আধুনিক জীবনের নিত্যসঙ্গী ফ্রিজ। সারা বছর তো বটেই, বিশেষ করে গরমকালে ফ্রিজ ছাড়া চলে না। পানি ঠাণ্ডা করা থেকে খাবার বাসি হতে না দেওয়া, ফ্রিজের জন্যই সব সম্ভব। তাহলে কিভাবে ফ্রিজের যত্ন নেবেন, রইল সেই টিপস।
আধুনিক জীবনের নিত্যসঙ্গী ফ্রিজ। সারা বছর তো বটেই, বিশেষ করে গরমকালে ফ্রিজ ছাড়া চলে না। পানি ঠাণ্ডা করা থেকে খাবার বাসি হতে না দেওয়া, ফ্রিজের জন্যই সব সম্ভব। তাহলে কিভাবে ফ্রিজের যত্ন নেবেন, রইল সেই টিপস।
সূত্র : আজকাল
সম্পর্কিত খবর
দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনার পর এসেছে ঈদ। এই আনন্দের দিনে অনেকে আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে যান। এক দিনে কয়েক আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া হয় বিধায় পেটেও খাবারদাবার পড়ে বেশ।
চোখের সামনে নানা রকমের পদ দেখে যেমন তর সয় না, তেমনি দিনের বেলায় দীর্ঘ এক মাস না খাওয়ার ক্ষুধাও যেন দেরি করতে চায় না।
উষ্ণ পানি খান
খাওয়ার পর পেট ভারী লাগলে হালকা উষ্ণ পানি খাওয়া উপকারী। এটি খাবার দ্রুত হজমে সাহায্য করে এবং অম্বল কমায়।
লেবু পানি পান করুন
বেশি খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হলে এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ পানিতে অর্ধেক লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খান। এটি এসিডিটি কমায় এবং হজমে সহায়তা করে।
আদা চা বা পুদিনাপাতা চিবান
খাওয়ার পর আদা চা পান করলে পেটে আরাম মেলে।
খাওয়ার পর হালকা হাঁটুন
খাওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পড়বেন না। এতে হজমে সমস্যা হতে পারে। ১০-১৫ মিনিট ধীরগতিতে হাঁটুন।
টক দই বা ঘোল খান
বেশি খাওয়ার পর পেটে অস্বস্তি হলে টক দই বা ঘোল খাওয়া উপকারী। টক দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিক হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুততর করে এবং অম্বল কমায়।
ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খান
বেশি খাওয়ার পর পরের বেলায় হালকা খাবার রাখুন। ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন- শসা, পেঁপে বা আপেল খান। এগুলো হজমে সাহায্য করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।
জিরা পানি পান করুন
বাড়িতে থাকলে জিরার পানি খেতে পারেন। ১ চা চামচ জিরা গরম পানিতে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে সেই পানি খান। এটি হজমে সহায়ক এবং পেট ফাঁপা কমায়।
কী করবেন না
সূত্র : আজতক বাংলা
সেমাই ছাড়া ঈদ, কল্পনাই করা যায় না। ঈদে সবার বাড়িতেই বিভিন্ন মিষ্টান্নের আয়োজন থাকে। আর সেমাই এই জায়গায় সবার আগে থাকে। কিন্তু বিভিন্ন পদের সেমাই খেতে খেতে একঘেয়েমি চলে আসে।
কুনাফা
কুনাফা হলো আরব বিশ্বের ঈদ উৎসবের এক বিশেষ মিষ্টি, যা ক্রিসপি কাতাইফি বা সেমাইয়ের স্তর এবং ক্রিমি পনির দিয়ে তৈরি হয়। এটি প্রস্তুতের জন্য প্রথমে সেমাইগুলোকে গলানো মাখন দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নেওয়া হয়, যাতে তা সম্পূর্ণ ভিজে যায়।
তারপর বাকি সেমাই পনিরের ওপর ঢেকে দেওয়া হয় এবং ওভেনে ৩০ মিনিটের জন্য বেক করা হয়। বেক করার পর, একপাশ লালচে হয়ে গেলে কুনাফার ওপর সুগন্ধি সিরাপ ঢেলে দেওয়া হয়, যা চিনির সিরাপ, গোলাপজল এবং অল্প লেবুর রস দিয়ে তৈরি। কুনাফার ওপর পেস্তা বাদাম ছড়িয়ে পরিবেশন করা হয়।
সেমাইয়ের নাড়ু
উপকরণ
১০০ গ্রাম ভার্মিসিলি সেমাই, ১/২ কাপ কনডেন্স মিল্ক, ১/২ কাপ নারকেল কোরা, ২ টেবিল চামচ ঘি, ৩টা এলাচ, ২টা তেজপাতা ও ১ টেবিল চামচ চিনাবাদাম (খোসা ছাড়ানো)।
রান্নার প্রণালী
সেমাইগুলো ভেঙে ছোট করে নিন। প্যানে এক টেবিল চামচ ঘি গরম করে সেমাই ভেজে নিন। একটা বাটিতে সেমাই তুলে নিন।
সেমাইয়ের বরফি
উপকরণ
৪ জনের জন্য ২ কাপ লম্বা সেমাই, ২৫০ গ্রাম লিকুইড দুধ, পরিমাণমতো চিনি, পছন্দমতো বাদাম, ১/২ কাপ গুঁড়া দুধ, একচিমটি লবন, ২ চা চামচ ঘি, ফুড কালার (ঐচ্ছিক), ২ টুকরা দারুচিনি, ২টা এলাচ ও ২টা তেজপাতা।
রান্নার প্রণালী
চুলায় পাতিল বসিয়ে ঘি দিয়ে গরম করে নিন। এবার দারুচিনি এলাচি তেজপাতা দিয়ে কিছুক্ষণ ভেজে নিন। এবার সেমাইগুলো ছোট ছোট করে পাতিলে দিয়ে ভেজে নেবেন। মুচমুচে ভাজা হয়ে গেলে তাতে লবণ লিকুইড দুধ আর চিনি দিয়ে দিন। ১ মিনিট রান্না করার পর বাদাম দিয়ে নেড়েচেড়ে নিন। যখন পাতিল এর ঘা ছেড়ে আসবে তখন নামিয়ে নিন।
এবার যে প্লেটে বরফি বসাবেন সেটাতে হালকা ঘি ব্রাশ করে নিন। এবার তাতে সেমাই ডেলে দিয়ে ওপরে কিছু গুঁড়া দুধ দিয়ে দিন। এবার পছন্দমতো সাজিয়ে নিন। একটু গরম থাকা অবস্থায় বরফিটা কেটে নেবেন। ঠাণ্ডা হওয়ার পর পরিবেশন করুন মজাদার সেমাইয়ের বরফি।
ভুনা সেমাই
উপকরণ
১ প্যাকেট লাল সেমাই, ১টি বড় নারকেল কোরানো, ১ কাপ তরল দুধ, চিনি পছন্দমতো, লবণ, কিশমিশ, এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা ও ৪ চা চামচ ঘি বা তেল।
রান্নার প্রণালী
পানি ফুটিয়ে সেমাই ছেড়ে দিয়ে একবার বলক এলেই ছেঁকে নেবেন। পেনে তেল বা ঘি গরম করে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে দিন। তারপর সেমাই ও নারকেল দিয়ে নেড়ে চিনি দিয়ে নেড়ে নিন। এবার ১ কাপ দুধ ও লবণ দিয়ে মিশিয়ে ঢেকে ২ মিনিট রাখুন। ঢাকনা খুলে নেড়েচেড়ে ভুনা ভুনা করে কিশমিশ মিশিয়ে নামিয়ে নিন।
সেমাই কাস্টার্ড
উপকরণ
১/২ কাপ লাল সেমাই, ১ লিটার তরল দুধ, ১ কাপ চিনি, লবণ সামান্য, ১টি তেজপাতা, ২ চা চামচ কাস্টার্ড পাউডার
টুকরা ও পছন্দমতো ফল।
রান্নার প্রণালী
দুধ জ্বাল দিয়ে তেজপাতা ও চিনি দিয়ে নেড়ে নিন। তারপর সেমাইগুলো অল্প পানিতে একটু ভাপিয়ে নিয়ে দুধে ছেড়ে দিন। সামান্য লবণ দিয়ে নাড়তে থাকুন, তবে বেশি ঘন করবেন না।
১/৪ কাপ তরল দুধে কাস্টার্ড পাউডার গুলে নিন। অল্প অল্প করে গোলানো কাস্টার্ড সেমাইয়ে দিন এবং সাবধানে নাড়তে থাকুন। সবটুকু কাস্টার্ড দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে নামিয়ে নিন। বেশি ঘন করবেন না, সেমাই ঠাণ্ডা হলে এমনিতেই ঘন হয়ে যাবে।
এবার পছন্দমতো ফল, যেমন— পেঁপে, কলা, আপেল টুকরো করে সেমাইতে গরম থাকতেই দিয়ে দিন। মেশানোর পর একটু ঠাণ্ডা হলে ডিশে তুলে ফ্রিজে রেখে দিন। পুরোপুরি ঠাণ্ডা হলে নামিয়ে পরিবেশন করুন।
ঈদ কিংবা অন্য যেকোনো উৎসবে, অতিথি আপ্যায়নে সেমাই পছন্দের তালিকায় সবসময় একটু ওপরে থাকে। সেমাই ছাড়া তো ঈদ কল্পনাই করা যায় না। আর তাই আজকে হরেক পদের সেমাই রেসিপি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি। পরিবার পরিজনের সঙ্গে এবার ঈদে আনন্দটুকু আরো গাঢ় করতে রান্না করতে পারেন পছন্দসই মজাদার হরেক পদের সেমাই।
সেমাই শনপাপড়ি
উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে একটি ননস্টিক পাত্রে ঘি গরম করে নিন। এবার সেমাই ছোট ছোট করে ভেঙে গরম ঘিয়ে দিয়ে মৃদু আঁচে ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। সেমাই লালচে হয়ে এলে এতে চিনি, কনডেন্সড মিল্ক ও বাদাম-কিশমিশ মিশিয়ে আঠালো হওয়া পর্যন্ত নাড়তে থাকুন।
এবার একটি সমান ট্রেতে সামান্য ঘি মেখে সেমাইগুলো ঢেলে চেপে চেপে সমান করে নিন। ফ্রিজে ১ ঘন্টা জমাট বাঁধার জন্য রেখে দিন। এরপর ছোট ছোট টুকরো করে কেটে দুধের গুঁড়ো দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সেমাই শনপাপড়ি।
সেমাই কেক
উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে তেল দিয়ে সেমাই হালকা বাদামি করে ভেজে রাখুন। এরপর ডিমগুলো হাতে অথবা এগ বিটারে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। সঙ্গে বাটার, চিনি ও দুধ মিশিয়ে আবার ফেটাতে থাকুন। এরপর মিশ্রণের সঙ্গে সেমাই, বেকিং পাউডার ও কাজু কিশমিশ মিশিয়ে নিন। এখন কেকের পাত্রে হালকা তেল মেখে সেমাই মিশ্রণটি ঢেলে ওভেনে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে ৪৫ মিনিট বেক করুন।
যদি ওভেন না থাকলে চুলায় তাওয়ার ওপরে পাত্রটি রেখে মৃদু আঁচে ঢেকে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তৈরি হয়ে গেলে সার্ভিং ডিশে চেরি দিয়ে পরিবেশন করুন মজার সেমাই কেক।
সেমাইয়ের মালাই ক্ষীর
উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালি
সর্বপ্রথম বাদাম গুলো খোসা ছাড়িয়ে মোটা কুচি করে নিন। এরপর দেড় লিটার দুধ জ্বাল দিয়ে অর্ধেকের কম পরিমাণ করে রাখুন। এবার প্যানে ঘি দিয়ে গরম করুন। এলাচ দারুচিনি দিয়ে একটু ভাজুন। এবার বাদাম কুচি, কিশমিশ ও সেমাই দিয়ে দিন এবং মৃদু আঁচে হালকা ভাজুন। ঘ্রাণ ছাড়লেই ঘন দুধ দিয়ে দিন।
সেমাই সিদ্ধ হয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে দুধ ঘন হয়ে আসবে। সেমাই সিদ্ধ হয়ে গেলে মালাই দিয়ে দিন; জাফরান দিন। এরপর ভালো করে মিশিয়ে চুলা বন্ধ করে ফেলুন। এরপর ছোট ছোট বাটিতে এই ক্ষীর সাজান। এরপর ফ্রিজে রেখে ঠাণ্ডা করে বাদাম ও কিশমিশ ছিটিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সেমাইয়ের মালাই ক্ষীর।
সেমাই জর্দা
উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে চুলায় কড়াই বসান। এরপর কড়াইতে ঘি দিয়ে গরম করুন। ঘি সামান্য গরম হলে ঘি দিন। এবার প্যাকেট সেমাইয়ের অর্ধেকটা ঘিয়ে ঢেলে দিয়ে ১০/১৫ মিনিট নাড়ুন যাতে সেমাইটা ঘিয়ে ভাজা হয়। এরপর এতে কুড়ানো নারকেল দিয়ে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে চুলার আঁচ কমিয়ে নাড়তে থাকুন। পানি শুকিয়ে আসলে বাদাম, কিশমিশ, তেজপাতা, দারুচিনি দিয়ে ১০ মিনিট জালে দমে রাখুন। সেমাই ঝরঝরে হয়ে এলে নামিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার সেমাই জর্দা।
দুধ সেমাই
উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালি
প্রথমে এক লিটার দুধ ভালো করে গরম করে কমাতে থাকুন, তাতে হাফ কাপ চিনি দিয়ে দিন। এরপর এক এক করে এলাচি, দারুচিনি এবং থাকলে একটা তেজপাতা দিন। এরপর খালি একটা গরম কড়াইতে সেমাইগুলো ভেজে নিন। মচমচে হলে তা গরম দুধে ঢেলে দিন। হালকা গরম থাকতেই পরিবেশন করুন মজাদার দুধের সেমাই।
পবিত্র রমজান মাস শেষে মুসলমানরা ঈদের দিন আনন্দ ভাগাভাগি করেন। বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি ভিন্ন হলেও ঈদের আনন্দের রূপ একই। ঈদের দিনে খাবারের আয়োজন বিশেষ গুরুত্ব পায়। গৃহিণীরা নানা ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করেন, বিশেষ করে পোলাও ও মিষ্টি।
দক্ষিণ এশিয়া
বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানদের জন্য ঈদ মানে মিষ্টিজাতীয় খাবারের আয়োজন। ঈদের দিন সকালে সাধারণত ঘিয়ে ভাজা বা দুধে ভেজানো সেমাই দিয়ে দিন শুরু হয়।
রাশিয়া
রাশিয়ার মুসলিমদের মধ্যে ঈদের দিনে জনপ্রিয় খাবার হচ্ছে ‘মানতি’ (যা আমরা মোমো বা ডাম্পলিং নামে চিনি)।
একটি ছোট আটার পুঁটলির মধ্যে ভেড়া বা গরুর মাংসের কিমা দিয়ে ভাপে সিদ্ধ করা হয়।
চীন
চীনে মুসলিমদের জন্য 'শানজি' নামে এক ধরনের নুডলস খুব জনপ্রিয়। ময়দার কাই দিয়ে মোটা করে নুডলস বানিয়ে তেলে ভাজা হয়। তারপর পিরামিডের মতো সাজিয়ে পরিবেশন করা হয়। সস দিয়ে খেতে খুবই মজা শানজি।
মধ্যপ্রাচ্য
মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ করে সিরিয়া ও লেবাননে ‘মামোউল’ কুকি খুব জনপ্রিয় ঈদের মিষ্টি। খেজুর, আখরোট, পিস্তাচিও, মাখন দিয়ে তৈরি কুকির মধ্যে চিনির গুঁড়ো মিশিয়ে পরিবেশন করা হয় এটি। ইরাক, সুদান, মিসরেও প্রায় একই ধরনের কুকি দেখা যায়, তবে এগুলোর নাম ভিন্ন।
মিসর
মিসরে ঈদের দিনে ‘ফাতা’ নামে একটি বিশেষ খাবার তৈরি হয়। যেখানে ভাত, মাংস, পেঁয়াজ ও ভিনেগারের মিশ্রণ থাকে। গরম গরম পরিবেশন করা হয়। এ ছাড়া ‘কাহক’ নামক বিস্কুটও মিসরীয়দের জন্য ঈদের গুরুত্বপূর্ণ একটি খাবার।
তুরস্ক
তুরস্কে ঈদকে ‘সেকের বায়রামি’ বলা হয়। এ দেশে ঈদের একটি বিশেষ মিষ্টি খাবার হলো ‘লোকুম’ (টার্কিশ ডিলাইট)। এটি বরফ আকৃতির মিষ্টি, যা শিশুদের মাঝে খুব জনপ্রিয়।
ব্রিটেন
ব্রিটেনের মুসলিমদের মধ্যে ঈদের দিনে বিরিয়ানি খুব জনপ্রিয়। মাংস, চাল ও মসলার সংমিশ্রণে বিরিয়ানি তৈরি হয়। দই ও পুদিনার চাটনির সঙ্গে গরম গরম পরিবেশন করা হয়।
সোমালিয়া
সোমালিয়ায় ঈদে মাংসপিঠা খুব জনপ্রিয়। যা মাংস ও সবজি দিয়ে পূর্ণ করা হয় এবং চিনির সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
মরক্কো
মরক্কোর ‘তাজিনে’ একটি ঝাল মাংসের রেসিপি। যা এক ধরনের স্ট্যু জাতীয় খাবার। ভেড়া বা গরুর মাংসের সঙ্গে নানা ফল ও সবজি থাকে তাজিনের মধ্যে।
ইন্দোনেশিয়া
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান ঐতিহ্যবাহী ঈদের খাবার হলো ‘কেটুপাত’। এটি পামগাছের পাতায় মোড়া চালের আটার পিঠা। যা মাংসের বিভিন্ন আইটেমের সঙ্গে পরিবেশন করা হয়।
আফগানিস্তান
আফগানিস্তানে ঈদের দিনের বিশেষ খাবার হলো ‘বোলানি’। যা আলু, ডাল ও অন্যান্য সবজির পুর দিয়ে তৈরি করা হয়। এটি টক দই দিয়ে পরিবেশন করা হয়। ঈদ ছাড়াও ইফতারে এটি খুব জনপ্রিয়।
সূত্র : ফুড নেটওয়ার্ক