আলু নিয়ে হতাশায় কৃষক

কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
কালাই (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি
শেয়ার
আলু নিয়ে হতাশায় কৃষক
সংগৃহীত ছবি

‘আলুর দাম তো ওঠোইছে না, ঈদ করমু ক্যাংকা করে?’ কথাগুলো বলতে বলতে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায় জয়পুরহাটের কালাই উপজেলার ধারা-গাংগট গ্রামের কৃষক তরিকুল ইসলামের। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) বিকেলে পুনটহাটে দাঁড়িয়ে তিনি জানালেন, এবারের আলু চাষ তার জন্য যেন অভিশাপ হয়ে এসেছে। প্রতি কেজি আলু উৎপাদনে তার খরচ হয়েছে ২১-২২ টাকা, অথচ বাজারে সেই আলু বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৯-১০ টাকায়। এতে করে লাভের কথা দূরে থাক, উৎপাদন খরচই উঠছে না।

তরিকুলের মতো একই অবস্থা উপজেলার বানিহারা গ্রামের কৃষক হায়দার আলীরও। চার বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন তিনি। ফসল তোলার পর যখন বাজারে নিয়ে গেলেন, দেখলেন দাম নেই। হিমাগারেও সংরক্ষণের সুযোগ পাননি কারণ জায়গা সংকট।

বাধ্য হয়ে আলু বাড়ির আঙিনায় রেখে দিয়েছেন, কিন্তু সেখানে আলু ভাল থাকে না। রাতে মশার অত্যাচারে মশারি টাঙিয়ে আলুর পাহারা দিতে হয় তাকে। ঈদ সামনে, অথচ হাতে টাকা নেই। হতাশ কণ্ঠে বলেন, ‘হামার মতো অনেকেই আলু নিয়ে বড় বিপদে আছে।
তা'ইলে তোমরাই কও, এবার ঈদ করমু ক্যাংকা করে?’

আরো পড়ুন
সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রবিবার ঈদ

সৌদি আরবে চাঁদ দেখা গেছে, রবিবার ঈদ

 

একের পর এক কৃষকের একই দুর্দশার গল্প শোনা যাচ্ছে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। পুরো উপজেলায় প্রান্তিক কৃষকদের মুখে হাসি নেই, ঈদের আনন্দ নেই। কেউ কেউ বাধ্য হয়ে কম দামে আলু বিক্রি করছেন কিন্তু লাভ তো দূরের কথা, লোকসান সামলে সংসার চালানোই কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।

পুনটহাটে এদিন বেচাকেনা খুবই কম। ঈদের আগে যেখানে বাজারে কেনাকাটার ধুম পড়ে যায়, সেখানে এবার দোকানিরা অলস সময় কাটাচ্ছেন।

কালাই আহলে হাদীস মসজিদ কমপ্লেক্স মার্কেটের চায়না ফ্যাশনে কাপড় কিনতে এসেছিলেন বানিহারা গ্রামের কৃষক ছামসুল হক। দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তিনি কাপড় দেখছিলেন, কিন্তু দাম দেখে যেন হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে গেল। বললেন, ‘ছল-পল (ছেলে-মেয়ে) ছাড়ে না, তাদের জন্য ১০ টাকা কেজিতে লোকসান করে ১৫ বস্তা আলু বেছিছু। কিন্তু যে দাম, জামাত তো হাতই দেয়া যাওছে না।’

বাজারে ব্যবসায়ীরাও হতাশ। চায়না ফ্যাশনের মালিক হিটলার রহমান জানান, গত বছর যেখানে প্রতিদিন দেড়-দুই লাখ টাকা বিক্রি হত, হাটের দিনে আড়াই লাখ টাকার বেশি বেচাকেনা হতো, এবার সেখানে মাত্র ৫০-৬০ হাজার টাকার ব্যবসা হচ্ছে। মানুষের হাতে টাকা নেই, তাই দোকানেও ভিড় নেই।

কৃষক হেলাল উদ্দিন বললেন, ‘মুই দুই মণ আলু বেচে ছলের জন্য এক জোড়া জুতা কিনিছু। হাটোত সব জিনিসের দাম বেশি কিন্তু হামাগেরে আলুর দাম নাই। যত সব ঝামেলা হামাগেরে মত কিষান-পাটের।’

আরো পড়ুন
তিন দেশে ঈদের তারিখ ঘোষণা

তিন দেশে ঈদের তারিখ ঘোষণা

 

উপজেলার মুন্দাইল গ্রামের কৃষক আশরাফ আলীও হতাশা প্রকাশ করে জানান, ৩০ শতক জমি বর্গা নিয়ে আলু চাষ করেছিলেন। পুনট হাটে তিন বস্তা (৬০ কেজি) আলু নিয়ে গিয়েছিলেন বিক্রি করতে, কিন্তু দাম এতটাই কম যে ফেরত আনতে বাধ্য হলেন।

এই হতাশা শুধু তরিকুল, হায়দার, ছামসুল, হেলাল বা আশরাফ আলীর একার নয়। কালাইয়ের হাজারো কৃষক একই সমস্যা জর্জরিত। প্রতিবার উৎপাদিত ফসলের টাকায় সারা বছরের খরচ চালাতেন তারা কিন্তু এবার সব হিসাব এলোমেলো হয়ে গেছে। ঈদের আগে এমন পরিস্থিতিতে কৃষকদের মন ভেঙে পড়েছে। কৃষকদের প্রশ্ন, যদি ফসলের ন্যায্য দাম না পাই যদি কষ্টের ফসল লোকসানে বিক্রি করতে হয় তবে আমাদের ঈদ আনন্দ থাকবে কেমন করে?

আরো পড়ুন
চীন সফরে ড. ইউনূসের ৫ অর্জন

চীন সফরে ড. ইউনূসের ৫ অর্জন

 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা অরুণ চন্দ্র রায় বলেন, ‘কৃষকদের হতাশা আমরা বুঝতে পারছি। আলুর দাম কমার প্রধান কারণ হচ্ছে অতিরিক্ত উৎপাদন এবং সংরক্ষণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকা। হিমাগারে জায়গা সংকটের কারণে অনেক কৃষক বাধ্য হয়ে কম দামে আলু বিক্রি করছেন,যা বাজারে আরও দরপতন সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থায় কৃষকদের দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হওয়া স্বাভাবিক। তিনি আশ্বাস দিয়ে আরো বলেন, যদিও বর্তমান পরিস্থিতি কঠিন তবে এটি স্থায়ী নয়। বাজার খুব দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা চাই কৃষকেরা হতাশ না হয়ে ধৈর্য ধরুন এবং আমরা তাদের পাশে আছি।’

প্রাসঙ্গিক
মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

‘নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ’

খুলনা অফিস
খুলনা অফিস
শেয়ার
‘নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করাই বর্তমান সরকারের প্রধান কাজ’
ছবি: কালের কণ্ঠ

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল বলেছেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে, ১৭ বছরের আন্দোলনের ফসল পতিত স্বৈরাচার হাসিনা সরকারকে বিদায় ঘটিয়ে আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পেয়েছি। এ সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে নির্বাচন দিয়ে একটি নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু সংস্কারের দোহাই দিয়ে জনগণের প্রত্যাশাকে বাধাগ্রস্ত করা হলে আমরা তা সর্মথন করব না।

বুধবার (২ এপ্রিল) নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে ঈদ পুনর্মিলনী ও সাংগঠনিক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর বিএনপির সভাপতি অ্যাড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সবার আগে বাংলাদেশ-এর খুলনা বিভাগীয় সমন্বয়ক মুনতাসির মামুন সাজু, বেগম রেহানা ঈসা, শেখ সাদী, মাসুদ পারভেজ বাবু, হাসানুর রশিদ মিরাজ, কেএম হুমায়ুন কবীর, হাফিজুর রহমান মনি, অ্যাড. শেখ মোহাম্মাদ আলী বাবু, মুর্শিদ কামাল, কাজী মিজানুর রহমান, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসাদুজ্জামান আসাদ, হাবিবুর রহমান বিশ্বাস, শেখ ইমাম হোসেন, আবু সাঈদ হাওলাদার আব্বাস, নাসির উদ্দিন, জাকির ইকবাল বাপ্পি, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, মতলুবুর রহমান মিতুল প্রমুখ।

এসময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি/আহবায়ক, সাধারণ সম্পাদক/সদস্য সচিবরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় আগামী ১১ এপ্রিল খুলনা জেলা স্টেডিয়ামে সবার আগে বাংলাদেশ কনসার্ট সফল করতে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সভা চলছিল।

মন্তব্য

খালে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ, মেলেনি সন্ধান

বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
বানারীপাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি
শেয়ার
খালে গোসল করতে নেমে শিশু নিখোঁজ, মেলেনি সন্ধান
প্রতীকী ছবি

বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বদ্বীপ হ্যালিপ্যাড সংলগ্ন খালে গোসল করতে নেমে স্রোতে তলিয়ে গিয়ে মালিহা (৮) নামের এক শিশু নিখোঁজ হয়েছে। সে ওই গ্রামের মৃত বাদশা খানের নাতি ও মৎস্যজীবী  মো. রাসেলে মেয়ে। মালিহা স্থানীয় জম্বদ্বীপ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী। 

জানা গেছে, বুধবার (২ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে নানা বাড়ির সামনে জম্বদ্বীপ খালে গোসল করতে নামলে জোয়ারের স্রোতে সে তলিয়ে যায়।

এ সময় বাবা-মা ও দুই খালা মালিহাকে স্রোতে তলিয়ে যেতে দেখে খালের পানিতে ঝাঁপ দিয়ে উদ্ধার করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে এসে বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও তার কোনো সন্ধান পায়নি। 

আরো পড়ুন
সড়ক দুর্ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-মুখপাত্রের মৃত্যু

সড়ক দুর্ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সহ-মুখপাত্রের মৃত্যু

 

এ সময় বানারীপাড়ার ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ও থানার পুলিশও সেখানে উদ্বার চেষ্টায় তাদের সহায়তা করে। এদিকে একমাত্র মেয়েকে হারিয়ে খালের তীরে মা-বাবা ও স্বজনদের কান্না-আহাজারিতে এলাকার পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।

 

বানারীপাড়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের লিডার মো. আনোয়ার  হোসেন জানান, ওই শিশুটি খালের পানিতে ডুবে যাওয়ার খবর পেয়ে বরিশালে ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে কয়েক ঘণ্টা চেষ্টা করেও নিখোঁজ শিশুটির কোনো সন্ধান করতে পারেননি।

মন্তব্য

ভাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু

সদরপুর-চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
সদরপুর-চরভদ্রাসন ও ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভাঙ্গায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় যুবকের মৃত্যু
ছবি : কালের কণ্ঠ

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে রাসেল মাতুব্বর (২২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের কোষাভাঙ্গা এলাকায় বুধবার (২ এপ্রিল) বিকেলের দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহত রাসেল মাতুব্বর সদরপুর উপজেলার ঢেউখালি ইউনিয়নের চন্দ্রপাড়া এলাকার মোস্তাক মাতুব্বরের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, রাসেল মাতুব্বর মোটরসাইকেল নিয়ে উপজেলার চন্দ্রপাড়া থেকে পুলিয়া বাজারের দিয়ে যাচ্ছিল।

এ সময় পথিমধ্যে কোষাভাঙ্গা এলাকায় মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশে একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে গুরুতর আহত হন রাসেল। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সদরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল মোতালেব খোকন বলেন, ‘নিহত রাসেল নিজের মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মৃত্যুবরণ করেন।

এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ময়নাতদন্ত ছাড়া লাশ হস্তান্তরের জন্য আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

মন্তব্য

ইজারাদারের ওপর হামলা, বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঝিনাইদহ
শেয়ার
ইজারাদারের ওপর হামলা, বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৩
সংগৃহীত ছবি

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুরের জয়দিয়া বাওড়ের ইজারাদারের ওপর হামলার ঘটনায় এক বিএনপি নেতাসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (২ এপ্রিল) রাতে উপজেলার লক্ষ্মীকুণ্ডু এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সাফদারপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আলম হোসেন, নারায়ণপুর গ্রামের সমির হোসেন ও চান্দা ইসলাম।

এদিকে বুধবার সকালে তাদের ছাড়াতে থানা চত্বরে অবস্থান নেন ওই এলাকার কয়েক শ নারী-পুরুষ।

পরে স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দের আশ্বাসে তারা বাড়ি ফিরে যান।

আরো পড়ুন
শহীদ ওয়াসিমের কবরের পাশে সাদিক কায়েম

শহীদ ওয়াসিমের কবরের পাশে সাদিক কায়েম

 

জানা যায়, বাঁওড় মৎসজীবী আন্দোলনের ব্যানারে বাঁওড়ের ইজারা বাতিল ও বাঁওড় ফেরতের দাবিতে দুই বছর যাবৎ আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলেন হালদার সম্প্রদায়ের মানুষেরা। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার সকালে কোটচাঁদপুর জয়দিয়া বাঁওড়পাড়ে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেন তারা। 

এ সময় বাঁওড়ের ইজারাদার ও তার লোকজনের সঙ্গে তাদের বাগবিতণ্ডা হয়।

এক পর্যায়ে তারা মিছিল সহকারে হামলা চালান ইজারাদারের ওপর। অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেন বাঁওড়ের ইজারাদারের কার্যালয়, খাবার রাখার গোডাউন ও মাছ ধরার নৌকা। 

ওই ঘটনায় গুরুতর আহত হন ইজারাদার রঞ্জিত হালদার। পরে তিনি কোটচাঁদপুর মডেল থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।

কোটচাঁদপুর মডেল থানার থানার ওসি কবির হোসেন মাতুব্বর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বাঁওড়ের ইজারাদারের ওপর হামলা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ