নওগাঁয় অজ্ঞান অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধারের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন এই ছয়জন। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বরুনকান্দি এলাকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নওগাঁয় অজ্ঞান অবস্থায় ৬ জনকে উদ্ধারের পর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েন এই ছয়জন। বুধবার (২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে শহরের বরুনকান্দি এলাকা থেকে অজ্ঞান অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
নওগাঁ সদর মডেল থানার থানার এসআই হারুন রশিদ জানান, সকালে স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শহরের বাইপাস এলাকার বরুনকান্দি এলাকার একটি গ্যাস পাম্পের পাশ থেকে ছয়জনকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। এরপর তাদের নওগাঁ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৬ জনের মধ্যে ১ জনের সঙ্গে কথা বলতে পেরেছি।
ধারণা করা হচ্ছে, এরা সবাই অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পড়েছিলেন।
নওগাঁ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. আবু জার গাফফার জানান, হাসপাতালে আসার পরে তাদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। চিকিৎসকরা সার্বক্ষণিক তাদের দেখাশোনা করছেন।
সম্পর্কিত খবর
খুলনা মহানগরীর সোনাডাঙ্গা থানাধীন আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসী আস্তানায় শনিবার রাতভর অভিযান চালিয়েছে পুলিশ ও যৌথবাহিনী। এ সময় আইন-শৃংখলা বাহিনীর সঙ্গে সন্ত্রাসীদের গুলি বিনিময় হয়েছে। ঘটনার সময় আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী ও দুষ্কৃতকারীদের প্রায় ১৫ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে ১১ জনকে গ্রেপ্তারসহ বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে কেএমপির সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার আজম খান বলেন, নগরীর সোনাডাঙ্গার আরামবাগ এলাকায় সন্ত্রাসীদের মিটিং হচ্ছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১২টার পর অভিযান শুরু হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও সম্ভাব্য বাড়িকে টার্গেট পুরো এলাকা ঘিরে ফেলে পাল্টা গুলি ছোড়ে।
এতে কয়েকজন পুলিশ ও যৌথ বাহিনীর সদস্যরা আহত হন। আহতদের তাৎক্ষণিক খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও নৌবাহিনীর উপশম হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে, ঠিক কি পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়েছে তা জানাতে পারেননি ওই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে ঘটনাস্থল থেকে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তিনটি পিস্তল, একটি একনলা শটগান, একটি কাটা বন্ধুক, একটি চাইনিজ কুড়াল, একটি চাপাতি, কয়েক রাউন্ড শটগানের গুলি এবং সাতটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
দুষ্কৃতকারীদের মধ্যে যাদেরকে পুলিশী প্রহরায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে তারা হলেন, নগরীর সদর থানাধীন মিস্ত্রিপাড়ার বাসিন্দা আব্দুল হান্নান শেখের ছেলে শেখ পলাশ (৩৩), বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী এলাকার আহমদ খার ছেলে মো. আরিফুল (২৭),
সোনাডাঙ্গা থানাধীন গোবরচাকা এলাকার সাত্তার মিয়ার ছেলে কালা লাভলু ওরফে রুবেল ইসলাম (৩৫), রূপসা উপজেলার বাগমারা এলাকার ইজাজ শেখের ছেলে ফজলে রাব্বি রাজন (২৬), সদর থানাধীন মুসলমানপাড়া ক্রস রোডের বাসিন্দা মৃত. শরীফ মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ লিয়ন শরীফ (৩৩), সদর থানাধীন বাগমারা মেইন রোডের বাসিন্দা মাসুদ আলম জয়নালের ছেলে ইমরানুজ্জামান (৩৩), নিরালা পার্শ্ববর্তী মো. আলমগীর হোসেনের ছেলে ইমরান (৩৫), সোনাডাঙ্গা থানাধীন পশ্চিম বানিয়াখামার এলাকার বাসিন্দা আ. রাজ্জাকের ছেলে রিপন (৩৮), বানরগাতী এলাকার বাসিন্দা মো. আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে সৈকত রহমান (২৭), একই এলাকার আশরাফ আলী সরদারের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৩৫) ও মো. রমিজুল হাওলাদারের ছেলে গোলাম রব্বানী (২৬)।
চট্টগ্রামের বাকলিয়ার এক্সেসেস রোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার দিনগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মনির ও মো. আবদুল্লাহ। আহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার আসে। অপরদিকে বাকলিয়া থেকে মোটরসাইকেলযোগে আরেক পক্ষ এসে প্রাইভেট কারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
তিনি বলেন, কারা কেন গুলি করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
জানখুর-দশলাল মানব কল্যাণ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শাখাহার ইউনিয়নের জানখুর পাড়ায় ৫০ পরিবারের মাঝে এসব ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এ সময় ফাউন্ডেশনের সভাপতি নাজমুস সাকিব খোকনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাজিব সরকারের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাখাহার ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মিসেস মৌলুদা মন্ডল মান্নান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদ ।
এ ছাড়া ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ফরিদুল ইসলাম তারা মন্ডল, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মাহবুবুর রহমান সাজু মন্ডল ও মফিদুল ইসলাম পারভেজ মন্ডল উপস্থিত ছিলেন।
ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাপ মন্ডল, সহ-সভাপতি মাসুম পারভেজ সরকার, সহ-সভাপতি মেহেরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আবদুল্লাহ আল মামুন, সহ-সভাপতি রিমন সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরশাদ রহমান শাকিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমানুর রহমান আমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রাব্বি।
সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আলম সরকার, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাইদুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদ হাসান, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সহ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শাফিউল ইসলামসহ ফাউন্ডেশনের অন্যান্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
চুরি-ছিনতাই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়ে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেই জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে র্যাব।
শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় চেকপোস্ট ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে এসব তথ্য জানান তিনি।
জয়পুরহাটে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ইফতার মাহফিল পণ্ডের অভিযোগ
তিনি বলেন, পুরো রমজান মাস জুড়েই র্যাব তৎপর ছিল, এই কার্যক্রম ও চেকপোস্ট ঈদ পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঈদের পর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নারী ও শিশুদের একটা ভিড় থাকে সেই সময়ও যেন অপরাধীরা কোনো অপরাধ তৎপরতা পরিচালনা করতে না পারে, প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে সজাগ দৃষ্টি রাখছে র্যাব।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ঈদসহ যেকোনো উৎসবে এলেই অপরাধীরা তৎপর হয়ে ওঠে। অপরাধ তৎপরতা রোধে এলিট ফোর্স র্যাব সবসময়ই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দেশের বিভিন্ন জায়গায় সড়ক মহাসড়কে টহল ও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম করে আসছে।
র্যাব মহাপরিচালক আরো বলেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে অনেক অপরাধীকে র্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।
কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
এ সময় র্যাব ১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।