ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকা, সোমবার ৩১ মার্চ ২০২৫
১৭ চৈত্র ১৪৩১

নাড়ির টানে বাড়ি নয়, থাকবেন ক্যাম্পাস পাহারায়

কুবি প্রতিনিধি
কুবি প্রতিনিধি
শেয়ার
নাড়ির টানে বাড়ি নয়, থাকবেন ক্যাম্পাস পাহারায়
ছবি : কালের কণ্ঠ

পরিবারের সদস্যের সঙ্গে হাসিমুখে সুখ-দুঃখ ভাগাভাগি করে নেওয়ার মাধ্যমেই যেন ঈদকে ঘিরে মানুষের সব আশা-আকাঙ্ক্ষা ও আনন্দের ষোলোকলা পূর্ণ হয়। আর ঈদ আনন্দকে পরিপূর্ণ করতেই শিকড়ের টানে দূর-দূরান্ত থেকে বাড়ির উদ্দেশে পথ পাড়ি দেয় সবাই। স্বস্তির হাসি নিয়ে কাজ সেরে ঘরে ফিরে।

কিন্তু ভাগ্য বিড়ম্বনায় আপামর কর্মজীবী সবার পক্ষে ঈদ আনন্দ পরিবারের সঙ্গে ভাগাভাগি করার সুযোগ হয়ে ওঠে না।

বলছিলাম পরিবারের সঙ্গে ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি না করতে পারা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) দায়িত্বরত নিরাপত্তা প্রহরী তথা আনসার সদস্যদের কথা।

জীবিকা নির্বাহের দায়ে পরিবারের মুখে এক ফোটা হাসি ফোটাতে হাজারটা ঝড়ঝাপটার মধ্যেও দায়িত্বকে এতটুকু অবহেলা করার অভিপ্রায় নেই তাদের মাঝে। কারো কাছে মামা, কারো কাছে ভাই আবার কারো কাছে আংকেল। ফাঁকা ক্যাম্পাসেও তখন নির্বিকার চিত্তে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে ক্যাম্পাসকে আগলে রাখছেন তারা।

নীরবে-নিভৃতে, হাসিমুখে কাজ করে যাচ্ছেন। দায়িত্বটা পালনেই যেন সুখ। চেয়ে চেয়ে দেখছেন আর পরিচিতদের হাসিমুখে বিদায় দিচ্ছেন। এ যেন একা রেখে চলে যাওয়া বিচ্ছেদ।

ঈদ আসে, ঈদ যায়, উৎসব আসে, পূজ আসে কিন্তু তাদের বাড়ি ফেরা হয় না। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো হয় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে শিক্ষক-কর্মচারী সবাই যখন পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে ঈদ বা অন্যান্য উৎসব বা অনুষ্ঠান উদযাপনের পরিকল্পনা সাজাতে ব্যস্ত, তখন নিরাপত্তা প্রহরীরা বন্ধের দিনগুলোতে বন্ধ পরবর্তী একটি অপরিবর্তিত ক্যাম্পাস উপহার দিতে বদ্ধপরিকর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখা থেকে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও আবাসিক হলগুলোর নিরাপত্তায় বর্তমানে ৪৯ জনের মতো নিরাপত্তাকর্মী দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে ১০ জন ছুটিতে থাকলেও বাকি ৩৯ জন ক্যাম্পাসে রয়ে গেছেন।

তিন শিফটে ভোর ৬টা থেকে দুপুর ২টা, দুপুর ২টা থেকে রাত ১০টা, এবং রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ভাগ হয়ে কাজ করছেন তারা। 

ঈদে দায়িত্বে থাকা বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা প্রহরীর সঙ্গে কথা হয় দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদকের। তাদের ভেতর একজন মোহাম্মদ মালেক। তার বাড়ি উত্তরবঙ্গের রংপুর জেলায়। পরিবারকে রেখে এবছর ঈদ করবেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে।

তিনি বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাড়িতে যাওয়া হয় না। যখন চাকরিতে ঢুকি তখনই সব কিছু ত্যাগ করেই এখানে আসতে হয়েছে। এই ত্যাগের জন্য বউ-বাচ্চা পরিবার সব ফেলে রেখে এখানে ঈদ করতে হচ্ছে।

আরেক নিরাপত্তাকর্মী মো. উসমান আলী। বাসা গাইবান্ধা জেলায়। তিনি বলেন, ‘ছাত্র মামারা সবাই বাসায় ঈদ পালন করতে গেছে। এখানে ক্যাম্পাস ফাঁকা। ঈদে বাড়িতে যেতে পারছি না, এ নিয়ে অনেক খারাপও লাগছে। এখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে কর্মরত আছি। এ জন্য সবার সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারছি না।’

আরেকজন মোহাম্মদ ফয়সাল। তারও নিজ জেলা গাইবান্ধা হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার স্বার্থে ক্যাম্পাসেই ঈদ পালন করবেন।

তিনি বলেন, ‘প্রশাসন ক্যাম্পাসের নিরাপত্তার দায়িত্ব দিয়ে গেছে, এ জন্য ঈদে বাড়ি যাওয়া হবে না। এই দায়িত্বটা যেন সুন্দর করে পালন করতে পারি, সেটাই লক্ষ্য। মা-বাবার সঙ্গে ঈদ পালন করতে পারব না, এটা খুবই খারাপ লাগার মতো একটি বিষয়। কারো সঙ্গেই দেখা হবে না, তাই পরিবারের সবাইকে অনেক মনে পড়বে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসব কর্মী বছরের পর বছর ধরে একইভাবে ঈদে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তাদের অনেকেই পরিবারের মুখ চেয়ে চাকরিটা আঁকড়ে ধরে রেখেছেন। উৎসবের আনন্দ ছেড়ে ক্যাম্পাস পাহারায় কাটানো ঈদ তাদের কাছে নতুন কিছু নয়।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

বাকৃবিতে ছিনতাইয়ের সময় ছিনতাইকারী ও অটোচালক আটক

বাকৃবি প্রতিনিধি
বাকৃবি প্রতিনিধি
শেয়ার
বাকৃবিতে ছিনতাইয়ের সময় ছিনতাইকারী ও অটোচালক আটক
ছবি: কালের কণ্ঠ

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) সংলগ্ন আমবাগান এলাকায় ছিনতাইয়ের সময় এক ছিনতাইকারী ও তার সহযোগী অটোচালককে আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (৩০ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মোখলেছুর রহমান। এর আগে শনিবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ১১ টার তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন—ময়মনসিংহের ফকিরাকান্দা এলাকার মো. আসিফ (১৯) এবং একই এলাকার অটোচালক মো. ইয়াসিন মিয়া (জিয়াদ)।

উপপরিদর্শত মোখলেছুর রহমান জানান, শিকারাকান্দা থেকে ব্রিজের মোড়ে যাওয়ার জন্য এক যাত্রী মো. ইয়াসিন মিয়ার অটোতে উঠেছিলেন। পথে ছিনতাইয়ের শিকার হয় ওই যাত্রী। ছিনতাইকারীরা তার কাছ থেকে মানিব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে অটো থেকে নামিয়ে দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে পৌঁছালে ছিনতাইকারীদের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়।

এতে আশপাশের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা ছিনতাইকারীদের দুইজন সদস্যকে আটক করেন। এ সময় আরো ৩-৪ জন পালিয়ে যায়।

এসআই মোখলেছুর রহমান বলেন, ‌‌‌‘প্রথমে ছিনতাইকারীরা তাদের অপরাধ অস্বীকার করলেও পরে নিজেদের দোষ স্বীকার করে নেয়। এরপর তাদের বাকৃবি পুলিশ ক্যাম্পে রাখা হয়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের কোতোয়ালি মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।’
 

মন্তব্য

জালিয়াতির অভিযোগে তামীরুল মিল্লাতের অধ্যক্ষ বরখাস্ত

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
জালিয়াতির অভিযোগে তামীরুল মিল্লাতের অধ্যক্ষ বরখাস্ত
সংগৃহীত ছবি

খাতা মূল্যায়নে জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎসহ একাধিক অভিযোগে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসা যাত্রাবাড়ীর অধ্যক্ষ ড. মুহাম্মাদ আবু ইউছুফকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ১২ মার্চ মাদরাসার গভর্নিং বডির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. কোরবান আলী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।

অফিস আদেশে বলা হয়, তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার গভর্নিং বডির ১২ মার্চের সভায় আপনার বিরুদ্ধে ট্রাস্ট কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটির আনীত ২০টি অভিযোগের প্রতিবেদন আলোচিত হয়। সব দিক বিবেচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে আপনার বরখাস্তের মেয়াদ ২০ মার্চ থেকে আরো দুই মাস বাড়িয়ে ছয় মাস নির্ধারণ করা হয়েছে।

বরখাস্তকালে মাদরাসা থেকে সব প্রকার সুযোগ-সুবিধা বন্ধ থাকবে।

আরো পড়ুন
কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে গুজব

কুমিল্লায় ট্রেন দুর্ঘটনা নিয়ে গুজব

 

এ বিষয়ে মাওলানা আবু ইউছুফ বলেন, ‘কোনো বিষয়ে অভিযোগ থাকলে প্রথমে শোকজ দিতে হয়। শোকজের জবাবে সন্তুষ্ট না হলে ব্যবস্থা নেওয়া যায়। কিন্তু আমার ক্ষেত্রে সে রকম হয়নি, আমাকে সরাসরি বরখাস্ত করা হয়েছে।

বরখাস্তের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আবার দুই মাস বাড়িয়ে আরেকটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। এটিও আইনসংগত হয়নি।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

বাজারের মাংসে টাইফয়েড-ডায়রিয়ার জীবাণু, জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি

বাকৃবি প্রতিনিধি
বাকৃবি প্রতিনিধি
শেয়ার
বাজারের মাংসে টাইফয়েড-ডায়রিয়ার জীবাণু, জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি
সংগৃহীত ছবি

স্বাস্থ্যসম্মত ও নিরাপদ মাংস প্রাপ্তি মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, বাংলাদেশের মানুষ প্রতিদিন মাথাপিছু ১৪৩ দশমিক ৭৭ গ্রাম মাংস খেতে পায়। দৈনন্দিন জীবনে আমিষের চাহিদা পূরণে মাংসের অবদান অনস্বীকার্য। তবে, দেশের অধিকাংশ স্থানীয় পোল্ট্রি বাজারে এখনো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই করা হয়, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বড় হুমকি।

 

সম্প্রতি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) একদল গবেষকের পরিচালিত গবেষণায় ময়মনসিংহ সদরের বিভিন্ন স্থানীয় বাজারে সাধারণভাবে জবাইকৃত মুরগির মাংসে মিলেছে টাইফয়েড (সালমোনেলা) ও ডায়রিয়া (ইকোলাই) রোগের জীবাণু। এছাড়াও দোকানে মুরগি অসুস্থ হলে বেশিরভাগ দোকান মালিক (৯৬.১৫ শতাংশ) মুরগি আলাদা রাখা বা মেরে ফেলার পরিবর্তে বিক্রি করে দেন বলে ওই গবেষণায় উঠে আসে। 

আরো পড়ুন
বাঘায় পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

বাঘায় পদ্মা নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

 

ময়মনসিংহ সদর ও এর আশেপাশের পোল্ট্রি বাজারসমূহের অবস্থা পর্যেবক্ষণ, বায়োসিকিউরিটি এবং পোল্ট্রি জবাইকরণ সম্পর্কে বিক্রেতাদের মনোভাব যাচাইকরণ এবং সেখানে বিক্রয়কৃত মাংসের গুণগতমান যাচাইয়ের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্বব্যিালয়ের (বাকৃবি) পোল্ট্রি বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে গবেষণা কার্যক্রমটি পরিচালিত হয়। গবেষণাটি ওয়ার্ল্ডস পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ শাখা কর্তৃক আয়োজিত ১৩তম আন্তর্জাতিক পোল্ট্রি সেমিনার -২০২৫-এ উপস্থাপিত হয়।

 

ওই গবেষণায় দেখা গেছে, স্থানীয় বাজারের সাধারণভাবে জবাইকৃত মাংসে ক্ষতিকর ইকোলাই ও সালমোনেলা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ উপস্থিতি রয়েছে, যেখানে স্বাভাবিক অবস্থায় মাংসে এগুলো থাকার কথা নয়। এসব মাংসের নমুনায় সালমোনেলা ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ লগারিদম ৪.০২ থেকে লগারিদম ৫.৫৯ সিএফইউ/গ্রাম এবং ইকোলাই ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ লগারিদম ৪.০১ থেকে লগারিদম ৫.৯৪ সিএফইউ/গ্রাম পর্যন্ত পাওয়া গেছে। স্থানীয় বাজারের নমুনায় মোট কার্যকর ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণও (টিভিসি) ছিল বেশি। 

গবেষণাটিতে ময়মনসিংহ সদরের চরপাড়া বাজার, মিন্টু কলেজ বাজার, মেছুয়া বাজার, নতুন বাজার, সানকিপাড়া বাজার, কেওয়াটখালী বাজার, শেষমোড় বাজার, সুতিয়াখালী বাজার, ভাবখালী বাজার, কে আর মার্কেট, শম্ভুগঞ্জ বাজার এবং গাছতলাসহ ১২টি স্থানীয় বাজারের পোল্ট্রি দোকানের তথ্য নেওয়া হয়।

একটি সুনির্ষ্টি প্রশ্নাবলীর তালিকা অনুসরণ করে এই ১২টি বাজারের ২৪টি পোল্ট্রি দোকানের কর্মীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছিল। এসব বাজারে সাধারণভাবে জবাইকৃত এবং প্রসেসিং ইউনিটের পদ্ধতি অনুসরণ করে পোল্ট্রি ফার্মে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাইকৃত মোট ২৬টি মাংসের (উরু এবং বুকের মাংস) নমুনা এবং ২টি পানির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। নমুনাগুলো বাকৃবির মাইক্রোবায়োলজি অ্যান্ড হাইজিন ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানান অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন। 

গবেষণায় উঠে আসা স্থানীয় বাজারের মুরগির দোকানগুলোর অবস্থা সম্পর্কে গবেষকরা বলেন, গবেষণার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা গেছে যে ৮৪.৬২ শতাংশ দোকানে মুরগি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই, ৯২ শতাংশ দোকানে ময়লা পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই এবং ৪৬.১৫ শতাংশ দোকানে পর্যাপ্ত আলো ছিল না। এছাড়াও, ৩০.৭৭ শতাংশ দোকানে মাংস কাটার জায়গা অস্বাস্থ্যকর ছিল এবং পরিকল্পিত বর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থা ছিল না।

এরকম পরিস্থিতি ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি এবং দূষণের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরি করে।

স্বাস্থ্যকর মাংস প্রাপ্তির বিষয়ে অধ্যাপক ড. মো. ইলিয়াস হোসেন বলেন, বাংলাদেশের স্থানীয় বাজারগুলোর অধিকাংশ পোল্ট্রি দোকানে অপর্যাপ্ত জায়গায় পাখিগুলোকে রাখা হয় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মুরগি জবাই করা হয় যা অত্যন্ত স্বাস্থ্য ঝুঁকি সম্পন্ন এবং নানা রোগ বিস্তারের কারণ হতে পারে। এর সমাধানে স্থানীয় বাজারগুলোতে ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট স্থাপনের মাধ্যমে ক্রেতাদের নিরাপদ ও স্বাস্থ্যসম্মত মাংস পৌছে দেওয়া সম্ভব। 

তিনি আরো বলেন, ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় বাজারগুলোতে ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট প্রতিষ্ঠা করা গেলে তা একইসাথে যেমন নিরাপদ মাংস সরবরাহ নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে, পাশাপাশি স্থানীয় পোল্ট্রি দোকানগুলো আরো লাভজনকভাবে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে। উল্লেখ্য যে, প্রসেসিং ইউনিটের মাংসে কোনো সালমোনেলা বা কলিফর্ম সনাক্ত করা যায়নি, যা ইঙ্গিত করে যে প্রসেসিং ইউনিট থেকে পাওয়া মাংস খাওয়ার জন্য নিরাপদ।

প্রযুক্তিগত সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে স্থানীয় বাজারের পোল্ট্রি দোকানীদের ক্ষুদ্র প্রসেসিং ইউনিট স্থাপনে উৎসাহিত করতে হবে। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পোল্ট্রি মুরগি বিক্রি বন্ধ করতে হবে। বাজার থেকে মাংস কেনার সময় ক্রেতাদের সতর্ক হতে হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতাকে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে জবাইকৃত মাংসের উপকারিতা সম্পর্কে সচেতন করার জন্য সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিভিন্ন জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করেন ওই অধ্যাপক।
 

মন্তব্য

ঢাবিতে হবে ঈদ র‍্যালি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি
শেয়ার
ঢাবিতে হবে ঈদ র‍্যালি
সংগৃহীত ছবি

ঈদুল ফিতর পালন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঈদ র‍্যালি বের করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান র‍্যালিতে নেতৃত্ব দেবেন।

শুক্রবার (২৮ মার্চ) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, ঈদের দিন ‘সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ মসজিদুল জামিআ'য় ঈদুল ফিতরের প্রথম জামাতের পর র‍্যালি শুরু হবে।

র‍্যালিটি টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ র‍্যালিতে অংশগ্রহণ করবেন।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ