ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বুধবার ১৬ এপ্রিল ২০২৫
৩ বৈশাখ ১৪৩২, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৬
চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতি

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২১ পদে বিএনপি-জামায়াত ‘ভাগাভাগি’

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
শেয়ার
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২১ পদে বিএনপি-জামায়াত ‘ভাগাভাগি’
সংগৃহীত ছবি

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ২১ পদের বিপরীতে ২১ জন মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী সমর্থিত প্যানেল ঐক্য পরিষদের আইনজীবী। আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের অভিযোগ, বাধার মুখে তারা মনোনয়ন নিতে পারেননি।

শুক্রবার (১১ এপ্রিল) চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ২১টি পদের জন্য বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা ‘ভাগাভাগি’ করে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

তাদের সবার মনোয়ন বৈধ হয়েছে বলে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে। আগামী ১৬ এপ্রিল সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় তাদের আজ শনিবার বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। সবকটি পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীরা।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা তারিক আহমদ বলেন, ‘সভাপতি ও সম্পাদকসহ ২১ পদের বিপরীতে ২১ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যাচাই-বাছাই শেষে ২১ জনের মনোনয়ন বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। তাদের কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে শনিবার তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক হাসান আলী চৌধুরীসহ ১৪ জন বিএনপি সমর্থিত। আর সহসভাপতি আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুসসহ সাতটি পদ জামায়াত সমর্থিত।

এদিকে বৃহস্পতিবার জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের মনোনয়ন নিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এই বিষয়ে চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। আওয়ামীপন্থী আইনজীবী সভাপতি প্রার্থী আবদুর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী ফখরুদ্দিন চৌধুরীসহ চারজন প্রার্থীর সই করা লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়।

চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের সমন্বয়কারী এএইচএম জিয়া উদ্দিন কালের কণ্ঠকে বলেন, বৃহস্পতিবার দুপুর ও বিকেলে আমরা বেশ কয়েকবার সমিতির লাইব্রেরি থেকে মনোনয়ন ফরম কিনতে গিয়েও বিএনপি ও জামায়াতপন্থী আইনজীবীদের বাধার কারণে মনোনয়ন নিতে পারি নাই। নির্বাচন কমিশনকে ফোন দিয়েছি, রিসিভ করেননি। চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির ইতিহাসে এই ঘটনা আর ঘটেনি।

উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। ভোটের মাত্র ৬ দিন আগে ৪ ফেব্রুয়ারি সেই সময়ের নির্বাচন কমিশনের ৫ সদস্য পদত্যাগ করেছিলেন। তখনো আওয়ামীপন্থী আইনজীবী ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মধ্যে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। তখন তারা পদত্যাগ করেন। এরপর গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সমিতির সাধারণ সভায় ৫ সদস্যের একটি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। পরদিন ১৭ ফেব্রুয়ারি অ্যাডহক কমিটিকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হয়। চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির বিধান অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন উপলক্ষে গত ১৮ মার্চ নির্বাচন কমিশন গঠন করে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

আশুলিয়া সাব রেজিস্টার অফিসে দুদকের অভিযান

সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
সাভার (ঢাকা) প্রতিনিধি
শেয়ার
আশুলিয়া সাব রেজিস্টার অফিসে দুদকের অভিযান
সংগৃহীত ছবি

দলিলে‌ তথ্য গোপন করে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে আশুলিয়া সাব রেজিস্ট্রার অফিসে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তারা সাব রেজিস্টার অফিসের বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি, রেজিস্ট্রিকৃত দলিল যাচাইসহ সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে নানা অনিয়মের সত্যতা পান। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-২ এর সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগের নেতৃত্বে একটি দল আশুলিয়া সাব রেজিস্টার অফিসে এই অভিযান পরিচালনা করেন। 

অভিযান পরিচালনার সময় দুদক কর্মকর্তারা আবাসিক স্থাপনাকে বাগান দেখিয়ে দলিলের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দেয়ার বিষয়ে সত্যতা পায়।

এছাড়াও বিভিন্ন ফি হিসেবে নকল নবিশদের অতিরিক্ত টাকা আদায়সহ নানা অনিয়মের সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সময় দুদক প্রমাণ হিসেবে কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করে নিয়ে গেছে। 

আরো পড়ুন
দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালালেন জেলা রেজিস্ট্রার

দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালালেন জেলা রেজিস্ট্রার

 

অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াহিদ মঞ্জুর সোহাগ বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই আশুলিয়া সাব রেজিস্টার অফিস আমাদের গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিল। এর ধারাবাহিকতায় কিছু গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজকে সকাল থেকে আমরা এখানে অভিযান পরিচালনা করি।

অভিযানের সময় আমরা সাব রেজিস্টার অফিসের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি করি। এখানে কারা কাজ করছে, কিভাবে কাজ করছে সেগুলো পর্যবেক্ষণ করি। এখানে দালালের দৌরাত্ব আছে কিনা, নকল নবিশরা কিভাবে কাজ করে সবকিছু খতিয়ে দেখার পর আমরা গত দুই তিন দিনে যেসব দলিল সম্পাদন হয়েছে সেগুলো যাচাই করি। 

দলিল যাচাই করতে গিয়ে আমরা অনেকগুলো অনিয়ম পেয়েছি।

একটি দলিলে আবাসিক ভবন থাকা সত্ত্বেও সেটিকে গোপন করে দলিল করা হয়েছে। যেখানে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হয়েছে। এছাড়াও আমরা সেবা গ্রহীতাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি, নকল নবিশরা নানাভাবে অতিরিক্ত ফি ধরে টাকা আদায় করছে। এগুলোর বিষয়ে আমরা সাব রেজিস্টারকে সতর্ক করেছি এবং আমরা দুর্নীতির যে সকল রেকর্ডপত্র পেয়েছি এগুলোর আলোকে কমিশন বরাবর একটি প্রতিবেদন জমা দিব। কমিশন আমাদের যে ধরনের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুমতি দিবে আমরা সেই ধরনের আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
 

তিনি আরও বলেন, আমাদের এনফোর্সমেন্ট একটি চলমান প্রক্রিয়া, প্রতিদিনের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। কমিশন যখন যেখানে অভিযান পরিচালনার অনুমতি দেয় আমরা সেখানে অভিযান পরিচালনা করি।

মন্তব্য

রায়পুর সাব রেজিস্ট্রারকে সতর্ক করল দুদক

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
রায়পুর সাব রেজিস্ট্রারকে সতর্ক করল দুদক
ছবি: কালের কণ্ঠ

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি, অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পরে অনিয়ম-হয়রানি বন্ধ করতে সাব রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ ইউনুসকে সতর্ক করা হয়।

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে দুদকের চাঁদপুর সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় দুদকের উপসহকারী পরিচালক তাফসির বিল্লাহ ও উপপরিদর্শক এমদাদুল হক উপস্থিত ছিলেন।

দুদক জানায়, সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে পদে পদে হয়রানি, ঘুষ বাণিজ্যসহ নানা অস্থিতিশীল পরিবেশের অভিযোগ ছিল দুদকের প্রধান কার্যালয়ে। অভিযোগের ভিত্তিতে দুদক রায়পুর সাব রেজিস্ট্রি কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা চালায়। গত দিনে দলিল ও নকল তুলে নিয়ে যাওয়া সেবাগ্রহিতারা ও কয়েকটি ডকুমেন্ট দুদক কর্মকর্তারা দেখেছেন। দলিলের সঙ্গে যেসব কাগজপত্র রয়েছে সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হয়েছে।

নকল তোলার জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে কি না তা যাচাই বাছাই করে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।

সহকারী পরিচালক আজগর হোসেন বলেন, ‘অভিযানে একটি দলিলে রাজস্ব (খাজনা রশিদ) কপি ছিল না। ভুলবশত এটি হয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। পরবর্তীতে যেন এ ধরনের ভুলভ্রান্তি না হয়, সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সকল রেকর্ডপত্র যেন সঠিকভাবে দেখে দলিল করা হয়। যারা দলিল করতে ও নকল নিতে আসেন কেউ যেন কোন হয়রানির শিকার না হয়, ঘুষ দিতে না হয়, এ বিষয়ে সাবরেজিষ্ট্রারকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।’

রায়পুর উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো. ইউনুস বলেন, ‘দুদক কয়েকটি দলিল যাচাই-বাছাই করেছেন। তারা সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গেও মোবাইলফোনে কথা বলেছেন। সরকারি ফি প্রায় ২৫০০ টাকা।

এর চেয়ে ৫০০ টাকা বেশি দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে এক সেবাগ্রহীতা জানিয়েছেন, কেউ তাদের কাছ থেকে ঘুষ নেইনি, তারা খুশি হয়ে টাকাটা দিয়েছে।’

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রায়পুর সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের ঝাড়ুদার সোহেলে চেয়ারে বসে টাকা গুণে নেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। তার মাধ্যমেই ঘুষ লেনদেন হতো। পরে দুদকের অভিযানে ঘটনার প্রমাণ মিললে তাকে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হয়।

মন্তব্য

দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালালেন জেলা রেজিস্ট্রার

বরিশাল অফিস
বরিশাল অফিস
শেয়ার
দুদকের উপস্থিতি টের পেয়ে পালালেন জেলা রেজিস্ট্রার
সংগৃহীত ছবি

নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগে বরিশাল সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। 

বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুর আড়াইটা থেকে ঘণ্টাব্যাপী এ অভিযান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন দুদক বরিশাল কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা। 

এদিকে, দুদক কর্মকর্তাদের উপস্থিতি টের পেয়ে নিজ কার্যালয় ত্যাগ করেন জেলা রেজিস্ট্রার মো. মোহছীন মিয়া।

জানা যায়, দলিল রেজিস্ট্রি করা, দলিলের সার্টিফাইড কপি (নকল) উত্তোলনের জন্য সরকার নির্ধারিত ফি’র থেকে অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুদক প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

 

আরো পড়ুন
মানিকগঞ্জে চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন, গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে প্রশাসন

মানিকগঞ্জে চিত্রশিল্পীর বাড়িতে আগুন, গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছে প্রশাসন

 

অভিযান শেষে দুদক কর্মকর্তা রাজ কুমার সাহা গণমাধ্যমকে বলেন, বরিশাল সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের সাবেক সাব রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোল, জেলা রেজিস্ট্রার মো. মোহছীন মিয়াসহ কর্মরত স্টাফরা সাধারণ গ্রাহকদের জিম্মি করে দীর্ঘদিন যাবৎ অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিলেন। এছাড়াও দলিল গ্রহণে সরকারি ফি’র অতিরিক্ত অর্থ আদায় করার মতো বিষয়ও রয়েছে। আদায়কৃত ওই টাকা পরবর্তীতে রেশিও হারে নিজেদের মাঝে বণ্টন করে থাকেন।

পাশাপাশি দুদক কর্মকর্তারা ৪টি দলিল পেয়েছেন যেখানে সরকারি রাজস্ব খাতে উৎস কর কম দেখিয়ে সেই অর্থ নিজেদের মাঝে বণ্টন করারও ঘটনাও ঘটিয়েছেন এই অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

তিনি বলেন, শুধু অতিরিক্ত অর্থ আদায় নয়, নিষেধাজ্ঞা সত্তেও বরিশাল নগরের চর বদনা মৌজায় ২টি দলিলও রেজিস্ট্রি করা হয়েছে। 

দুদকের এই কর্মকর্তা আরো বলেন, অভিযান পরিচালনাকালে আমরা যা পেয়েছি সে অনুযায়ী প্রতিবেদন প্রধান কার্যালয়ে জমা দেবো। তারা সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য
কুড়িগ্রাম

জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ‘গণপদত্যাগ’

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
শেয়ার
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের ‘গণপদত্যাগ’
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুড়িগ্রামে জাতীয় পার্টির (জাপা) বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পদত্যাগ করেছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে কুড়িগ্রাম প্রেস ক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে ‘গণহারে’ পদত্যাগের ঘোষণা দেন জাপা নেতাকর্মীরা।

পদ ত্যাগীদের মধ্যে জেলা ও বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ের ছাড়াও দলটির বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরাও আছেন। সংবাদ সম্মেলনে দলটির ৫০ জন নেতাকর্মী পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় যুব সংহতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ রাজ্জাক লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা অবস্থায় ভালো-মন্দ মিলে দীর্ঘ সময় পার করেছি। অনেকের জন্য ভালো কিছু করতে পেরেছি, আবার অনেকের মন জয় করতে পারিনি। এজন্য আমি সবার কাছে আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।’

তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রেক্ষাপট পরিবর্তন হয়েছে।

কিন্তু বিগত কিছুদিন থেকে লক্ষ্য করছি দলটির সাংগঠনিক ব্যবস্থা এবং জনগণের সাথে সম্পৃক্ততা কমে গেছে। তারই ফলশ্রুতিতে কারো কথায় প্ররোচিত না হয়ে আমরা জাতীয় পার্টির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কিছু নেতৃত্ব পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ সজ্ঞানে সুস্থ মস্তিষ্কে পূর্বের সকল পদ-পদবি থেকে অব্যাহতি প্রদান করলাম।’

এ সময় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় যুব সংহতি কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সদস্যসচিব জালাল উদ্দিন, মোগলবাসা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি ইয়াকুব আলী আইয়ুব, ফুলবাড়ী উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, আজ থেকে জাতীয় পার্টি ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সাথে তাদের কোনো প্রকার সাংগঠনিক সম্পৃক্ততা নেই।

সাংগঠনিক পরিচয় থাকা অবস্থায় যে সকল কর্মসূচি পালন করেছেন, তার কোনো দায়-দায়িত্ব আর তাদের ওপর বর্তাবে না।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ