চট্টগ্রামের বাকলিয়ার এক্সেসেস রোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার দিনগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চট্টগ্রামের বাকলিয়ার এক্সেসেস রোডে দুর্বৃত্তের গুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন। শনিবার দিনগত রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। এতে একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- মনির ও মো. আবদুল্লাহ। আহত ব্যক্তির নাম জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রাত ২টা ২০ মিনিটের দিকে নতুন ব্রিজ এলাকা থেকে একটি প্রাইভেট কার আসে। অপরদিকে বাকলিয়া থেকে মোটরসাইকেলযোগে আরেক পক্ষ এসে প্রাইভেট কারকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে।
তিনি বলেন, কারা কেন গুলি করেছে তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
সম্পর্কিত খবর
ময়মনসিংহের নান্দাইলে এসআরবি ব্রিকস ইটভাটায় জিম্মি থাকা ২০ জন শ্রমিককে উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রাম এলাকায় এসআরবি ব্রিকস ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় ইটভাটা থেকে বিল্লাল হোসেন ও জাকারিয়া নামে দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসআরবি ব্রিকস নামক ইটভাটায় শ্রমিকরা কাজ করে আসছিল।
অভিযোগ পেয়ে বুধবার সন্ধ্যায় যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে জিম্মি থাকা ২০ শ্রমিককে উদ্ধার ও ইটভাটার মালিক পক্ষের দুজনকে আটক করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসআরবি ব্রিকসের মালিক রুহুল আমিন শ্রমিক জিম্মির বিষয়টি এড়িয়ে যান।
কুমিল্লায় পূর্ব বিরোধের জেরে হামলায় গুরুতর আহত ইউনুস মিয়া নামে এক যুবক মারা গেছেন। বুধবার (২ এপ্রিল) কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত ইউনুস মিয়া কোতয়ালী মডেল থানার সাহেবনগর উত্তরপাড়া গ্রামের সুলতান আহমেদের ছেলে।
পুলিশ জানায়, প্রতিবেশী ছেতু মিয়ার ছেলে মো. ইউনুসের পরিবারের সঙ্গে নিহত যুবক ইউনুসের পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল।
কোতোয়ালি থানার ক্যান্টনমেন্ট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক হোসেন জানান, উভয় পরিবারের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে মঙ্গলবার ইউনুস মিয়াকে বেধড়ক লাঠিপেটা করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুরে ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া সাবেক এমপি শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায়ও হামলা হয়েছে।
এর আগে সিলেটে ফের ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ। এবার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের অনুসারীরা এ মিছিল বের করেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) নগরের ধোপাদীঘিরপাড় এলাকায় মিছিলটি বের করা হয়। এ ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশ ৪ জনকে আটক করেছে।
ছাত্রলীগের মিছিলের ঘটনার পর সন্ধ্যায় শফিউল আলম চৌধুরী ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, বুধবার সকালে নগরের ধোপাদীঘিরপাড় এলাকা থেকে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল ছাত্রলীগের ব্যানারে মিছিল বের করে।
এ ব্যাপারে সিলেটের মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘মিছিলের ব্যাপারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে জেনেছি। তাদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
বাসায় হামলা, ভাঙচুর : আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এবং মৌলভীবাজার-২ (কুলাউড়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল এবং সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায় হামলা হয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নগরের হাউজিং এস্টেট এলাকায় শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায় সন্ধ্যার পর বেশ কয়েকজন মিছিল সহকারে এসে ঢুকে পড়ে। এসময় তারা বাসার সিসি ক্যামেরা, ল্যাপটপ ভাঙচুর করে।
প্রায় একই সময়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরের পাঠানটুলা এলাকায় সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর বাসায়ও হামলার ঘটনা ঘটে। একইভাবে হামলাকারীরা বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পৃথক দু’টি হামলার ঘটনায় কেউ আহত হয়নি।
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আনিসুর রহমান বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা শফিউল আলম চৌধুরী নাদেলের বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুনুর রশিদ বলেন, আনোয়ারুজ্জামানের বাসায় হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। শুনেছি বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা এই হামলা চালিয়েছে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব বলেছেন, গত ১৭ বছর দেশের মানুষের বাকস্বাধীনতা ছিল না। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে দেশের মানুষ কথা বলার অধিকার ফিরে পেয়েছে। এখন মানুষ একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। যে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা পাবে।
মির্জাপুরের বিভিন্ন গ্রাম থেকে যারা বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে মির্জাপুরের স্বার্থে তাদেরকে একতাবদ্ধ থাকতে হবে। মির্জাপুরের উন্নয়নে সকলে মিলেমিশে কাজ করে এগিয়ে যেতে হবে। দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা লেখাপড়া করে ভতিষ্যতে তারাই দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিয়ে থাকে। নবীন শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে নেতৃত্ব দিয়ে মির্জাপুরসহ সারাদেশকে এগিয়ে নিতে ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলা সদরের গোল্ডেন স্পুন নামের একটি ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টে মির্জাপুরস্থ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ছাত্রদলের সাবেক নেতা রফিকুল ইসলাম ও শামসুজ্জামান লিটনসহ শতাধিক প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে সাইদুর রহমান সাঈদ সোহরাব পৌর এলাকার জহুরবাড়ি দলীয় কার্যালয়ে বিএনপি নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে ঈদ পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।