চুরি-ছিনতাই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : র‍্যাব

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
চুরি-ছিনতাই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে : র‍্যাব
সংগৃহীত ছবি

চুরি-ছিনতাই অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়ে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে সেই জন্য ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে র‍্যাব।

শনিবার (২৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১২টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাদ্দাম মার্কেট এলাকায় চেকপোস্ট ও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ শেষে এসব তথ্য জানান তিনি। 

আরো পড়ুন
জয়পুরহাটে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ইফতার মাহফিল পণ্ডের অভিযোগ

জয়পুরহাটে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে ইফতার মাহফিল পণ্ডের অভিযোগ

তিনি বলেন, পুরো রমজান মাস জুড়েই র‍্যাব তৎপর ছিল, এই কার্যক্রম ও চেকপোস্ট ঈদ পরবর্তী সময়ে অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঈদের পর বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে নারী ও শিশুদের একটা ভিড় থাকে সেই সময়ও যেন অপরাধীরা কোনো অপরাধ তৎপরতা পরিচালনা করতে না পারে, প্রতিটি বিনোদন কেন্দ্রে সজাগ দৃষ্টি রাখছে র‍্যাব।

 

র‍্যাব মহাপরিচালক বলেন, ঈদসহ যেকোনো উৎসবে এলেই অপরাধীরা তৎপর হয়ে ওঠে। অপরাধ তৎপরতা রোধে এলিট ফোর্স র‍্যাব সবসময়ই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় র‍্যাব ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক দেশের বিভিন্ন জায়গায় সড়ক মহাসড়কে টহল ও চেকপোস্ট বসিয়ে তল্লাশি কার্যক্রম করে আসছে। 

র‍্যাব মহাপরিচালক আরো বলেন, পুরো রমজান মাসজুড়ে অনেক অপরাধীকে র‍্যাব আইনের আওতায় নিয়ে এসেছে।

যে কারণে এবার ঈদ মৌসুমে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কসহ তেমন ছিনতাই চুরি ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি। ঈদের আগে এবং পরে একইভাবে র‍্যাব ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কসহ সব জায়গায় তাদেরই তল্লাশি কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে। 

আরো পড়ুন
কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার ওপর গুলির অভিযোগে গ্রেপ্তার ২

এ সময় র‍্যাব ১১-এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মামা-ভাগ্নেসহ নিহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
নিজস্ব প্রতিবেদক, কুষ্টিয়া
শেয়ার
কুষ্টিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় মামা-ভাগ্নেসহ নিহত ৪
ফাইল ছবি

কুষ্টিয়ায় ১২ ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক তিনটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ থেকে বুধবার (২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত জেলা সদর, খোকসা ও মিরপুর উপজেলায় এসব ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, বুধবার সকালে কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কের মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া এলাকায় প্রাইভেট কারের ধাক্কায় সিএনজি চালক রফজেল শেখ (৬৫) নিহত হয়েছেন। তিনি ভেড়ামারা উপজেলার সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর ভবানীপুর গ্রামের সাহাদ আলী শেখের ছেলে।

এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের জিলা স্কুলের সামনে প্রাইভেটকারের ধাক্কায় মোটরসাইকেলে থাকা রাহাত ইসলাম পলাশ (৩০) ও ফাহিম অনিক (২৩) নিহত হন। নিহতরা সম্পর্কে মামা-ভাগ্নে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন তানভীর গণি (২৩) নামের এক যুবক। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

আরো পড়ুন
বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস

বিমসটেকের পরবর্তী চেয়ারম্যান হচ্ছেন ড. ইউনূস

 

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশাররফ হোসেন জানান, তারা তিনজন রাতে মজমপুর এলাকা থেকে চা পান করে মটরসাইকেলযোগে শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়ায় চাচাতো ভাইয়ের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। কুষ্টিয়া জিলা স্কুলের সামনে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার তাদের ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে গেলে চিকিৎসক পলাশকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে অনিকের মৃত্যু হয়।

জানা যায়, নিহত পলাশ কুষ্টিয়া শহরতলীর মোল্লাতেঘরিয়া এলাকার আসাদুল ইসলাম মোল্লার ছেলে। আর অনিক শহরের কমলাপুর এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। 

এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে খোকসা উপজেলার বিলজানি বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় রাস্তায় ছিটকে পড়ে মঈনুদ্দিন শেখ (৭০) নামের এক নির্মাণ শ্রমিক গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

তিনি উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের মৃত চতুর আলীর ছেলে।

খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মঈনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে উপচে পড়া ভিড়

শ‌ফিক আদনান, কি‌শোরগঞ্জ
শ‌ফিক আদনান, কি‌শোরগঞ্জ
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে উপচে পড়া ভিড়
ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে দর্শনার্থীদের ভিড়

ছু‌টিতে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য পছন্দের অন্যতম জায়গা কিশোরগঞ্জের হাওর। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে থৈ থৈ জলরাশি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে যান হাওরে। শুক‌নো মৌসু‌মে একরকম, বর্ষায় অন্য রকম। এবার ঈদটা হ‌লো শুক‌নো মৌসু‌মে।

গরমও বে‌শি। তবু থে‌মে নেই পর্যটক‌দের আনা‌গোনা। হাজারো পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় হাওরে মাইলের পর মাইল ফসলি জমি, ধান আর ভুট্টার ক্ষেত বাতা‌সে দুল‌ছে। শহর থে‌কে যাওয়া পর্যকটক‌দের দাপাদাপি, ছ‌বি তোলা, সেল‌ফি‌তে নি‌জে‌কে ধারণ করা সবই চল‌ছে সকাল থে‌কে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
সাবমার‌সিবল ও দৃ‌ষ্টিনন্দন অলওয়েদার সড়ক রয়েছে পর্যক‌দের আকর্ষ‌ণের কেন্দ্রবিন্দু‌তে।

ইটনা ও মিঠামইনের পাশ দি‌য়ে ব‌য়ে যাওয়া ধনু ও মেঘনা নদী‌তে এখন পা‌নি কম। নদীতে ছোট ছোট নৌকায় ভাস‌ছে লোকজন। 

স‌রেজ‌মিন ঘু‌রে দেখা গে‌ছে, জেলার নিকলী, বালিখলা, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্ট ও সেতুগু‌লো‌তে ভ্রমণপিপাসুদের কলরব।

তাদের বাধভাঙা ঢল আর উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হাওর যেন পরিণত হয়েছে পর্যটনের এক স্বর্গপুরীতে। হাও‌রে পানি না থাকলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের টানে এবারের ঈদে হাওরে ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের। ঈদের দিন থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ হাওরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসছেন।

জেলা শহর থেকে খুব কাছের হাওরটি করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা এলাকায়। ঘাট থেকে নৌকা বা স্পিডবোট ভাড়া নিয়ে অনেকেই ছুটছেন হাওর ভ্রমণে।

বালিখলা থেকে নৌকা ও ফেরি পার হয়ে সাবমার‌সিবল সড়ক ধরে বিভিন্ন যানবাহন চড়ে যেতে পারছেন মিঠামইন জিরো পয়েন্টে। সেখানে ফটোসেশন, আড্ডা আর ঘুরেফিরে সময় কাটাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

ঢাকা থেকে বড় বোনের বাসায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে এসেছেন সানজিদা সামান্তা। অনেকদিন ধরেই তার ইচ্ছে হাওর দেখবে-তবে যখন চারিদিকে পানির সমারোহ থাকবে। কিন্তু যখন এসে শুনলেন হাওরে বর্ষার আগে পানির দেখা মিলবে না, তখন তার মনটাই খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে ঘুরতে এসে এখন তিনি মুগ্ধ। তিনি জানালেন, পানির সময় একবার এসেছিলাম, তাই ভেবেছিলাম হয়তো এখন ভালো লাগবে না। অথচ এসে দেখি চিত্র পুরোটাই উল্টো। এখানে হাজার হাজার মানুষের ভীড় শুধুমাত্র অলওয়েদার সড়ককে কেন্দ্র করে। তাছাড়া সবাই অনেক মজা করছে। এখন আমার মন অনেক ভালো।

রাজধানীর মোহাম্মপুর থে‌কে স্ত্রী ও ছে‌লে‌মে‌য়ে নি‌য়ে হাও‌রে বেড়া‌তে এসে‌ছেন আরিফ হাসান। দু’বছর আগে বর্ষার সময় আরেকবার এসে‌ছি‌লেন। এবার ঈদের ছু‌টি‌তে শুক‌নো মৌসু‌মে এলেন। তি‌নি ব‌লেন, বর্ষায় হাওর‌কে সাগ‌রের ম‌তো লা‌গে। আর এই জলরা‌শির মধ্যে ভে‌সে থাকা সড়‌ক‌টি দেখার ম‌তো এক‌টি বিষয় থা‌কে। আর শুক‌নো সম‌য়ের রূপও ম‌নোমুগ্ধকর। যেন সু‌বজের গা‌লিচায় ঢাকা। তি‌নি ব‌লেন খুব ভা‌লো লাগ‌ছে। সু‌যোগ পে‌লে আবার আস‌ব। ত‌বে তি‌নি আক্ষেপ ক‌রে ব‌লেন,  হাও‌রে পর্যকট‌দের জন্য সু‌যোগ সু‌বিধা কম। রাতযাপনের সু‌বিধা নেই।

বুধবার‌ (২ এপ্রিল) বি‌কেল ইটনা-‌মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলও‌য়েদার সড়ক (বর্ষায় ভে‌সে থাকা সড়ক) গি‌য়ে দেখা যায়, পু‌রো ৩০ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়কজুড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। কেউ ঘোড়ার পিঠে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে বাইকে। আবার কেউবা দলবেঁধে পিকআপে চড়ে গানের তালে তালে নেচে বেড়াচ্ছেন। টিকটক ও স্যোসাল মিডিয়ায় নিজেদের তুলে ধরতে অনেকেই বিভিন্ন সাজে ও অঙ্গভঙ্গিতে ছবি তুলছেন। ঈদকে কেন্দ্র করে অনেক ফটোগ্রাফারও ছবি তুলে আয় করছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন সাজে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছেন।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসু মানুষ দলবেঁধে ছুটে আসছেন হাওরে। ঈদের পর থেকে একটু আনন্দের খোঁজে দর্শনার্থীরা বেছে নিয়েছেন মিঠামইন অলওয়েদার সড়কের জিরোপয়েন্টকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা এমনকি রাত পর্যন্ত সব বয়সীদের উপচে পড়া ভিড় সেখানে লেগেই রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণত হাওরে বর্ষা থাকে বছরের প্রায় ছয় মাস। পানি আসতে শুরু করে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ থেকে। শেষ হয় আশ্বিন-কার্তিকে। তখন পুরো সময়জুড়েই হাওরে পর্যটকদের ভিড় থাকে। তবে এবার শুকনো মৌসুমেও উৎসবে মাতোয়ারা বিনোদনপ্রেমীরা।

মিঠামইন সদ‌রের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ব‌লেন, ‘নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা যারা এই সময়টাকে এখানে ব্যবসা করি বা অন্যরাও এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখি। তবে উঠতি বয়সীদের বেপ‌রোয়া বাইক চালা‌নো আমাদের কিছুটা দুশ্চিন্তা রা‌খে। এ দিকটায় প্রশাস‌নের একটু নজর দেওয়া উচিত।’

মন্তব্য

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’
ছবি : কালের কণ্ঠ

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। আমরা শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুগ্ধ, শহীদ আনাসের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছি। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা তাদের বিচার করব।

দিল্লি থেকে কোনো নসিহত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

 

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যেসব শহীদের রক্তের ওপর দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে তার আত্মীয়-স্বজনদের দেশ ছাড়ার সিগন্যাল দিয়েছিলেন।

দেশে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিপদে রেখে হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজন সবাই পালিয়ে গেছেন।’

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যতই ষড়যন্ত্র করুক ফ্যাসিবাদী খুনিদের বিচার আমরা করবই। দিল্লিতে বসে করা কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের মানুষকে সেই বিচার থেকে পেছনে ফেরাতে পারবে না।

জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মেহাম্মদ নসরুল্লাহ। দিনব্যাপী পুনর্মিলনী আয়োজনে কলেজের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘সব কিছু রেডি রাখবি নইলে কোপ দিমু’

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
শেয়ার
‘সব কিছু রেডি রাখবি নইলে কোপ দিমু’
সংগৃহীত ছবি

‘আমরা ১৫-০৪-২০২৫ তারিখে আসব, সব কিছু রেডি রাখবি, নইলে কোপ দিমু’—এই বাক্য লিখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণনগর গ্রামের সাবেক কমিশনার হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া ও দলিল লেখক আব্দুর রউফ ভূঁইয়ার বাড়িতে ডাকাতির হুমকি দিয়ে অজ্ঞাত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ এই হুমকিসংবলিত চিঠি প্রথম পাঠানো হয়। এরপর আবারও মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা একই ধরনের হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে লিখে বাড়ির দেয়ালে টানিয়ে রাখে।

আরো পড়ুন
একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

 

এই ঘটনা দেখে সাবেক কমিশনার হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া ও দলিল লেখক আব্দুর রউফ ভূঁইয়া বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানান।

পরবর্তীতে তারা সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুর রহমানকে অবহিত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “গত ২৫ মার্চ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আমার বাড়ি ও দলিল লেখক আব্দুর রউফের বাড়িতে ডাকাতির হুমকি দিয়ে চিঠি ফেলে যায়। এরপর আবারও মঙ্গলবার গভীর রাতে আমাদের বাড়ির দেয়ালে লিখে রাখে—‘আমরা আসব, সব কিছু রেডি রাখবি, নইলে কোপ দিমু, তোদের কাছের মানুষ।’ এই ঘটনায় আমরা পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি।

আমাদের কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই, তবে জায়গা-জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে একটি মামলা চলমান।”

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান জানান, চিঠির মাধ্যমে ডাকাতির হুমকিসংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ