গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের প্রতি জনগণের যে বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল, সেটিতে চিড় ধরেছে। কারণ এখন অনেক ছাত্রের মধ্যে সুবিধাবাদী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সমন্বয়ক পরিচয়ে তারা ডিসি অফিস, ইউএনও অফিস, থানাসহ বিভিন্ন স্থানে অনৈতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছেন।’
শনিবার (২৮ মার্চ) বিকেলে গলাচিপা সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে গণ অধিকার পরিষদ গলাচিপা উপজেলা শাখা আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলপূর্ববর্তী আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
নুরুল হক নুর বলেন, ‘রাজনৈতিক দল ও ছাত্র-জনতার সমন্বিত আন্দোলনে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে, কিন্তু জনগণের মুক্তি আসেনি। জনগণ যার যার কাজে ফিরে গেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জনগণের ত্যাগের কথা ভুলে যায়, তবে জনগণ প্রতারিত হবে এবং সেই রাজনৈতিক নেতারাও এর ভুক্তভোগী হবেন।’
আরো পড়ুন
চাঁদ দেখা যায়নি ইন্দোনেশিয়ায়
তিনি আরো বলেন, ‘গত ১৭ বছর ধরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্নভাবে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছে।
এতে অনেকে জেল খেটেছেন, পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন, আহত হয়েছেন, এলাকা ছেড়েছেন, এমনকি দেশও ছেড়েছেন। কিন্তু তার পরও জনগণের কাঙ্ক্ষিত মুক্তি আসেনি।’
নুরুল হক নুর মনে করেন, ‘গণ-আন্দোলনে জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ না থাকলে ফ্যাসিবাদের পতন সম্ভব ছিল না। জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ ও রাজনৈতিক দলের প্রচেষ্টার মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ বিতাড়িত হয়েছে।
’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘এই অভ্যুত্থানের পর জনগণ হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফিরে গেছে, কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত জনগণের ত্যাগের মূল্য দেওয়া এবং তাদের জন্য কাজ করা।’
তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর ব্যর্থতা স্বীকার করে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৬ বছর রাজনৈতিক দলগুলো জনগণকে একত্রিত করতে ব্যর্থ হয়েছে, কিন্তু জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্রদের প্রতি জনগণের বিশ্বাস তৈরি হয়েছিল। তবে এখন দেখা যাচ্ছে, সেই ছাত্রদের মধ্যে কিছু ব্যক্তি সুবিধাবাদী হয়ে উঠেছেন। তারা বিভিন্ন প্রশাসনিক অফিসে প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করছেন, যা জনগণের আস্থা নষ্ট করছে।’
গণ অধিকার পরিষদের গলাচিপা উপজেলা আহ্বায়ক হাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিলে জেলা, উপজেলা এবং কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।