বরগুনার তালতলীতে ঈদের নামাজের সময় ইমাম ইমরান হোসেনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে মাছুম নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে। সোমবার (৩১ মার্চ) শারিকখালী ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া শিকদারবাড়ি জামে মসজিদের ঈদগাহ মাঠে এই ঘটনা ঘটে।
মাছুম কড়ইবাড়িয়া ইউনিয়নের আলীর বন্দর গ্রামের সাইদুলের ছেলে। তিনি আলীর বন্দর এলাকার একটি মসজিদের ইমামতি ছেড়ে ঢাকায় একটি কম্পানির গাড়িচালক হিসেবে কর্মরত রয়েছেন।
তালতলী থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) সুশান্ত জানান, মাসুম ও ইমরান এক সময় বন্ধু ছিল। পূর্বশত্রুতার জেরে ইমরানের ওপর হামলা চালান মাছুম। ইমাম রুকুতে গেলে চাপাতি দিয়ে আঘাত করতে গেলে মাছুমকে চাপাতিসহ আটক করেন মুসল্লিরা।
মাসুম বলেন, ‘আমি আগে একটি মসজিদে ইমামতি করতাম।
গত বছর কোরবানি ঈদের সময় কুয়াকাটার একটা আবাসিক হোটেলে আমার প্রেমিকাকে নিয়ে যাই। এরপর টাকা আনার জন্য আমার বন্ধু ইমরানের কাছে প্রেমিকাকে রেখে আসি। এই সুযোগে ইমরান আমার প্রেমিকাকে বেইজ্জতি করেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘এলাকায় বিষয়টি জানাজানি হলে আমি এলাকা ছেড়ে ঢাকা চলে যাই এবং প্রতিশোধের নেওয়ার অপেক্ষায় থাকি।
এক হাজার টাকা দিয়ে ওই ছুরিটি তৈরি করে কুরিয়ারে তালতলী নিয়ে আসি। ইমরানের সন্ধান পেয়ে ঈদের দিনই তার ওপর আক্রমণ করার প্ল্যান করি।’
ওই মসজিদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, ‘নামাজের দ্বিতীয় রাকাতের সময় হামলাকারী একটি কার্টন থেকে আনুমানিক দুই ফুট লম্বা একটি ছুরি বের করতে দেখে আমি নামাজ ছেড়ে তাকে ঝাপটে ধরি। এরপর নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের সহায়তায় তাকে ধরে আটকে রাখি।’
শিকদারবাড়ি মসজিদের ইমাম ইমরান বলেন, ‘বরগুনার কেওড়াবুনিয়া মাদরাসায় পড়ার সময়ে মাছুম তার মোবাইল ফোন চুরি করেছিলেন।
তিনি ওই ঘটনায় তাকে অপমান করায় তার ওপরে ক্ষিপ্ত হয়ে আজকে এই ঘটনা ঘটান।’
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, মাছুমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনার বিষয়ে মাছুমকে জিজ্ঞসাবাদ চলছে। ওই বিষয়ে আইনি কার্যক্রম চলমান।