রাজধানীর বিনোদনের অন্যতম কেন্দ্র মিরপুরের জাতীয় চিড়িয়াখানায় ঈদের পঞ্চম দিন শুক্রবার (৪ এপ্রিল) ছিল উপচে পড়া ভিড়। দর্শনার্থীদের বেশির ভাগই মা-বাবার সঙ্গে আসা শিশু।
এদিকে দুপুর থেকেই রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ভাপসা গরম উপেক্ষা করেই চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছে।
সরেজমিনে মিরপুর চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে দেখা যায়, হাজার হাজার মানুষ ঘুরতে এসেছে। শহরের যান্ত্রিকতা পাশে রেখে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতেই চিড়িয়াখানায় এসেছে বলে জানিয়েছেন দর্শনার্থীরা। তবে ঈদের তিন দিনের তুলনায় আজ দর্শনার্থীর সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
একজন টিকিট বিক্রেতা বলেন, সকালে টিকিট বিক্রি হয়েছে কম।
দুপুরের পর থেকে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিকেলে ভিড় আরো বাড়বে আশা করছি।
রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে মো. সাইদুর রহমান দুই সন্তান নিয়ে চিড়িয়াখানায় এসেছেন। ভ্যাপসা গরমে ক্লান্ত হয়ে গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
এ সময় কথা হয় তার সঙ্গে। তিনি বলেন, আজকে গরম পড়েছে অনেকে। এই গরমে বাচ্চাদের নিয়ে হাঁটা যায় না। তাই গাছের ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছি।
মিরপুর ১০ নম্বর থেকে এসেছেন পরিবহন শ্রমিক হানিফ সরকার।
তিনি স্ত্রী ও দুই সন্তান নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। পুরান ঢাকার থেকে দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় চিড়িয়াখানায় প্রবেশ করেন জ্ঞানেন্দ্রনাথ কুন্ড। বেলা সাড়ে ১২টায় বের হয়ে যান তারা। তিনি বলেন, ভ্যাপসা গরমে ছোট বাচ্চাদের পুরোটা ঘুরে দেখতে পারিনি।
এদিকে, চিড়িয়াখানায় নতুন প্রাণী না থাকায় বেশিক্ষণ ঘোরার আগ্রহ পাননি অনেকে। তারা বলছেন, ওই একই প্রাণী। তিন বছর আগেও এগুলো দেখেছি। বরং এবার প্রাণির সংখ্যা কম, অনেক খাঁচা খালি। দেখার কিছুই নেই।
মারিয়াম নামের এক দর্শনার্থী জানান, টিকিটের দামটা অনেক বেশি। প্রথম যখন এসেছিলাম তখন ১২ টাকা ছিল, এখন ৫০ টাকা। এটা একটু কম হলে ভালো হয়।