ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি না, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ঈদের দিন বৃষ্টি হবে কি না, জানাল আবহাওয়া অধিদপ্তর
সংগৃহীত ছবি

দরজায় কড়া নাড়ছে অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। ঈদের ছুটিতে কয়েক দিন আগে থেকে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন ঢাকার কর্মজীবী মানুষ। আজ বৃহস্পতিবার, ২৬ রমজান। যদি এবার ২৯টি রোজা হয়, তবে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে ৩১ মার্চ।

আর রোজা যদি ৩০টি হয়, তবে ঈদ হবে ১ এপ্রিল। স্বভাবতই এটি ভাবনার বিষয় যে ঈদের আগে, ঈদের দিন ও ঈদের পরের কিছুদিন কি বাংলাদেশে বৃষ্টি হবে নাকি অতিরিক্ত গরম পড়বে? 

আজ বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। 

এ কারণে আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।

এ ছাড়া রাজশাহী, রাঙামাটি, ফেনী, সীতাকুণ্ড, যশোর, বাগেরহাট ও পটুয়াখালী অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এ ছাড়া বর্ধিত ৫ (পাঁচ) দিনের আবহাওয়ার ক্ষেত্রেও একই কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ আগামী ৩ এপ্রিল পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে দু-এক জায়গায় খুব সামান্য বৃষ্টি হলেও হতে পারে।

 

আবহাওয়াবিদরা বলছেন, এলাকাভেদে তাপমাত্রার হেরফের হতে পারে। তবে ঈদের দিন তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি হওয়ার সম্ভাবনা কম। এর ব্যতিক্রমও হতে পারে। এই ব্যতিক্রম হওয়ার কারণ, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের যেসব অঞ্চল থেকে বায়ুপ্রবাহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে, সেখানকার তপ্ত হাওয়া। এর হেরফেরে তাপমাত্রা এখন যে ধারণা করা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি হতে পারে।

আরো পড়ুন
উ. কোরিয়ার নতুন ‘সুইসাইড ড্রোন’ পরীক্ষা, তদারকি করলেন কিম

উ. কোরিয়ার নতুন ‘সুইসাইড ড্রোন’ পরীক্ষা, তদারকি করলেন কিম

 

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক বলেছেন, ঈদের দিন (৩১ মার্চ অথবা ১ এপ্রিল) দেশের দক্ষিণ-পূর্বের চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক স্থানে সামান্য বৃষ্টির হতে পারে। তবে এর পরিমাণ খুব সামান্য।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার সাক্ষাৎ
সংগৃহীত ছবি

জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। আজ সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ের পর তিনি যাত্রাবাড়ীর দনিয়ায় শহীদ জাহাঙ্গীরের বাসায় গিয়ে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

গত বছরের ২০ জুলাই ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে আন্দোলনের সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে জাহাঙ্গীর শহীদ হন। তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক ছিলেন।

উপদেষ্টা সরকারের পক্ষ থেকে তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

আরো পড়ুন
আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের মানুষের গণদাবি : নাহিদ

আ. লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা বাংলাদেশের মানুষের গণদাবি : নাহিদ

 

শহীদ জাহাঙ্গীরের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে উপদেষ্টা নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে শহীদ সুমাইয়ার বাসায় যান। সেখানে তিনি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন এবং পরিবারের সদস্যদের খোঁজখবর নেন।

উপদেষ্টা বলেন, ‘সুমাইয়ার মতো অসংখ্য মানুষ বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে নির্মমভাবে খুনের শিকার হয়েছেন।

বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার বাস্তবায়নে তৎপর রয়েছে।’

এ সময় তিনি সরকারের পক্ষ থেকে শহীদ সুমাইয়ার পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। গতবছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া গুলিতে নিজ বাসায় শহীদ হন সুমাইয়া।

মন্তব্য

শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব : উপদেষ্টা মাহফুজ

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব : উপদেষ্টা মাহফুজ

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো আমাদের দায়িত্ব এবং কর্তব্য।

সিদ্ধিরগঞ্জে জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সুমাইয়া আক্তারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম।

এ সময় তথ্য উপদেষ্টা শহীদ সুমাইয়ার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন ও খোঁজ খবর নেন এবং তাদের হাতে ঈদ উপহার তুলে দেন।

মাহফুজ আলম বলেন, সুমাইয়ার মতো অনেক মানুষকে ফ্যাসিবাদীরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে।

বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার খুনিদের বিচারের আওতায় আনার জন্য কাজ করছে।

উপদেষ্টা মাহফুজ সুমাইয়ার নয় মাস বয়সী শিশু কন্যার হাতে ঈদের উপহারও তুলে দেন।

মন্তব্য

ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, যে কথা হলো

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ড. ইউনূসকে শেহবাজের ফোন, যে কথা হলো
ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও শেহবাজ শরিফ।

বাংলাদেশের অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ফোন করে পবিত্র ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ।  আজ সোমবার (৩১ মার্চ) ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনে শুভেচ্ছা জানান তিনি।

ড. ইউনূসের সঙ্গে ফোনালাপ ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের বিষয়টি নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন পাকিস্তান প্রধানমন্ত্রী। এ সময় পাকিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।

 

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে একটি মনোরম কথোপকথন হয়েছে জানিয়ে ওই পোস্টে শেববাজ শরিফ বলেন, আমরা ঈদুল ফিতরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরো জোরদার করার জন্য আমাদের যৌথ প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছি। 

২২ এপ্রিল একটি বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সাথে উপ-প্রধানমন্ত্রী/পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ঢাকা সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন জানিয়ে পাকিস্থানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডক্টর ইউনূসকে তার সুবিধামত পাকিস্তান সফরের জন্য আমার আন্তরিক আমন্ত্রণ পুনর্ব্যক্ত করেছি এবং কিংবদন্তি মিসেস রুনা লায়লাকে নিয়ে বাংলাদেশ থেকে একটি সাংস্কৃতিক দলকে পাকিস্তানে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছি। পাকিস্তান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখাচ্ছে, ইনশাআল্লাহ।

মন্তব্য

বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধান উপদেষ্টা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বিকেলে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গণ্যমান্য ব্যক্তির সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।  

সোমবার (৩১ মার্চ) বিকেল ৪টায় তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে এই শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা সকাল সাড়ে ৮টায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন। এ সময় তিনি সেখানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রধান উপদেষ্টা জাতিকে কঠিন ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানান এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় জানান।

প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের পর দেশ ও জাতির শান্তি, সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এর আগে, তিনি জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে নামাজ আদায়ের জন্য আসেন। ময়দানে প্রবেশ করার সময় সরকারের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিরা তাকে স্বাগত জানান।  

মোনাজাত শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময়ে অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে হাত মেলান জামাতে অংশ নেওয়া নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।


 

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ