প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বিএনপি : মির্জা ফখরুল
সংগৃহীত ছবি

জনগণের স্বার্থে প্রয়োজনে আবারও রাজপথে নামবে বিএনপি বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে রাজধানীর ১০০ ফিটের বেরাইদ এলাকার দুস্থদের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল ইসলাম উপস্থিত মানুষদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই সজাগ থাকবেন, সর্তক থাকবেন। ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত শেষ হয়নি।

সমস্ত ষড়যন্ত্র-চক্রান্তকে ব্যর্থ করে দিয়ে জনগণের সরকার আমরা প্রতিষ্ঠা করবই করব ইনশাল্লাহ। আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশি তাকেই দেবো। এই অবস্থার মধ্য দিয়ে আমরা নির্বাচনটা চাই। আমরা এখনো বলছি, আমরা এখনো রাস্তায় নামি নাই।
আমরা সাধারণ মানুষের কাছে যাচ্ছি ঈদ সামগ্রী নিয়ে, ইফতার সামগ্রী নিয়ে, সুখ-দুঃখে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াচ্ছি। কিন্তু আমাদের স্বার্থে যদি, জনগণের স্বার্থে যদি কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করা হয় তাহলে বিএনপি আবার মাঠে নামবে। মাঠে নেমে তারা দাবি আদায় করে নিতে জানে। আমি কথাটা বলছি এজন্যে যে, আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে।

দেশে বিদেশে ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, খুব পরিস্কার কথা। যে যেখানেই থাকেন, সেই ইউনাইটেড স্টেটের থাকেন, ফ্রান্সে থাকেন আর আমেরিকায় থাকেন আর সেখান থেকে মানুষকে উত্তেজিত করবার চেষ্টা করেন, বিভাজন সৃষ্টি করবার চেষ্টা করেন। আমরা মানুষের সঙ্গে আছি, আমরা মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করছি। সুতরাং আমাদেরকে কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারবে না, বাংলাদেশের মানুষকেও কেউ বিপথে পরিচালিত করতে পারবে না।

কারোর পক্ষেই বিএনপি নয় জানিয়ে তিনি বলেন, পরিস্কার কথা।

আমরা ভারতের পক্ষেও নই, পাকিস্তানের পক্ষেও নই, আমরা আমেরিকার পক্ষেও নই, আমরা ইংল্যান্ডের পক্ষেও নই। আমরা বাংলাদেশের পক্ষে। আমাদের নেতা তারেক রহমান সাহেব খুব পরিস্কার করে বলেছেন, সবার আগে বাংলাদেশ আমরা বাংলাদেশি।

শেখ হাসিনা বিএনপির ৯০ শতাংশ নেতা-কর্মীকে জেলে নিয়েছিলো দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের ২০ হাজারের মতো নেতা-কর্মীকে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকার হত্যা করেছিল। প্রায় ১৭০০ নেতা-কর্মীকে গুম করেছে। ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মিথ্যা-গায়েবি মামলা দিয়েছিলো। পৃথিবীর গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এই ধরনের নজির খুব কম। সেই একটা অবস্থা আমরা পার হয়ে এসেছি। আল্লাহ তালার কাছে হাজারো শুকরিয়া আদায় করি যে তার অশেষ রহমতে, আমার কাছে মনে হয়, আল্লাহ তালার অশেষ অলৌকিক শক্তি তার মাধ্যমে তিনি হঠাৎ করে একদিন হাসিনাকে যেন গুম করে দিলেন। হাসিনা গুম হয়ে গেছে আল্লাহতালার নির্দেশে। যে অত্যাচার-নির্যাতন তিনি মানুষের ওপরে করেছেন সেখান থেকে আপাতত মুক্তি পেয়ে একটা মুক্ত পরিবেশে একটা জায়গায় আমরা এসে দাঁড়িয়েছি।

মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তহিরুল ইসলাম তুহিন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, বিএনপির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী বিষয়ক সম্পাদক এমএ কাইয়ুম, মহানগর উত্তরের যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর প্রমুখ।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
শেয়ার
‘ড. ইউনূসকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে কালো অধ্যায়’
সংগৃহীত ছবি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বাংলাদেশের জন্য ‘মহামূল্যবান সম্পদ’ উল্লেখ করে গণ অধিকার পরিষদের মুখপাত্র ফারুক হাসান বলেছেন, ‘তাকে কাজে লাগাতে ব্যর্থ হলে তা হবে দেশের জন্য কালো অধ্যায়।’

মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) বিকেলে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার কালমেঘ এলাকায় গণসংযোগকালে তিনি এ কথা বলেন। 

ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ আর কোনো চাঁদাবাজি, মামলাবাজি বা মাদকবাজি দেখতে চায় না। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দলের নেতারা চাঁদাবাজি-মামলাবাজিতে মেতে উঠেছেন।

তারা যদি মনে করেন আওয়ামী লীগ স্টাইলে চাঁদাবাজি, মামলাবাজি চালিয়ে জনগণকে দাবিয়ে রাখবেন, তাহলে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’ 

আরো পড়ুন
বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস

বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস

 

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা এলাকায় মাদকের বিস্তার ঘটিয়েছে, ছোট ছোট বাচ্চাদেরও মাদকাসেবী বানিয়েছেন। বিগত সরকারের নেতারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন। আমরা মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করছি।

ভবিষ্যতে আর কোনো মাদক কারবারিকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

তিনি বলেন, ‘জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে। বর্তমান সরকার জনগণের সমর্থনে ক্ষমতায় এসেছে। তাই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা তাদের দায়িত্ব।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি

নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালী প্রতিনিধি
শেয়ার
কেউ কেউ নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে : শিবির সভাপতি
ছবি : কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। জুলাই বিপ্লবের স্পিড হচ্ছে, অন্যায়-জুলুম-চাঁদাবাজি-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো। কিন্তু কেউ কেউ ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থে ক্ষমতা লোভী হয়ে নব্য ফ্যাসিবাদী হিসেবে ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছে।’

বুধবার বিকেলে বসুরহাট ইসলামীয়া কামিল মাদরাসা মাঠে নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির (দক্ষিণ) শাখার আয়োজনে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে ঈদ প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে নতুন করে কেউ ফ্যাসিস্ট হতে চাইলে তা কখনো সফল হবে না। আবারও দেশপ্রেমিক সৎ ও খোদাভীরু নির্ভিক তাকওয়ার গুণাবলি সম্পন্ন ছাত্র-জনতা নব্য ফ্যাসিবাদকে রুখে দিতে রক্তদান ও শহীদ হতে প্রস্তুত।’

আরো পড়ুন
দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

 

শিবির সভাপতি বলেন, ‘যাদের রক্ত ও আত্মদানের ফলে আজ মুক্ত বাংলাদেশে কথা বলছেন, ক্ষমতার চেয়ারে বসে আছেন, ক্ষমতায় যাওয়ার স্বপ্ন দেখছেন, সে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা যাবে না। আর যদি ভারতীয় প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী কাজ করেন, তাহলে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পতনের চেয়েও কঠিন ভাগ্যবরণ করতে হবে।

ইতিহাস এটাই বলে, এটাই সত্য।’

নোয়াখালী জেলা দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি হাফেজ সাইফুর রসুল ফুয়াদের সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মিছবাহুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নোয়াখালী জেলা জামায়াতের আমির ইসহাক খন্দকার, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির অধ্যক্ষ বেলায়েত হোসাইন, সেক্রেটারি মিজানুর রহমান, বসুরহাট পৌরসভার আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন, ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মুতাসিম বিল্লাহ শাহেদী, মাদরাসা কার্যক্রম বিষয়ক সম্পাদক আলাউদ্দিন আবির, নোয়াখালী জেলা ছাত্রশিবির দক্ষিণের অফিস সম্পাদক গোলাম আজম টিপু, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি শাকিল হোসেন সম্রাট প্রমুখ।

সমাবেশের আগে ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত জামায়াত-শিবিরের ৭ নেতাকর্মীর কবর জিয়ারত ও শহীদ পরিবারগুলোর খোঁজখবর নেন শিবির সভাপতি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
দুই পারসেন্ট লোক নেই, প্রশাসন চলে তার কথায় : ফজলুর রহমান
ফাইল ছবি

জামায়াতকে উদ্দেশ করে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘দুই পারসেন্ট লোক নেই। পায়ের ওপর পা তুলে কথা বলে। ইউএনও চলে তার কথায়, ডিসি চলে তার কথায়। প্রশাসন চলে তার কথায়।

একলা নির্বাচন করলে ৩টা সিট পাবে না, কিন্তু ৩০০ সিটের পাওয়ার দেখাইতেছে এখন। পুরো প্রশাসন দখল করে বসছে। কেন? বাপের বেটা অইলে ইলেকশনে আসো। ইলেকশনে দেখা যাবে বাংলাদেশের মানুষ কারে দায়িত্ব দেয়।
তখন বেটাগিরি করো।’

মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জের ইটনায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আয়োজনে ঈদ পুনর্মিলনী ও পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমি জামায়াতের আমিরকে জিজ্ঞেস করব, আমি একটা কথা মিছা কইছি কি না? তাহলে আপনার শিবির ও জামায়াতের কর্মীরা আমারে এত বকাবকি করে কেন? আমারে ফজু পাগলা কয় কেন? ঠিক আছে আপনারা পাল্লা (দাড়িপাল্লা প্রতীক) নিয়া করবেন, আমরা ধানের শীষ নিয়া করব। পাবলিককে ডিসিশন নিতে দেন।

পাবলিক যারে ভোট দেব, হে দেশ চালাইব।’

আরো পড়ুন
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

 

তিনি বলেন, ‘খালি বকাবকি করেন কেন? আর পেছন দিক দিয়ে কালো অন্ধকারে বসে কুটকুট করেন কেন? ১০ বছর কেমনে বিনা ভোটে থাকা যায়। কারণ জানেন, ভোট করলে জামানত থাকবে না। কূটকৌশল করে ক্ষমতায় থাকতে চান। এইটা কইলেই ফজলুর রহমান খারাপ।

অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে ফজলুর রহমান বলেন, ‘কলাগাছ কি বটগাছের চেয়ে বেশি উঁচু হয়? অনির্বাচিত সরকার কি নির্বাচিত সরকারের চেয়ে বেশি আইন পাবে? কাজেই আমরা চাই না, এই দেশে অনির্বাচিত সরকার দীর্ঘদিন থাকুক।’

তিনি বলেন, ‘দেশে এখন গণতন্ত্র নেই। আগে কইছে ডিসেম্বর মাসে ভোট  দেব। কয়দিন পরে গলা টাইনা বলে ইলেকশন ছয় মাস দেরি করে জুন মাসে দেব। জুন মাস যখন হয়ে যাবে, তখন বলবে আরে জুন মাসে তো আওয়ামী লীগের জন্মদিন। এ মাসে ফ্যাসিস্টদের জন্ম। এই মাসে তো কোনো ইলেকশন হইতে পারে না। এরপরে কইব, আগস্ট-সেপ্টেম্বর, এটাতে তো আমরা আন্দোলন করছিলাম, বিপ্লবের মাস। সেই মাসে ইলেকশন হবে না। আরেকটু পিছিয়ে নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে হোক। এইভাবে ইলেকশন টেনে কূটকৌশল করে পিছাইতেছে। কারণ, তারা জানে, ইলেকশন অইলে বিএনপি ৮০ ভাগ ভোট পাবে। যেই কারণে ইলেকশন দিতে চায় না।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই : এনসিপি
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নিয়ন্ত্রণ স্থানীয় পর্যায়ে নেই বলে মন্তব্য করেছে জুলাই আন্দোলনের ছাত্রদের নিয়ে গঠিত নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ অবস্থা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে ঘোলাটে ও অস্থির করে তুলছে বলেও অভিযোগ তাদের।

বুধবার (২ এপ্রিল) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তরে সংযুক্ত) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়। স্থানীয় পর্যায়ে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত আন্তঃসংঘর্ষ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ করা হয় বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গত ৩০ মার্চ লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে স্থানীয় ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সংঘর্ষে হামলার শিকার হন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম-আহ্বায়ক মাহবুব আলম মাহিরের বাবা আজিজুর রহমান বাচ্চু মোল্লা। এতে তার হাত ভেঙে যায় এবং তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন।

২৪ মার্চ নোয়াখালীর হাতিয়ায় পথসভা ও জনসংযোগের সময়ে স্থানীয় বিএনপির কতিপয় নেতাকর্মী এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদের ওপর হামলা চালান। এছাড়াও বিভিন্ন স্থানে বিএনপির নেতাকর্মীরা এনসিপির কর্মী-সংগঠকদের নিয়মিত হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা রাজনৈতিক কারণে হামলার বিরুদ্ধে কথা বললেও এবং অভিযুক্ত নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হলেও এ ধরনের হিংস্র কার্যকলাপ থেমে নেই। এনসিপির নেতারা সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ ও দখলদারদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানান।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ