আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচের আগে রোমারিও টিভি’তে ব্রাজিলিয়ান ফরোযার্ড রাফিনিয়া বলেছিলেন, ‘আমরা তাদের অবশ্যই হারাব। গুঁড়িয়ে দেব। মাঠে এবং প্রয়োজন হলে মাঠের বাইরেও। নিশ্চিতভাবে আমি গোল করতে যাচ্ছি।
আমরা যা আছে সব নিয়ে মাঠে নামব।’
কিন্তু মাঠে নামার নামার পর দেখা গেল উল্টো ব্রাজিলকে গুড়িয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলকে স্রেফ গুঁড়িয়ে, উড়িয়ে, নাস্তানাবুদ করে স্রেফ দর্শক বানিয়ে রাখল ব্রাজিলকে। রাফিনিয়া-ভিনিসিয়ুসদের নিয়ে ছেলেখেলা করে ৪-১ গোলে জিতেছে আলভারেজ-ডি পলরা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ কেউ বলছেন, রাফিনিয়া অপরিণামদর্শী হয়ে হুংকার না ছাড়লে আর্জেন্টাইনরা এভাবে জ্বলে উঠতেন না! কিন্তু আর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি সংবাদ সম্মেলনে এমন কিছু উড়িয়ে দিয়েছেন। রাফিনিয়ার কথায় তেতে উঠে আর্জেন্টিনা ব্রাজিলকে চার গোল দেয়নি, এটাই বোঝালেন স্কালোনি। তবে এসব যে বলতে নেই কিংবা তেমন ওজনদার খেলোয়াড় হওয়ার পর বলা উচিত—সেটাও পরোক্ষভাবে রাফিনিয়াকে বুঝিয়ে দিয়েছেন আর্জেন্টিনা কোচ, ‘এটা ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা, এই ম্যাচ নিয়ে এমন সব কথা বলার দরকার নেই। আমরা সে জন্য এভাবে খেলিনি।
আমি রাফিনিয়াকে ক্ষমা করে দিয়েছি। কারণ, আমি জানি সে ইচ্ছা করে এটা বলেনি; সে তার দলের হয়ে বলেছে।’
ম্যাচের পর আলভারেজের কণ্ঠে ছিল রাফিনিয়ার কথার জবাব দেওয়ার তৃপ্তি। ‘আমরা মাটিতে পা রেখেই নিজেদের কাজটা করেছি এবং দারুণ একটি ম্যাচ খেললাম। ওদেরকে দারুণ প্রদর্শনী দেখিয়ে দিলাম।
৪-১ ব্যবধানের ঐতিহাসিক জয়। আমরা এতে দারুণ গর্বিত।’
আর্জেন্টিনার কাছে হেরে চাকরি হারানোর শঙ্কায় আছেন ব্রাজিল কোচ দোরিভাল জুনিয়র। তাকে ছাঁটাইয়ের দাবি উঠেছে ব্রাজিলে। দোরিভালও স্কালোনির কৌশলের কাছে পর্যুদস্ত হওয়াটা স্বীকার করে ম্যাচ শেষে বলেছেন, ‘প্রথম মিনিট থেকেই আমাদের পরিকল্পনা কাজে লাগেনি। যা ঘটেছে, তাতে স্বীকার করতেই হবে, আমাদের পর্যুদস্ত করে তারা যোগ্যতর দল হিসেবেই জিতেছে। এই হার তাৎপর্যপূর্ণ। তবে সন্দেহ নেই আমরা ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বের করতে পারব।’
ব্রাজিলের ডিফেন্ডার মারকিনিওসবলেছেন, ‘এটা শুধু কোচের ভুল নয়, খেলোয়াড়দেরও। আজ যা ঘটেছে, তা যেন আর না ঘটে।’