ঈদের ব্যায়ের হিসাব যুক্ত করতে হবে আয়কর নথিতে। উৎসবের খরচ অংশে এ খরচ দেখাতে হবে।
বার্ষিক রিটার্ন দেওয়ার সময় জীবনযাপনের খরচ বিবরণী দিতে হয়। সেখানে ঈদসহ উৎসবের যাবতীয় খরচ দেখাতে হবে করদাতাকে।
ঈদের ব্যায়ের হিসাব যুক্ত করতে হবে আয়কর নথিতে। উৎসবের খরচ অংশে এ খরচ দেখাতে হবে।
বার্ষিক রিটার্ন দেওয়ার সময় জীবনযাপনের খরচ বিবরণী দিতে হয়। সেখানে ঈদসহ উৎসবের যাবতীয় খরচ দেখাতে হবে করদাতাকে।
ঈদে সরকারি-বেসরকারি কর্মজীবীরা উৎসব বোনাস পেয়ে থাকেন। এই টাকা যুক্ত হয় তার আয়ে। একই সঙ্গে ঈদ উৎসবে কেনাকাটাসহ বিভিন্ন খবর করেন সবাই।
বাধ্যতামূলকভাবে সম্পদের বিবরণী দাখিলে নানা শর্ত থাকলেও ক্ষেত্রে জীবনযাত্রার খরচ দেখানোর জন্য কোনো শর্ত নেই। সাড়ে তিন লাখ টাকার বেশি করযোগ্য আয় হলেই কোথায় কত খরচ করলেন, তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) জানাতে হবে। এখানে ঈদের খরচও বাদ যায়নি।
জমা দেওয়া নথিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দেখে, করদাতার আয়-ব্যয়। তার সামাজিক অবস্থান। করদাতার আয়-ব্যয়ের সঙ্গে জীবনযাত্রায় মিল আছে কিনা।
সম্পর্কিত খবর
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির ও চরমোনাই পীর মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ দেশ। এদেশের মানুষ ধার্মিক, ধর্মোন্মাদ নয়। সততা, কর্তব্যনিষ্ঠতা, দায়বদ্ধতা আমরা ধর্ম থেকেই শিখেছি। একই সঙ্গে আমাদের রয়েছে বিপুল উদ্দীপনাময় শিক্ষিত তারুণ্য।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত নিয়মিত বৈঠকে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
চরমোনাই পীর বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানিয়ে বলেন, আপনাদের বিনিয়োগের সুরক্ষায় যা যা করনীয় তা একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে আমরা করবো। রাসুলুল্লাহ (স.) পেশাগত জীবনে একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। ইসলামে সৎ ও আমানতদার ব্যবসায়ী কিয়ামতের দিন নবীগণ, সিদ্দীকীন এবং শহীদগণের সঙ্গে থাকবে মর্মে ঘোষণা দিয়ে ব্যবসায়ীদের সন্মান বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে আমরাও সারাবিশ্বের ব্যবসায়ীদেরকে আমাদের ভূমিতে স্বাগত জানাই।
তিনি বলেন, আমি নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি, বাংলাদেশের ইসলামপন্থা একটি শান্তিপূর্ণ সংস্কারমূলক ধারায় কাজ করে। এই ভূখন্ডে ইসলাম প্রসারের ঐতিহাসিক কারণেই এখানে সহিংসতার কোনো স্থান নাই।
নিয়মিত বৈঠকে আরো উপস্থিতি ছিলেন, দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউুনস আহমেদ, যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা ইমতিয়াজ আলম, সহকারী মহাসচিব কে এম আতিকুর রহমান, মাওলানা আহমাদ আব্দুল কাইউম প্রমুখ।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আবদার করে রাজউকে আবেদন না করেই প্লট নিয়েছেন তাঁর মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল। তিনি অসৎ উদ্দেশ্যে নিজ ও পরিবারের অন্য সদস্যদের মালিকানায় ঢাকা শহরে রাজউকের এখতিয়ারাধীন এলাকায় বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পে প্লট নেন।
প্লট বরাদ্দসংক্রান্ত আইন, বিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করে শেখ হাসিনাকে অবৈধভাবে প্রভাবিত করে রাজউকে কোনো আবেদন না করেই মায়ের কাছে আবদারপূর্বক আবেদন পেশ করেন পুতুল। এরপর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ নেন।
শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার চার্জশিটে এসব কথা উল্লেখ করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া।
রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট জালিয়াতির ঘটনায় গত ১২ জানুয়ারি দুদকের সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া বাদী হয়ে শেখ হাসিনা-পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।
মামলার চার্জশিটভুক্ত ১৮ আসামি পলাতক থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি, হুলিয়া ও ক্রোক পরোয়ানা জারি করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। আগামী ১০ এপ্রিল এই মামলাটির ধার্য তারিখ রয়েছে।
নোয়াখালী-২ আসনের সাবেক এমপি ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) রাতে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে গণমাধ্যমকে জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক।
তিনি বলেন, মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলার তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
মোরশেদ আলম বেসরকারি টেলিভিশন আরটিভিরও চেয়ারম্যান। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলার একাংশ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। এরপর একাদশ ও দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা ও হামলা বন্ধের দাবিতে সোমবার সারা দেশে নজিরবিহীন বিক্ষোভ করে বাংলাদেশের মানুষ। বিক্ষোভের সময় কয়েকটি শহরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাট চালায় দুবৃত্তরা।
এসব ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ। ইতিমধ্যে ৬০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে মঙ্গলবার রাতে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এক বিবৃতিতে হামলা লুটপাটের নিন্দা জানিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়, এসব ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০ জনকে। এছাড়া, হামলায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আরো মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধিন।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই হামলা এবং ভাংচুর জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের জন্য হুমকি স্বরুপ। যারা এই হামলা চালিয়েছে তাদের সবাইকে সনাক্ত করতে ঘটনাস্থলের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে। যতক্ষণ পর্যন্ত দায়ী ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করা না যাবে ততক্ষণ পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিবৃতিতে তদন্তকাজে সহায়তার জন্য জনসাধারণকে তথ্য দিতে বলা হয়েছে।