সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ১০ দিন

ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
শেয়ার
সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে ১০ দিন
ছবি: কালের কণ্ঠ

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম টানা ১০ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সোনাহাট কাস্টমস ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরওয়ার্ডিং (সিঅ্যান্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক ও সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক স্বাক্ষরিত এক পত্রে বন্ধের বিষয়টি জানানো হয়েছে। 

আরো পড়ুন
অভিনয় ও নির্মাণে পর্দায় ফিরছেন রাকা

অভিনয় ও নির্মাণে পর্দায় ফিরছেন রাকা

 

পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সোনাহাট স্থলবন্দরের কার্যক্রম আগামী বৃহস্পতিবার ২৭ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া বুধবার ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস সরকারি ছুটি ও ৪ এপ্রিল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি।

সরকারি ছুটি ঈদের ছুটি ও সাপ্তাহিক ছুটি সব মিলেয়ে স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম ১০ দিন বন্ধ থাকবে।

আরো পড়ুন
যক্ষ্মা হলে কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে যাবেন

যক্ষ্মা হলে কী খাবেন এবং কী এড়িয়ে যাবেন

 

সোনাহাট সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম আকমল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামী ৫ এপ্রিল শনিবার থেকে স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক নিয়মে চলবে।

সোনাহাট স্থল শুল্ক স্টেশনের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) আমিনুল ইসলাম বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস, ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটি সব মিলেয়ে ১০ দিন সোনাহাট স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। 
 

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

টাঙ্গাইলে সড়কে প্রাণ গেল মা-বাবার, ছেলে হাসপাতালে

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
শেয়ার
টাঙ্গাইলে সড়কে প্রাণ গেল মা-বাবার, ছেলে হাসপাতালে
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে গাড়িচাপায় স্বামী-স্ত্রী মারা গেছেন। শনিবার (২৯ মার্চ) পৌলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় তাদের ছেলে আহত হয়েছে।

নিহতরা হলেন দক্ষিণ পৌলী গ্রামের মৃত নোয়া দাসের ছেলে রঞ্জিত দাস (৫০) ও তার স্ত্রী বন্দনা দাস (৪০)।

আহত ছেলের নাম দিবস দাস (৮)।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার রাতে তারা এক সঙ্গে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় অজ্ঞাত গাড়ি তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই বন্দনা মারা যান। পরে স্থানীয়রা আহত রঞ্জিত ও তার ছেলে দিবসকে উদ্ধার করে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।

সেখানে রঞ্জিত মারা যান।

আরো পড়ুন
জেলেদের ফাঁদে আটকা পড়া কুমিরকে পিটিয়ে হত্যা

জেলেদের ফাঁদে আটকা পড়া কুমিরকে পিটিয়ে হত্যা

এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরীফ বলেন, আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।

মন্তব্য

কুমিল্লায় মধ্যরাতেও কেনাকাটার ধুম

কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
কুমিল্লা (উত্তর) প্রতিনিধি
শেয়ার
কুমিল্লায় মধ্যরাতেও কেনাকাটার ধুম
ছবি: কালের কণ্ঠ

শেষ সময়ে জমে উঠেছে কুমিল্লার ঈদ বাজার। শপিংমল ও ফুটপাতগুলোতে পা ফেলার জায়গা নেই। বিক্রি ভালো হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন বিক্রেতারা। 

শনিবার রাত ১০টার দিকে কান্দিরপাড়, মনোহরপুর, রাজগঞ্জ ঘুরে দেখা গেছে, ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের হাক ডাক ও দর কষাকষির মধ্য দিয়েই চলছে কেনাকাটা।

মার্কেটগুলোতে পুরুষ ক্রেতার চেয়ে নারী ক্রেতাদের ভিড় বেশি। দিনের বেলায় গরমের উত্তাপ ও যানজট থেকে বাঁচতে রাতে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন তারা। মা-বাবার হাত ধরে পছন্দের পোশাক কিনতে বাজারে এসেছেন শিশুরাও। বিক্রি ভালো হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছেন বিক্রেতারা।
 

আরো পড়ুন
ছাত্রদলের বাধায় এনসিপির সংবাদ সম্মেলন পণ্ড

ছাত্রদলের বাধায় এনসিপির সংবাদ সম্মেলন পণ্ড

কান্দিরপাড়ে ফুটপাতের ব্যবসায়ী সোহেল রানা বলেন, শেষ সময়ে এসে এভাবে ক্রেতা ভিড় হবে ভাবেনি। গত বছরের চেয়ে এবার ভালো বিক্রি হয়েছে। গতকাল রাত ৪টায় বাসায় গিয়েছি। আজ মনে হয়, বাসায় যাওয়া যাবে না।

দিনের চেয়ে রাতে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে। 

রাজগঞ্জের কসমেটিক ব্যবসায়ী মো. হাসান বলেন, দোকানে এখন মেহেদী রঙের চাহিদা বেড়েছে। প্রচুর নারী ক্রেতা আসছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন কসমেটিক পণ্য বিক্রি হচ্ছে। সারা রাত দোকান খোলা থাকবে।

 

আরো পড়ুন
রবিবার চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

রবিবার চাঁদপুরের ৪০ গ্রামে ঈদ

কান্দিরপাড়ের আ. রউফ এন্ড সন্সের কাপড় ব্যবসায়ী মো. শিহাব উদ্দিন বলেন, রাত যত বাড়ে ক্রেতার ভিড় তত বাড়তে থাকে। এত ক্রেতা আগে কখনই দেখিনি। কান্দিরপাড় এলাকায় পা ফেলার এক ইঞ্চি জায়গাও নেই। 

চকবাজার থেকে পরিবার নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন। তিনি বলেন, বেতন পাওয়ার পর পরিবার নিয়ে রাতে ঈদের কেনা কাটা করতে এসেছি। কিন্তু কান্দি পাড়ে এত মানুষের ভিড় ঠেলে সামনে যেতে পারছি না। তাই একটু দাঁড়িয়েছি। এখন মনে হচ্ছে দিনের বেলা আসায় উচিত ছিল।        

কুমিল্লা দোকান মালিক সমিতি ফেডারেশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মঞ্জুর আলম ভূঁইয়া জানান, রমজানের শুরুতে বড় বড় শপিংমল এগুলোতে ভিড় ছিল। ঈদের শেষ মুহূর্তে এসে ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। কান্দিরপাড় এলাকায় মধ্যরাতেও ক্রেতারা কেনাকাটা করছেন। নগরীর ছোট বড় ব্যবসায়ীরাও অনেক খুশি। 

আরো পড়ুন
গাইবান্ধায় এক টাকার বাজার থেকে ঈদ সামগ্রী পেল ২৫০ পরিবার

গাইবান্ধায় এক টাকার বাজার থেকে ঈদ সামগ্রী পেল ২৫০ পরিবার

কুমিল্লা পুলিশ সুপার মো. নাজির আহমেদ খাঁন বলেন, ঈদ ঘিরে মার্কেটগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বড় বড় শপিংমলগুলোতে বাড়তি পুলিশ সদস্য দেওয়া হয়েছে। ঈদ বাজারে কুমিল্লায় এখনও কোনো বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাইনি। 

মন্তব্য

জেলেদের ফাঁদে আটকা পড়া কুমিরকে পিটিয়ে হত্যা

মাদারীপুর প্রতিনিধি
মাদারীপুর প্রতিনিধি
শেয়ার
জেলেদের ফাঁদে আটকা পড়া কুমিরকে পিটিয়ে হত্যা
সংগৃহীত ছবি

মাদারীপুর কালকিনির খালে জেলেদের ফাঁদে আটকা পড়া একটি কুমিরকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে । শনিবার (২৯ মার্চ) সাহেবরামপুর ইউনিয়নের নতুন আন্ডারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি কালকিনির আড়িয়াল খাঁ নদের বিভিন্ন স্থানে কুমির দেখা যাচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলা প্রশাসনও মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করেছে।

এরপর সতর্ক অবস্থানে থাকেন বাসিন্দারা। 

তারা আরো জানায়, শনিবার দুপুরে কালকিনির নতুন আন্ডারচরের আড়িয়াল খাঁ নদের সংযোগ খালে কুমির দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে বিভিন্ন কৌশল খাটিয়ে সেটিকে আটকে ফেলেন তারা। পরে ১১৯ নম্বর উত্তর আন্ডারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে কুমিরটি নিয়ে আসা হয়।

একপর্যায়ে কুমিরটিকে পিটিয়ে হত্যা করেন উৎসুক জনতা।

মাদারীপুরের বন বিভাগের ইদ্রিস হাওলাদার বলেন, ‘আজ কুমার আড়িয়াল খাঁ নদী থেকে কুমিরটি খালে ঢুকে পরলে এলাকার লোকজন কুমিরটিকে ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে নিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। এখন আমরা কুমিরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছি।’ 

কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উত্তম কুমার দাশ জানান, বন বিভাগের লোকজন ও উপজেলা প্রশাসন ঘটনাস্থলে যায়।

উৎসুক জনতা কুমিরকে পিটিয়ে মেরে ফেলে। কিন্তু বন্যপ্রাণী হত্যা করা আইনগত দণ্ডনীয়। কুমিররের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
 

মন্তব্য

গাইবান্ধায় এক টাকার বাজার থেকে ঈদ সামগ্রী পেল ২৫০ পরিবার

গাইবান্ধা প্রতিনিধি
গাইবান্ধা প্রতিনিধি
শেয়ার
গাইবান্ধায় এক টাকার বাজার থেকে ঈদ সামগ্রী পেল ২৫০ পরিবার
ছবি: কালের কণ্ঠ

এক টাকার প্রতীকী মূল্যে গাইবান্ধার ২৫০ স্বল্প আয়ের পরিবার পেলো ঈদ উদযাপনের খাদ্য সামগ্রী। টানা পঞ্চমবারের মতো আজ শনিবার (২৯ মার্চ) বিকেলে গাইবান্ধার স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে এক টাকার বাজার কর্মসূচির আয়োজন করে ‘আমাদের গাইবান্ধা’ নামে একটি সংগঠন। 

অভিনব এই আয়োজনে মাত্র এক টাকায় ব্যাগ ভর্তি সামগ্রী পেয়ে খুশি পরিবারগুলো। বাজার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আমাদের গাইবান্ধা সংগঠনের সভাপতি সায়েম রহমান, সাধারণ স¤পাদক মুসাব্বির রহমান রিদিম সহ সংগঠনের উপদেষ্টা ও সদস্যবৃন্দ।

সরেজমিনে দেখা যায়, কাউন্টারে মাত্র এক টাকা দিলেই হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে ব্যাগ। বিতরণ কেন্দ্রে স্লিপ জমা দিলেই প্রতিটি পরিবারের প্রতিনিধিকে দেওয়া হয় মুরগি, আলু, বাঁধাকপি, বেগুন, চাল, সয়াবিন তেল, ডাল, সুজি, চিনি, নুডলস, সেমাই, গুড়া দুধ, লবণ, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মরিচ, লেবুসহ ২০  ধরণের সামগ্রী। 

আয়োজকরা জানালেন, এই আয়োজনটি করেছে শিক্ষার্থী ছাড়াও নানা বয়সের তরুণ ও যুবকরা।

মূলত  ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতেই এই বাজার বসানো হয়েছে।  

সুবিধাভোগী মাজেদা বেগম বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বাজারে কোনো পণ্যই কেনার সামর্থ্য হয় না নিম্ন আয়ের ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের। তাই এক টাকায় অনেক কিছু পেয়ে খুশি তারা। পরিবার নিয়ে একদিন হলেও অনেক ভালো খেতে পারবেন।

আমাদের গাইবান্ধার সভাপতি সায়হাম রহমান বলেন, ক্রমবর্ধমান বাজার মূল্যে স্বল্প আয়েন মানুষের ঈদ আনন্দ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয় সেই লক্ষ্যে পরিবার প্রতি এক টাকার বিনিময়ে চাল, ডাল, মুরগিসহ ২০ পদের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। গত কয়েক বছর থেকে আমরা দুস্থ অসহায় মানুষগুলোর পাশে থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করেছি।

জেলা প্রশাসক চৌধুরী মোয়াজ্জম আহমদ বললেন, তরুণদের এই উদ্যোগ তাদের মানবিক মূল্যবোধেরই প্রকাশ। আগামীতে দেশ গড়ার ক্ষেত্রেসব এই তরুণ ও শিক্ষার্থীদের ভূমিকা রাখার আহবান জানান তিনি।

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ