রাত পোহালেই ঈদ। শহর ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফাঁকা হয়ে আসছে। ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া দূরপাল্লার যানবাহনের কোনো চাপ নেই।
রাত পোহালেই ঈদ। শহর ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ফাঁকা হয়ে আসছে। ব্যক্তিগত যানবাহন ছাড়া দূরপাল্লার যানবাহনের কোনো চাপ নেই।
এদিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে কিছু যাত্রীবাহী বাস চললেও বাসে যাত্রীর কোনো চাপ ছিল না। পণ্যবাহী যানবাহন কম চলাচল করছে। পরিবহনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবারের ঈদযাত্রায় স্বস্থিতে মানুষ বাড়ি যেতে পেরেছে।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা অংশে ২৬টি পয়েন্ট যানজট প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার ১০২ কিলোমিটার অংশে ছিল ১২টি যানজট পয়েন্ট।
রবিবার (৩০ মার্চ) মহাসড়কের পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, দাউদকান্দি টোলপ্লাজা, ইলিয়গঞ্জ বাজার, নিমসার বাজার, চান্দিনা বাজার ও চৌদ্দগ্রাম এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে, কোথাও কোনো যানজট নেই।
দুপুরে রয়েল এয়ারকনের যাত্রী আজিজুর রহমান ও ফেরদৌসী দম্পতি জানান, সকালে ঢাকা থেকে রওনা হয়ে কুমিল্লায় আড়াই ঘণ্টার মধ্যে পৌঁছে গেছি। সড়কে কোনো যানজট ছিল না। মোড়ে মোড়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ দাঁড়ানো ছিল।
ঢাকা-কোম্পানীগঞ্জের তিশা পরিবহনের যাত্রী মো. আলমগীর হোসেন ও আল আমিন বলেন, গতবার ঈদে ভাড়াও বেশি রাখা হয়েছিল। এবার ভাড়া বেশি নেয়নি। সড়কে যানবাহনের কোনো চাপ ছিল না। আগে দাউদকান্দি ও মেঘনায় টোলপ্লাজায়ও কমপক্ষে দুই আড়াই ঘণ্টা যানজট লেগে থাকত। এখন এক মিনিটে টোলপ্লাজা পার হয়েছি।
একই বাসের চালক মো.ফজলু মিয়া বলেন, সড়ক ফাঁকা ছিল, যাত্রীর চাপ নেই। দুই-আড়াই ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা থেকে কোম্পানীগঞ্জে আসা যায়। আগে ঢাকা থেকে রওনা হলে পথে ইফতার-সাহরি দুইটাই করা হতো। অনেক যাত্রী বাড়িতে গিয়ে ঈদের নামাজও পড়তে পারত না। গত ১৬ বছরের মধ্যে এবারই দেখলাম যে সড়কে যানজট নেই। রাস্তায় সেনাবাহিনী থাকায় আরো উপকার হয়েছে।
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল আফসার বলেন, টোলপ্লাজা নিয়ে বড় চিন্তায় ছিলাম। টোলপ্লাজায় উভয়মুখী লেনে গাড়ি চলে। গাড়ির জটলা হলে বড় ধরনের যানজট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। টোলপ্লাজায় এলাকায় পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন।
হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিওনের পুলিশ সুপার মো. খাইরুল আলম বলেন, মহাসড়কের কোথাও কোনো যানজট নেই। সেনাবাহিনী, হাইওয়ে পুলিশ ও বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন। যার ফলে ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ স্বজনদের কাছে ফিরতে পেরেছেন। ঈদ শেষে যাতে নির্বিঘ্নে মানুষ তাদের কর্মস্থলে ফিরতে পারেন মহাসড়কে পুলিশ ডিউটি করবে।
তিনি আরো বলেন, সড়কে ৮ শতাধিক হাইওয়ে পুলিশ ছাড়াও ২৩৮রোভার স্কাউট সদস্যকে অস্থায়ীভাবে কাজে লাগিয়েছি। তাদের ট্রেনিং করিয়েছি। তারা মহাসড়কের কাজের দায়িত্বে আছেন। এ ছাড়া সেনাবাহিনী, জেলা পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সহযোগিতা করছেন।
সম্পর্কিত খবর
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণে পাঁচ শিশুসহ ৬ জন দগ্ধ হয়েছে। বুধবার (২ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চৌমুহনী পৌরসভার দরবেশপুর এলাকার মাইজদী-চৌরাস্তা আঞ্চলিক মহাসড়কের গ্লোব ফ্যাক্টরির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- জেলার সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের হাওলাদার বাড়ির আব্দুল বারিক হেকিমের মেয়ে কহিনুর হোসেন (৫৫), চৌমুহনী পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের নাজিরপুর এলাকার আনোয়ারের ছেলে শাহরিয়ার (৯) তার মেয়ে সামিয়া আক্তার (১৪) ও রুহি (১১), একই ওয়ার্ডের ইকবালের ছেলে তাওহিদ (৫) তার মেয়ে শাহনা (১০)।
স্থানীয়রা জানায়, সন্ধ্যার দিকে জেলা শহর মাইজদী থেকে একটি যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকশা জেলার বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা করে।
জানতে চাইলে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. রাজীব আহমেদ চৌধুরী জানান, অগ্নিদগ্ধদের মধ্যে পাঁচজন আমাদের হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের শরীর ৫ থেকে ৭ শতাংশ পুড়েছে। বর্তমানে তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই।
টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ঘারিন্দা ইউনিয়নের দরুন এলাকায় প্রেমিকাকে ভিডিও কলে রেখে রাসেল (১৫) নামে এক কিশোর গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে রাসেলের নিজ বাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত রাসেল সদর উপজেলার দরুন এলাকার চান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় স্বর্ণালী বলেন, প্রেমের সম্পর্ক ছিল রাসেল ও মারিয়ার মধ্যে।
আত্মহত্যার বিষয়টি জানাজানি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায়।
অপরদিকে প্রেমিকা মারিয়াকে এলাকাবাসী আটক করে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখে।
টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানবীর আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, ১৭ বছরের আন্দোলনের ফসল পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে বিদায় ঘটিয়ে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। এ সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে নির্বাচন দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু সংস্কারের দোহাই দিয়ে জনগণের প্রত্যাশাকে বাধাগ্রস্ত করা হলে আমরা তা সর্মথন করব না।
বুধবার (২ এপ্রিল) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সবার আগে বাংলাদেশ-এর খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মুনতাসির মামুন সাজু, বেগম রেহানা ঈসা, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ মিরাজ, কেএম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, অ্যাড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, নাসির উদ্দিন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মতলুবুর রহমান মিতুল প্রমুখ।
এসময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহবায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আগামী ১১ এপ্রিল খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্ট সফল করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সভা চলছিল।
বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন খালে গোসল করতে নেমে স্রোতে তলিয়ে গিয়ে মালিহা (৮) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। সে ওই গ্রামের মৃত বাদশা খানের নাতি ও মৎস্যজীবী মো. রাসেলে মেয়ে। মালিহা স্থানীয় জম্বদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী।
জানা গেছে, বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে নানা বাড়ির সামনে জম্বদ্বীপ খালে গোসল করতে নামলে জোয়ারের স্রোতে সে তলিয়ে যায়।
এ সময় বানারীপাড়ার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ও থানার পুলিশও সেখানে উদ্বার চেষ্টায় তাদের সহায়তা করে। এদিকে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে খালের তীরে মা-বাবা ও স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।
বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, ওই শিশুটি খালের পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে বরিশালে ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও নিখোঁজ শিশুটির কোনো সন্ধান করতে পারেননি।