বলিউডর অন্যতম প্রতীক্ষিত চলচ্চিত্র ‘ডন ৩’ আসছে। শাহরুখ খানের ক্লাসিক হিট ডন ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় সিনেমায় এবার কিং খানের জায়গা নিয়েছেন রণবীর সিং। নায়িকা হিসেবে প্রথমে প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার কথা শোনা গেলেও পরবর্তীতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন কিয়ারা আদভানি। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার কারণে সিনেমাটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন কিয়ারা।
প্রিয়াঙ্কা-কিয়ারা বাদ, ডন থ্রি’তে রণবীরের নায়িকা হচ্ছেন যিনি
বিনোদন ডেস্ক

বলিউড হাঙ্গামার প্রতিবেদন অনুসারে, শর্বরী ওয়াঘকে দেখা যাবে ডন থ্রি’তে। একটি সূত্র পোর্টালকে জানিয়েছে, ‘শর্বরী এবং আরও একজন অভিনেত্রীর নাম বিবেচনা করা হয়েছিল। তবে অবশেষে শর্বরীর দিকেই পাল্লা ভারী। এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজনা সংস্থাও শর্বরী ওয়াঘকে পেয়ে খুশি।
বলাই বাহুল্য ২০২৪ থেকেই সময়টা মন্দ যাচ্ছে না শর্বরী ওয়াঘের। তিনি ‘বান্টি ইউর বাবলি ২’ দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তার ‘মুনিয়া’র বক্স অফিস সাফল্য পায়, সিনেমাটিতে ‘তারাস’ গানে শর্বরীর অবতার দর্শকদের মনে ঝড় তুলেছিল।
২০২৫ সালেই মুক্তি পাবে শর্বরীর আরও একটি নতুন সিনেমা যার নাম ‘আলফা’। এটিও অ্যাকশন ঘরানার। এখানে শর্বরীর সঙ্গে দেখা যাবে আলিয়া ভাট ও ববি দেওলের মতো তারকাদের।
সম্পর্কিত খবর

দ্বিজেন্দ্রলাল রায়কে নিয়ে শিল্পকলার আয়োজন কাল
বিনোদন প্রতিবেদক

“ধনধান্য পুষ্পভরা আমাদের এই বসুন্ধরা” - যে গানে বাঙালির মন, আশা ও অহংকার একাকার হয়ে গিয়েছিল সেই গানের স্রষ্টা দ্বিজেন্দ্রলাল রায়। বাংলা কাব্যসঙ্গীতের আধুনিক রূপকারদের মধ্যে তিনি ছিলেন এক অনন্য মহীরুহ। বাংলা গানের পঞ্চ-স্থপতির একজন। তাঁর স্মরণে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের আয়োজনে এবং ভৈরবী গীতরঙ্গ দলের পরিবেশনায় মঞ্চস্থ হতে যাচ্ছে “সুরের দয়াল রায়”।
কাল ২৬ এপ্রিল ২০২৫, শনিবার সন্ধ্যা ৬:৪৫ মিনিটে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে পরিবেশিত হবে “সুরের দয়াল রায়”। পরিবেশনায় গান, কবিতা, নৃত্য ও আলোকমালার ছায়ায় মঞ্চে জেগে উঠবে এক কালজয়ী স্রষ্টার সুর। প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিভাবান শিল্পী একসঙ্গে মঞ্চে তুলে ধরবেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়ের জীবন, দর্শন, দেশপ্রেম এবং তাঁর গানের মহিমা। নাট্য, সংগীত ও নৃত্যের ছন্দে তৈরি হবে এক সাংস্কৃতিক কাব্যগ্রন্থ, যেখানে দর্শক আবিষ্কার করবেন নতুনভাবে পরিচিত এক দ্বিজেন্দ্রলালকে।
প্রযোজনার ভাবনা ও নির্মাণে রয়েছেন তরুণ নির্দেশক ইলিয়াস নবী ফয়সাল। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ফয়েজ জহির।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পক্ষ থেকে সকল শিল্পপ্রেমী, গবেষক, সাংবাদিক, শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের এই সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা উপভোগের আমন্ত্রণ জানানো যাচ্ছে। অনুষ্ঠানটি সকলের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

রিতেশের ছবির শুটিং করতে গিয়ে পানিতে ডুবে নৃত্যশিল্পীর মৃত্যু
অনলাইন ডেস্ক

বলিউড অভিনেতা ও পরিচালক রিতেশ দেশমুখের ছবি ‘রাজা শিবাজি’র শুটিংয়ের সময় সৌরভ শর্মা (২৬) নামে এক নৃত্যশিল্পী পানিতে ডুবে মারা গেছেন। দুই দিন পর বৃহস্পতিবার সকালে তার লাশ পাওয়া যায়।
হিন্দুস্তান টাইমসের খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুম্বাই থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার দূরে সাতারা জেলার কৃষ্ণা ও ভেন্না নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত একটি গ্রাম সঙ্গম মাহুলিতে রিতেশ দেশমুখের ‘রাজা শিবাজি’ ছবির শুটিং চলছিল। সেখানে কোরিওগ্রাফারদের মধ্যে নৃত্যশিল্পী সৌরভ শর্মাও ছিলেন।
খবরে বলা হয়, ওই গানে রঙ ছিটানোর একটা বিষয় ছিল, ফলে সৌরভও রং ছড়িয়েছিলেন। তাই তার হাতে রং লেগেছিল।
পরে মঙ্গলবার রাতে অন্ধকারের কারণে উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে বুধবার সকালে তা পুনরায় শুরু হয়। সারা দিন ধরে চলে অভিযান। কিন্তু নৃত্যশিল্পীর কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল নদী থেকে সৌরভের লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় একটা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
কিংবদন্তি মারাঠি যোদ্ধা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত দ্বিভাষিক মারাঠি এবং হিন্দি ছবি ‘রাজা শিবাজি’। অভিনেতা রিতেশ দেশমুখ ছবিটি পরিচালনা করছেন। ছবিতে তাকে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে।

কিংবদন্তি অভিনেতা আল পাচিনোর জন্মদিন আজ
অনলাইন ডেস্ক

আলফ্রেদো জেমস "আল" পাচিনোর জন্মদিন আজ। ১৯৪০ সালের ২৫ এপ্রিল (আজকের এই দিনে) জন্মগ্রহন করেন একাডেমী পুরস্কার বিজয়ী এ কিংবদন্তিতূল্য মার্কিন মঞ্চ ও চলচ্চিত্র অভিনেতা। তাকে চলচ্চিত্র ইতিহাসের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ হাতেগোনা কয়েকজন অভিনেতার একজন হিসাবে বিবেচনা করা হয়।
চলচ্চিত্রে ব্যাপক উপস্থিতি এবং অভিনীত চরিত্রগুলির বৈচিত্রময়তার দিক দিয়ে বিচার করলে তার জুড়ি হতে পারেন কেবল মার্লোন ব্রান্ডো এবং রবার্ট ডি নিরোর মতো মহান অভিনেতাগণ।
আল পাচিনো নিউ ইয়র্ক সিটি ম্যানহাটন বরয় তার ইতালীয়-মার্কিন মা-বাবা সালভাতোর পাচিনো এবং রোজ গেরার্ডির পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। পাচিনোর বয়স যখন দশ বছর বয়স তখন তাদের বিচ্ছেদ ঘটে। পরবর্তীতে পাচিনো আর তার মা তার নানা-নানি, কেট ও জেমস জেরার্ডির সঙ্গে থাকতে দি ব্রনস, নিউইয়র্কে চলে আসেন।
আল পাচিনোর বাবা ক্যালিফোর্নিয়ার কভিনাতে চলে যান এবং সেখানে একজন বীমা সেলসম্যান হিসেবে কাজ করেন এবং তার নিজস্ব রেস্তোঁরা পাচিনো'স লঞ্জ খোলেন। পাচিনোর ম্যানহাটন’স স্কুল অফ পারফরমিং আর্টস এ ভর্তি হন। সংকটাবস্থার জন্য ১৯৯০ এর শুরুর দিকে “পাচিনো’স” বন্ধ হয়ে যায় যা এখন “সিট্রাস গ্রিল” নামে পরিচিত।
অবিবাহিত এবং চিরকুমার থাকা স্বত্ত্বেও, পাচিনোর তিনটি সন্তান আছে। এদের প্রথমজন জুলি মারি। যার সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত কোচ জ্যান ট্যারাণ্টের সম্পর্ক রয়েছে। তার সঙ্গে অভিনেত্রী বেভারলি ডি, এনজেলোরসম্পর্ক ছিল ১৯৯৬ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত।
গডফাদার ট্রিলজির সহশিল্পী ডায়ান কিটনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল আল পাচিনোর। আর যাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল তারা হলেন- মারথা কেলার, লিনডেল হবস, কেথালিন কুইনলান, টুইসডে ওয়েড।

এত ঠেলাঠেলি-ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না : স্বস্তিকা
অনলাইন ডেস্ক

টালিউড অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি বলেছেন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি ভালো লাগে না। আমি দেহরক্ষী নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে দেহরক্ষী লাগে ঠিকই; কিন্তু তার বাইরে নিজের ছবি দেখতে গিয়ে যদি পিছনে দেহরক্ষী নিয়ে যেতে হয় (কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই) তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো।
বৃহস্পতিবার রাতে সেলফিবাজদের ওপর বিরক্ত হয়ে তিনি ফেসবুকে এক পোস্টে এসব কথা বলেন।
কারণ অনেক জানিয়ে তিনি লেখেন, প্রিমিয়ারে ভিড় বা তারপরের দিন কাগজে কভারেজ দেখে বা তৎক্ষণাৎ সামাজিকমাধ্যমে রিলস দেখে, সিনেমাটা দেখব কিনা এটা কোনো দর্শক নির্ধারণ করেন না। করেন ছবির টিজার, ট্রেলার, পোস্টার দেখে বা যদি ছবির কলাকুশলী দেখে তাদের সিনেমাটা দেখতে ইচ্ছে করে। আমরা যথেষ্ট প্রচার করি, সেটা মানুষকে জানান দেওয়ার জন্যই যে, এই কাজটা আসছে।
অর্ধেক সময়েই ক্রিউ মেম্বারদের ডাকা হয় না।
তিনি লেখেন, বাবার সঙ্গে বাবার অনেক ছবির স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ে গেছি। টগরি দেখতে গিয়েছিলাম নবীনা প্রেক্ষাগৃহে। বাবা এবং সন্ধ্যা রায় ছিলেন সেই ছবিতে। সেখানে সকল কাস্ট ক্রিউ কেই ডাকা হতো।
ক্ষোভ প্রকাশ করে স্বস্তিকা লেখেন, শুধু দেখনদারীতে এসে ঠেকেছে সব। আর খাপ খাওয়ানো যাচ্ছে না। একরাশ বিরক্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার চেয়ে পরে না হয় টিকিট কেটে দেখে নেব। এমনিও অন্যদের সিনেমা টিকিট কেটেই দেখি। এবার থেকে নিজেরটাও তাই করব।
তিনি লেখেন, সবার হাতে ফোন। সমস্ত ফুটেজ ওই ফোনেই তোলা হচ্ছে। কে আসলে মিডিয়া, আর কে ব্লগার, ইনফ্লুয়েন্সার, বোঝার উপায় নেই। কেনই বা তাদেরকে বাইট দেব বা তাদের ফোনে বন্দি হবো জানিনা।
হঠাৎ করে এই শহরে সবাই পাপারাৎসি। আর কোনো ডেকোরাম নেই, কোনো নির্ধারিত জায়গা নেই যেখানে মোবাইল হাতে ফটোগ্রাফাররা দাঁড়াবেন। সবাই গায়ের ওপর উঠে পড়ে, পারলে নাকের ফুটোর মধ্যে মোবাইল গুঁজে দিতে পারলেই ব্যাস বেস্ট রিলটা বানিয়ে ফেলবে। আমার ছবি তুলতে গিয়ে সেদিন ট্রেলার লঞ্চে কেউ একটা আমাকেই ধাক্কা মেরে ফেলে দিল।
বিরক্তি প্রকাশ করে তিনি বেলন, এত ঠেলাঠেলি ধাক্কাধাক্কি পোষায় না। আমি বাউন্সার নিয়ে ঘুরতে অক্ষম, সক্ষম হতে চাই না। রাস্তাঘাটে শুটিং করতে লাগে ঠিকই কিন্তু তার বাইরে নিজের সিনেমা দেখতে গিয়ে যদি পেছনে বাউন্সার নিয়ে যেতে হয়, কারণ মানুষ গায়ে উঠে পড়বেই তাহলে সেখানে না যাওয়াই ভালো। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত, ব্যক্তিগত ডিসিশন। আমায় আর নিমন্ত্রণ করবেন না। মুখের ওপর না বলতে না পারলে হাসি মুখে কাটিয়ে দেব। আমি যে ছবিতে কাজ করব, জীবন উজাড় করে তার প্রচার করব। প্রিমিয়ারে পৌঁছে এক হাজারটা বাইট আর আরো কয়েকশো সেলফি আর বাজে ছবি তুলতে পারছি না। ধন্যবাদ।