বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভে পুলিশের গুলিতে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহত প্রথম ব্যক্তি আবু সাঈদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
আরো পড়ুন
চাঁদাবাজি করতে গিয়ে ভুয়া ডিবি পুলিশ আটক
সম্প্রতি আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুল হোসেনকে উদ্ধৃত করে ও তার ছবি যুক্ত করে ‘শহীদ আবু সাঈদরা কোনো নতুন রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠার জন্য জীবন দেননি; তারা লড়েছিলেন জনগণের অধিকার ও ন্যায়ের জন্য।’ শীর্ষক দাবি সম্বলিত একটি ফটোকার্ড সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে।
উক্ত ফটোকার্ডে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ‘শহীদ আবু সাঈদরা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু দুঃখজনকভাবে, আবু সাঈদদের রক্তকে পুঁজি করে হাসনাত সাজিসদের মতো কিছু সুযোগ সন্ধানী নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। তারা দলের নামকে ব্যবহার করে ধান্দাবাজির দোকান খুলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলমকে উদ্দেশ্য করে প্রচারিত মন্তব্যটি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী আবু সাঈদের বাবা করেননি বরং, কোনোপ্রকার তথ্যসূত্র ছাড়াই আলোচিত ফটোকার্ডটি প্রচার করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত প্রথম ব্যক্তি আবু সাঈদের বাবা এমন কোনো মন্তব্য করলে তা গণমাধ্যমে গুরুত্বসহকারে প্রচার করার কথা। কিন্তু অনুসন্ধানে মূলধারার গণমাধ্যম কিংবা সংশ্লিষ্ট কোনো সূত্রে উক্ত দাবির সপক্ষে কোনো সংবাদ বা তথ্য পাওয়া যায়নি।
শহীদ আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেনের ফেসবুক প্রোফাইল পর্যবেক্ষণ করে আলোচিত দাবির সমর্থনে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
আলোচিত ফটোকার্ডে উল্লিখিত নিহত আবু সাঈদের বাবা মো. মকবুক হোসেনের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে রিউমর স্ক্যানার টিমের পক্ষ থেকে আবু সাঈদের বড় ভাই আবু হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বাবা এমন কোনো মন্তব্য করেননি।
সুতরাং, হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের নামে আবু সাঈদের বাবাকে উদ্ধৃত করে প্রচারিত মন্তব্যটি ভুয়া ও বানোয়াট।