ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, রবিবার ১৩ এপ্রিল ২০২৫
৩০ চৈত্র ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু

হিলি সংবাদদাতা
হিলি সংবাদদাতা
শেয়ার
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ছবি: কালের কণ্ঠ

পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিসহ টানা ৯ দিন পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়েছে। আজ রবিবার (৬ এপ্রিল) হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য কার্যক্রম শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক।

তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটিসহ সাপ্তাহিক ছুটির কারণে গেল ২৯ মার্চ থেকে গতকাল ৫ এপ্রিল পর্যন্ত হিলি বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল। আজ রবিবার শুরু হয়েছে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

নদের পাড় ভেঙে মাটি চাপা পড়ে বিআইডব্লিউটি কর্মচারী নিহত

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোণা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নেত্রকোণা
শেয়ার
নদের পাড় ভেঙে মাটি চাপা পড়ে বিআইডব্লিউটি কর্মচারী নিহত

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে ধনু নদের পাড় ভেঙে মাটির নিচে চাপা পড়ে নৌকায় ঘুমিয়ে থাকা আলখাছ মিয়া (৪৩) নামের বিআইডব্লিউটি কর্মচারী নিহত হয়েছেন। রবিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার জগন্নাথপুর এলাকার ধনু নদের ফেরি ঘাটে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত আলখাছ মিয়া উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের ইদ্রিছ মিয়ার ছেলে। তিনি বিআইডব্লিউটিয়ে আউটসোর্সিংয়ে কর্মরত ছিলেন।

খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মকবুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আলখাছ মিয়া বিআইডব্লিউটিয়ে আউটসোর্সিংয়ের কর্মী হিসেবে ধনু নদে গভীরতা অনুযায়ী কার্গো-বাল্কহেড চলাচলে সহায়তার জন্য সংকেত দেওয়ার কাজে নিয়োজিত ছিলেন। রবিবার দুপুরে ছোট নৌকা নিয়ে তার কাজ শেষে ক্লান্ত হয়ে জগন্নাথপুর ফেরি ঘাটে নৌকায় ঘুমাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ নদের পাড় ভেঙে বিশাল মাটির খণ্ড তার নৌকার ওপর পড়ে যায়।

এতে নৌকাটি ডুবে গিয়ে মাটির নিচে চাপা পড়েন তিনি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় 
লেপসিয়া নৌপুলিশ আলখাছ মিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে নৌপুলিশ নিহতের মরদেহ খালিয়াজুরী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।

খালিয়াজুরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মকবুল হোসেন বলেন, ‘এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ নেই।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই হস্তান্তর করা হবে।’
 

মন্তব্য

কূপ সংস্কারে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু

শেরপুর প্রতিনিধি
শেরপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
কূপ সংস্কারে নেমে ২ শ্রমিকের মৃত্যু
সংগৃহীত ছবি

শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে কূপ সংস্কার গিয়ে দুই শ্রমিক মারা গেছেন। রবিবার (১৩ এপ্রিল) নলকুড়া ইউনিয়নের শালচূড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন রাংটিয়া এলাকার নীপুরায় কোচের ছেলে নারায়ণ কোচ (৩৮) এবং শালচুড়া এলাকার মৃত নীল মহন কোচের ছেলে নিরাঞ্জন কোচ (৩৫)। 

স্থানীয়রা জানায়, দমকল বিভাগের কর্মীরা কূপের নিচ থেকে নিহত শ্রমিকদের মরদেহ উদ্ধার করেন।

পরে তাদের মরদেহ ঝিনাইগাতী থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন তারা।

আরো পড়ুন
আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত, প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে : সালাহউদ্দিন আহমেদ

আপনারা অবশ্যই অনির্বাচিত, প্রতিদিন স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে : সালাহউদ্দিন আহমেদ

ঝিনাইগাতী দমকল বিভাগের স্টেশন অফিসার মো. আব্দুল মান্নান জানান, গভীর কূপের ভেতর অক্সিজেন স্বল্পতার কারণে প্রথম জনের সমস্যা হয়। তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে যান আরেকজন। সেখানে দুজনেরই মৃত্যু হয়।

মন্তব্য

মাদরাসাছাত্র আল-ইয়াসিন হত্যা মামলায় শিক্ষক রায়হান গ্রেপ্তার

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
মাদরাসাছাত্র আল-ইয়াসিন হত্যা মামলায় শিক্ষক রায়হান গ্রেপ্তার
সংগৃহীত ছবি

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের আউয়ার দারুল উলুম হাফিজিয়া মাদরাসাছাত্র আল-ইয়াসিন (১৪) হত্যা মামলার আসামি শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদারকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (১৩ এপ্রিল) সকালে বানারীপাড়া থানা থেকে তাকে বরিশাল জেলহাজতে পাঠানো হয়। 

এর আগে শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর শাহ-আলী এলাকা থেকে থেকে র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যাকাণ্ডের প্রায় ৭ মাস পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে বানারীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক চন্দন কুমার রায় জানান।

 

ইয়াসিন সৈয়দকাঠির আউয়ার দারুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানার হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি একই উপজেলার চাখার ইউনিয়নের বড় চাউলাকাঠি গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে। হেফজ বিভাগের ২৪ পারা পর্যন্ত কোরআন আয়ত্ত করেছিল ইয়াসিন। ৩০ পারা শেষ করে মাথায় পাগড়ি নিয়ে হাফেজ হয়ে ফিরে আসবে ছেলে, এ আশায় বুক বেঁধেছিলেন তার মা।

কিন্তু ছেলের মৃত্যুতে তাঁর সেই স্বপ্ন অপূর্ণই থেকে গেল। 

আরো পড়ুন
কনফিডেন্স থাকলে স্থানীয় ও গণপরিষদ নির্বাচনে ভয় কেন, প্রশ্ন শিশিরের

কনফিডেন্স থাকলে স্থানীয় ও গণপরিষদ নির্বাচনে ভয় কেন, প্রশ্ন শিশিরের

 

মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ অক্টোবর দুপুরে মাদরাসা থেকে ইয়াসিন নিখোঁজ হয়। তার মাকে ফোন করে অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া জানান, ইয়াসিনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তবে নিরীহ ও শান্ত  প্রকৃতির ইয়াসিন কাউকে না জানিয়ে কোথাও যায় না।

তাই তার নিখোঁজের বিষয়টি প্রথমে মেনে নিতে পারেননি পরিবারের কেউ। পরের দিন বিকেলে আউয়ার এলাকায় কবির মোল্লার স-মিলের উত্তর পাশে খাল থেকে ইয়াসিনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়। ইয়াসিনের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের সৃষ্টি হলে এর প্রতিবাদে তখন এলাকাবাসী মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।

মামলার বাদী ইয়াসিনের বড় ভাই রুম্মানের অভিযোগ, অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া মাদরাসার আশপাশে খুঁজতে না দিয়ে তাদের ভিন্ন পথে নিয়ে খোঁজার চেষ্টা করেন।

এক পর্যায়ে খালের মধ্যে ইয়াসিনের লাশ পাওয়া যায়। দাফনের পর মাদরাসায় গিয়ে তারা জানতে পারেন, ইয়াসিনের নিখোঁজের বিষয়টি আশপাশের কেউ জানতেন না। মাদরাসার অন্য ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, ঘটনার দিন শিক্ষক আহমাদুল্লাহ আহম্মদের নেতৃত্বে ছাত্ররা মাটি এনে মাদরাসার উঠানে রাখে। এই কাজ করতে গিয়ে ইয়াসিন ক্লান্ত হয়ে মেঝেতে বসে পড়ে। তখন শিক্ষক রায়হান হাওলাদার ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পেটান। এক পর্যায়ে ছেলেটির বুক, চোখ ও মুখে সজোরে লাথি মারেন তিনি। এতে ইয়াসিন দেয়ালে ধাক্কা খেয়ে পড়ে অচেতন হয়ে যায়। এরপর তাকে কাঁথা দিয়ে পেঁচিয়ে আব্দুর রব মিয়া, রায়হান হাওলাদার ও  আহমাদুল্লাহ আহম্মদসহ কয়েকজন ধরে গুদাম ঘরে রাখেন। পরে রাতে লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে খালে ফেলে দেন।

আরো পড়ুন
গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

 

মৃত্যুর ৯ দিন পর তার বড় ভাই আল-রুম্মান (২১) বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে  বানারীপাড়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রব মিয়া (৫৫), তার ছেলে সাইফুল্লাহ (২৪), শিক্ষক মো. রায়হান হাওলাদার (২৬), আহমাদুল্লাহ আহম্মদ (২৫) ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি আলমগীর হাওলাদার (৫৫)। তাদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ইয়াসিনকে হত্যা ও মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। মামলা দায়েরের পর গ্রেপ্তার এড়াতে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। 

মন্তব্য

গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
গৃহবধূকে হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ঝুলন্ত অবস্থায় ঝর্না (২৪) নামের এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ, পারিবারিক কলহের জেরে তার স্বামী তাকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মো. শারফিনকে (৩৪) আটক করেছে পুলিশ।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ঝর্না ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকার জয়নাল আবেদীনের মেয়ে। তার স্বামী শারফিন ফতুল্লার একটি ওয়ার্কশপে ওয়েলডিংয়ের কাজ করতেন। 

এ বিষয়ে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, আজ দুপুরের দিকে ঝুলন্ত অবস্থায় ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। বর্তমানে তার মরদেহ নারায়ণগঞ্জ মর্গে রয়েছে।

 

ওসি জানান, নিহতের পরিবারের দাবি ওই নারীকে তার স্বামী হত্যা করেছে। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা তার স্বামী শারফিনকে আটক করেছি। তদন্তসাপেক্ষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এবং দোষী ব্যক্তি সম্পর্কে বলা সম্ভব হবে। প্রাথমিকভাবে ওই নারীর শরীরে আঘাতের একাধিক চিহ্ন পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় তদন্ত চলমান রয়েছে। 

নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদী বলেন, আত্মহত্যার খবর শুনে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। কিভাবে ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে তা যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ