ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঢাকা, বৃহস্পতিবার ০৩ এপ্রিল ২০২৫
১৯ চৈত্র ১৪৩১, ০৩ শাওয়াল ১৪৪৬

ঈদগাহে ইমাম নিয়ে বিরোধে ঈদের জামাত বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদগাহে ইমাম নিয়ে বিরোধে ঈদের জামাত বন্ধ, ১৪৪ ধারা জারি
সংগৃহীত ছবি

ঈদগাহের ইমাম নিয়ে দুই পক্ষের উত্তেজনার জেরে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে ঈদের জামাত। রবিবার (৩০ মার্চ) সন্ধ্যা ছয়টা থেকে ঈদের দিন সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে চিঠি দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।

গফরগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এনএম আবদুল্লাহ-আল-মামুন স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, গফরগাঁও উপজেলাধীন ৯ নম্বর পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন ঈদের নামাজ আদায় করাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এতে আইনশৃঙ্খলার মারাত্মক অবনতিসহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। সার্বিক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণের স্বার্থে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।

চিঠিতে আরো বলা হয়, রবিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে আগামীকাল সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঈদগাহ এলাকায় সকল প্রকার আগ্নেয়াস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, লাঠি বা দেশি অস্ত্র বহন ও প্রদর্শন, আতশবাজি, পটকা, মাইকিং বা শব্দযন্ত্রের ব্যবহার, পাঁচ সংখ্যক ব্যক্তির একত্রে চলাফেরা, সভা-সমাবেশ, মিছিল ইত্যাদি নিষিদ্ধ থাকবে।

স্থানীয়রা জানায়, পাঁচবাগ ইউনিয়নের লামকাইন ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ পড়াচ্ছিলেন মোহাম্মদ আলী নামের একজন ইমাম।

১৭ বছর ধরে ঈদগাহের নামাজ পড়ানো এই ইমাম আওয়ামী লীগপন্থী ওলামা লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, এমন অভিযোগ এনে এলাকার একটি পক্ষ অপসারণ দাবি করেন। পক্ষটি মোহাম্মদ আলীকে ঈদের জামাতে ইমামতি করতে না দেওয়ার ঘোষণা দেয় এবং স্থানীয় প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করে। অপর দিকে ওই ইমারের পক্ষের লোকজন তাকে বহাল রাখার দাবিতে প্রশাসনের কাছে আবেদন করে। বিষয়টি নিয়ে দুই পক্ষের সঙ্গে প্রশাসন আলোচনা করেও সমস্যার সমাধান করতে না পারায় উত্তেজনা শুরু হয়।

ইউএনও আবদুল্লাহ-আল-মামুন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদগাহে ইমাম নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। উপজেলা প্রশাসন উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসে। পরে বিষয়টি সমাধান না হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ওই ঈদগাহ মাঠে ঈদের জামাত স্থগিত করা হয়েছে। তবে আশপাশের মসজিদগুলোতে ঈদের জামাত আদায় করতে পারবে।

পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।’ 
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে উপচে পড়া ভিড়

শ‌ফিক আদনান, কি‌শোরগঞ্জ
শ‌ফিক আদনান, কি‌শোরগঞ্জ
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে উপচে পড়া ভিড়
ঈদের ছুটিতে কি‌শোরগঞ্জ হাওরে দর্শনার্থীদের ভিড়

ছু‌টিতে ভ্রমণপিপাসুদের জন্য পছন্দের অন্যতম জায়গা কিশোরগঞ্জের হাওর। প্রতিবছর ঈদের ছুটিতে থৈ থৈ জলরাশি দেখতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ ছুটে যান হাওরে। শুক‌নো মৌসু‌মে একরকম, বর্ষায় অন্যরকম। এবার ঈদটা হ‌লো শুক‌নো মৌসু‌মে।

গরমও বে‌শি। তবুও থে‌মে নেই পর্যটক‌দের আনা‌গোনা। হাজারো পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় হাওরে

মাইলের পর মাইল ফসলি জমি, ধান আর ভুট্টার ক্ষেত বাতা‌সে দুল‌ছে। শহর থে‌কে যাওয়া পর্যকটক‌দের দাপাদাপি, ছ‌বি তোলা, সেল‌ফি‌তে নি‌জে‌কে ধারণ করা সবই চল‌ছে সকাল থে‌কে সন্ধ্যা পর্যন্ত।

সাবমার‌সিবল ও দৃ‌ষ্টিনন্দন অলওয়েদার সড়ক রয়েছে পর্যক‌দের আকর্ষ‌ণের কেন্দ্রবিন্দু‌তে। ইটনা ও মিঠামইনের পাশ দি‌য়ে ব‌য়ে যাওয়া ধনু ও মেঘনা নদী‌তে এখন পা‌নি কম। নদীতে ছোট ছোট নৌকায় ভাস‌ছে লোকজন। 

স‌রেজ‌মিন ঘু‌রে দেখা গে‌ছে, জেলার নিকলী, বালিখলা, ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলওয়েদার সড়কের জিরো পয়েন্ট ও সেতুগু‌লো‌তে ভ্রমণপিপাসুদের কলরব।

তাদের বাধভাঙা ঢল আর উচ্ছ্বাসে মাতোয়ারা হাওর যেন পরিণত হয়েছে পর্যটনের এক স্বর্গপুরীতে। হাও‌রে পানি না থাকলেও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যের টানে এবারের ঈদে হাওরে ঢল নেমেছে দর্শনার্থীদের। ঈদের দিন থেকে প্রতিদিনই হাজার হাজার মানুষ হাওরে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে আসছেন।

জেলা শহর থেকে খুব কাছের হাওরটি করিমগঞ্জ উপজেলার বালিখলা এলাকায়। ঘাট থেকে নৌকা বা স্পিডবোট ভাড়া নিয়ে অনেকেই ছুটছেন হাওর ভ্রমণে।

বালিখলা থেকে নৌকা ও ফেরি পার হয়ে সাবমার‌সিবল সড়ক ধরে বিভিন্ন যানবাহন চড়ে যেতে পারছেন মিঠামইন জিরো পয়েন্টে। সেখানে ফটোসেশন, আড্ডা আর ঘুরেফিরে সময় কাটাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।

ঢাকা থেকে বড় বোনের বাসায় কিশোরগঞ্জ জেলা শহরে এসেছেন সানজিদা সামান্তা। অনেকদিন ধরেই তার ইচ্ছে হাওর দেখবে-তবে যখন চারিদিকে পানির সমারোহ থাকবে। কিন্তু যখন এসে শুনলেন হাওরে বর্ষার আগে পানির দেখা মিলবে না, তখন তার মনটাই খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে ঘুরতে এসে এখন তিনি মুগ্ধ। তিনি জানালেন, পানির সময় একবার এসেছিলাম, তাই ভেবেছিলাম হয়তো এখন ভালো লাগবে না। অথচ এসে দেখি চিত্র পুরোটাই উল্টো। এখানে হাজার হাজার মানুষের ভীড় শুধুমাত্র অলওয়েদার সড়ককে কেন্দ্র করে। তাছাড়া সবাই অনেক মজা করছে। এখন আমার মন অনেক ভালো।

রাজধানীর মোহাম্মপুর থে‌কে স্ত্রী ও ছে‌লে‌মে‌য়ে নি‌য়ে হাও‌রে বেড়া‌তে এসে‌ছেন আরিফ হাসান। দু’বছর আগে বর্ষার সময় আরেকবার এসে‌ছি‌লেন। এবার ঈদের ছু‌টি‌তে শুক‌নো মৌসু‌মে এলেন। তি‌নি ব‌লেন, বর্ষায় হাওর‌কে সাগ‌রের ম‌তো লা‌গে। আর এই জলরা‌শির মধ্যে ভে‌সে থাকা সড়‌ক‌টি দেখার ম‌তো এক‌টি বিষয় থা‌কে। আর শুক‌নো সম‌য়ের রূপও ম‌নোমুগ্ধকর। যেন সু‌বজের গা‌লিচায় ঢাকা। তি‌নি ব‌লেন খুব ভা‌লো লাগ‌ছে। সু‌যোগ পে‌লে আবার আস‌ব। ত‌বে তি‌নি আক্ষেপ ক‌রে ব‌লেন,  হাও‌রে পর্যকট‌দের জন্য সু‌যোগ সু‌বিধা কম। রাতযাপনের সু‌বিধা নেই।

বুধবার‌ (২ এপ্রিল) বি‌কেল ইটনা-‌মিঠামইন-অষ্টগ্রাম অলও‌য়েদার সড়ক (বর্ষায় ভে‌সে থাকা সড়ক) গি‌য়ে দেখা যায়, পু‌রো ৩০ কিলোমিটার অলওয়েদার সড়কজুড়ে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। কেউ ঘোড়ার পিঠে, কেউ বন্ধুদের নিয়ে বাইকে। আবার কেউবা দলবেঁধে পিকআপে চড়ে গানের তালে তালে নেচে বেড়াচ্ছেন। টিকটক ও স্যোসাল মিডিয়ায় নিজেদের তুলে ধরতে অনেকেই বিভিন্ন সাজে ও অঙ্গভঙ্গিতে ছবি তুলছেন। ঈদকে কেন্দ্র করে অনেক ফটোগ্রাফারও ছবি তুলে আয় করছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন সাজে দর্শনার্থীদের আকৃষ্ট করছেন।

রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিদিন ভ্রমণপিপাসু মানুষ দলবেঁধে ছুটে আসছেন হাওরে। ঈদের পর থেকে একটু আনন্দের খোঁজে দর্শনার্থীরা বেছে নিয়েছেন মিঠামইন অলওয়েদার সড়কের জিরোপয়েন্টকে। সকাল থেকে সন্ধ্যা এমনকি রাত পর্যন্ত সব বয়সীদের উপচে পড়া ভিড় সেখানে লেগেই রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণত হাওরে বর্ষা থাকে বছরের প্রায় ছয় মাস। পানি আসতে শুরু করে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ থেকে। শেষ হয় আশ্বিন-কার্তিকে। তখন পুরো সময়জুড়েই হাওরে পর্যটকদের ভিড় থাকে। তবে এবার শুকনো মৌসুমেও উৎসবে মাতোয়ারা বিনোদনপ্রেমীরা।

মিঠামইন সদ‌রের ব্যবসায়ী আলাউদ্দিন ব‌লেন, নিরাপত্তার কোনো ঝুঁকি নেই। আমরা যারা এই সময়টাকে এখানে ব্যবসা করি বা অন্যরাও এ বিষয়গুলো খেয়াল রাখি। তবে উঠতি বয়সীদের বেপ‌রোয়া বাইক চালা‌নো আমাদের কিছুটা দুঃশ্চিন্তা রা‌খে। এ দিকটায় প্রশাস‌নের একটু নজর দেওয়া উচিত।
 

মন্তব্য

‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে’
ছবি : কালের কণ্ঠ

অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান বলেছেন, ‘ভারতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। আমরা শহীদ আবু সাঈদ, শহীদ মুগ্ধ, শহীদ আনাসের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছি। আমরা ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও তার দোসরদের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও আমরা তাদের বিচার করব।

দিল্লি থেকে কোনো নসিহত বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থা বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’

বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুরে ঝিনাইদহের শৈলকুপা জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

আরো পড়ুন
একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

 

তিনি বলেন, ‘জুলাই বিপ্লবে যেসব শহীদের রক্তের ওপর দেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে, তাদের রক্তের ঋণ পরিশোধ করতে হবে। শেখ হাসিনা হেলিকপ্টারে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে তার আত্মীয়-স্বজনদের দেশ ছাড়ার সিগন্যাল দিয়েছিলেন।

দেশে আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বিপদে রেখে হাসিনা ও তার আত্মীয়-স্বজন সবাই পালিয়ে গেছেন।’

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল তিনি বলেন, ‘দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনা দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। যতই ষড়যন্ত্র করুক ফ্যাসিবাদী খুনিদের বিচার আমরা করবই। দিল্লিতে বসে করা কোনো ষড়যন্ত্রই দেশের মানুষকে সেই বিচার থেকে পেছনে ফেরাতে পারবে না।

জরিপ বিশ্বাস ডিগ্রি কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মেহাম্মদ নসরুল্লাহ। দিনব্যাপী পুনর্মিলনী আয়োজনে কলেজের বিভিন্ন ব্যাচের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

‘সব কিছু রেডি রাখবি নইলে কোপ দিমু’

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ
শেয়ার
‘সব কিছু রেডি রাখবি নইলে কোপ দিমু’
সংগৃহীত ছবি

‘আমরা ১৫-০৪-২০২৫ তারিখে আসব, সব কিছু রেডি রাখবি, নইলে কোপ দিমু’—এই বাক্য লিখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৃষ্ণনগর গ্রামের সাবেক কমিশনার হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া ও দলিল লেখক আব্দুর রউফ ভূঁইয়ার বাড়িতে ডাকাতির হুমকি দিয়ে অজ্ঞাত চিঠি দেওয়া হয়েছে।

গত ২৫ মার্চ এই হুমকিসংবলিত চিঠি প্রথম পাঠানো হয়। এরপর আবারও মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) গভীর রাতে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা একই ধরনের হুমকি দিয়ে সাদা কাগজে লিখে বাড়ির দেয়ালে টানিয়ে রাখে।

আরো পড়ুন
একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

একসঙ্গে দেখা গেল পলাতক সাবেক ৪ মন্ত্রীকে

 

এই ঘটনা দেখে সাবেক কমিশনার হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া ও দলিল লেখক আব্দুর রউফ ভূঁইয়া বিষয়টি স্থানীয় এলাকাবাসীকে জানান।

পরবর্তীতে তারা সোনারগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মফিজুর রহমানকে অবহিত করে থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

ভুক্তভোগী হাজী আমির হোসেন ভূঁইয়া বলেন, “গত ২৫ মার্চ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা আমার বাড়ি ও দলিল লেখক আব্দুর রউফের বাড়িতে ডাকাতির হুমকি দিয়ে চিঠি ফেলে যায়। এরপর আবারও মঙ্গলবার গভীর রাতে আমাদের বাড়ির দেয়ালে লিখে রাখে—‘আমরা আসব, সব কিছু রেডি রাখবি, নইলে কোপ দিমু, তোদের কাছের মানুষ।’ এই ঘটনায় আমরা পরিবার নিয়ে চরম আতঙ্কে আছি।

আমাদের কারো সঙ্গে শত্রুতা নেই, তবে জায়গা-জমি নিয়ে প্রতিবেশীর সঙ্গে একটি মামলা চলমান।”

এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মফিজুর রহমান জানান, চিঠির মাধ্যমে ডাকাতির হুমকিসংক্রান্ত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

ঈদের ছুটিতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়

বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
বড়লেখা (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদের ছুটিতে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড়
মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে পর্যটকের ভিড়

মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার প্রকৃতিকন্যা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, চা-বাগান, হাকালুকি হাওর আর হাকালুকি হাওরপারের হাল্লা পাখিবাড়ি পর্যটকদের অন্যতম পছন্দের জায়গা। সারা বছরই এ উপজেলার পর্যটন স্পটগুলোতে কমবেশি পর্যটকের আনাগোনা থাকে। আর বড় কোনো উৎসবের ছুটি হলে তো কথাই নেই! এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।

পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে টানা ৯ দিনের সরকারি ছুটি মিলেছে।

দীর্ঘ ছুটিতে পর্যটকরা ছুটে গিয়েছেন মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত, চা-বাগান, হাকালুকি হাওর আর হাকালুকি হাওরপারের হাল্লা পাখিবাড়িতে। তবে এবার ঈদের উৎসবে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে প্রকৃতিকন্যা মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতে। ফলে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক ও জলপ্রপাত এলাকার পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী, ইজারাদারসহ সবার মুখে ফিরেছে তৃপ্তির হাসি।

আরো পড়ুন
সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

সেচ দেওয়াকে কেন্দ্র করে চা বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

 

সরেজমিনে আজ বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলে দেখা যায়, মৌলভীবাজার-বড়লেখা আঞ্চলিক মহাসড়কের কাঁঠালতলী বাজার থেকে মাধবকুণ্ড জলপ্রপাত পর্যটনকেন্দ্রের সড়কটি ভীষণ ব্যস্ত।

পর্যটকরা বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার, সিএনজিচালিত অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলে হৈ-হুল্লোড় করে ছুটে চলেছেন প্রকৃতিকন্যা মাধবকুণ্ডের দিকে। জলপ্রপাতের প্রবেশ ফটকের সামনের টিকিট কাউন্টারে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় ছিল। বিভিন্ন পণ্যের দোকান, খাবার হোটেলগুলোতেও পর্যটকের ভিড় দেখা গেছে। হৈ-হুল্লোড়ে মেতে উঠেছেন পর্যটকরা।
কেউ কেউ জলপ্রপাতের ঝরনার পানিতে গোসল করছেন। কেউ বা ছবি তুলছেন প্রিয়জনের সাথে। জলপ্রপাতের কাছাকাছি দাঁড়িয়ে কেউ কেউ সেলফি তুলছেন। স্থানীয় আলোকচিত্রীরাও পর্যটকদের ছবি তুলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।  

বরিশাল বিভাগের ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলা থেকে বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে আসেন শহিদুল ইসলাম।

তিনি বলেন, এই প্রথম মাধকুণ্ডে এসেছি। এখানকার পরিবেশ খুবই সুন্দর। অন্য এলাকার চেয়ে সিলেট ও মৌলভীবাজারে অনেক সুন্দর সুন্দর পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে।

আরো পড়ুন
ধানক্ষেতে ছিন্নভিন্ন দেহ, স্বজনের দাবি নিখোঁজ জব্বারের লাশ

ধানক্ষেতে ছিন্নভিন্ন দেহ, স্বজনের দাবি নিখোঁজ জব্বারের লাশ

 

মাধবকুণ্ড জলপ্রপাতের প্রধান ফটকের কাউন্টারে থাকা জলপ্রপাত ইজারাদার কর্তৃপক্ষের কর্মচারী সাজু আহমদ বলেন, এবার পর্যটক কিছুটা কম। ঈদের দিন ২ হাজার ৫০০ জন, পরদিন মঙ্গলবার আনুমানিক ১ হাজার ৫০০ জন আর বুধবার ২ হাজারের একটু বেশি পর্যটক হতে পারেন। তবে ছুটি আরও আছে। তাই পর্যটক সমাগম বাড়বে বলে আশা করছি।

বন বিভাগের বড়লেখা রেঞ্জের সহযোগী রেঞ্জ কর্মকর্তা রবিন্দ্র কুমার সিংহ বলেন, পর্যটকরা নির্বিঘ্নে মাধবকুণ্ডে আনন্দ উপভোগ করছেন। পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য পর্যটন পুলিশ কাজ করছে। পাশাপাশি বন বিভাগ ও ইজারাদার পক্ষের লোকজন সার্বক্ষণিক কাজ করছে।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ