শিল্পী, সংগীতজ্ঞ ও বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যক্তিত্ব, ছায়ানটের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি সন্জীদা খাতুন আর নেই। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। দীর্ঘদিন ধরে তিনি নানা অসুখে ভুগছিলেন। এক সপ্তাহ ধরে তিনি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর পুত্রবধূ লাইসা আহমদ লিসা।
সন্জীদা খাতুন
এক মহীয়সীর চিরবিদায়
- আজ দুপুরে ছায়ানটে সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক

আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সন্জীদা খাতুনকে ধানমণ্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে নেওয়া হবে। সেখানে তাঁর প্রতি সর্বজনের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এরপর দুপুর আড়াইটায় তাঁর কফিন নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, সেখানে তাঁকে শেষবিদায় জানাবে সর্বস্তরের মানুষ। তবে এর পরের কার্যক্রম নিয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
ছায়ানটের সাধারণ সম্পাদক লাইসা আহমদ লিসা কালের কণ্ঠকে জানান, দীর্ঘদিন ধরে কিডনির জটিলতাসহ নানা বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন সন্জীদা খাতুন। ছয় মাস ধরে তাঁর নিয়মিত ডায়ালিসিস করানো হচ্ছিল। এরই মধ্যে তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। সর্বশেষ রক্তচাপ নেমে তিনি কোমায় চলে যান।
সন্জীদা খাতুনের জন্ম ১৯৩৩ সালের ৪ এপ্রিল। তাঁর পিতা ছিলেন বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলনের অন্যতম নেতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতনামা জাতীয় অধ্যাপক কাজী মোতাহার হোসেন। তিনি পড়ালেখা করেছেন কামরুন্নেসা স্কুল ও ইডেন কলেজে। ১৯৫৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে স্নাতক এই গুণী শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী থেকে ১৯৫৫ সালে প্রথম বিভাগে স্নাতকোত্তর এবং পরে সেখান থেকেই পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
গত শতকের পঞ্চাশ ও ষাটের দশকের প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন সন্জীদা খাতুন। বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশে আত্মনিবেদিত সন্জীদা খাতুন ভাষা আন্দোলন, সাংস্কৃতিক স্বাধিকার আন্দোলন, শত বাধার মুখে রবীন্দ্র শতবর্ষ উদযাপন, রমনার বটমূলে বর্ষবরণ ইত্যাদির মধ্য দিয়ে বাঙালির সংস্কৃতিকে ঋদ্ধ করে বাঙালিত্বের দৃঢ় ভিত্তি স্থাপনে অসামান্য অবদান রেখেছেন।
দেশ-বিদেশে সন্জীদা খাতুনের পরিচিতি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী ও গবেষক হিসেবে। সন্জীদা খাতুন প্রথম গান শেখা শুরু করেন সোহরাব হোসেনের কাছে। তাঁর কাছে তিনি দীক্ষা নেন নজরুলসংগীত, আধুনিক বাংলা গান ও পল্লীগীতির। রবীন্দ্রসংগীতের তালিম নিয়েছেন হুসনে বানু খানম, শৈলজারঞ্জন মজুমদার, আবদুল আহাদ, কণিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, নীলিমা সেনের কাছে। শিল্পী কামরুল হাসানের নেতৃত্বে তিনি ব্রতচারী আন্দোলনে যোগ দিয়েছিলেন।
তাঁর ঐকান্তিক সহযোগিতায় গড়ে ওঠে ছায়ানট ও রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের মতো সংগঠন। তাঁর হাত ধরেই প্রতিষ্ঠা ব্যতিক্রমী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নালন্দা উচ্চ বিদ্যালয়ের। বাঙালি সংস্কৃতি চর্চার অগ্রণী প্রতিষ্ঠান ছায়ানটের সভাপতি ছিলেন তিনি। দায়িত্ব পালন করেছেন উদীচীর উপদেষ্টা হিসেবেও। গানের মানুষ সন্জীদা খাতুন গবেষণা, সাহিত্য সমালোচনা, সমাজ-সংস্কৃতি, আত্মজীবনী মিলিয়ে ৪০টির বেশি বই লিখে গেছেন। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে রবীন্দ্রনাথ তাঁর আকাশ ভরা কোলে, স্বাধীনতার অভিযাত্রা, অতীত দিনের স্মৃতি, কবি সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত, রবীন্দ্রসংগীতের ভাবসম্পদ, তোমারি ঝরনাতলার নির্জনে, রবীন্দ্রনাথ : বিবিধ সন্ধান, রবীন্দ্রনাথের হাতে হাত রেখে, ধ্বনি থেকে কবিতা, সংস্কৃতির বৃক্ষছায়ায়, সংস্কৃতিকথা সাহিত্যকথা, বাংলাদেশের সংস্কৃতির চড়াই-উতরাই এবং শিশু-কিশোরদের জন্য কাজী মোতাহার হোসেন, জননী জন্মভূমি ইত্যাদি।
কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ একুশে পদক ছাড়াও সন্জীদা খাতুন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, বাংলা একাডেমি প্রবর্তিত রবীন্দ্র পুরস্কার এবং বাংলা একাডেমি পরিচালিত সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০২১ সালে ভারত সরকার তাঁকে ভূষিত করেছে পদ্মশ্রী সম্মাননায়। ১৯৮৮ সালে কলকাতার টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাঁকে ‘রবীন্দ্র তত্ত্বাচার্য’ উপাধি দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে পেয়েছেন রবীন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার, দেশিকোত্তম পুরস্কার।
সন্জীদা খাতুনের মৃত্যুতে শোক নেমে এসেছে দেশের সংস্কৃতি অঙ্গনে। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘সন্জীদা খাতুন আমৃত্যু বাংলা ভাষা, সাহিত্য, সংগীত ও সংস্কৃতি চর্চায় নিবেদিতপ্রাণ ও লড়াকু যোদ্ধা ছিলেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং সাংস্কৃতিক সংগ্রামের সঙ্গে তাঁর নাম ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। রবীন্দ্র-নজরুল অধ্যয়ন এবং দেশজ সংস্কৃতির অনুশীলন ও বিকাশে তিনি কিংবদন্তির ভূমিকা পালন করে গেছেন।’
সন্জীদা খাতুনের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে ছায়ানট, উদীচীসহ বিভিন্ন সাহিত্য-সংস্কৃতি সংগঠন।
সম্পর্কিত খবর

সীতাকুণ্ডে কৃষক দল নেতা খুন, মিরসরাইয়ে বিএনপির সংঘর্ষে পথচারীকে হত্যা
- তিন জেলায় আরো তিন খুন
কালের কণ্ঠ ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বারবকুণ্ড ইউনিয়নে নিজ বাড়ির সামনে খুন হয়েছেন উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক। মিরসরাই উপজেলায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া রাঙ্গুনিয়া, কটিয়াদী ও ভেদরগঞ্জ উপজেলায় ব্যবসায়ী ও গৃহবধূসহ তিনজন খুন হয়েছেন। প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর—
সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) : চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বারবকুণ্ড ইউনিয়নে নিজ বাড়ির সামনে খুন হয়েছেন উপজেলা কৃষক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসির উদ্দিন (৪৩)।
মিরসরাই (চট্টগ্রাম) : মিরসরাই উপজেলা ও দুই পৌর কমিটি ঘোষণা নিয়ে বিরোধের জেরে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
গত ২৪ মার্চ সোমবার চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার মিরসরাই উপজেলা, মিরসরাই পৌর ও বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটি ঘোষণার পরপর চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও মিরসরাই উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান নুরুল আমিন সমর্থিত পদবঞ্চিত নেতাকর্মীরা বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন। পরদিন মঙ্গলবার কমিটি বাতিলের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভ, ঝাড়ু মিছিল ও সমাবেশ করেন তাঁরা।
২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের কর্মসূচি পালন করতে সকাল থেকে বারইয়ারহাট পৌর বাজার এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষ অবস্থান নেয়। দুপুর ১২টার দিকে পৌর বাজারের শান্তিরহাট রাস্তার মাথায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
জোরারগঞ্জ থানার ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
কিশোরগঞ্জ : কটিয়াদী উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরে আরব আলী (৩৫) নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছেন। গত মঙ্গলবার রাতে কোনাপাড়া পশ্চিমহাটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। আরব আলী ওই গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আলম নামের এক ব্যক্তির কাছে ১০ হাজার টাকা পান হাসান। টাকা ফেরত দিতে টালবাহানা করায় দুই পক্ষ মঙ্গলবার ইফতারের পর সালিসে বসে। সালিসে আলমের পক্ষে আরব আলী এবং হাসানের পক্ষে ফারুক নেতৃত্ব দেন। সালিস চলাকালে কথা-কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে ঘটনাস্থলেই আরব আলী নিহত এবং অন্তত পাঁচজন আহত হন।
রাঙ্গুনিয়া (চট্টগ্রাম) : রাঙ্গুনিয়ায় চাঁদা না পেয়ে নুরুল ইসলাম তালুকদার (৭০) নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সকালে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গত মঙ্গলবার বিকেলে সরফভাটা ইউনিয়নের মীরেরখীল বাজারে নিজ দোকানে তাঁকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা। নুরুল ইসলাম মীরেরখীল গ্রামের ইন্নাল আমিন তালুকদারের ছেলে। সরফভাটার ইউপি চেয়ারম্যান শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার বিকেলে দোকানে বসে ছিলেন নুরুল। হঠাৎ একদল সন্ত্রাসী তাঁর ওপর হামলা চালায়।
শরীয়তপুর : ভেদরগঞ্জ উপজেলার বারৈজঙ্গল গ্রামে মুক্তা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গত মঙ্গলবার রাতে নিজ বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। মুক্তা বেগম ওই এলাকার মান্নান গাজীর স্ত্রী। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মান্নান গাজী গত মঙ্গলবার রাতে তারাবির নামাজ আদায়ের জন্য মসজিদে যান। যাওয়ার সময় তিনি বাইরে থেকে ঘরের প্রধান ফটক আটকে যান। নামাজ শেষে বাড়ি ফিরে দরজা খুলতেই স্ত্রীর গলা কাটা মরদেহ খাটের ওপর পড়ে থাকতে দেখেন। ভেদরগঞ্জ থানার ওসি পারভেজ আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় তামিম
ক্রীড়া প্রতিবেদক

সাভার থেকে গত মঙ্গলবার ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে তামিম ইকবালকে। এবার বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় আছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। এমন তথ্য জানিয়েছেন তামিমের চাচা আকরাম খান।
গতকাল বুধবার মিরপুরে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে আকরাম বলেন, ‘এখন এভারকেয়ার হাসপাতালে আছে।
হার্টে রিং লাগানোর পর ৪৮ ঘণ্টা কেটে যাওয়ায় তামিমকে নিয়ে এখন তেমন কোনো শঙ্কা নেই বলে জানান আকরাম। যদিও চিক্তামুক্ত থাকতে দেশের বাইরে নেওয়ার পরিকল্পনা করছে পরিবার। আকরাম বলছিলেন, ‘রিং লাগানো হয়ে গেছে। এখন আমরা পারিবারিকভাবে আলোচনা করে একটা সিদ্ধান্ত নেব।
হাসপাতালে থাকলেও তামিম স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা, খাওয়াদাওয়া এমনকি কথাবার্তাও বলছেন বলে জানা গেছে। অথচ গত সোমবার এই ক্রিকেটারকে বাঁচানো যাবে কি না তা নিয়ে ছিল শঙ্কা। তখনকার অবস্থা তুলে ধরেন আকরাম, ‘আমি যখন খবরটা পেয়েছি, খুবই খারাপ ছিল সেটা। আমাকে বলা হলো, তামিম আর বেঁচে নেই।
এক মাস পর তামিমের মাঠে ফেরার আশা করছেন আকরাম, ‘সে এক মাস পর স্বাভাবিক হয়ে যাবে। এমনকি এখনো স্বাভাবিক আছে। ডাক্তার আমাকে বলেছেন, এক মাস পর সাধারণ জীবনযাপনে চলে আসতে পারবে।’

নদীদূষণ


‘র’-এর ওপর নিষেধাজ্ঞার সুপারিশ মার্কিন সংস্থার
নিজস্ব প্রতিবেদক

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় খালিস্তানপন্থী নেতাদের গুপ্তহত্যার ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের বৈদেশিক গুপ্তচর সংস্থা রিসার্চ অ্যান্ড অ্যানালিসিস উইংয়ের (র) ওপর সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপের সুপারিশ করেছে মার্কিন ফেডারেল সংস্থা কমিশন অন ইন্টারন্যাশনাল রিলিজিয়াস ফ্রিডম (ইউএসসিআইআরএফ)। সংস্থাটির ২০২৫ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়েছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।
একই সঙ্গে ভারতে সংখ্যালঘু মুসলমানরা দিন দিন অমানবিক আচরণের শিকার হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, কমিউনিস্টশাসিত ভিয়েতনাম ধর্মীয় বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ ও কড়াকড়ি আরোপ করেছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় দীর্ঘদিন ধরে নয়াদিল্লিকে সহায়ক শক্তি হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। সে কারণেই ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো বরাবরই এড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘হিন্দু জাতীয়তাবাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) গত বছরের নির্বাচনী প্রচারণায় ‘মুসলিমসহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে এবং ভুল তথ্য ছড়িয়েছে।’ গত বছর এপ্রিলে মুসলমানদের ‘অনুপ্রবেশকারী’ হিসেবে উল্লেখ করে মোদি বলেছিলেন, তারা ‘বেশি বেশি সন্তান’ নেয়। এর সঙ্গে কংগ্রেসসহ বিরোধীদের ভোটের স্বার্থ রয়েছে বলে মোদির অভিযোগ।