নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন ওই কিশোরী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন স্থানীয়রা।
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে ১৫ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছিলেন ওই কিশোরী। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছেন স্থানীয়রা।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান জানান, গত মঙ্গলবার রাতে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
এরপর আজ বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে। এতে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন এলাকাবাসী। তারা অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর করেন।
জানা গেছে, নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত বাবা দুইটি বিয়ে করেছেন। দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি আলাদা একটি ঘরে বসবাস করতেন। প্রথম স্ত্রী ও তার মেয়ে থাকতেন অন্য একটি ঘরে।
মামলায় ভুক্তভোগীর মা উল্লেখ করেন, তার ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে তার স্বামী দীর্ঘদিন ধরে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন।
এ ব্যাপারে দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘ভাংচুরের বিষয়টি শুনেছি। সেখানে আমাদের পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
সম্পর্কিত খবর
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ঈদগাহে মাইক বাজানোকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার (৩১ মার্চ) দুপুরে দহকোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দহকোলা গ্রামের মাতুব্বর আবুল হোসেন ও নওয়াব আলীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে।
শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান কালের কণ্ঠকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাটোরের লালপুর উপজেলায় পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ শেষে জয় বাংলা স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় দুজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। আহতরা বিএনপি সমর্থক।
সোমবার (৩১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টার সময় লালপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর চিনি বটতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, ঈদের নামাজ শেষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিতে থাকেন।
পরেই পরিস্থিতি শান্ত হলে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা আবারও বিএনপি সমর্থকদের ওপর গুলিবর্ষণ শুরু করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লালপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজমুল হক বলেন, ‘ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। দোষীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।
বরগুনার তালতলীতে ঈদের নামাজের সময় ইমাম ইমরান হোসেনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মাছুম নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া শিকদার বাড়ী জামে মসজিদের ঈদগাহ মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
মাছুম কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের আলীর বন্দর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি আলীর বন্দর এলাকার একটি মসজিদের ইমামতি ছেড়ে ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানির গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তালতলী থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত জানান, মাসুম ও ইমরান এক সময় বন্ধু ছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে ইমরানের ওপর হামলা চালান মাছুম। ইমাম রুকুতে গেলে চাপাতি দিয়ে আঘাত করতে গেলে মাছুমকে চাপাতিসহ আটক করে মুসুল্লিরা।
মাসুম বলেন, 'আমি আগে একটি মসজিদে ইমামতি করতাম।
তিনি আরো বলেন, 'এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে আমি এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যাই এবং প্রতিশোধের নেওয়ার অপেক্ষায় থাকি।
ওই মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, 'নামাজের দ্বিতীয় রাকাতের সময় হামলাকারী একটি কার্টন থেকে আনুমানিক দুই ফুট লম্ভা একটি ছুরি বের করতে দেখে আমি নামাজ ছেড়ে তাকে ঝাপটে ধরি। এরপর নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সহায়তায় তাকে ধরে আটকে রাখি।'
সিকদার বাড়ি মসজিদের ইমাম ইমরান জানান, 'বরগুনার কেওড়াবুনিয়া মাদরাসায় পড়ার সময়ে মাছুম তার মোবাইল ফোন চুরি করেছিলেন।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, মাছুমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মাছুমকে জিজ্ঞসাবাদ চলছে। ওই বিষয়ে আইনি কার্যক্রম চলমান।
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় গুচ্ছগ্রামের একটি পরিবারের বসতঘর ও রান্নাঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ সময় ঘরে থাকা মূল্যবান সামগ্রীও পুড়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডে গুচ্ছ গ্রামের অন্য তিনটি বসত ঘরের টিনের চালাও আংশিক পুড়ে যায়।
আজ সোমবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার চুমুরদী ইউনিয়নের পূর্ব সদরদী গ্রামের কুমার নদের তীরে অবস্থিত গুচ্ছগ্রামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চুলায় আগুন জ্বালিয়ে ইতি বেগম তার বাচ্চাকে ঈদের জামাকাপড় পরেতে ঘরের ভেতরে গেলে রান্নাঘরে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। সে আগুনে ইতি বেগমের রান্নাঘর এবং বসতঘর পুড়ে যায়।
ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূ ইতি বেগম বলেন, ‘ঘরে আগুন লাগার সময় আমি ঘরে ভেতরে আমার ছোট মেয়েকে ঈদের জামা কাপড় পরাতে আসি। আগুনের শিখা দেখে চিৎকার করি। তখন এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে ভাঙ্গা থেকে ফায়ার সার্ভিস আসে।
ভাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আবু জাফর জানান, আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদী গুচ্ছগ্রামের ৮৩ নম্বর বাসায় মাটির চুলা থেকে আগুন লাগে। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। কিন্তু তার পূর্বেই আগুনে সবকিছু পুড়ে যায়।