কবিরাজ

  • সপ্তম শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বইয়ের দ্বিতীয় অধ্যায়ে তোমরা কবিরাজ সম্পর্কে জেনেছ। গাছ-গাছড়া ব্যবহার করে এই পেশার লোকেরা চিকিৎসা দিয়ে থাকেন—
আল সানি
আল সানি
শেয়ার
কবিরাজ
কবিরাজি চিকিৎসার মূল ভিত্তি আয়ুর্বেদ ও ইউনানি শাস্ত্র। ছবি : সংগৃহীত

দাঁত ভালো রাখতে সকালে দশন-সংস্কার চূর্ণ, পেট পরিষ্কার রাখার জন্য ত্রিফলা ভেজানো পানি, ভরপেট খাবারের পর লবণ ভাস্কর চূর্ণ কিংবা স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর জন্য ব্রাহ্মী রসায়ন—এসবই কবিরাজি চিকিৎসার দাওয়াই। কবিরাজি চিকিৎসা কয়েক হাজার বছরের পুরনো। এর উদ্ভবও হয়েছিল ভারতবর্ষে। একসময় গ্রামগঞ্জে চিকিৎসার একমাত্র ভরসা ছিলেন কবিরাজরা।

আধুনিক হাসপাতাল কিংবা ওষুধের দোকান সহজলভ্য হওয়ার আগে রোগবালাই হলে মানুষ ছুটে যেত কবিরাজের কাছে। গাছ-গাছড়া, শিকড়-বাকড় আর ভেষজ উপাদান দিয়ে তাঁরা চিকিৎসা করতেন। যুগ বদলেছে, আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত হয়েছে, কিন্তু তবু কবিরাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ একেবারে হারিয়ে যায়নি। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের গ্রামগঞ্জে এখনো এই চিকিৎসা পদ্ধতিটি বেশ জনপ্রিয়।

কবিরাজদের চিকিৎসার মূল ভিত্তি আয়ুর্বেদ ও ইউনানি শাস্ত্র। আয়ুর্বেদ শব্দটি দুটি সংস্কৃত শব্দ ‘আয়ু’ ও ‘বেদ’ থেকে এসেছে। এখানে ‘আয়ু’ অর্থ ‘জীবন’ এবং ‘বেদ’ অর্থ ‘জ্ঞান’ বা ‘বিদ্যা’। অর্থাৎ যে জ্ঞানের মাধ্যমে জীবের কল্যাণ সাধন হয় সেটাই আয়ুর্বেদ।

এই পদ্ধতিতে শরীরের ভারসাম্যকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। রোগের ধরন বুঝে তাঁরা ভেষজ ওষুধ নির্ধারণ করেন, যা সাধারণত গাছের শিকড়, ছাল, পাতা, ফল ও বীজ দিয়ে তৈরি হয়। অনেক সময় মধু, দুধ কিংবা ঘি-ও মিশিয়ে দেওয়া হয়, যাতে ওষুধের কার্যকারিতা বাড়ে। শুধু শারীরিক অসুস্থতা নয়, কবিরাজরা মানসিক ও আত্মিক সুস্থতার দিকেও নজর দিতেন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই ঝাড়ফুঁক ও তাবিজ-কবচের চর্চা করেন।

কালের পরিক্রমায় আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থার বিস্তারে কবিরাজদের গুরুত্ব অনেকটা কমেছে। তার পরও অনেক মানুষ এখনো বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে তাঁদের দ্বারস্থ হয়, বিশেষ করে যখন আধুনিক ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয় থাকে। সরকারও ভেষজ চিকিৎসাকে উৎসাহিত করছে।

বর্তমানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আয়ুর্বেদ ও ইউনানি চিকিৎসার ওপর গবেষণা এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করেছে। তবে কবিরাজদের মধ্যেও ভেজাল ওষুধ ও অপেশাদার চিকিৎসকের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বেড়ে চলছে। দেশের বিভিন্ন বন-জঙ্গলে একসময় গন্ধগোকুলের দেখা মিলত। প্রাণীটিকে অঞ্চলভেদে তাল খাটাস বা ভাম অথবা নঙ্গর বলা হয়ে থাকে।

অবৈজ্ঞানিক কবিরাজি চিকিৎসার অবাধ শিকার হওয়ার কারণে এই প্রাণীটির অস্তিত্ব আজ প্রায় নির্মূলের পথে। সে জন্য অনেক পরিবেশবিদ কবিরাজি চিকিৎসাকে অনুৎসাহিত করেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

প্রতারণার ফাঁদে ৩০ হাজার টাকা খোয়া গেল জবি শিক্ষার্থীর

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
প্রতারণার ফাঁদে ৩০ হাজার টাকা খোয়া গেল জবি শিক্ষার্থীর
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমদাদুল

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো. ইমদাদুল হক। নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্য সন্ধ্যার পর রাস্তার পাশে লুঙ্গি বিক্রি করেন। ঈদের অধিক মুনাফা লাভের আশায় কুষ্টিয়া থেকে বাবাকে নিয়ে এসে একই ব্যবসা করতে থাকেন। তবে গ্রাম থেকে আসা সহজ সরল বাবা ফাঁদে পড়ে ৩০ হাজার টাকার প্রতারণার শিকার হয়েছেন।

 

সোমবার (২৪ মার্চ) বিকালে গেন্ডারিয়ার ঘুণ্টিঘর সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, গেন্ডারিয়া মসজিদের পাশে সাধনার গলির সামনে লুঙ্গি বিক্রি করছিল শিক্ষার্থীর বাবা। পরে একজন নারী একসঙ্গে ৩০-৪০টি লুঙ্গি কেনার কথা জানান। মানের লুঙ্গি কম থাকায় নারী আরো লুঙ্গি আনতে বলেন।

পাশে থাকা একটি দোকানের একজন ছোট ছেলের কাছে লুঙ্গি রেখে আরো লুঙ্গি আনতে যান বাবা। ফিরে এসে দোকান বন্ধ দেখেন। পরে ছেলেটি জানান, তাঁর কাছ থেকে ওই নারী লুঙ্গি নিয়ে চলে গেছে।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ইমদাদুল বলেন, আমি সোমবারই গেন্দারিয়া থানায় জিডি করে আসি।

মঙ্গলবার পুলিশ নিয়ে দোকানে যাই। দোকানের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ছেলেটি নিজ হাতে লুঙ্গি নারীর হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছেন, তাঁরা ফুটেজ দেখে নারীকে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।  

তিনি আরো বলেন, আমি ঋণ নিয়ে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে ঈদের আগে ব্যবসা শুরু করি। ৩০-৩৫ হাজার টাকার মতো মালামাল নিয়ে গেছে।

আমি কিভাবে কি করব, বুঝতে পারছি না। ঋণ কিভাবে শোধ করব বুঝতে পারছি না।

এ ব্যাপারে ইমদাদুলের সহপাঠী হোমাইরা বলেন, ইমদাদুল নিজের পড়াশোনার খরচ চালানোর জন্যে সন্ধ্যার পরে রাস্তার পাশে লুঙ্গি বিক্রি করত। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় একটি প্রতারক চক্র ওর থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকার লুঙ্গি নিয়ে যায়। ছেলেটা অনেকটা অসহায় হয়ে পড়েছে। আমরা সবাই গ্রামে চলে এসেছি। তাই কেউ ওর কাছে যেতেও পারছি না। পুলিশের কাছে দাবি জানাই, দ্রুত অপরাধীকে শনাক্ত করুন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী তাকরিম আহমেদ বলেন, মঙ্গলবার আমরা ৪ জন ইমদাদুলকে নিয়ে গেন্ডারিয়া থানায় যাই। সেখান থেকে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। সিসিটিভি ফুটেজ দেখি। সিসিটিভি ফুটেজ এবং দোকানে থাকা ছেলের কথাবার্তায় কিছু অসামঞ্জস্যতা পাওয়া যায়। তবে ঘটনা দেখে দোকানিকে দায়ীও করা যাচ্ছে না। তদন্ত কর্মকর্তা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ওসির সঙ্গে কথা বলবে। তারপর যদি কোনো ক্ষতিপূরণ আদায় করা যায়, সেটা জানানো হবে। তবে এই ব্যাপারটা নিশ্চিত নয়।

মন্তব্য

রাবির এক শিক্ষকের অব্যাহতি, আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি

রাবি প্রতিনিধি
রাবি প্রতিনিধি
শেয়ার
রাবির এক শিক্ষকের অব্যাহতি, আরেক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মুসতাক আহমেদকে অনিয়ম ও দুর্নীতির অপরাধে পাঁচ বছরের জন্য অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চারুকলা অনুষদের শিক্ষক সুজন সেনের বিরুদ্ধে গঠিত হয়েছে তদন্ত কমিটি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩৭তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার স্বাক্ষরিত দুটি পৃথক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

শাস্তি পাওয়া দুই শিক্ষক হচ্ছেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রাক্তন সভাপতি অধ্যাপক মুসতাক আহমেদ ও চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেন। এ বছরের আগস্টে শিক্ষার্থীরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও প্রাক্তন সভাপতি মুসতাক আহমেদের বিরুদ্ধে বিভাগের আয়-ব্যয়ের অনিয়ম ও শিক্ষার্থীদের আনীত অভিযোগ পর্যালোচনা করে গঠিত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। তাকে পরবর্তী পদোন্নতির তারিখ থেকে ৫ বছরের জন্য পদোন্নতি ও বেতনের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট স্থগিত করা হয়েছে।

এছাড়া, তিনি এই ৫ বছর কোনো একাডেমিক কার্যক্রম বা প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং অন্য কোথাও চাকরি বা খণ্ডকালীন শিক্ষকতা করতে পারবেন না। তার বিভাগের পাওনাদি পত্র ইস্যুর ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধ করতে হবে।

অন্যদিকে, চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সুজন সেনের বিরুদ্ধে আনীত নৈতিক স্খলনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাক্ট ১৯৭৩-এর ৫৫ (৩) ধারায়  উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীনকে আহ্বায়ক করে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক মো. রেজাউল করিম-২ এবং ড. সুজন সেন মনোনীত একজন প্রতিনিধি।

মন্তব্য

আইইউবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলীফ, সম্পাদক লাবীব

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
আইইউবি শাখা ছাত্রদলের সভাপতি আলীফ, সম্পাদক লাবীব
সংগৃহীত ছবি

ইন্ডিপেন্ডেন্ট  ইউনিভার্সিটি শাখা ছাত্রদলের ৭ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছেন ফিন্যান্স বিভাগের শিক্ষার্থী মো. আলিফ ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষার্থী মো. লাবীব মুসাব্বির।

গতকাল সোমবার (২৪ মার্চ) বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি মো. আবু হোরায়রা ও সাধারণ সম্পাদক এম রাজিবুল ইসলাম তালুকদার (বিন্দু) এ কমিটির অনুমোদন দেন।

সেই সঙ্গে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে এ কমিটি পূর্ণাঙ্গ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের দপ্তরে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

কমিটির অন্য পদে রয়েছেন সহ-সভাপতি রোকাইয়া জান্নাত, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মুরছালিন মাহমুদ খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উম্মে তাবাসসুম রিয়া আক্তার এবং সাংগঠনিক সম্পাদক হাসিবুল হাসান সানিয়াদ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

চবির সমাবর্তনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
চবির সমাবর্তনে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা
ফাইল ছবি

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) যাচ্ছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ১৪ মে পঞ্চম সমাবর্তন উপলক্ষে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার বিষয়ে সম্মতি দেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনের সদস্যসচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক ড. এনায়েত উল্যাহ পাটোয়ারী এ তথ্য গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পঞ্চম সমাবর্তনে প্রধান উপদেষ্টাকে ‘ডক্টর অব লেটারস’ (ডি.লিট) প্রদান করা হবে। এ ছাড়া সমাবর্তন বক্তা হিসেবে তিনি বক্তব্য প্রদান করবেন।

আগামী ১৪ মে হতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ সমাবর্তন। ১৯৭২ সালে অধ্যাপক ড. ইউনূস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন এবং বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৫ সালে তিনি অধ্যাপক পদে উন্নীত হন এবং ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত এ পদে কর্মরত ছিলেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ