফলে সে যতই তিলাওয়াত করবে, ততই তার তিলাওয়াতের স্পৃহা বৃদ্ধি পাবে। উসমান ইবনে আফফান (রা.) বলতেন, ‘যদি আমাদের হৃদয় পবিত্র হতো, তবে আমরা কখনো আমাদের প্রতিপালকের বাণীতে পরিপূর্ণ তৃপ্তি অনুভব করতাম না। আমি তো অপছন্দ করি সেই দিনকে, যখন আমি মুসহাফের (কোরআনের) দিকে তাকাতে পারি না।’ (আল জামি‘লিশুআবিল ঈমান : ৩/৫১০)
পবিত্র কোরআনের তিলাওয়াত এবং তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনার মধ্যে এমন সুখ রয়েছে, যা অন্য কিছুতে নেই। মুমিন যদি প্রকৃত ঈমান রাখে, তার হৃদয় বিশুদ্ধ হয়, তবে সে কখনো কোরআন শুনে তৃপ্ত হবে না।
আল্লাহর জিকির : আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে মুমিন হৃদয়ে প্রশান্তি আসে। অন্তর জীবিত হয়। এটি এমন এক আমল, যা সবচেয়ে কম কষ্টসাধ্য, অথচ সবচেয়ে বেশি সুস্বাদু ও আত্মার ঘোরাক। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘যারা ঈমান আনে এবং আল্লাহর স্মরণে যাদের অন্তর প্রশান্ত হয়; জেনে রেখ, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্ত হয়।’ (সুরা : রাআদ, আয়াত : ২৮)
দান ও সহমর্মিতা : আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় অর্থ ব্যয়ের মধ্যেও এক অনন্য সুখ রয়েছে। তাই তো সাহাবায়ে কিরাম তাদের প্রিয় ও মূল্যবান জিনিসও আল্লাহর রাস্তায় দান করে দিতে দ্বিধাবোধ করতেন না।
আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘তোমরা যা ভালোবাস তা থেকে ব্যয় না করা পর্যন্ত তোমরা কখনো পুণ্য লাভ করবে না।’ (সুরা : আলে ইমরান, আয়াত : ৯২) অথবা ‘কে সে ব্যক্তি যে আল্লাহ তাআলাকে উত্তম ঋণ প্রদান করবে? তিনি তার জন্য তা বহু গুণে বৃদ্ধি করবেন।’ (সুরা : বাকারাহ, আয়াত : ২৪৫) আয়াত অবতীর্ণ হলে আবু তালহা (রা.), যার একটি ফলের বাগান ছিল, বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার বাগানটি আল্লাহ তাআলার পথে দান করে দিলাম। আমি গোপনে এটি দান করতে পারলে এর প্রকাশ্য ঘোষণা দিতাম না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, তোমার আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে তা বণ্টন করে দাও। (তিরমিজি, হাদিস : ২৯৯৭)
তা ছাড়া যারা মানুষের উপকার করে, মানুষের প্রতি দয়া করে, মহান আল্লাহও তাদের প্রতি দয়া করেন। ফলে তারা ঈমানের স্বাদ পায়, ইবাদতে প্রফুল্লতা অনুভব করে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে ইবাদতের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।