ভাগ্নিকে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা, মামা গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
ভাগ্নিকে ধর্ষণচেষ্টার পর হত্যা, মামা গ্রেপ্তার
ছবি: কালের কণ্ঠ

চট্টগ্রামের চন্দনাইশে পটিয়া সরকারি কলেজের অর্নাস ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আরজু আক্তারকে হত্যার ঘটনায় আরজুর মায়ের আপন খালাত ভাই নাজিম উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (শিল্পাঞ্চল ও ডিবি) মো. রাসেল।

তিনি বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজার জেলার রামু থানার রশিদনগর ইউনিয়নের কাদমার পাড়া দুর্গম পাহাড়ি এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

পুলিশ সুপার আরো বলেন, আরজু আক্তারকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন নাজিম।

আরজু রাজী না হওয়ায় তাকে হত্যা করতে পারে নাজিম। তবে তদন্ত শেষে বিস্তারিত বলা যাবে। সুরতহাল রিপোর্ট ও চিকিৎসকের পরীক্ষায় ধর্ষণ চেষ্টার আলমত পাওয়া গেছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বিস্তারিত জানা যাবে।

পুলিশ জানিয়েছে, পটিয়া সরকারি কলেজের অর্নাস ১ম বর্ষের শিক্ষার্থী আরজু আক্তার গত ৩ এপ্রিল চন্দনাইশ পৌরসভার দক্ষিণ গাছবাড়ীয়া নোয়াপাড়া এলাকায় তার নানার বাড়ি বেড়াতে যায়। একই বাড়িতে গত ৯ এপ্রিল রাত একটার দিকে তার মায়ের আপন খালাত ভাই নাজিম উদ্দিন বেড়াতে আসেন। নাজিম তার খালু আব্দুল হাকিমের সঙ্গে ঘুমাতে যান। আর ভুক্তভোগী আরজু তার নানির সঙ্গে আরেক কক্ষে ঘুমাতে যান।

আবদুল হাকিম রাত দুইটার দিকে টয়লেটে যেতে চাইলে নাজিম উদ্দিন তাকে ঘরের মধ্যে থাকা টয়েলেটে যেতে বাধা প্রধান করে কৌশলে বাইরের টয়লেটে নিয়ে যায়। আরজুর নানা আব্দুল হাকিম টয়লেট থেকে কক্ষে যাওয়ার সময় আরজু আক্তারকে তার নানির কক্ষে দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন।

একপর্যায়ে তাদের বসতঘর সংলগ্ন টয়লেটের দরজা খুলে টয়লেটের মেঝেতে আরজু আক্তারের মুখে ওড়না ঢুকানো এবং গলায় পেঁচানো অবস্থায় মৃত দেহ দেখতে পায়। এই দৃশ্য দেখে তিনি চিৎকার শুরু করলে আব্দুল হাকিম ও তার স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্যে ঘরে থাকা দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান গ্রেপ্তার হওয়া নাজিম । এ ঘটনায় চন্দনাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বিএনপি নেতা মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে বহিষ্কৃত স্কুল শিক্ষিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
বিএনপি নেতা মঞ্জুর এলাহীর স্ত্রীর মর্যাদা চেয়ে বহিষ্কৃত স্কুল শিক্ষিকা
ফাইল ছবি

নরসিংদী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহীর বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগ এনে স্ত্রীর মর্যাদা চেয়েছেন শারমিন রেজোয়ানা নামে এক স্কুল শিক্ষিকা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা এক ভিডিওতে তিনি এই দাবি করেন। এর জেরে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে গত বুধবার ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। 

মঞ্জুর এলাহী নরসিংদী সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান।

তিনি একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে নরসিংদী-৩ (শিবপুর) আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ প্রকাশ পাওয়ার পর রাজনৈতিক অঙ্গন ও সামাজিক মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।

জানা গেছে, নরসিংদীর মাধবদী থানার আলগী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন রেজোয়ানা ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট করেন। এতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মঞ্জুর এলাহীর সঙ্গে তার পরিচয় হয়।

পরিচয়ের এক পর্যায়ে শহরের আজিজ বোডিংয়ের একটি বাসায় নিয়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন মঞ্জুর এলাহী। পরবর্তীতে তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন মঞ্জুর এলাহী। জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ওঠার পর বিষয়টি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। 

এদিকে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগের মধ্যেই খবর বের হয় ভুক্তভোগী নারীর মুখ বন্ধ করতে বিপুল অর্থ খরচ করেছেন প্রভাবশালী ওই শিল্পপতি বিএনপি নেতা।

টাকা দেওয়ার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

এদিকে বিএনপি নেতার সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের অভিযোগ এনে শারমিন রেজোয়ানার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন সাতপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কবির হোসেন ভূঞা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গত ৮ এপ্রিল ওই শিক্ষিকাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিরঞ্জন কুমার রায়।

এর আগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থী হত্যাসহ বিভিন্ন অভিযোগে আদালতে মামলা করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে বাদীকে তুলে নিয়ে মামলা প্রত্যাহার করানোর অভিযোগ রয়েছে মঞ্জুর এলাহীর বিরুদ্ধে। ওই সময় তিনি নিজে আদালতে উপস্থিত থেকে মামলা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় নরসিংদীজুড়ে সমালোচনার সৃষ্টি হয়। অভিযোগ আছে ১১ কোটি টাকা লেনদেনের মাধ্যমে মামলাটি তুলে নেওয়া হয়েছিল।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমেও বন্ধ নেই বালু উত্তোলন

    দক্ষিণ এশিয়ার প্রাকৃতিক একমাত্র মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদী বালু তোলায় দুজনকে একলাখ টাকা অর্থদণ্ড
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমেও বন্ধ নেই বালু উত্তোলন
সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননকেন্দ্র হালদা নদীতে মা মাছের ডিম ছাড়ার মৌসুমেও বন্ধ নেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন। নদী থেকে রাতের অন্ধকারে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলে বাল্কহেড (নৌযান) ভর্তি করার সময় দুজনকে আটক করে একলাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে দিকে হালদা ও কর্ণফুলী নদীর মোহনা রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের কচুখাইন গ্রামের গণি মিয়ার ঘাটে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিসান বিন মাজেদের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন এবং পুলিশের একটি দল উপস্থিত ছিলেন। এতে দুজনকে হাতেনাতে আটকের পর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি

 

জরিমানাপ্রাপ্তরা হলেন- মুহাম্মদ ইউসুফ ও মুহাম্মদ মনিরুল ইসলাম। তারা দুজনেই ভোলার সদর উপজেলার বাসিন্দা।

তারা শ্রমিক হিসেবে বালু তোলায় নিয়োজিত ছিলেন। তবে অভিযানে বালু তোলার ঘটনায় জড়িত মূল হোতাদের কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।

রাউজান উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, ‘হালদা নদী থেকে বালু তোলা এবং ড্রেজার ও বাল্কহেডে পরিবহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসব অবৈধ কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে তীরবর্তী এলাকার কিছু অতি লোভী ব্যক্তি।

অভিযানকালে দুজনকে জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জড়িত না হওয়ার বিষয়ে মুচলেকা নেওয়া হয়েছে।’

মন্তব্য

শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল গ্রেপ্তার

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
শেয়ার
শমশেরনগর ইউপি চেয়ারম্যান জুয়েল গ্রেপ্তার
ফাইল ছবি

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং শমশেরনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুয়েল আহমদকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে ডিবি পুলিশের সহায়তায় কমলগঞ্জ থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরো পড়ুন
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন স্কুলশাখার শিক্ষক

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন স্কুলশাখার শিক্ষক

 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কমলগঞ্জ থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন।

তিনি বলেন, ‘আজ বুধবার দুপুরে তাকে মৌলভীবাজার আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

মন্তব্য

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে পুলিশসহ ৩ মাদক কারবারি আটক

বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি
বিশেষ প্রতিনিধি, কক্সবাজার ও রামু প্রতিনিধি
শেয়ার
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে পুলিশসহ ৩ মাদক কারবারি আটক
ছবি: কালের কণ্ঠ

কক্সবাজারের রামুতে ইয়াবাসহ এক পুলিশ সদস্যসহ তিনজনকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। গতকাল মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) রাতে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয়।

কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর থেকে প্রকাশিত প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার রাতে রামু উপজেলার ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের মন্ডলপাড়ার একটি বাসায় এই অভিযান চালিয়ে ইয়াবাসহ পুলিশ সদস্যসহ তিনজন মাদক কারবারিকে আটক করা হয়। এ সময় তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে ৭ হাজার ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার এবং তাদের ব্যবহৃত প্রাইভেট কার জব্দ করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন স্কুলশাখার শিক্ষক

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন স্কুলশাখার শিক্ষক

 

অভিযানে আটককৃতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ থানার পাঙ্গাস গ্রামের আব্দুল ওয়াদুদ খানের ছেলে রামু থানার ওয়ারলেস অপারেটর জাহিদুল ইসলাম (৩৩), চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার কচুয়াই থানার কমল মুন্সির হাট এলাকার বাবুল চৌধুরীর ছেলে অভিজিৎ চৌধুরী (৩৫) ও চট্টগ্রামের রাউজান উপজেলার বাইন্যারহাট, ডাবুয়া এলাকার নান্টু চৌধুরীর ছেলে পূষন চৌধুরী (৩৭)।

কক্সবাজার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সিরাজুল মোস্তফা বলেন, ‘পুলিশ সদস্য জাহিদুল ইসলাম মন্ডলপাড়া গ্রামে ভাড়া বাসায় ইয়াবা কারবার চালিয়ে আসছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় বাড়িতে সামনে পার্কিং করা প্রাইভেট কার থেকে ৭ হাজার ৫০০টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ