আজ বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৫ রমজান ১৪৪৬
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ—
জোহরের সময় শুরু ১২টা ৮ মিনিট।
আসরের সময় শুরু - ৪টা ২৮ মিনিট।
মাগরিব- ৬টা ১৫ মিনিট।
এশার সময় শুরু - ৭টা ২৯ মিনিট।
আজ বুধবার ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১, ২৫ রমজান ১৪৪৬
ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি নিম্নরূপ—
জোহরের সময় শুরু ১২টা ৮ মিনিট।
আসরের সময় শুরু - ৪টা ২৮ মিনিট।
মাগরিব- ৬টা ১৫ মিনিট।
এশার সময় শুরু - ৭টা ২৯ মিনিট।
আগামীকাল ফজর শুরু - ৪টা ৪৩ মিনিট।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত - ৬টা ১২ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয়- ৫টা ৫৭ মিনিটে।
সূত্র : ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার, বসুন্ধরা, ঢাকা।
সম্পর্কিত খবর
আয়াতের অর্থ : ‘যারা কুফরি করে তাদের কাজ মরুভূমির মরীচিকাসদৃশ, পিপাসার্ত যাকে পানি মনে করে, কিন্তু সে তার কাছে উপস্থিত হলে দেখবে তা কিছু নয় এবং সে পাবে সেখানে আল্লাহকে, অতঃপর তিনি তার কর্মফল পূর্ণ মাত্রায় দেবেন। আল্লাহ হিসাব গ্রহণে তৎপর। অথবা তাদের কাজ গভীর সমুদ্রতলের অন্ধকারসদৃশ, যাকে আচ্ছন্ন করে তরঙ্গের ওপর তরঙ্গ, যার ঊর্ধ্বে মেঘপুঞ্জ, অন্ধকারপুঞ্জ স্তরের ওপর স্তর...।’ (সুরা : নুর, আয়াত : ৩৯-৪০)
আয়াতদ্বয়ে পরকালের ব্যাপারে অবিশ্বাসীদের অসারতা তুলে ধরা হয়েছে।
শিক্ষা ও বিধান
১. উপদেশ প্রদানে কোরআনের রীতি হলো সুসংবাদ ও হুঁশিয়ারি পাশাপাশি নিয়ে আসা। যেন মানুষের ভেতর আশা বা ভয় কোনোটাই প্রবল না হয়।
২. পরকালের ব্যাপারে অবিশ্বাসীদের প্রত্যাশা মিথ্যা ও মূল্যহীন। পরকালে তাদের কোনো প্রাপ্য নেই।
৩. অবিশ্বাসীদের ভালো কাজগুলো মরীচিকার মতো নিষ্ফল ও বিভ্রম মাত্র, যা দূর থেকে পানি মনে হলেও প্রকৃত পক্ষে পানি নয়। (আত-তাহরির ওয়াত তানভির : ৩৯-৪০)
৪. তিন জিনিসের অভাবে মানুষের আমল নিষ্ফল হয় : ক. ঈমান, খ. ইখলাস বা নিষ্ঠা, গ. শরিয়তের অনুসরণ।
৫. ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, ‘তরঙ্গ আচ্ছন্ন করে’ বাক্য দ্বারা অবিশ্বাসীদের অন্তর, চোখ ও কানের ওপর বিরাজমান পর্দা উদ্দেশ্য। (তাফসিরে ইবনে কাসির : ৮/১৩৪)
ফিলিস্তিনের আল-আকসা মসজিদে রমজানের ২৬ তম রাতে তারাবির নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ মার্চ) অনুষ্ঠিত এ নামাজে প্রায় দুই লাখ ফিলিস্তিনি মুসল্লি অংশগ্রহণ করেছেন।
আল-আকসা মসজিদ পরিচালনাকারী ওয়াকফ বিভাগ জানায়, রমজান মাসে আল-আকসায় সর্বোচ্চ সংখ্যক মুসল্লির রেকর্ড করা হয়েছে। জেরুজালেমে ইসরায়েলের বিধিনিষেধ সত্ত্বেও এক লাখ ৮০ হাজারের বেশি মুসল্লি তারাবির নামাজে অংশ নেন।
লাইলাতুল কদর বা শবেকদর একটি মহিমান্বিত রাত। এই রাতে পবিত্র কোরআন অবতীর্ণ হয়েছিল। তবে রাতটি সুনির্দিষ্ট করা হয়নি; বরং রমজান মাসের শেষ ১০ দিনের যেকোনো একদিন তা হতে পারে। পবিত্র কোরআনে এই রাতকে হাজার রাতের চেয়ে উত্তম বলা হয়েছে।
সূত্র : আরব নিউজ
রোজাদারকে ইফতার করানো সওয়াবের কাজ। এরমাধ্যমে রোজাদারের সমান সওয়াব লাভ করা যায়। হাদিস শরিফে এসেছে,
عَنْ زَيْدِ بْنِ خَالِدٍ الْجُهَنِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كَانَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ غَيْرَ أَنَّهُ لاَ يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْئًا "
জায়েদ বিন খালিদ আল-জুহানি (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেছেন, যে কোনো রোজাদারকে ইফতার করাবে তার জন্য রোজাদারের মতোই প্রতিদান রয়েছে। তবে এর ফলে রোজা পালনকারীর সাওয়াব থেকে বিন্দুমাত্র কমানো হবে না।
শত্রুরা মুমিনের ক্ষতি করার জন্য ওত পেতে থাকে। তাই সব ধরনের ক্ষতি বাঁচতে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা মুমিনের কর্তব্য। রাসুল (সা.) শত্রুর হামলার ভয় করলে একটি দোয়া পড়তেন। তা হলো-
اللَّهُمَّ إنَّا نَجْعَلُكَ فِي نُحُورِهِمْ وَنَعُوذُ بِكَ مِنْ شُرُورِهِمْ
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্না নাজআলুকা ফি নুহুরিহিম অনাউযু বিকা মিন শুরুরিহিম।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমরা আপনাকে তাদের মোকাবেলায় রাখছি এবং তাদের অনিষ্টতা থেকে তোমার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি।
হাদিস আবু মুসা আশআরি (রা.) বর্ণনা করেছেন, রাসুল (সা.) যখন কোনো শত্রুদলকে ভয় করতেন তখন এই দোয়া পড়তেন।
মহান রাব্বুল আলামিন আমাদের শত্রুর অনিষ্ট থেকে রক্ষা করুন। আমিন।