ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ০৬ এপ্রিল ২০২৫
২৩ চৈত্র ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ভারতের সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে : দেবপ্রিয়

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতের সংখ্যালঘু অধিকার লঙ্ঘনের প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে : দেবপ্রিয়

বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘নয়াদিল্লির মনে রাখা উচিত তাদের দেশে মুসলিমসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিরূপ প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে।’

ভারতের পাক্ষিক ম্যাগাজিন ফ্রন্টলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটি মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ম্যাগাজিনটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে।

ফ্রন্টলাইনের এক প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, ‘সংখ্যালঘু নির্যাতনের ঘটনা গণনার একাধিক উপায় আছে।

কেউ অস্বীকার করে না যে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিদায়ের পর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যথেষ্ট অবনতি হয়েছে। পুলিশ বাহিনী বিপর্যস্ত ছিল। কিছু সময়ের জন্য নিরাপত্তা রক্ষার দায়িত্ব সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর হাতে চলে গিয়েছিল, তবে পরিস্থিতি অস্থির ছিল।’

উপরন্তু বাংলাদেশের অনেক ধর্মীয় সংখ্যালঘু ঐতিহাসিকভাবে তৎকালীন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগকে সমর্থন করেছে।

সুতরাং কিছু ক্ষেত্রে কোনো হিন্দু ব্যক্তির ওপর হামলা তার ধর্মের কারণে ছিল নাকি আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক সমর্থক হওয়ার কারণে ছিল, তা আলাদা করা কঠিন। তবে আরেকটি দিক বিবেচনা করার আছে। বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা—যেমন হিন্দু ও বৌদ্ধরা ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ। একইভাবে ভারতের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা—যেমন মুসলমানরা বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ।

সুতরাং ভারত যখন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে হওয়া আচরণ নিয়ে মন্তব্য করে, তখন দেশটিকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে তার নিজের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী আচরণ হচ্ছে, সেটাও অন্যরা খতিয়ে দেখছে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একজন সদস্য হয়ে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলাদেশে নিরাপদ কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি হয়তো এ প্রশ্নের জন্য সেরা উদাহরণ নই। আমি দুইবার ভারতে শরণার্থী হয়েছিলাম। প্রথমবার, ১৯৬০-এর দশকের দাঙ্গার পর—১৯৬৪ থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়বার ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়। কিন্তু আমার মা-বাবা কখনোই বাংলাদেশ ছেড়ে যাননি।

আমি ফিরে এসেছি, আমার মাতৃভূমিতে বিনিয়োগ করেছি এবং এখানেই আমার জীবন গড়েছি। আমি আমার দেশের জন্য অবদান রাখতে গিয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক পদ ছেড়ে দিয়েছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমার পরিবারের বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আমার মা আওয়ামী লীগের একজন সংসদ সদস্য ছিলেন এবং আমার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিযুক্ত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ছিলেন। কিন্তু এই ব্যক্তিগত সম্পর্কগুলো আমার পেশাদারি এবং তথ্যভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবিত করে না।’

ব্যক্তিগতভাবে আমি বাংলাদেশে থাকার ঝুঁকিগুলো মেনে নিয়েছি। তবে আমি বিশ্বাস করি যে পরিচয়ভিত্তিক রাজনীতি যেখানে একটি ভূমিকা রাখে, এমন যেকোনো দেশের যেকোনো নাগরিকের জন্যই এ ধরনের ঝুঁকি বিদ্যমান। আমি আরো বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের সমাজের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবাধিকার এবং সব সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের—হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ, পার্বত্য চট্টগ্রামের জাতিগত সংখ্যালঘু এবং সমতলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর—সুরক্ষার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্ভুক্তির প্রতি এই অঙ্গীকারই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি।

বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলোর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতার পরিবর্তে বহুত্ববাদকে প্রতিষ্ঠিত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এ বিষয়ে দেবপ্রিয় বলেন, ‘বিষয়টি এখনো আলোচনার টেবিলে। এই পর্যায়ে অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া দেখানো অপরিণত কাজ হবে, কারণ এটি এখনো পর্যালোচনাধীন।’

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিতে অটল : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

ইউএনবি
ইউএনবি
শেয়ার
মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ প্রতিশ্রুতিতে অটল : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে মানবপাচার সংক্রান্ত বিমসটেকের সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় উপস্থিত সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সদস্যরা। ছবি: সংগৃহীত

মানবপাচার রোধে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেছেন, মানবপাচার বন্ধ করতে বাংলাদেশ তার প্রতিশ্রুতিতে অটল রয়েছে। এ বিষয়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠাসহ শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রস্তুত করে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার কাজ করে যাচ্ছে। 

রবিবার (৬ এপ্রিল) রাজধানীর হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের সুরমা হলে মানবপাচার সংক্রান্ত বঙ্গোপসাগরীয় দেশগুলোর আঞ্চলিক সহযোগিতা জোটের (বিমসটেক) সাব-গ্রুপের তৃতীয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন
৮ দফা দাবিতে নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

৮ দফা দাবিতে নোয়াখালী কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

 

উপদেষ্টা বলেন, মানবপাচারে জড়িতদের জবাবদিহি করার জন্য শক্তিশালী আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করে পাচারের বিপদ সম্পর্কে সংশ্লিষ্টদের সচেতন করার করার জন্য বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক প্রচার চালানো হচ্ছে। 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, মানবপাচার মোকাবিলায় জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন, মানবপাচারের শিকার ভুক্তভোগীদের দক্ষতার সঙ্গে শনাক্তকরণ ও তাদের চাহিদা মূল্যায়ন করে যথাযথ সেবা দেওয়ার জন্য একটি জাতীয় রেফারেল ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। অনলাইনে তৈরি এই প্লাটফর্মে সেবাদাতাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীদের সংযুক্ত করা হবে।

আরো পড়ুন
মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসের ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসের ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

 

পাশাপাশি মানবপাচার সংশ্লিষ্ট বিচারকাজ দ্রুত শেষ করার জন্য একটি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে বলে জানান জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

বিমসটেক জোটের সদস্য দেশগুলোসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে মানবপাচার রোধে একসঙ্গে কাজ করার জন্য পারস্পরিক আইনি সহায়তা ব্যবস্থা আরো বিস্তৃত করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।

এ সময় মানবপাচার বন্ধ করতে বিমসটেকের অন্যান্য দেশগুলো যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে সে সম্পর্কিত অভিজ্ঞতা অবগত হয়ে দেশের পাচারাবিরোধী কৌশল আরো শক্তিশালী করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

আরো পড়ুন
বালোচ কর্মীদের আটক নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ

বালোচ কর্মীদের আটক নিয়ে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে উদ্বেগ

 

উপদেষ্টা বলেন, পাচার রোধে সরকারের পদক্ষেপগুলো এড়িয়ে চলতে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন কৌশল গ্রহণ করে পাচারকারীরা।

তারা সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠীর অর্থনৈতিক সংকট ও দারিদ্র্যকে কাজে লাগায়। এ কাজে প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে তাদের গোপন কার্যকলাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য অভিবাসন রুটগুলোকে কাজে লাগাতে থাকে।

এই অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একটি সম্মিলিত ও কৌশলগত কর্মপদ্ধতি প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপদেষ্টা বলেন, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে গোয়েন্দা তথ্য ও সেবার বিনিময়ের মাধ্যমে একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিমসটেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

আরো পড়ুন
লিখন চরিত্রটা না করতে পারলে আফসোস থেকে যেত: সুনেরাহ

লিখন চরিত্রটা না করতে পারলে আফসোস থেকে যেত: সুনেরাহ

 

তিনি আরো বলেন, পারস্পরিক অভিজ্ঞতা বিনিময় ও সম্মিলিত প্রয়াস আমাদের পাচার বিরোধী কৌশলকে আরো শক্তিশালী করতে সক্ষম করবে।

এ সময় আগামী দুই বছরের জন্য বাংলাদেশকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব পালনের জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

সভায় বিমসটেকভুক্ত সাত সদস্য দেশের (বাংলাদেশ, ভারত, মায়ানমার, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, নেপাল ও ভুটান) মানবপাচার সংক্রান্ত সাব-গ্রপের সংশ্লিষ্ট সদস্যরা অংশ নেন। 

মন্তব্য

মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসের ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসের ই-পাসপোর্ট সেবা চালু

মিসরে বাংলাদেশ দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (৫ এপ্রিল) দূতাবাসে ই-পাসপোর্ট সেবার উদ্বোধন করা হয়। মিসরের বাংলাদেশ দূতাবাস এ তথ্য জানায়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মিসরে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সামিনা নাজ। এছাড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মাদ নুরুস ছালাম। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ই-পাসপোর্টের কয়েকটি আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং অনুষ্ঠানের অথিতিরা আবেদনকারীদের হাতে ডেলিভারি স্লিপ তুলে দেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত বাংলাদেশি শিক্ষকরা, আন্তর্জাতিক সংস্থায় কর্মরত বাংলাদেশি কর্মকর্তা, মিসরের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি।


 

মন্তব্য

শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শহীদ মিনারে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অবস্থান

দুই দফা দাবিতে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। আজ রবিবার সকাল ৯টা থেকে ‘বিডিআর কল্যাণ পরিষদ’ ব্যানারে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা। সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত চলবে তাদের এ কর্মসূচি। 

পরিষদ বলছে, তারা ২০০৯ সালে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে সাবেক বিডিআরের (বর্তমান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ–বিজিবি) ক্ষতিগ্রস্ত সদস্যদের প্রতিনিধিত্ব করে।

 

পরিষদের দুই দফা দাবি হলো, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের সব সুযোগ–সুবিধাসহ চাকরিতে পুনর্বহাল করা এবং জামিন পাওয়ার পরও মুক্তি না পাওয়া বিডিআর সদস্যদের মুক্তি দেওয়া।

এর আগে গতকাল শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আজ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় পরিষদ।
 

মন্তব্য

লাইসেন্স পেতে পারে ই-রিকশা, আইন সংশোধনের সুপারিশ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লাইসেন্স পেতে পারে ই-রিকশা, আইন সংশোধনের সুপারিশ
ছবি: কালের কণ্ঠ

ব্যাটারিচালিত তিন চাকার (ই-রিকশা) রিকশার লাইসেন্স বা চলাচলের অনুমতি দিতে যাচ্ছে সরকার। এ লক্ষ্যে বিদ্যমান স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯ সংশোধনীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত আইনে তিন চাকার রিকশাকে ‘সাধারণ যানবাহন’ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

 

গত মার্চে অনুষ্ঠিত এ-সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে ঢাকা মহানগরীতে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলসংক্রান্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তবে লাইসেন্স দেওয়ার কথা বললেও নির্দিষ্ট দূরত্বে কত টাকা ভাড়া হবে তা বলা হয়নি। জাতীয় সংসদ বহাল না থাকায় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে এই সংশোধনী করা হতে পারে।

আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে দায়ের করা সিভিল মিস, পিটিশন (নম্বর ৮৭১/২০২৪) নির্দেশনা অনুযায়ী যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সিটি করপোরেশন অধিক্ষেত্রে তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে এসব যানবাহনকে লাইসেন্স (চলাচলের অনুমতি) দেবে সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন।

 

সভায় বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের অনুচ্ছেদ ১৯.২-এ প্রস্তাবিত ‘তবে শর্ত থাকে যে, তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অনুরূপ যানবাহন মোটরগাড়ি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবে না’ বিধানের পরিবর্তে ‘তিন চাকার স্বল্পগতির ব্যাটারিচালিত রিকশা (ই-রিকশা) ও অনুরূপ যানবাহন সাধারণ যানবাহন হিসাবে গণ্য হবে’ বিধান প্রতিস্থাপন করার সুপারিশ করে অধ্যাদেশে সাধারণ যানবাহনের সংজ্ঞা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের ১৯.২-এ বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি করপোরেশনের দেওয়া লাইসেন্স ছাড়া নগরীতে (মোটরগাড়ি ছাড়া) অন্য কোনো সাধারণ যানবাহন রাখতে, ভাড়া দিতে বা চালাতে পারবেন না।

তবে বিদ্যমান আইনের তৃতীয় তফসিলের ১৯.৩ অনুযায়ী সিটি করপোরেশন, সরকারের পূর্ব অনুমোদন নিয়ে এবং প্রবিধানের আওতায় নির্ধারিত পদ্ধতিতে সাধারণ যানবাহনের ভাড়া নির্ধারণ করতে পারবে এবং কোনো ব্যক্তি এরূপ নির্ধারিত ভাড়ার অধিক ভাড়া দাবি করতে পারবে না বলে বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে এ-সংক্রান্ত বিষয়ে এখনো কোনো কিছু নির্ধারণ বা প্রস্তাব করা হয়নি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ