ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, শনিবার ১২ এপ্রিল ২০২৫
২৯ চৈত্র ১৪৩১, ১২ শাওয়াল ১৪৪৬

চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
চিকিৎসার জন্য স্ত্রীসহ সিঙ্গাপুর গেলেন মির্জা ফখরুল
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে গেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমও সঙ্গে রয়েছেন।

বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি জানান, আজ রবিবার সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তারা সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘সিঙ্গাপুরে ডাক্তার দেখানোর শিডিউল আছে মহাসচিব স্যারের। এক সপ্তাহ পর ঢাকায় ফিরবেন তিনি।’

জানা গেছে, কয়েক বছর আগে মির্জা ফখরুলের ঘাড়ে ইন্টারনাল ক্যারোটিড আর্টারিতে ব্লক ধরা পড়ে এবং তার গলার ধমনিতে রক্ত চলাচলেও জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তখন সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে তার চিকিৎসা হয়।

তাকে চিকিৎসার ফলোআপের জন্য সিঙ্গাপুরের ওই হাসপাতালে যেতে হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

পেটের ক্ষিধে ঠিকমতো মিটলে রাজনীতি সুন্দর হবে : সারজিস

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
শেয়ার
পেটের ক্ষিধে ঠিকমতো মিটলে রাজনীতি সুন্দর হবে : সারজিস
ছবি: কালের কণ্ঠ

‘পেটের ক্ষিধে ঠিকমতো মিটলে রাজনীতি সুন্দর হবে এবং পেটে ক্ষিধে রেখে সুন্দর রাজনীতির সংস্কৃতি নিয়ে আসা সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয নাগরিক পার্টির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। 

শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে তিনি পঞ্চগড় জেলা শহরের অদূরে জেলা প্রশাসন ইকো পার্কে মাশরুম ও মুক্তা চাষ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন
বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে : প্রধান বিচারপতি

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে : প্রধান বিচারপতি

 

এ সময় তিনি বলেন, গতানুগতিক কৃষি করতে করতে কৃষকরা এখন ক্লান্ত। এখানে ঠিকমতো না আছে উপার্জন না আছে কোন নিশ্চয়তা।

তাই কৃষির পাশাপাশি আমাদের বিকল্প কিছু ভাবতে হবে। এই এলাকার অনেক মানুষ আছে যারা জমি বিক্রি করে হলেও ১০ লাখ টাকা দিয়ে পিয়নের চাকরি নিতে করতে চাইবে। একদিকে এটা ঘুষ, দ্বিতীয় মেধার লড়াই থাকছে না। তৃতীয়ত এখান থেকে সৎ পথে কখনো স্বচ্ছল জীবন ধারণ করা সম্ভব নয়।
আমরা যদি ১০ থেকে ২০ লাখ টাকার মূল ধন নিয়ে কোন ব্যবসায় যাই তাহলে সাবলম্বী হয়ে উঠার সুযোগটা এখানে বেশি। 

ভারতের ট্রান্সশিপমেন্ট বাতিলের বিষয়ে তিনি বলেন, কেউ যদি অযৌক্তিকভাবে আমাদের সুবিধা বঞ্চিত করে দেশ হিসেবে বাংলাদেশ তার বিকল্প খুঁজে নিবে। বাংলাদেশ ভারত দুটি পাশাপাশি দেশ। কখনো এই দুটি দেশ মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাবে আমরা এটি প্রত্যাশা করি না।

কিন্তু ভারতের কাজ ও তারা বাংলাদেশকে কিভাবে দেখছে এই জিনিসগুলোই ভারতের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক নির্ধারণ করবে। কোন কিছু কখনো থেমে থাকে না। বিশ্বায়নের এই সময়ে সবকিছুরই বিকল্প রয়েছে। এভাবে কিন্তু পৃথিবীর পরাশক্তি অনেককে চেপে ধরার চেষ্টা করেছে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা বন্ধ করে দিয়ে কিন্তু দিন শেষে ওই ছোট ছোট শক্তিগুলো বিকল্প অসংখ্য পথের মধ্য দিয়ে শক্তিশালী হয়েছে। আমরা মনে করি শুধু ভারত নয় পৃথিবীর যেন কোন দেশই যদি তাদের জায়গা থেকে বাণিজ্যিক চুক্তি বা সুযোগ সুবিধার জায়গায়  আমাদেরকে এভাবে চেপে ধরার চেষ্টা করে আমরা মনে করি পুরো বিশ্ব আমাদের জন্য খালি রয়েছে।
আমরা বিশ্বের অন্য জায়গা যেখানে সমতা ও শ্রদ্ধার সম্পর্ক রেখে আমরা সুন্দর একটি বাণিজ্যিক সম্পর্ক গড়তে পারবো আমরা সেদিকে যাবো। আমরা বিশ্বাস করি ভারত রাজনৈতিক দল হিসেবে নয় একটা দেশ হিসেবে ফাংশন করবে এবং দেশ হিসেবে আরেক দেশের সাথে বাণিজ্যিক চুক্তি করবে এবং সেগুলো বজায় রাখবে।  

আরো পড়ুন
বিএনপি সভাপতি, সম্পাদককে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

বিএনপি সভাপতি, সম্পাদককে বহিষ্কারের দাবিতে বিক্ষোভ

 

শামসুজ্জামান দুদু যে মন্তব্য করেছেন তা নিয়ে তিনি বলেন, দুদু ভাই যে মন্তব্য করেছেন তা তার ব্যক্তিগত মন্তব্য দল হিসেবে বিএনপির নয়। তারা আমাদের রাজনীতির সিনিয়র তাদের দেখে আমরা শিখবো। কিন্তু তারা যদি তাদের অনুজদের সামনে রেখে  প্রতিহিংসামূলক কথা বলার সংস্কৃতি আবার তৈরি করেন যেমনটি শেখ হাসিনা ড. ইউনুস ও খালেদা জিয়াকে ছোট করে কথা বলতেন যা রাজনৈতিক দলগুলোর সম্পর্ক নষ্ট করে ফেলেছিল আমরা একই সংস্কৃতি তাদের মাধ্যমে আর দেখতে চাই না। লেখাপড়ার পরিবেশ একেবারে শেষ হয়ে গেছে বা নষ্ট হয়ে গেছে তা ঠিক নয়। তবে কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে এখন যারা কথা বলছেন এই মানুষগুলো আর স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন কিনা তার নিশ্চিয়তা ছিলো না। এই ছাত্রদের এতো ত্যাগ এতো রক্তের পরেই কিন্তু এই অভ্যুত্থান এবং এই মানুষগুলো এখন বুক ফুলিয়ে কথা বলতে পারছে। আগামীতে যেই রাজনৈতিক দল নেতৃত্বে আসুক না কেন যে ছাত্ররা এই অভ্যত্থানে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে তাদের প্রতি এতোটুকু শ্রদ্ধা প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিবর্গের থাকা উচিত। বিএনপি বড় দল হিসেবে এই প্রত্যাশা আরো বেশি। 

নববর্ষ নিয়ে সারজিস বলেন, শো অফের জন্য যেন বাইরের যে অপসাংস্কৃতিগুলো রয়েছে তা যেন আমরা এই একটা সংস্কৃতির অংশ না বানিয়ে না দেই। একজনের সংস্কৃতির অন্যজনের উপর চাপিয়ে দেয়ার কাজও যেন আমরা না করি। সবার সংস্কৃতির উপর আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করতে হবে। নববর্ষে আমাদের এলাকায় হালখাতা হতো, উৎসবের মতো আমেজ থাকতো। আমাদের এলাকায় ইলিশ এতো সহজলভ্য ছিলো না। আমি বাড়িতে পহেলা বৈশাখে ইলিশ খেয়েছি এমন হয় নি। তবে বাড়িতে পান্তা ভাত, সিঁদলের ভর্তা, পেলকা ও তিতারি শাক রান্না হতো।  

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক সাবেত আলী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু, জেলা জামায়াতের আমির ইকবাল হোসাইন ও প্রশিক্ষক ড. নজরুল ইসলামসহ প্রশিক্ষনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার আহ্বান

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার আহ্বান
সংগৃহীত ছবি

প্রয়াত ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী শুক্রবার তাঁর স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে এ দাবি জানান গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান।

এদিন সন্ধ্যা ৭ টায় গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয়ে এই দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিলে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর জীবনের স্মৃতিচারণ করা হয়।

কর্মজীবনে ডা. জাফরুল্লাহ অবদান নিয়ে আলোচনা করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ।

আরো পড়ুন
‘৫ বছরের ম্যান্ডেট দিন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেব’

‘৫ বছরের ম্যান্ডেট দিন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেব’

 

দোয়া মাহফিলে গণঅধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন গরীবের ডাক্তার। বিগত আওয়ামী সরকার তাকে বারবার অসম্মানিত করেছে, মিথ্যা মামলা পর্যন্ত দিয়েছে। কিন্তু আফসোস, তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা দেওয়া হলো না, কোনো দোয়া মাহফিলের আয়োজন হলো না।

তিনি বলেন, ‘আমরা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে জাতীয় বীর ঘোষণার দাবি জানাচ্ছি।’

দলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন বলেন, ‘গণতন্ত্র এবং ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর অবদান অপরিসীম। ২০১৮ সালের ভোট চুরির নির্বাচনের পর যখন কেউ কথা বলার সাহস পেতো না তখন ভোটাধিকার নিয়ে কথা বলতেন ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। আজ হতাশা নিয়ে বলতে হচ্ছে, তাঁর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয়ভাবে কিছুই করতে দেখা যায়নি।

দলটির উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সব সময় মানুষের পক্ষে ছিলেন, গণতন্ত্রের পক্ষে ছিলেন। এমনকি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তিনি রাজপথেও শামিল হয়েছিলেন। ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী মৃত্যুবার্ষিকীতে তাকে স্মরণ করে অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার কোনো আয়োজন করেনি, এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক।’

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য শাকিল উজ্জামানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য দেন- দলের কেন্দ্রীয় নেতা জিলু খান, আনিসুর রহমান মুন্না, আশরাফুল হাসান তপু, শাহজাহান চৌধুরী, মনির মওলা, আলাউদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা সানাউল্লাহ প্রমুখ।

মন্তব্য

ড. ইউনূসে লাভ কী, সারজিসেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত : দুদু

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসে লাভ কী, সারজিসেরই প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত : দুদু
শামসুজ্জামান দুদু। ফাইল ছবি

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘এতবড় গণ-অভ্যুত্থান আমরা সংঘটিত করেছি। আমাদের ছেলেমেয়েরা এক সাগর রক্ত দিয়েছে। সেটিকে রক্ষা করতে হবে, দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। এখন জরুরি কাজগুলো করে নির্বাচন দিতে হবে।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিয়ে শামসুজ্জামান দুদু এসব কথা বলেন।

সরকারের ৫ বছর থাকা নিয়ে সঞ্চালক জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টানলে দুদু বলেন, ‘এই সরকারের ৫ বছর, ১০ বছর থাকার কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ঠিক না। এতে বিপদ হতে পারে আমাদের।’

তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় তারই (সারজিস আলম) প্রধানমন্ত্রী হওয়া উচিত; ড. ইউনূস এলে লাভ কী, সে যখন বুঝতে পেরেছে।

সবকিছু নিয়ে ছেলেমানুষি করা ঠিক হবে না। নির্বাচন করলে ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি মনে করেন, ৫ বছর কেন মানুষ ভোট দিলে ১০ বছর থাকবেন।’

বিএনপির এই ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘নির্বাচন ছাড়া ৫ বছর তাকে কীভাবে রাখব? ভোট করার মতো অবস্থা নেই, কম সংস্কার, বেশি সংস্কার; এই বিষয়গুলো আমার কাছে হাস্যকর মনে হয়। নব্বই গণ-অভ্যুত্থানের পর একটা সাংবিধানিক সরকারই ছিল, ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব হয়েছে।

এটাও সাংবিধানিক সরকার। দুটো ৯০ দিন চলে গেল। অর্থাৎ, একটি বিদায়ী সরকারের ৯০ দিনের মধ্যে আরেকটা নির্বাচিত সরকার আসার কথা। সেটি নেই। এদের মাথায় এগুলো কাজ করছে না।

তিনি বলেন, ‘সারজিস আলম একটি রাজনৈতিক দলের দায়িত্বশীল। ভারত কী চায় এটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে বড় ঘটনা না। তারা কী জিনিস তা আমরা ৫২ বছরে বুঝেছি। এখন গুরুত্বপূর্ণ হলো মানুষকে ক্ষমতায়ন করা। ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। এতে কার্পণ্য করলে বাংলাদেশকে অনিশ্চয়তার মধ্যে নিয়ে যাবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচন সুষ্ঠু করতে যে পরিবর্তন দরকার, সেটা করে নির্বাচন দিতে হবে। ৮ মাসে রোডম্যাপও পাওয়া গেল না। আওয়ামী লীগের রাজনীতি-নির্বাচন অনেক পরের ব্যাপার, তারা যে নিপীড়ন-নির্যাতন করেছে তারা বের হলেই মানুষ ধরবে।’

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘এই দেশে মুসলিম লীগ পাকিস্তান সৃষ্টি করেছিল ও বড় আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে। কিন্তু প্রথম নির্বাচনের পরেই তারা ধুয়েমুছে গিয়েছিল। ১৯৫৪ এর নির্বাচনে আমরা দেখেছি। আওয়ামী লীগ তো একবার শেখ মুজিবের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। এবার শেখ হাসিনা বাকিটুকু শেষ করেছে।’

মন্তব্য

‘৫ বছরের ম্যান্ডেট দিন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেব’

সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
সদর দক্ষিণ-লালমাই (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
শেয়ার
‘৫ বছরের ম্যান্ডেট দিন, দুর্নীতিমুক্ত দেশ উপহার দেব’
সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও কুমিল্লা-১০ আসনে জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ ইয়াছিন আরাফাত বলেছেন, আগামী দিনের রাজনীতি হবে সুস্থ ধারার, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, দখলদারি, দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত রাজনীতি। মাত্র ৫ বছরের জন্য আমরা ম্যান্ডেট চাই। কথা দিচ্ছি দুর্নীতিমুক্ত, দুঃশাসনমুক্ত রাষ্ট্র উপহার দেব, ইনশাআল্লাহ। 

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) রাতে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার আটিটি বাজারে জামায়াতের ইউনিয়ন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

 

আরো পড়ুন
জমি দখল করে বিএনপি কার্যালয় নির্মাণচেষ্টার অভিযোগ

জমি দখল করে বিএনপি কার্যালয় নির্মাণচেষ্টার অভিযোগ

 

তিনি বললেন, আমরা দেখেছি যখন বাংলাদেশ দুর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তখন অণুবীক্ষণ যন্ত্র দিয়েও জামায়াতে ইসলামীর ২ জন মন্ত্রীর ৩ টি মন্ত্রণালয়ে ১ টাকার দুর্নীতিও কেউ বের করতে পারেনি। আস্থা রাখতে চাই, প্রধানমন্ত্রীসহ সকল মন্ত্রণালয় যদি জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া হয় ১ টাকার দুর্নীতিও জামায়াতে ইসলামী করবে না। 

পেরুল দক্ষিণ ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. হায়াতুন্নবীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন- কুমিল্লা-৯ আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ড. সৈয়দ সরওয়ার উদ্দিন সিদ্দিকী, জেলা জামায়াতের অফিস সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সরওয়ার মজুমদার কামাল, লালমাই উপজেলা আমির মাওলানা আব্দুন নূর, সেক্রেটারি মাওলানা মু. ইমাম হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মফিজুল ইসলাম, মু. কামাল হোসেন, কবি ফারুক আহমেদ, মেসবাহুল ইসলাম, বাগমারা দক্ষিণ ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা নঈম উদ্দিন সিদ্দিকী, পেরুল উত্তরের আমির ডা. জাহাঙ্গীর আলম, বাগমারা ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি শিল্পী জিয়াউর রহমান প্রমুখ।
 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ