কুমিল্লায় ৫৩৮ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ

কুমিল্লা প্রতিনিধি
কুমিল্লা প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় ৫৩৮ আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
সংগৃহীত ছবি

কুমিল্লায় ১৭টি উপজেলায় কর্মরত ৫৩৮ জন ভাতাভোগী আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে মহাপরিচালকের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) দুপুর দেড়টায় নগরীর রামমালা আনসার ও ভিডিপি কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ঈদ উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা রেঞ্জের রেঞ্জ কমান্ডার মাহবুবুর রহমান। 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কমান্ড্যান্ট মো. রাশেদুজ্জামান, জেলা সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট, মো. মনিরুল ইসলাম, রেঞ্জ সার্কেল অ্যাডজুট্যান্ট, আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ অন্যরা।

জেলা কমান্ড্যান্ট মো. রাশেদুজ্জামান জানান, ৫৩৮ জন ভাতাভোগী আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা প্রত্যেকে পোলাও চাল এক কেজি, সেমাই দুই প্যাকেট, সেমাই (লাচ্ছা) দুই প্যাকেট, গুড়া দুধ ২০০ গ্রাম, সুজি ৫০০ গ্রাম, নুডলস এক প্যাকেট, ২০০ গ্রাম ঘিসহ অন্যান সামগ্রী প্রদান করা হয়।

প্রধান অতিথি রেঞ্জ কমান্ডার মাহবুবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের সর্ববৃহৎ জন সম্পৃক্ত শৃঙ্খলা বাহিনী। এ বাহিনীর স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা দেশের যেকোনো প্রয়োজনে নিজেকে নিয়োজিত করেন। তাই মহাপরিচালক পবিত্র ঈদুল ফিতরের আনন্দকে ভাগাভাগি করার জন্য বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সকল ভাতাভোগী সদস্যদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তারই প্রেক্ষিতে কুমিল্লা জেলার ১৭টি উপজেলার ৫৩৮ জন ভাতাভোগী আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের মাঝে ঈদ উপহার প্রদান করা হয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘ক্যাশে এত কম টাকা রাখলেন কেন’, চুরির পর মালিককে চোরের কল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
‘ক্যাশে এত কম টাকা রাখলেন কেন’, চুরির পর মালিককে চোরের কল
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে একটি ফার্মেসিতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এদিকে চুরির পর ফার্মেসি মালিকের মোবাইল নম্বরে কল করে চুরির দায় স্বীকার করেছে চোরচক্রের সদস্যরা। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা।

গতকাল রবিবার (৩০ মার্চ) মধ্যরাতে উপজেলা শহরের হাসপাতাল সড়কের মল্লিক ফার্মেসিতে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন
শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব : উপদেষ্টা মাহফুজ

শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব : উপদেষ্টা মাহফুজ

 

ফার্মেসি মালিক হরেন্দ্রনাথ সাহা বলেন, ‘ভোরবেলার দিকে চোরচক্রের এক সদস্য আমার মোবাইলে কল করে বলে, দাদা আপনার ফার্মেসিতে আমরা চুরি করেছি। গতকাল তো কেনাবেচা অনেক করেছেন তো ক্যাশে এত টাকা রাখলেন কেন! একটু বেশি করে রাখতে পারেন না?’

তিনি আরো বলেন, ‘মোবাইলের কথা আমি বিশ্বাস করছিলাম না। পরে দোকানে এসে ওষুধসহ বেশকিছু জিনিসপত্র নিয়ে গেছে তারা।’

আরো পড়ুন
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের মানুষের গণদাবি : নাহিদ

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের মানুষের গণদাবি : নাহিদ

 

এ বিষয়ে জানতে কালীগঞ্জ থানার ওসি শহীদুল ইসলাম হাওলাদারের ব্যবহৃত মোবাইলে একাধিক বার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

মন্তব্য
নওগাঁ

মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে লাশ হলেন যুবক

নওগাঁ প্রতিনিধি
নওগাঁ প্রতিনিধি
শেয়ার
মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়ে লাশ হলেন যুবক
ছবি: কালের কণ্ঠ

নওগাঁর সাপাহারে বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়ে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহিন আলম (১৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন।

সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কালাইবাড়ী-দিঘিরহাট আঞ্চলিক সড়কের মিরাপাড়া নামক স্থানে এ দুুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহিন আলম পোরশা উপজেলার পশ্চিম হরিপুর গ্রামের মোহাম্মদ ইব্রাহিমের ছেলে।

আহতরা হলেন সাপাহার উপজেলার আলাদীপুর গ্রামের তাহিরের ছেলে আহসান আলী (১৭) ও জামিরুল (১৭)। জামিরুল পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল গ্রামের মোহাম্মদ সেলিমের ছেলে।

সাপাহার থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিন বন্ধু মিলে ঈদে ঘুরতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। অতিরিক্ত গতির কারণে মোটরসাইকেলটি মিরাপাড়া নামক স্থানে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে।

এতে ঘটনাস্থলে শাহিন আলম নিহত হন।

তার সঙ্গে মোটরসাইকেলে থাকা বাকি দুইজন আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। এর মধ্যে আহসান আলীর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আজিজ বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’

মন্তব্য

ঈদ যাত্রায় যমুনা সেতুতে ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়

কাজল আর্য, টাঙ্গাইল
কাজল আর্য, টাঙ্গাইল
শেয়ার
ঈদ যাত্রায় যমুনা সেতুতে ১৭ কোটি টাকার টোল আদায়
ছবি : কালের কণ্ঠ

এবারের ঈদ যাত্রায় এক সপ্তাহে যমুনা সেতু দিয়ে ২ লাখ ৪৭ হাজার ৬০১টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে ১৭ কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৮৫০ টাকার টোল আদায় হয়। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ২৪ মার্চ যমুনা সেতু দিয়ে ২৪ হাজার ৯৭টি যানবাহনে টোল আদায় হয় ২ কোটি ২৬ লাখ ৮৬ হাজার ৫৫০ টাকা।

২৫ মার্চ ২৯ হাজার ২৩৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৫৭ লাখ ১১ হাজার ৫৫০ টাকা। গত ২৬ মার্চ সেতু দিয়ে ৩৩ হাজার ৭৬৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় হয় ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা।
গত ২৭ মার্চ সেতু দিয়ে ৩৫ হাজার ২২৭টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় ২ কোটি ৬৫ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা। ২৮ মার্চ সেতু দিয়ে ৪৮ হাজার ৩৩৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় তিন কোটি ৩৮ লাখ ৫২ হাজার ৯০০ টাকা।
২৯ মার্চ সেতু দিয়ে ৪৫ হাজার ৪৭৮টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় তিন কোটি ২১ লাখ ৬৪ হাজার ৬০০ টাকা।

আরো পড়ুন
ঈদের খরচ যুক্ত করতে হবে আয়কর নথিতে

ঈদের খরচ যুক্ত করতে হবে আয়কর নথিতে

 

ঈদ যাত্রার শেষ দিন রবিবার (৩০ মার্চ) ৩১ হাজার ৪৬৫টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। সেতু পূর্বে ২১ হাজার ১২৬টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, এতে টোল আদায় হয় ১ কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার ৬০০ টাকা। অপরদিকে- সেতু পশ্চিমে ১০ হাজার ৩৩৯টি যানবাহন পারাপার হয়েছে, টোল আদায় হয় ৭৮ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০ টাকা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এবারের ঈদ যাত্রায় সেতুর দুই পাশে ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন চলাচল করে। উভয় পাশে দুটি করে মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা বুথ করা হয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘ঈদ যাত্রায় এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত উত্তরবঙ্গগামী ৪ লেন খুলে দেওয়ায় ঘরমুখো মানুষ ভোগান্তি ছাড়াই নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরেছে। অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ, সেতু ও মহাসড়কে গাড়ি বিকল এবং দুর্ঘটনার কারণে স্বল্প সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ থাকলেও আবার কিছুক্ষণ পরেই মহাসড়ক স্বাভাবিক হয়ে যায়।’

আরো পড়ুন
রোহিতের ক্যারিয়ারের শেষ সময় দেখতে পাচ্ছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

রোহিতের ক্যারিয়ারের শেষ সময় দেখতে পাচ্ছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার

 

১৯৯৮ সালের ২৩ জুন যমুনা সেতু উদ্বোধন হয়। ঢাকা টাঙ্গাইল যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের ২৩টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। স্বাভাবিকভাবে গড়ে প্রতিদিন ১৮-২০ হাজার যানবাহন সেতু দিয়ে পারাপার হলেও ঈদে পরিবহনের সংখ্যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে ঈদের জামাতে নারীরা

রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
রফিকুল ইসলাম, বরিশাল
শেয়ার
ঘরের চৌকাঠ পেরিয়ে ঈদের জামাতে নারীরা
ছবি: কালের কণ্ঠ

ঘড়ির কাটা তখন সকাল ৯টা ছুঁই ছুঁই করছে। বরিশাল শহরের প্রাণকেন্দ্র গীর্জামহল্লার জামে কশাই মসজিদের মহিলাদের নামাজের প্রবেশদ্বার। ঈদের প্রথম জামায়াতের নামাজ শেষে প্রবেশদ্বারে নারীদের জটলা। ঠিক তখনই পরস্পরকে জড়িয়ে ধরেন কলেজ শিক্ষার্থী আফসিয়া আক্তার ও স্কুলশিক্ষিকা রোশনে আরা বেগম।

তখন তাদের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গৃহবধূ আঞ্জুমান বেগমও তাদের দুজনকে অতি মমতায় জড়িয়ে ধরেন।

ওই মুহূর্তে ঘটনাস্থলে ছিলেন সাংবাদিক খান মনিরুজ্জামান। তার ভাষ্যমতে, তাদের প্রত্যেকের চোখেই আনন্দের ঝিলিক অনুভব করা গেছে। তাদের মধ্যে একমাত্র স্কুলশিক্ষিকা রোশনে আরা বেগম কশাই মসজিদে মেয়েদের দলে তারাবির নামাজ পড়েছেন।

নিউ সার্কুলার রোডের বাসিন্দা আফসিয়া আক্তার মসজিদে এই প্রথম এসেছেন। অনুভূতির কথা ব্যক্ত করতে গিয়ে তাই নিজেই বলে ওঠেন, ‘কখনো ভাবিনি, বাড়ির বাইরে মসজিদে এসে পুরুষের পাশাপাশি অন্য নারীদের সঙ্গে জামাতে নামাজ আদায় করব।’

আরো পড়ুন

এবার আনন্দময় পরিবেশে দেশবাসী ঈদ উদযাপন করছে : মির্জা ফখরুল

এবার আনন্দময় পরিবেশে দেশবাসী ঈদ উদযাপন করছে : মির্জা ফখরুল

 

কলেজ শিক্ষার্থীর সেই বক্তব্যের সত্যতা মেলে ইতিহাস ঘেঁটে। আর সেই নির্মম ইতিহাস হচ্ছে, নারীদের ঈদের নামাজ পড়ার জায়গা বলতে এতদিন ঘরের চৌহদ্দিতেই সীমাবদ্ধ ছিল।

নারীরা বন্ধ ঘরে, বড়জোর বাড়ির ছাদে ঈদের নামাজ আদায় করতেন। আফসিয়া এতদিন চৌহদ্দিতেই অভ্যস্ত ছিলেন। তবে আজ সোমবার ঈদের দিন সকালে বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে শহরের প্রাণকেন্দ্রের কশাই মসজিদে গিয়ে দল বেঁধে নামাজ পড়েন আফসিয়ারা।

ঈদের দিন সকালে বিভাগীয় শহরের তিন শতাধিক মহিলা একমাত্র কশাই জামে মসজিদে পুরুষের পাশাপাশি আলাদাভাবে নামাজ পড়েছেন। বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি ও জামে কসাই মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল মান্নান তাদের নামাজের ইমামতি করেছেন।

প্রার্থনা করেছেন বিশ্বশান্তির। ওই ইমামের নেতৃত্বেই পুরুষদের নামাজ পড়ার বন্দোবস্ত হয়েছিল একই মসজিদের নীচতলায়।

আরো পড়ুন

নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে : মঈন খান

নির্বাচন বিলম্বিত হলে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিতে পারে : মঈন খান

 

নগরীর কাঠপট্টি রোডের গৃহবধূ সাবানা বেগম বলেন, ‘মহিলাদের যে ফতোয়ার বেড়াজালে আটকে দেওয়া হয়েছিল, তার বাইরে বেরিয়ে স্বাধীনভাবে নামাজ পড়তে পেরে খুব ভালো লাগছে।’

মসজিদে নামাজ পড়তে পেরে খুশি আমতলা মোড় এলাকার রুনা আক্তার, লায়লা বেগম, পুলিস লাইনস রোডের আলিয়া বেগমরাও। আলিয়ার কথায়, আমরা চাই কশাই মসজিদের মতো অধিকাংশ মসজিদে নারীদের নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা হোক।

বরিশাল মহানগর ইমাম সমিতির সভাপতি ও জামে কসাই মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা আব্দুল মান্নান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদের দুটি জামায়াতে প্রায় তিন হাজার নারী-পুরুষ নামাজ আদায় করেছেন। তাদের মধ্যে প্রায় ৪০০ নারী নামাজি ছিলেন। যেটা বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। শুধু ঈদের জামাত নয়, তারাবিতেও নারীদের অংশগ্রহণ অনেক ছিল। অন্তত দুই শতাধিক নারী প্রত্যেক দিন ইফতারি করেছেন।’

আরো পড়ুন

ঈদের আনন্দ উদযাপনে শরিয়তের নির্দেশনা

ঈদের আনন্দ উদযাপনে শরিয়তের নির্দেশনা

 

জানা গেছে, ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর আঘাত হানার কয়েকমাস আগে কেন্দ্রীয় জামে কশাই মসজিদ কমিটি ওই সময়টায় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, দিনভর রোজা রাখার পরে মসজিদেই তারাবির নামাজ পড়তে পারবেন নারীরা। তারপর পর্যায়ক্রমে শুক্রবার জুমা, তারপর ফজর বাদে চার ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পুরুষের পাশাপাশি নারীদের নামাজ আদায়ের অনুমতি মেলে। সেই থেকে বাড়ির চৌকাঠ পেরিয়ে হেমায়েত উদ্দিন রোডের জামে কশাই মসজিদে গিয়ে দল বেঁধে নামাজ শুরু করেন নারীরা।

প্রায় ১৭ বছর আগে, নারীদের জন্য প্রথম কশাই মসজিদে ঈদের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু তখনও অনেকে ফতোয়া জারির মাধ্যমে প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করেছিলেন। তবুও নারীদের জামায়াতে নামাজ আদায় থেমে থাকেনি। মাঝে দু’বছর করোনার প্রকোপে মসজিদে জামাতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। করোনা শেষে মসজিদে গিয়ে প্রতিদিনের নামাজ যাতে আদায় করা যায়, সে চেষ্টায় শামিল হয়েছিলেন নারীরা।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ