হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামে ঈদগাহে ঈদের জামাত পড়া নিয়ে মতবিরোধকে কেন্দ্র করে ছুরিকাঘাতে আব্দুল কাইয়ুম (৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। সে ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার প্রধান আসামি কাজী মুজাহিদকে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) রাত সোয়া ২টায় ব্রাক্ষণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রাম থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-৯ শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল তাকে গ্রেপ্তার করে। র্যাব-৯ সিলেটের মিডিয়া অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কে এম শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার মুজাহিদ নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামের কাজী সুন্দর আলীর ছেলে। নিহত কাইয়ুম সদরঘাট দক্ষিণপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে।
আরো পড়ুন
টিকটক করতে গিয়ে ছয় বছরের শিশুর মৃত্যু
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার সদরঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার অধিকাংশ লোকজন প্রত্যেক বছর সদরঘাট দক্ষিণপাড়া এলাকায় অবস্থিত সৈয়দ আলী ঈদগাহে ঈদের জামাত আদায় করেন। সম্প্রতি সৈয়দ আলী ঈদগাহের জায়গার ওয়াকফের কাগজ নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হওয়ায় ঈদগাহে ঈদের জামাত পড়া নিয়ে পশ্চিমপাড়ার লোকজনের মধ্যে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।
গত ২৮ মার্চ রাতে তারাবির নামাজের পর ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত পড়া সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সদরঘাট গ্রামের দক্ষিণপাড়া ও পশ্চিম পাড়ার মুরব্বিয়ান সদরঘাট গ্রামের পশ্চিমপাড়া জামে মসজিদে জড়ো হন।
আরো পড়ুন
রাবনাবাদ নদীতীরের মাটি কেটে বাঁধ দিয়ে দখল
এ সময় ঈদগাহে পবিত্র ঈদুল ফিতরের জামাত সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলোচনা শেষে মুরব্বিয়ান মসজিদ থেকে বের হয়ে আসার সময় মসজিদের সামনে মোজাহিদ কাইয়ুমকে ছুরিকাঘাত করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। তাকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পরদিন কাইয়ুমের স্ত্রী মিনা বেগম ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।