জমিতে পড়েছিল কৃষকের রক্তাক্ত লাশ,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
শেয়ার
জমিতে পড়েছিল কৃষকের রক্তাক্ত লাশ,
ছবি: কালের কণ্ঠ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তিতাস নদের পাড়ে ইয়াদ মোল্লা খাদেম (৬৫) নামে এক কৃষকের রক্তাক্ত লাশ পাওয়া গেছে। শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুপুরে পৌর এলাকার খড়মপুরে তিতাস নদের পাড় থেকে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে আসেন পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের পরিবারের ধারণা, ইয়াদ মোল্লা মহিষের গুঁতোয় মারা গেছেন।

পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত ইয়াদ মোল্লা গরুকে ঘাস খাওয়ানোর জন্য সকালে নদীর পাড়ে যান।

সেখানেই গরুর পাশাপাশি কয়েকটি মহিষও ছিল। পরে দুপুরে স্থানীয় লোকজন ইয়াদ মোল্লার লাশ দেখতে পেয়ে পরিবারকে খবর দেয়। পরে পরিবারের লোকজন গিয়ে লাশ উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে।  

নিহত ইয়াদ মোল্লার ছেলে অপূর্ব মোল্লা জানান, স্থানীয় লোকজন তার বাবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন।

পরে তারা ভ্যানে করে লাশ বাড়িতে নিয়ে এসেছেন। শরীরের আঘাতের চিহ্ন দেখে তারা ধারণা করছেন মহিষের গুঁতোয় তিনি মারা গেছেন।

আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহনূর ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ফোনে আমাদের জানানো হয়েছে। তবে ঘটনাটি সদর থানা এলাকায় হওয়ায় সেখানকার পুলিশকে অবগত করতে বলেছি।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, এ ধরনের কোন বিষয় তিনি জানেন না, তাকে কেউ বিষয়টি জানায়নি।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে হাসপাতালে ৪০

অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
অভয়নগর (যশোর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে হাসপাতালে ৪০
ছবি: কালের কণ্ঠ

যশোরের অভয়নগরে ঈদ মেলায় ফুচকা খেয়ে নারী শিশুসহ ৪০ জন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল সোমবার (৩১ মার্চ) ঈদের দিন এ ঘটনা ঘটে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার ফলে (ফুড পয়জনিং) অধিকাংশ রোগীর পেটে ব্যথা ও বমির লক্ষণ রয়েছে। এসব লক্ষণ নিয়ে ঈদের দিন নারী শিশুসহ অন্তত ৪০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত উপজেলার কাপাশহাটী গ্রামের মাওলানা তাকিব হুসাইনের পরিবারের ৩ জন, বেঙ্গল টেক্সটাইল মিল মসজিদের ইমাম সাহেবের পরিবারের ৮ জন, প্রেমবাগ ইউনিয়নের প্রেমবাগ গ্রামের ৫ জন, গুয়াখোলা, বুইকারা, শংকরপাশাসহ বিভিন্ন গ্রামের প্রায় ৪০ জন রোগীর চিকিৎসা চলছে। এ ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অনেক পরিবার বাড়ি ফিরে গেছেন।

আরো পড়ুন
গোপালগঞ্জ কারা ফটকে স্বজনদের ভিড়

গোপালগঞ্জ কারা ফটকে স্বজনদের ভিড়

 

উপজেলার কাপাশহাটী গ্রামের বাসিন্দা মাওলানা তাকিব হুসাইন জানান, ঈদের দিন বিকেলে স্বপরিবারে ভাঙ্গাগেট এলাকায় ভৈরব সেতু সংলগ্ন এক ঈদ মেলায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে এক স্টল থেকে ফুচকা খেয়ে ৩ জন অসুস্থ হয়ে পড়ি।

বাড়ি ফেরার পর পেটে ব্যথার সঙ্গে বমি শুরু হয়। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসকরা জানান খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এমন হয়েছে।

আরো পড়ুন
গোপালগঞ্জ কারা ফটকে স্বজনদের ভিড়

গোপালগঞ্জ কারা ফটকে স্বজনদের ভিড়

 

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলীমুর রাজীব কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘ঈদের দিন ৩০/৪০ জন ফুড পয়জনিং (খাদ্যে বিষক্রিয়া) রোগীকে ভর্তি হয়েছে। তাদের মধ্যে শিশুর সংখ্যা বেশি, তবে বয়স্ক নারী-পুরুষও রয়েছেন।

স্যালাইনসহ প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র দেওয়া হচ্ছে।’

মন্তব্য

গোপালগঞ্জ কারা ফটকে স্বজনদের ভিড়

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
গোপালগঞ্জ কারা ফটকে স্বজনদের ভিড়

গোপালগঞ্জ কারাগারের সামনে রান্না করা খাবার নিয়ে অপেক্ষারত শত শত কারাবন্দির স্বজনরা। জেলা বা জেলার আশপাশের এলাকার বিভিন্ন গ্রাম থেকে এসেছেন তারা। প্রিয়জনকে একপলক দেখতে এবং ঈদের খাবার খাওয়াতে আসেন। 

মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে কারাবন্দিদের খাবার দেওয়া ও একনজর দেখা।

আরো পড়ুন
৪১.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠতে পারে এপ্রিলে

৪১.৯ ডিগ্রি তাপমাত্রা উঠতে পারে এপ্রিলে

 

গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারের সুপার মো. মোক্কামেল হোসেন বলেন, ঈদের পরের দিন কারাবন্দিতের বাড়ি খাবার খেতে দেওয়ার প্রভিশন আছে। সেই হিসেবে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে কারাবন্দিদের স্বজনরা খাবার হাতে কারাগারের সামনে হাজির হন। বর্তমানে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে ৫৮১ জন হাজতি রয়েছেন। এর মধ্যে অন্তত ৪০০ জনের খাবার এসেছে।

আর সঙ্গে ছেলে-মেয়ে , স্ত্রী, মা-বাবাসহ প্রায় এক হাজার মানুষ কারাগারে এসে প্রিয়জনের সঙ্গে দেখা করেছেন। এই দর্শন চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
  
খাবার দিতে আসা বেশ কয়েকজন কারাবন্দির স্বজনদের সঙ্গে কথা হয়। তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঈদের দিন কারাবন্দিদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ-সুবিধা পাইনি।
আজ ঈদের পরের দিন আমরা খাবার নিয়ে দেখতে এসেছি। ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছি এবং ঈদের দিনে রান্না করা খাবারও দিয়েছি।’

মন্তব্য

ভাঙ্গায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি নিহত

ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
শেয়ার
ভাঙ্গায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি নিহত
সংগৃহীত ছবি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় মহাসড়ক পারাপারের সময় ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মো. ইয়াকুব আলী (৩৫) নিহত হয়েছেন। ঈদের দিন সোমবার (৩১ মার্চ) রাত ৮টার দিকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ঝাটুরদিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাওলানা ইয়াকুব আলীর বাড়ি ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের সুকনী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের মৃত মোমিন উদ্দিনের ছেলে।

তার ৮ ও ৫ বছরের দুইটি ছেলে রয়েছে।

আরো পড়ুন

শান্তিগঞ্জে ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

শান্তিগঞ্জে ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

 

জানা যায়, দুর্ঘটনার পর গুরুতর আহত অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। পরে অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখান থেকে রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়।

আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) ভোর পাঁচটার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

আলগী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য এবং সুকনী গ্রামের বাসিন্দা মাহমুদুর রহমান বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত মাওলানা ইয়াকুব আলী ঝাটুরদিয়া বাজারে জুতার ব্যবসা করতেন। গতকাল সোমবার রাত ৮টার দিকে দোকান বন্ধ করে তিনি বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। বাজারের উল্টো দিকে আলগী ইউনিয়নে তার বাড়ি।

রাস্তা পার হওয়ার সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি দ্রুতগতির মোটরসাইকেল তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় ছিটকে পড়েন।’

তিনি আরো বলেন, ‘পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন না হওয়ায় তাকে রাতেই ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। সেখানে আজ মঙ্গলবার ভোর ৫টায় তিনি মারা যান।’

মন্তব্য

শান্তিগঞ্জে ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি
শেয়ার
শান্তিগঞ্জে ধান শুকানোর জায়গা নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০
ছবি: কালের কণ্ঠ

সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জে ধান শুকানো নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার শিমুলবাঁক ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

আরো পড়ুন
জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া নারী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার নিয়ে যা বলল যুক্তরাষ্ট্র

 

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রঘুনাথপুর গ্রামে ধান শুকানোর জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে দুইপক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হন।

আহতরা হলেন- রঘুনাথপুর গ্রামের মহিবুর রহমান মানিক (৩৫), কামাল হোসেন (২৮), শাহীন (৩৮), জোনাক আহমদ (২৮), তারেক আহমদ (৩২), বদরুল আলম (৪২), শাহ আলম (৪৫), দুলাল (৪৫), মকসুদ আলী (৫০), আইবুর রহমান (৪০), শফিক আলী (৫০)।

তাৎক্ষণিকভাবে অন্যান্য আহতদের নাম জানা যায়নি। আহতরা সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আরো পড়ুন
ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল, যুবদল নেতা বললেন ‘এটি ষড়যন্ত্র’

ইয়াবা সেবনের ভিডিও ভাইরাল, যুবদল নেতা বললেন ‘এটি ষড়যন্ত্র’

 

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শান্তিগঞ্জ থানার ওসি মো. আকরাম আলী বলেন, ‘ধান শুকানোর জায়গা দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।

তবে এ ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি।’

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ