বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এনডিবি

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এনডিবি
এনডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির কাজবেকভ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মঙ্গলবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ছবি : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

ব্রিকসের উদ্যোগে গঠিত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি) চলতি বছরে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে ঋণ সহায়তা এক বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার কথা জানিয়েছে।

আজ মঙ্গলবার নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) ভ্লাদিমির কাজবেকভ রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এ সময় ভ্লাদিমির কাজবেকভ জানান, সম্প্রসারিত ঢাকা সিটি ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য ৩২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুমোদন করেছে এনডিবি। এ বছর বাংলাদেশের উন্নয়নের চাহিদা বিবেচনা করে এই তহবিলের পরিমাণ তিন গুণেরও বেশি করতে চায় তারা।

প্রধান উপদেষ্টা বহুপক্ষীয় ঋণদাতা সংস্থাটির ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘এটি উন্নয়ন অবকাঠামো উন্নীতকরণে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।’

কাজবেকভ জানান, এনডিবি বাংলাদেশে গ্যাস খাতের অবকাঠামো উন্নয়নে বড় ধরনের সহায়তা করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথেষ্ট পরিমাণে ঋণ প্রদানে আগ্রহী তারা।

বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনৈতিক অঞ্চলে হাজার হাজার কর্মীর জন্য আবাসন সুবিধার মতো সামাজিক অবকাঠামোতে ঋণ দেওয়ার ওপর জোর দেন প্রধান উপদেষ্টা।

কাজবেকভ বলেন, ‘ব্যাংকটি বহু-মুদ্রা ঋণ চালু করেছে। যা বাংলাদেশকে উপকৃত করবে।’

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এনডিবির উচিত বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রাধিকারের সাথে অর্থায়নের সমন্বয় সাধনের জন্য বাংলাদেশের ওপর দেশীয় কৌশল কর্মসূচি চালু করার প্রতি মনোনিবেশ করা।

বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্য

সম্পর্কিত খবর

ভারতসহ ৩ দেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
ভারতসহ ৩ দেশ থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা

ভারত, নেপাল ও ভুটান থেকে সুতা, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, নিউজপ্রিন্ট, বিভিন্ন ধরনের পেপার ও পেপার বোর্ডসহ একাধিক পণ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

গত ১৩ এপ্রিল প্রকাশিত গেজেটের মাধ্যমে এই নির্দেশনা জারি করে এনবিআরের কাস্টমস উইং।

কাস্টমস আইন, ২০২৩-এর ধারা ৮-এর উপধারা (১)-এর ক্ষমতাবলে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনটি অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে জানানো হয়েছে।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ভারত থেকে ডুপ্লেক্স বোর্ড, নিউজপ্রিন্ট, ক্রাফট পেপার, সিগারেট পেপার, মাছ, সুতা, আলু, গুঁড়া দুধ, টোব্যাকো, রেডিও-টিভি পার্টস, সাইকেল ও মোটর পার্টস, ফরমিকা শিট, সিরামিকওয়্যার, স্যানিটারিওয়্যার, স্টেইনলেস স্টিলওয়্যার, মার্বেল স্ল্যাব ও টাইলস এবং মিক্সড ফেব্রিক্স—এই পণ্যগুলো আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে মূসক নিবন্ধিত বিড়ি উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো কাঁচামাল হিসেবে তামাক ডাঁটা আমদানি করতে পারবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ রয়েছে।

একই সঙ্গে পূর্বে জারি করা এস.আর.ও নং ২৯৭-আইন/২০২৪/৮৯/কাস্টমস প্রজ্ঞাপনটির কয়েকটি ক্রমিক নম্বর সংশোধন করা হয়েছে। এতে পণ্য তালিকার হালনাগাদ করা হয় এবং ‘সকল রফতানিযোগ্য পণ্য’ আগের মতোই অব্যাহত রাখা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় শিল্পকে সুরক্ষা এবং অবৈধ রি-এক্সপোর্ট বা রিরাউটিং রোধ করতেই এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বিশেষ করে টেক্সটাইল, কাগজ ও সিরামিক পণ্য খাতে দেশীয় শিল্পের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা রক্ষা করাই মূল উদ্দেশ্য। তবে কিছু ব্যবসায়ী মহল থেকে এই নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করা হচ্ছে। তারা বলছেন, বিকল্প উৎস থেকে পণ্য আমদানিতে খরচ বাড়বে, যা শেষ পর্যন্ত ভোক্তার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।

মন্তব্য

যে কারণে লিটারে ১৪ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম

অনলাইন ডেস্ক
অনলাইন ডেস্ক
শেয়ার
যে কারণে লিটারে ১৪ টাকা বাড়ল সয়াবিন তেলের দাম
সংগৃহীত ছবি

রাজস্ব আদায় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য, এই দুটি বিষয়ে সমন্বয়ের কারণেই দেশের বাজারে সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন। তিনি বলেছেন, আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে ভোজ্য তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) ভোজ্য তেলের আমদানি, সরবরাহসহ সার্বিক বিষয় পর্যালোচনাসংক্রান্ত এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

আরো পড়ুন
ভারত থেকে এল ১০ হাজার টন সিদ্ধ চাল

ভারত থেকে এলো ১০ হাজার টন সিদ্ধ চাল

 

তিনি জানান, ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে মাসে প্রায় সাড়ে ৫০০ কোটি টাকা অব্যাহতি ছিল।

সরকার পরিচালনা ব্যয়ের উদ্দেশ্যে রাজস্ব অব্যাহতির ক্ষেত্রে সীমাবদ্ধতা আছে। এই সীমাবদ্ধতা থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে রমজানকেন্দ্রিক চিন্তা করে প্রায় ২০০০ কোটি টাকা রাজস্ব অব্যাহতি দেওয়া হয়েছিল।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেছেন, এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক বাজার এবং ট্যারিফ কমিশনের ফর্মুলার ভিত্তিতে আজ তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ফর্মুলা অনুযায়ী তেলের মূল্য লিটার প্রতি আসে প্রায় ১৯৭ টাকা।

কিন্তু শিল্পের সাথে আলোচনা ও সহযোগিতার ভিত্তিতে ১৮৯ টাকা প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল নির্ধারণ করা হয়েছে। খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৬৯ টাকা। 

আরো পড়ুন
চল্লিশের পরেও থাকবে যৌবন, ছাড়তে হবে যে ৫ অভ্যাস

চল্লিশের পরেও থাকবে যৌবন, ছাড়তে হবে যে ৫ অভ্যাস

 

তিনি আরো বলেন, দেশে ৩০ লাখ টনের ভোজ্য তেলের চাহিদা আছে। এর মধ্যে ৭ লাখ টন স্থানীয় সয়াবিন থেকে আসে।

নতুন করে ৬ লাখ টন রাইস ব্রান তেল বাজারে আনতে সক্ষম হয়েছি। প্রতিযোগিতার সক্ষমতা বৃদ্ধি করার ক্ষেত্রে সেনা কল্যাণ সংস্থার অয়েল মিলকেও কার্যকর করার চেষ্টা হয়েছে। ৩ লাখ টনের উৎপাদন সক্ষমতা নিয়ে তারা মাত্র ২০ হাজার টন উৎপাদন করতো। এ ছাড়া আরো দুটো তেল কম্পানি ‘গ্লোবাল’ এবং চট্টগ্রামের একটি বড় কম্পানি নতুন করে আবার বাজারে এসেছে। আশা করি, সামনে তেলের দাম আবার কমাতে পারব।
সামনে প্রতিযোগিতার কারণে মূল্য কমবে বলে আশা করি।

শেখ বশিরউদ্দিন বলেন, পাম অয়েলের ক্ষেত্রে সরকার যে মূল্য নির্ধারণ করেছে, প্রতিযোগিতা সক্ষমতার কারণে নির্ধারিত মূল্যের থেকেও ১০ টাকা কমে তা বিক্রি হচ্ছে। আশা করি, আগামী ২-৩ মাসের আরো ২-৩টি উৎপাদনে আসবে এবং সরকার যে ১০-১২ লাখ টন তেলের স্থানীয় যোগান নিশ্চিত করতে পেরেছে এর ফলে ব্যাপক বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে, অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়বে, বাজারে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হবে এবং সামগ্রিকভাবে দেশের জন্য ভালো হবে। ভোক্তা পর্যায়ে আমরা যে দাম বাড়াতে বাধ্য হলাম, এই বাধ্যবাধকতা মনে করছি সাময়িক। অদূর ভবিষ্যতে এই মূল্য নামিয়ে আনতে সক্ষম হবো।

মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত জানানোর আগেই তেলের দাম বাড়িয়ে রবিবার ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেস বিজ্ঞপ্তির প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে উপদেষ্টা বলেন, এটা তারা করতে পারেন না। তারা ট্যারিফ কমিশনে আবেদন করতে পারেন। তেল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য। এটার দাম সরকার নির্দিষ্ট করে।

তিনি বলেন, ভোজ্য তেলের ক্ষেত্রে কর অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ মার্চের পর থাকছে না। মূল্যস্ফীতি এখন নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আছে। তেলের এ দাম বৃদ্ধি জনগণের জন্য অসহনীয় হবে না।

মন্তব্য

সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ
ফাইল ছবি

প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম লিটারপ্রতি ১৮৯ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে খোলা তেল লিটার ১৬৯ টাকা ও পাম অয়েল ১৪৯ টাকা লিটার বিক্রি করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে তেলের দাম নিয়ে ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দিন।

দেশের রাজস্ব আয় বাড়ানো এবং আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা।

তবে এটা সাময়িক সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।

নতুন ঘোষণায় পাঁচ লিটার সয়াবিন তেলের বোতলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২২ টাকা, যা আগে ছিল ৮৫২ টাকা। এসময় তিনি বলেন, সাড়ে ৫শ' কোটি টাকা রাজস্ব অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এ ছাড়া রমজানে ২ হাজার কোটি টাকা অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বর্তমানে তেলের চাহিদা ৩০ লাখ মেট্রিক টন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এর মধ্যে ৭ লাখ মেট্রিক টন সরিষার তেল আর ৬ লাখ মেট্রিক টন রাইস ব্রান তেল দেশে উৎপাদন হয়।

তিনি আরো বলেন, এখন মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে, সিঙ্গেল ডিজিটে আছে। তাই তেলের দাম যেটুকু বাড়ানো হয়েছে তাতে খুব একটা প্রভাব পড়বে না মানুষের জীবনে। তেলের এই দামের ফলে মাসে ৭০ টাকার মত বেশি খরচ বাড়বে।

মন্তব্য

স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক
শেয়ার
স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ
ছবি: কালের কণ্ঠ

বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পোশাকশিল্পের সুতা আমদানির সুবিধা বাতিল করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে স্থলপথ ছাড়া সমুদ্রপথে বা অন্য কোনো পথে সুতা আমদানি করা যাবে।

এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপন সংশোধন করে নতুন এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

এই আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়।

জানা গেছে, ভারতের উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলে উৎপাদিত সুতা প্রথমে কলকাতায় গুদামজাত করা হয়। এরপর সেখান থেকে বাংলাদেশে পাঠানো হয়। এসব সুতা তুলনামূলক কমদামে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

এ কারণে দেশীয় সুতার পরিবর্তে স্থলবন্দর দিয়ে আসা সুতা বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে। যার ফলে দেশের বস্ত্রশিল্পকারখানাগুলো বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে দাবি করেছিল বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিএমএ)।

এ ছাড়া চীন, তুরস্ক, উজবেকিস্তান এবং দেশে উৎপাদিত সুতার দাম প্রায় একই রকম হলেও স্থলবন্দর দিয়ে আসা ভারতীয় সুতার দাম অনেক কম থাকে। অর্থাৎ স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা সুতা চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ঘোষিত দামের চেয়ে অনেক কম দামে আসে।

এতে দেশের সুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।

এর আগে, গত ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে বস্ত্রখাতের অন্যতম কাঁচামাল সুতা আমদানি বন্ধের দাবি জানায় বস্ত্রশিল্পমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিএমএ)। এরপর গত মার্চ মাসে এক চিঠিতে পোশাকশিল্পে দেশে তৈরি সুতার ব্যবহার বাড়াতে স্থলবন্দর দিয়ে পোশাকশিল্পের সুতা আমদানি বন্ধ করার জন্য এনবিআরকে ব্যবস্থা নিতে বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। তখন ট্যারিফ কমিশন থেকে এনবিআর চেয়ারম্যানকে পাঠানো চিঠিতে দেশীয় টেক্সটাইল শিল্পের স্বার্থ সংরক্ষণে সব সীমান্তসংলগ্ন সড়ক ও রেলপথ এবং স্থলবন্দর ও কাস্টম হাউসের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে সুতা কাউন্ট নির্ণয়ে যথাযথ অবকাঠামো প্রস্তুত না হওয়া পর্যন্ত আগের মতো সমুদ্রবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুপারিশ করা হয়।

মন্তব্য

সর্বশেষ সংবাদ