তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি নিয়ে নিউজার্সিতে পাইলট প্রকল্প

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি নিয়ে নিউজার্সিতে পাইলট প্রকল্প
সংগৃহীত ছবি

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি নিয়ে ‘গ্রিন গ্রোথ’ নামের একটি পাইলট প্রকল্প চালু করেছে যুক্তরাষ্ট্রের নিউজার্সি সরকার। ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা’—জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের বহুল প্রচলিত এই স্লোগানটিকে প্রকল্পটির মূল স্লোগান হিসেবে রাখা হয়েছে। প্রকল্পের গাড়ি, ব্রুশিয়ার, সদস্য ফর্মসহ সব ক্ষেত্রে স্লোগানটি ব্যবহার করা হয়েছে। 

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিউজার্সি ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট অথরিটির (এনজেইডিএ) অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির (বিএএসজে) তত্ত্বাবধায়নে নিউজার্সির আটলান্টিক সিটিতে দুই বছরের জন্য পাইলট প্রকল্পটি পরিচালিত হবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সাউথ জার্সির বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকল্প কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। 

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএএসজে প্রেসিডেন্ট জহিরুল ইসলাম বাবুল, গ্রিন গ্রোথের প্রজেক্ট রাইটার ও প্রজেক্ট ইনিশিয়েটর (পিআই) আশিক ইসলাম, বিএএসজের সেক্রেটারি জাকিরুল ইসলাম, ট্রাস্টি চেয়ারম্যান মো. রফিক। দর্শক সারিতে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তি।

প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরে জহিরুল ইসলাম বাবুল বলেন, পিছিয়ে পড়া নারীর অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও আটলান্টিক সিটির খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই প্রকল্পটির মূল উদ্দেশ্য।

প্রথম বছরে ৩০ জন নারীকে প্রজেক্টের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হবে। যারা তাদের বাড়ির আঙিনা, খোলা জায়গা, বারান্দার টব, বাড়ির পেছনে সুবিধা অনুযায়ী জায়গা বেছে নিয়ে সবজি উৎপাদন করবে। পরবর্তীতে নিজ পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে সিংহভাগ সবজি গ্রিন গ্রোথের মাধ্যমে বাজারে বিক্রি করা হবে। ফসল উৎপাদনে বিনা মূল্যে সার্বিক সহযোগিতা ও সব প্রকার সরঞ্জামাদি সরবরাহ এবং বিপণনের দায়িত্ব পালন করবে গ্রিন গ্রোথ।
উৎপাদকের বাসা থেকে প্রকল্পের গাড়ি  ফসল সংগ্রহ করবে। ফসলের বিক্রয়মূল্যের ৬৫% ভাগ পাবে উৎপাদক এবং ৩৫% ভাগ পাবে গ্রিন গ্রোথ। প্রতিবছর সেরা ৩ জন উৎপাদনকারীর জন্য থাকবে বিশেষ আর্থিক পুরস্কার।

জহিরুল ইসলাম আরো বলেন, ‘আমাদের জানা মতে, আমেরিকার অনেক স্টেটেই বাংলাদেশিদের সংগঠন রয়েছে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনই প্রথম, যারা এমন একটি কাজের সাথে নিজেদের যুক্ত করতে পেরেছে। যা অ্যাসোসিয়েশনের সব সদস্যসহ বাংলাদেশিদের জন্য অত্যন্ত গৌরবের।

আমি বিশ্বাস করি, আমরা যদি সুচারুভাবে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারি তবে পরবর্তী ধাপে আমরা এগিয়ে যেতে পারব।’

গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের নেপথ্যের ইতিহাস তুলে ধরে আশিক ইসলাম বলেন, গোটা বিশ্বে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে, বাড়ছে খাদ্যমূল্য। দিশেহারা নিম্ন আয়ের মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রও এর বাইরে নয়। সরকার নানা উদ্যোগের পাশাপাশি তিন ধাপে খাদ্য নিরাপত্তার জন্য ৪, ১৩ এবং ৩০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে। নিউজার্সির ২১টি কাউন্টির (অনেকটা বাংলাদেশের জেলার মত) মধ্যে প্রাথমিকভাবে আটলান্টিক কাউন্টির আটলান্টিক সিটিকে বেছে নেয়া হয়েছে পাইলট প্রকল্পের জন্য। আটলান্টিক সিটি মুলত ক্যাসিনো এবং পর্যটননির্ভর শহর বিধায় এ অঞ্চলে প্রফেশনাল মানুষের সংখ্যা কম। ৪২ হাজার জনগোষ্ঠীর এই শরের ৩৯% ডাইভার্স কমিউনিটির মানুষ। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনসহ মোট ৫২টি নন-প্রফিট প্রতিষ্ঠান তাদের প্রজেক্ট সরকারের কাছে জমা দেয়। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথ জার্সির প্রকল্পটির অনুমোদন পায়।

 ২০০৩ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ‘একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা’ স্লোগানের কর্মসূচিতে সারা দেশে কাজ করার অভিজ্ঞতা তুলে ধরে আশিক ইসলাম বলেন, গ্রিন গ্রোথ প্রজেক্টের মাধ্যমে বাজারে খাদ্য সরবরাহ বাড়বে, ফলে মূল্য হ্রাস পাবে। অ্যাসোসিয়েশনের যেসব সদস্য এ কার্যক্রমে যুক্ত থাকবেন তারাসহ উৎপাদনকারী সবাই বাড়তি আয়ের সুযোগ পাবেন। তাই মার্কিন সরকারের কাছে এটি একটি ইউনিক প্রজেক্ট হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ইতোমধ্যেই সরকারের ৩ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গত ১৩ মার্চ বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ও এর কার্যক্রম পরিদর্শন করেছে। গ্রিন গ্রোথ কার্যক্রমের অগ্রগতিতে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন তারা।  

অনুষ্ঠানের শুরুতেই আটলান্টিক সিটি মেয়র মার্টি স্মল সিনিয়র, ফিতা কেটে গ্রিন গ্রোথ প্রকল্পের গাড়ির উদ্বোধন করেন। প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি একটি ভিন্ন ধর্মী প্রকল্প। যা সমাজের তৃণমূল মানুষের কথা চিন্তা করে ডিজাইন করা হলেও সর্বসস্তরের মানুষ এর মাধ্যমে উপকৃত হবেন। তিনি গ্রিন গ্রোথের সাফল্য কামনা করেন। সিটি মেয়রসহ উপস্থিত সাংবাদিকদের বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশনের নিয়মিত ফুড বিতরণ কার্যক্রম দেখানো হয়।

উল্লেখ্য, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সরাসরি তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশের তৃণমূল মানুষকে স্বনির্ভর করার উদ্দেশ্যে ২০০৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয় দেশব্যাপী দারিদ্র্য বিমোচন ও নারী উন্নয়ন কর্মসূচি। একটি উদ্যোগ, একটু চেষ্টা, এনে দেবে সচ্ছলতা স্লোগানের এ কর্মসূচির আওতায় গ্রামে গ্রামে হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, মাছের পোনা বিতরণ, বাড়ির আঙিনায় সবজি উৎপাদন, বিনা মূল্যে সার, বীজ ও কৃষি উপকরণ বিতরণ করা হয়। দেশব্যাপী প্রায় ৩৯৮২টি পরিবারকে সচ্ছলতার আওতায় আনা হয়। এর মধ্যে রাজশাহীতে ৬১৩টি পরিবার, বরিশালে ৮৬৮, কক্সবাজারে ৭২০, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৭০২, ঝিনাইদহে ৪৯৮, জামালপুরে ২৩৮, নোয়াখালী ২১৪, শেরপুরে ১২৯টি পরিবার।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

লন্ডনের কিংসমেডাও মাঠে ঈদের নামাজ পড়লেন তারেক রহমান

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
লন্ডনের কিংসমেডাও মাঠে ঈদের নামাজ পড়লেন তারেক রহমান
সংগৃহীত ছবি

লন্ডন স্থানীয় সময় সকাল ৯টার সময় কিংসটন এলাকার কিংসমেডাও স্টেডিয়ামে ঈদের জামাতে অংশ নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। পশ্চিম লন্ডনের সর্ববৃহৎ খোলা মাঠের ঈদের নামাজে অংশ নিতে সকাল ৯টার কিছু সময় পরে মাঠে আসেন তিনি।

তারেক রহমানের পাশে ছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার ব‍্যক্তিগত চিকিৎসক ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও যুক্তরাজ‍্য বিএনপি নেতা কামাল উদ্দিন। এ সময় বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী সেখানে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।

আগের দিন থেকেই জানা গিয়েছিল আবহাওয়া ভালো থাকলে তারেক রহমান এই খোলা মাঠে ঈদের নামাজে অংশ নেবেন। যদি আবহাওয়া খারাপ থাকত তাহলে তিনি কিংস্টন মসজিদে ঈদের নামাজ আদায় করতেন।

ঈদের নামাজের পর তারেক রহমান কুশল ও কোলাকুলি করেন লন্ডনের বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা কমিউনিটি ব‍্যক্তিবর্গ ও বিএনপি নেতাদের সঙ্গে।

এদিকে প্রায় এক দশক পর মা খালেদা জিয়ার সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ পেলেন তারেক রহমান।

চিকিৎসার জন‍্য গত ৮ জানুয়ারি লন্ডনে আসেন বেগম খালেদা জিয়া।

মন্তব্য

আমিরাতে প্রবাসীদের ঈদ

আমিরাত প্রতিনিধি
আমিরাত প্রতিনিধি
শেয়ার
আমিরাতে প্রবাসীদের ঈদ

মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাতে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপিত হচ্ছে। আবুধাবির শেখ জায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদে দেশটির সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ রবিবার (৩০ মার্চ) স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হয়।

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে আমিরাতজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে মুসলিমদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর।

এদিকে ফুজাইরাতে স্থানীয় সময় সকাল ৬টা ২৫ মিনিটে দেশটির প্রথম ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। দুবাইয়ে ৬টা ২৮ মিনিটে, আল আইনে ৬টা ২৬ মিনিটে, শারজাহ ও আজমানে ৬টা ২৮ মিনিটে এবং অন্য প্রদেশগুলোতেও ৬টা ২৫মিনিট থেকে ৬টা ৩২ মিনিটের মধ্যে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

প্রবাসীরা ভোরবেলা থেকে ঈদের নামাজে সামিল হতে ছুটে যান নিকটস্থ মসজিদ বা ঈদগাহে। তাঁরা ঈদের নামাজ শেষে একে অন্যের সঙ্গে কোলাকুলি করেন।

বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যোগাযোগের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা ও কুশলাদি বিনিময় করেন সবাই। 

দেশের মতো প্রবাসে ঈদের আনন্দে কিছুটা ঘাটতি থাকলেও আমিরাতে ঈদ উপলক্ষে সরকারি ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি মিলে ৩-৪দিনের ছুটি হওয়ায় প্রবাসীদের মধ্যে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
 

মন্তব্য

বাংলাদেশিসহ লাখো বিদেশির স্বপ্ন ধূলিসাতের উপক্রম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশিসহ লাখো বিদেশির স্বপ্ন ধূলিসাতের উপক্রম
সংগৃহীত ছবি

জাতীয় নিরাপত্তা সুরক্ষিত করার অভিপ্রায়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দুটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থী এবং রিফিউজি হিসেবে গ্রিনকার্ড আবেদনের প্রক্রিয়া ঝুলে গেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। এর ফলে কয়েক হাজার বাংলাদেশিসহ ১০ লাখের বেশি বিদেশির নিরাপদে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসের স্বপ্ন ধূলিসাৎ হতে চলেছে। কারণ এমন আদেশ রদ না হলে চলমান অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর অভিযান থেকে এসব আবেদনকারী রেহাই পাবেন না বলে অভিজ্ঞজনেরা মন্তব্য করেছেন।

অভিবাসন দপ্তরের অভিভাবক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গণমাধ্যমে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তাঁর প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তাকে প্রাধান্য দিচ্ছেন।

তাই সাবেক প্রেসিডেন্ট বাইডেনের আমলে বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ঢুকে পড়া অনেক সন্ত্রাসী, খুনি, দাগি আসামি ও মাদক পাচারকারী আমাদের সমাজে মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করেছেন। এসব অবৈধ অভিবাসীর অনেকে ইতোমধ্যে নিরীহ মানুষকে হত্যা করেছেন। চুরি-ছিনতাই-রাহাজানিতেও জড়িত থাকার অভিযোগে অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। 

এমন যুক্তি অবান্তর হিসেবে অভিহিত করে ন্যাশনাল ইমিগ্রেশন জাস্টিস সেন্টারের পরিচালক আজাদেহ ইরফানি বলেছেন, সব অভিবাসীকে জাতীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করে ট্রাম্প প্রশাসন ভুল পথে পরিচালিত হচ্ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-নৈতিকতার পরিপন্থি।

এর ফলে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের স্বাভাবিক অপেক্ষার সময় ৮ থেকে ১০ মাসের চেয়ে অনেক বাড়বে। এভাবে তারা ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী অভিযানের শিকারও হতে পারেন। যদিও ট্রাম্প অঙ্গীকার করেছেন, কেবল গুরুতর অপরাধী অবৈধ অভিবাসীরা তাঁর টার্গেট। কিন্তু ইতোমধ্যে অনেক গ্রিনকার্ডধারী এবং ভিসাধারীকেও গ্রেপ্তারের পর বহিষ্কার করা হয়েছে।
গাজায় আগ্রাসনের নিন্দা ও প্রতিবাদ সমাবেশে নেতৃত্ব দেওয়ায় গ্রিনকার্ডধারী ছাত্রীসহ ভিসাধারী শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার ছাড়াও ইতোমধ্যে ৩ শতাধিক ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্টের ভিসা বাতিলের তথ্য জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিয়ো।

এদিকে, সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক বছরে অর্থাৎ বাইডেনের শেষ সময়ে ৭৬ হাজার ৮০০ বিদেশি রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। একই সময়ে রিফিউজি হিসেবে গ্রিনকার্ডের আবেদন করেছেন ৪০ হাজার বিদেশি। এগুলো শুনানির অপেক্ষায় ছিল। এখন তা অনির্দিষ্টকালের জন্য ঝুলে গেল।

এর আগের পেন্ডিং লাখ লাখ আবেদনের ভাগ্যও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলে ইউএস ইমিগ্রেশন অ্যান্ড সিটিজেনশিপ সার্ভিসের কর্মকর্তারা ২৮ মার্চ এ সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বাংলাদেশিও আছেন যারা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল অথবা এলডিপির কর্মী-সংগঠক হিসেবে রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়েছেন। 

এ ছাড়া জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আওয়ামী ঘরানার অনেক নেতা-কর্মীও রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন। তাদের ভাগ্যও অনিশ্চিত হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে অ্যাটর্নিরা উল্লেখ করেছেন। যদিও ট্রাম্পের এসব আদেশ অমানবিক হিসেবে অভিহিত করে মানবাধিকার ও অভিবাসনদের অধিকার-মর্যাদা নিয়ে কর্মরত সংগঠনের পক্ষ থেকে আইনি লড়াইয়ের প্রস্তুতি চলছে বলে সর্বশেষ সংবাদে জানা গেছে। এদিকে ইউএসসিআইএস সূত্রে জানা গেছে, গ্রিনকার্ডধারীদেরও গ্রেপ্তারের পর বহিষ্কারের ঝুঁকি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাওয়ায় সিটিজেনশিপের আবেদনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন বিদ্যমান সব রীতি উপেক্ষা করে এহেন বহিষ্কারের পন্থা অবলম্বন করায় গ্রিনকার্ডধারীদের মধ্যে সিটিজেনশিপের আবেদনের হিড়িক পড়েছে। 

জানা গেছে, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রিনকার্ডধারীর সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখের বেশি। আর গ্রিনকার্ড পাওয়ার অর্থই হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাস ও কাজের আইনগত অধিকার পাওয়া। গ্রিনকার্ডধারীকেও যুক্তরাষ্ট্র থেকে বহিষ্কারের বিধি আছে যদি তারা গুরুতর কোনো অপরাধে দি ত হন, তাহলে সেই দি ত ব্যক্তির গ্রিনকার্ড কেড়ে নেওয়া হয়। এবং কেড়ে নেওয়ার নির্দেশটি জারি করেন একজন ইমিগ্রেশন জজ। একইভাবে গুরুতর কোনো অপরাধে লিপ্ত ন্যাচারালাইজড সিটিজেনের সিটিজেনশিপও বাতিলের বিধি রয়েছে, তবে সেটি খুব কম সময়ই ঘটে থাকে। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মকর্তারা শিক্ষাঙ্গনে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভকারীদেরও টার্গেট করেছেন, যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চললেও ধরপাকড় এবং ভিসা বাতিলের উদ্যোগ থেকে বিন্দুমাত্র পিছপা হয়নি ইমিগ্রেশন বিভাগ। 

সরকারি সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে গ্রিনকার্ডধারী ১৩ মিলিয়ন অভিবাসীর মধ্যে অন্তত ১০.৮ মিলিয়ন তথা ১ কোটি ৮ লাখের মতোই সিটিজেনশিপের আবেদনের যোগ্য। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাস করছে আরিজোনা স্টেটে, ১ লাখ ৯৩ হাজার।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

মন্তব্য

সুইডেনের স্টকহোমে গণহত্যা দিবস পালিত

সাব্বির খান, স্ক্যান্ডিনেভিয়া প্রতিনিধি
সাব্বির খান, স্ক্যান্ডিনেভিয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
সুইডেনের স্টকহোমে গণহত্যা দিবস পালিত

সুইডেনের স্টকহোমে ‘গণহত্যা দিবস-২০২৫’ পালন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করা হয়। এদিন বিকেলে দূতাবাস প্রাঙ্গণে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্য ছাড়াও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র ধর্মগ্রন্থ থেকে পাঠ শেষে এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। দিবসটি উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টা কর্তৃক প্রেরিত বাণী পাঠ করা হয়। এরপর গণহত্যা দিবস উপলক্ষে উন্মুক্ত আলোচনা হয়।

আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা করেন।

বক্তারা তাদের আলোচনায় মহান মুক্তিযুদ্ধের লাখো শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ২৫ মার্চের গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসে এক কালো অধ্যায়। 

বক্তারা বলেন, সেদিনের অতর্কিত হামলায় হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে সমূলে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু, বাঙালি জাতি এই নৃশংসতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায় এবং দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে অর্জন করে কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা।

আলোচনা শেষে স্বাধীনতা যুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী শহীদদের, বিশেষ করে এই দিনটিতে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাঁদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ