এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। এর আগেও একবার দেশটিতে ঈদ করেছিলেন। তবে এবার মিস করছেন সব আপন মানুষদের।
এই মুহূর্তে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন জায়েদ খান। সেখানেই উদযাপন করেছেন এবারের ঈদ। এর আগেও একবার দেশটিতে ঈদ করেছিলেন। তবে এবার মিস করছেন সব আপন মানুষদের।
কালের কণ্ঠের সঙ্গে আলাপকালে জায়েদ খান বলেন, বাবা-মায়ের কবরে যাওয়া মিস করছি। তাদের কথা খুব মনে পড়ছে। ভাই-বোনদের মিস করছি, মায়ের মত বোন যে তাকে খুব বেশি মিস করছি এবার।
বাবা-মা বেঁচে থাকাকালীন প্রতি ঈদেই তাদের কাছ থেকে সালামি পেতেন জায়েদ খান। এবার সেটাও মিস করছেন বলে জানালেন।
শৈশবের স্মৃতি ঘেঁটে তিনি বললেন, আমি পিরোজপুরের শৈশবের ঈদটাকে মিস করি খুব।
ঈদে সালামি দিতেও পছন্দ করেন জায়েদ খান আবার নিতেও। সর্বোচ্চ সালামি পেয়েছেন এক লাখ টাকা, আবার দিয়েছেনও তবে সেটা তার কোনো এক প্রিয় মানুষকে।
সম্পর্কিত খবর
‘মিশন ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা বরাবরই। এখন পর্যন্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির সাতটি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। সেইসঙ্গে এটি হলিউড সুপারস্টার টম ক্রুজের আইকনিক সিনেমা। এবার ভক্তরা মুখিয়ে রয়েছেন সিরিজের আট নাম্বার সিনেমা দেখার জন্য।
সম্প্রতি উন্মুক্ত হয়েছে ‘মিশন ইম্পসিবল: দ্য ফাইনাল রিকনিং’ নামে এ সিনেমার নতুন ট্রেলার। যেখানে টম ক্রুজ একটি ফাইটার জেট থেকে লাফিয়ে পড়েন এবং পরবর্তী সময়ে তাকে একটি উলটেপড়া বিমান থেকে ঝুলতে দেখা যায়।
জানা গেছে, আইএমএফ এজেন্ট ইথান হান্টের চরিত্রে টম ক্রুজের এটিই শেষ দেখা হতে পারে। কারণ আটটি সিনেমার পর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের একটি নাটকীয় সমাপ্তি তুলে ধরার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছেন অভিনেতা।
‘দ্য ফাইনাল রেকনিং’-এ ভক্তরা যে ধরনের শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাকশন আশা করেছেন, টম ক্রুজ সেটা ইতোমধ্যেই দেখিয়ে দিয়েছেন। এ কিস্তিতে রয়েছে একটি ডুবোজাহাজের মধ্যে ভয়ংকর মারামারির দৃশ্য।
এ দৃশ্যটির শুটিং কতটা মারাত্মক ও ভয়ংকর ছিল তা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে টম বলেন, ‘যখন আপনার মুখটি ঘণ্টায় ১২০ থেকে ১৩০ মাইলেরও বেশি গতিতে ছোটা কোনো যানের (বিমানের) অভিমুখে থাকে, তখন বুঝবেন সময়টা আপনার জন্য কতটা কঠিন। কারণ, তখন আপনি অক্সিজেন পাচ্ছেন না। তাই এ দৃশ্যটির শুটিংয়ের জন্য আমাকে শ্বাস নেওয়ার বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে হয়েছিল।’
তিনি বলেন, ‘কাজটি করতে গিয়ে মাঝে মাঝে আমি শারীরিকভাবে অজ্ঞান হয়ে যেতাম; আমি ককপিটে ফিরে যেতে পারতাম না।
প্রসঙ্গত, ব্রুস গেলারের টেলিভিশন সিরিজ মিশন: ইম্পসিবলের উপর ভিত্তি করে, এটি মিশন: ইম্পসিবল - ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান (২০২৩) এর সরাসরি সিক্যুয়াল এবং সিরিজটির অষ্টম এবং শেষ কিস্তি।
সিনেমাটির চিত্রনাট্যের পাশাপাশি এটি পরিচালনা করেছেন ক্রিস্টোফার ম্যাককুয়ারি। এটি প্রযোজনা করেছেন টম ক্রুজ এবং পরিচালক নিজেই।
মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে ৬ জনকে চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওপার বাংলার ছোটপর্দার পরিচালক সিদ্ধান্ত দাসের বিরুদ্ধে। আহতদের মধ্যে একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টায় ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে দুর্ঘটনা ঘটে। বেশকয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয় সিদ্ধান্ত দাসের গাড়ি।
রবিবার (৬ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঠাকুরপুকুর বাজারের কাছে ডিএইচ রোডে সিদ্ধান্তের গাড়ি বেশ কয়েকজন পথচারীকে ধাক্কা দেয়। সেই গাড়িতে ছিলেন অভিনেত্রী ঋ। কিন্তু দুর্ঘটনার পর তাঁকে আর দেখা যায়নি। সেখানেই তাঁর বিরুদ্ধে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে।
টিভি নাইন বাংলার সঙ্গে অভিনেত্রী ঋ বলেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমি ওই গাড়িতেই ছিলাম, যখন ওই দুর্ঘটনা হয়। তবে আমি কোনওরকম নেশা করিনি, কখনও করিও না। আমার গাড়ি ছিল না। গাড়ি চালাতেও পারি না।
কলকাতা পুলিশের ডিসি দক্ষিণ-পশ্চিম (বেহালা) রাহুল দে জানান, নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাজারের মধ্যে ঢুকে যায় একটি গাড়ি। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন ছয়জন। তাদের মধ্যে চারজনকে স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বাকি দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় স্থানান্তরিত করা হয় ডায়মন্ড হারবার রোডের অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গাড়িটির চালকের আসনে ছিলেন সিদ্ধান্ত। এর পরেই গ্রেপ্তার করা হয় সিদ্ধান্তকে।
শনিবার রাতে একটি পানশালায় উল্লাসে মেতেছিলেন পরিচালক সিদ্ধান্ত, বেসরকারি চ্যানেলের কার্যনির্বাহী প্রযোজক শ্রিয়া বসু, অভিনেতা আরিয়ান ভৌমিক, অভিনেত্রী ঋ সেন, অভিনেতা-ইউটিউবার স্যান্ডি সাহা। তাঁরা প্রত্যেকে সান বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘ভিডিও বৌদি’-এর সঙ্গে যুক্ত। সেই ধারাবাহিকের ভাল রেটিং সেলিব্রেট করতেই জমায়েত হন তাঁরা। সেখান থেকে জোকায় একজনের বাড়িতে আসেন। সেখান থেকে একটি গাড়িতে সিদ্ধান্ত, ঋ ও শ্রিয়া বের হন। এরপরই ঠাকুরপুকুরের জনবহুল বাজার এলাকায় বেপরোয়া গাড়ি চালাতে থাকে সিদ্ধান্ত। সেখানেই ঘটে দুর্ঘটনা।
দুর্ঘটনার একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যায়, দুর্ঘটনার পরও শ্রিয়া এমনই মাতাল ছিলেন যে, সোজা হয়েও দাঁড়াতে পারছেন না। পুলিশের গাড়িতে ওঠার সময় বেসামাল হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। ভিডিও ভাইরাল হতেই তুমুল আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এ ঘটনার বিচার দাবি করছেন খোদ টলিউড তারকারা। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে নিরীহ মানুষ মেরে ফেলার মতো ঘটনা কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছেন না কেউ। সোশ্যাল মিডিয়াও উত্তপ্ত এ দুর্ঘটনা ঘিরে।
রাজনৈতিক জোকস বলে কিছুদিন আগেই বিতর্কের মুখে পড়েন কুণাল কামরা। বুক মাই শো থেকে তাকে ব্ল্যাকলিস্টেড পর্যন্ত করা হয়েছে। এসব বিতর্কের মাঝেই এবার বিগ বসের প্রস্তাব পেলেন জনপ্রিয় এই স্ট্যান্ড আপ কমেডিয়ান।
কুণাল কামরা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে একটি ছবি শেয়ার করেছেন সেখান থেকেই জানা যাচ্ছে সম্প্রতি এক ব্যক্তি যিনি নিজেকে বিগ বসের কাস্টিং এজেন্ট বলে পরিচয় দিয়েছেন তিনি কুণাল কামরাকে এবারের সালমানের এই শোতে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন।
নিজেকে কাস্টিং এজেন্ট বলে দাবি করা সেই ব্যক্তি লিখেছেন, ‘আমি এবারের বিগ বসের সিজনের কাস্টিং হ্যান্ডেল করছি। তাই আপনার নাম সেটার জন্য ভাবছি কারণ মানুষের কাছে বিষয়টা আগ্রহের হতে পারে। আমি জানি হতে পারে আপনার র্যাডারে বিষয়টা ছিল না বা নেই হয়তো। কিন্তু এই পাগল করা এই প্ল্যাটফর্মে আপনি আপনার নিজের ভাইব দেখাতে পারবেন, আরও বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন।
এই কথপোকথনের স্ক্রিনশট পোস্ট করে কুণাল কামরা সেটার জবাবে লেখেন, ‘আমি এটার থেকে মানসিক হাসপাতালে যেতে বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করব।’এই পোস্টের সঙ্গে তিনি সালমান খানের ছবি রাধে থেকে একটি গান জুড়ে দিয়েছিলেন। তবে বিগ বস সিজন ১৯ নাকি বিগ বস ওটিটির প্রস্তাব গিয়েছিল তার কাছে, সেটা স্পষ্ট নয়।
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন থেকে একনাথ শিন্ডেসহ একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে নিয়ে নানা জোকস বলেছেন, মশকরা করে প্যারোডি গেয়েছেন।
জামিন মিলল না বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানের ওপর হামলাকারী শরিফুল ইসলাম শেহজাদের। বুধবার মুম্বাই পুলিশ তাঁর বিরুদ্ধে হাজার পাতার চার্জশিট দাখিল করেছে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। শরিফুলের বিরুদ্ধে একাধিক তথ্য প্রমাণের উল্লেখ রয়েছে পুলিশের জমা দেওয়া এই হাজারপাতা চার্জশিটে। এরপর আসামির জামিন খারিজ করেছেন আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা যাচ্ছে, পুলিশ আদালতে জানিয়েছে যে সাইফের উপর হামলার ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত শরিফুল। তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
পুলিশের জমা দেওয়া চার্জশিটে শরিফুলের মুখাবয়বের পাশাপাশি আঙুলের ছাপ, উদ্ধার হওয়া ছুরির বাকি অংশ, সব তথ্যপ্রমাণই রয়েছে। তবে শুধুই সাইফের উপর হামলা নয়, শরিফুলের বিরুদ্ধে বৈধ নথিপত্র ছাড়াই বাংলাদেশ থেকে ভারতে ঢুকে বসবাসের অভিযোগও উঠেছে।
পুলিশ আদালতে জানিয়েছে, বাংলাদেশি হয়ে কেন ভারতে অবৈধভাবে বাস করছেন অভিযুক্ত? পুলিশের দাবি ছিল, অভিযুক্তের পলাতক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং তাই তাকে জামিন দেওয়া উচিত নয়। শেষ পর্যন্ত জামিন আবেদন খারিজ করেন আদালত।
কয়েকদিন আগে শরিফুলের আইনজীবী অভিযুক্তর জামিন চেয়ে আদালতে জামিনের আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনের বিরোধিতা করে মুম্বাই পুলিশ।
সাইফ আলি খান ১৬ জানুয়ারি বান্দ্রায় তার নিজ বাসভবনের ভেতরে ছুরিকাঘাতের শিকার হন।